নাম শচীন তেন্ডুলকার / Sachin Ramesh Tendulkar জন্ম ২৪শে এপ্রিল, ১৯৭৩ (মুম্বই,মহারাষ্ট্র) উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি অভিভাবক রমেশ তেন্ডুলকার (বাবা) রজনী তেন্ডুলকার (মা) অজিত তেন্ডুলকার (দাদা) দাম্পত্যসঙ্গী অঞ্জলি তেন্ডুলকার সন্তান অর্জুন তেন্ডুলকার, সারা তেন্ডুলকার
পেশা ব্যাটসম্যান,বোলার,কোচ জাতীয়তা ভারতীয় ধর্ম হিন্দু অন্য নাম মাস্টার ব্লাস্টার, লিটল মাস্টার
ভারতবর্ষে ক্রিকেটকে শুধু খেলা হিসাবে নয় বরং একটা ধর্ম হিসাবে দেখা হয় | আর সেই ধর্মে শচীন রমেশ তেন্ডুলকারকে ভগবান হিসাবে মানা হয়ে থাকে | বন্ধু, শচীন হচ্ছেন এমন একজন খেলোয়াড় যিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন | ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটে তার অবদান সত্যিই কোনোদিন ভোলার নয় |
তুমি কি এটা জানো? শচীন রমেশ তেন্ডুলকার একজন মহান ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি, একজন মহান মানুষও | তিনি প্রত্যেক বছর ২০০ গরীব শিশুর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেন | “আপনালয়” নামে তার একটা নিজেস্ব বেসরকারী সংস্থা আছে, যারা দারিদ্র পিরিত মানুষ ও শিশুদের সাহায্য করে |
Early life of Sachin Tendulkar:
শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম হয় ২৪শে এপ্রিল ১৯৭৩ সালে, মুম্বাইয়ের নির্মল নার্সিংহোমে | তার বাবার নাম ছিলো রমেশ তেন্ডুলকার এবং মায়ের নাম ছিলো রজনী তেন্ডুলকার |
তার বাবা রমেশ তেন্ডুলকার ছিলেন একজন মারাঠি ঔপন্যাসিক এবং মা রজনী তেন্ডুলকার ছিলেন একটা বীমা কোম্পানীর কর্মচারী | “শচীন” নামটা রাখার পিছনে তার বাবারই হাত ছিলো, কারন তিনি তখনকার সময়ের বিখ্যাত ভারতীয় সুরকার তথা গায়ক শচীন দেববর্মণের নামানুসারে তার ছেলের এই নামটা রাখেন |
তোমাকে এটা বলে রাখি, শচীন কিন্তু তার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান | তার বাবার প্রথম পক্ষের স্ত্রীয়ের সন্তানরা হলেন- নিতিন তেন্ডুলকার, অজিত তেন্ডুলকার এবং সবিতা তেন্ডুলকার |
কিন্তু এইসবের জন্য তিনি পরিবারে কোনোদিনও তার দিদি ও দাদাদের কাছে অবহেলিত হননি | সর্বদাই তারা তিনজন ছোট্ট শচীনকে খুব ভালোবাসতেন | আর সেটার সবচেয়ে বড় প্রমান হলো তার দাদা অজিত তেন্ডুলকার, যিনি কিনা শচীনকে বড়মাপের একজন ক্রিকেটার বানাতে নিজের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন |
Sachin Tendulkar Life Story in Bengali |
শচীনের শিক্ষাজীবন সম্পর্কে তেমন একটা বিশেষ তথ্য আমাদের প্রত্যেকেরই কাছে অজানা | কিন্তু যতদূর জানা যায়, তিনি মুম্বইয়ের সারাদাশ্রম বিদ্যামন্দির হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করেন এবং সেখানে মাত্র দশম শ্রেণী অবধি পড়েন |
পড়াশোনায় তিনি খুব একটা ভালো ছিলেন না, এর স্পষ্ট প্রমান তার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল থেকেই পাওয়া যায় | কারণ সেই পরীক্ষা তিনি তিনবার দিয়েছিলেন এবং পরপর তিনবারই চূড়ান্ত ব্যর্থ হন | হিসাব মতো তিনি একজন ক্লাস নাইন পাস ছাত্র |
কিন্তু পড়াশোনায় ভালো হওয়াই যে জীবনে সাফল্যকে এনে দেয়, এটা একদম ভ্রান্ত ধারণা | কারণ সেটাই যদি হতো তাহলে শচীনের নাম আমরা কেউই জানতাম না | পড়াশোনা ছাড়াও যে নিজের পছন্দের কাজকে করে সাফল্যকে পাওয়া সম্ভব, সেটারই সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলেন তিনি অর্থাৎ শচীন তেন্ডুলকার |
তাই তুমি যদি পড়াশোনায় ভালো না হও, সেই নিয়ে কখনোই দুঃখ করোনা, সাফল্যের সাথে পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় দূর দূর পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক নেই | শুধুমাত্র নিজের পছন্দের কাজকে মনোযোগ সহকারে করে যাও আর সেই কাজে মাস্টার হয়ে ওঠো একদম শচীনের মতো, তারপর দেখবে সাফল্য একদিন তোমার সাথে সাথে চলবে |
যাই হোক; অনেক জ্ঞানের কথা বলে ফেললাম, এবার আবার আসল কথায় ফিরে আসি |
Cricket Life of Sachin Tendulkar:
তুমি হয়তো এটা জানোনা যে, শচীন কিন্তু প্রথম জীবনে একজন টেনিসপ্রেমী ছিলেন আর সেই খেলা নিয়েই জীবনে এগোতে চেয়েছিলেন | তার পছন্দের টেনিস তারকার নাম ছিলো জন ম্যাকেনরো, যিনি কিনা টেনিস দুনিয়ার সর্বকালের একজন সেরা খেলোয়াড় ছিলেন |
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শচীনের সেই খেলা আর জীবনে শেখা হয়ে ওঠেনি, কারণ তার দাদা অজিত তেন্ডুলকার তাকে ক্রিকেট খেলায় ভর্তি করে দেন দাদারের শিবাজী পার্ক অঞ্চলের বিখ্যাত ক্রিকেট কোচ রমাকান্ত আচারেকরের কাছে |
প্রথম প্রথম শচীন তেন্ডুলকারের পারফরমেন্স তেমন একটা ভালো ছিলোনা | অনেক শেখানোর পরও তিনি তেমন একটা ভালো খেলতে পারছিলেন না, যা দেখে কোচ আচারেকর তাকে আর খেলা শেখাতে চাননি |
কিন্তু দাদা অজিতের বার বার অনুরোধ করার পর, অবশেষে কোচ আচারেকর শচীনকে শেষ সুযোগ দেন |
তিনি এবার তার খেলা দেখার জন্য একটা গাছের পিছনে লুকিয়ে পরেন, কারণ তিনি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন যে শচীন তাকে দেখলে নার্ভাস হয়ে যায় এবং এরফলে খেলতে পারেনা ভালোভাবে |
পরে অবশ্য তার এই আন্দাজই সত্যি হয় | কারণ যখন তিনি গাছের পিছনে লুকিয়ে যান, তখন শচীন সেই খেলাটা দারুন ও সাবলীলভাবে খেলেন | এরপর কোচ আচারেকর সেটা দেখে তার সমস্যা বুঝতে পারেন এবং তাকে সেই সমস্যা দূর করতে সাহায্যও করেন |
তারপর ধীরে ধীরে যখন শচীনের খেলা আরো ভালো হতে শুরু করে, তখন কোচ তার সেই খেলার উন্নতির জন্য তাকে সারাদাশ্রম বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন | কারণ সেই স্কুলের ক্রিকেট দল মুম্বইয়ের মধ্যে খুব নাম করা ছিলো এবং সেই স্কুলের হয়ে খেলতে পারলে শচীনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার আরো এগোবে বলে তিনি ভেবেছিলেন |
অবশেষে কোচের কথা মতো, তার বাড়ির লোক তাকে সারাদাশ্রম বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে ভর্তি করে দেন এবং সেইসাথে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সেই স্কুলের জুনিয়ার ক্রিকেট দলেও সুযোগ পেয়ে যান |
শচীন নিজের একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তার কোচ তার ব্যাটিংকে আরো উন্নত করার জন্য উইকেটের উপর একটা পয়সা রাখতেন এবং বোলারদের বলতেন তাকে বল করার জন্য | যে তাকে আউট করতে পারতো, পয়সা তার হতো আর না পারলে সেটা তিনিই পেতেন |
এইভাবে তার কাছে মোট ১৩টা পয়সা জমেছিলো, যেটাকে তিনি আজও কোচের থেকে পাওয়া সবচেয়ে সেরা পুরস্কার মনে করেন |
নেটে প্রতিদিন প্রচুর পরিশ্রম করার ফলে শচীন ধীরে ধীরে এক দূর্দান্ত ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠেন এবং স্কুল ক্রিকেটে লাগাতার দারুন ব্যাটিং করায় তিনি খুব তাড়াতাড়িই লোকচর্চার বিষয় হয়ে দাড়ান |
এরপর তিনি স্কুল টিমের হয়ে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি, মুম্বাইয়ের অনান্য প্রসিদ্ধ টিমের হয়েও খেলা শুরু করে দেন | সেইসময় তিনি ব্যাটিং করার পাশাপাশি বোলিং করার পিছনেও বিশেষ মন দেন এবং নিজের বোলিং স্কিলকে আরো ভালো করার জন্য ১৯৮৭ সালে চেন্নাইতে, মাত্র ১৪ বছর বয়সে এম.আর.এফ পেস ফাউন্ডেশান যান |
যেখানে তখনকার সময়য়ের নামকরা অস্ট্রেলীয় পেস বোলার ডেনিস লিলি সবাইকে বোলিং প্রশিক্ষণ দিতেন | কিন্তু তিনি শচীনের ব্যাটিং দেখে তাকে একজন ভালো ব্যাটসম্যান হওয়ার পরামর্শ দেন | যা পরবর্তীকালে তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন |
Cricket Career of Sachin Tendulkar:
মাত্র ১৫ বছর বয়সে এরপর শচীন তেন্ডুলকার মুম্বাই দলে সুযোগ পেয়ে যান | ১৯৮৮ সালে তিনি গুজরাটের বিরুদ্ধে প্রথম ১০০ রান করেন এবং তারপর সেই একই বছর দিলীপ ট্রফি, ইরানী ট্রফি আর রঞ্জি ট্রফিতে লাগাতার একের পর এক সেঞ্চুরি করতে থাকেন আর হয়ে যান ভারতের প্রথম একজন নজির গড়া ব্যাটসম্যান |
এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে, শচীন ভারতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়ে যান এবং করাচিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন |
অবশ্য সেই ম্যাচে তিনি একদম ভালো খেলতে পারেননি, মাত্র ১৫ রানে সেদিন আউট হয়ে যান | কিন্তু পেশোয়ারে সেই সিরিজের পরের ম্যাচে তাকে আবার সুযোগ দেওয়া হয় | সেই খেলায় তার নাকে চোট লাগে জোরে বল লাগার জন্য কিন্তু তবুও তিনি শেষ পর্যন্ত খেলেন এবং ভারতের হয়ে ৫৪ রানও করেন |
তারপর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯০ সালে শচীন অবশেষে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করতে সফল হন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে | আর সেখানে তার অসাধারণ ব্যাটিং পারফরমেন্সকে দেখে সারা ক্রিকেট বিশ্ব একেবারে মুগ্ধ হয়ে যায় এবং তার তুলোনা প্রাক্তন সময়কার সব প্রসিদ্ধ ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সাথে করতে থাকে |
১৯৯১-১৯৯২ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরেও শচীন দূর্দান্ত খেলেন এবং সেখানে একটা খেলায় তিনি ১৪৮ রান করেন |
তুমি কি এটা জানো? ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ টুর্নামেন্টে, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শচীন রান আউট হয়ে যান | যা দেখে কোলকাতার দর্শকরা ক্ষোভে একদম ফেটে পরেন আর সেইজন্য খেলা বন্ধ করে দিতে হয় ।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর, শচীনের আবেদনে দর্শকেরা শান্ত হন এবং আবার খেলা শুরু হয় । সেই প্রতিযোগীতায় শচীন, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিও করেন ।
সেই বছরই আবার ইংল্যান্ডে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় | আর সেই বছরেই বিশ্বকাপ চলাকলীনই শচীনের বাবা রমেশ তেন্ডুলকারের মৃত্যুও হয় | যারজন্য তাকে প্রতিযোগীতার মাঝেই বাবার সৎকারের জন্য ভারতে ফিরে আসতে হয় ।
শ্রাদ্ধাদি অনুষ্ঠানের পর তিনি পুণরায় প্রতিযোগীতায় যোগ দেন এবং পরে ম্যাচে কেনিয়ার বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪০ রান করেন | আর সেই রান তিনি সেদিন তাঁর বাবাকে উৎসর্গও করেন |
এরপর ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে শচীন আবারও দূর্দান্ত খেলেন ও নিজের দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যেতে সফল হন কিন্তু সেইবছর তার দল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি | অস্ট্রেলিয়া দল, ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ী হয় | তখনকার সময় ভারতের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী |
কিন্তু বিশ্বকাপ না জিতলেও সেই টুর্নামেন্টে শচীন তেন্ডুলকার ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হন | গোটা টুর্নামেন্টে তিনি মোট ৬৭৩ রান করেছিলেন |
অবশেষে তার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় ২রা এপ্রিল ২০১১ সালে | সেই বছর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপ জিততে সক্ষম হয় | গোটা টুর্নামেন্টে শচীন তেন্ডুলকারের মোট রানসংখ্যা ছিলো ৪৮২ রান |
এরপর পরের বছর ২০১২ সালের ১৬ই মার্চ তারিখে, অবশেষে তিনি তার শততম সেঞ্চুরি করতে সক্ষম হন | যেটা ক্রিকেট ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত সর্বাধিক সেঞ্চুরি করার রেকর্ড | আর এতবছর পরেও এই রেকর্ড এখনো অবধি বিশ্বের দ্বিতীয় কোনো ক্রিকেটার ভাঙ্গতে পারেননি |
Marriage Life of Sachin Tendulkar:
Sachin With His Family
২৪শে মে ১৯৯৫ সালে শচীন অবশেষে অঞ্জলি তেন্ডুলকারকে বিয়ে করেন | বিয়ের দুবছর পর অর্থাৎ ১২ই অক্টোবর ১৯৯৭ সালে তাদের প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, যার নাম রাখা হয় সারা তেন্ডুলকার এবং তারও ঠিক দুবছর পর অর্থাৎ ২৪শে সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ সালে তাদের দ্বিতীয় সন্তান অর্জুন তেন্ডুলকারের জন্ম হয় |
Facts About Sachin Tendulkar:
১. ১৯৮৭ সালের ভারত ও জিম্বাবুয়ে ম্যাচে, শচীন একজন বলবয় হিসাবে ছিলেন |
২. ছোটবেলায় শচীন একজন ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন |
৩. ১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানের সাথে ভারতের হওয়া একটা প্রস্তুতি ম্যাচে, পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করেন | বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি, সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো মুম্বাইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে |
8. শচীন ডান হাতে ব্যাট ধরলেও, তিনি কিন্তু লেখেন বাঁ হাতে |
৫. ১৯৯০ সালে শচীন একবার খেলায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন এবং একটা শ্যাম্পেনের বোতল পান | কিন্তু তাকে সেই শ্যাম্পেনের বোতল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি কারণ সেইসময় তার বয়স ১৮ বছরের বেশি ছিলোনা |
Awards of Sachin Tendulkar:
১. ১৯৯৪ সাল: অর্জুন পুরস্কার
২. ১৯৯৭ সাল: রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার ও উইজডেন ক্রিকেটার্স অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার
৩. ১৯৯৮ সালে: উইজডেন ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার
৪. ১৯৯৯ সাল: পদ্মশ্রী পুরস্কার
৫. ২০০১ সাল: মহারাষ্ট্র ভূষন পুরস্কার
৬. ২০০৮ সাল: পদ্মবিভূষণ পুরস্কার
৭. ২০১০ সাল: স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি পুরস্কার, লন্ডন স্পোর্ট এন্ড দ্য পিপল্স চয়েজ পুরস্কার
৮. ২০১১ সাল: BCCI কর্তৃক ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার
৯. ২০১২ সাল: উইজডেন ভারত সর্বসেরা কীর্তি পুরস্কার
১০. ২০১৪ সাল: ভারতরত্ন পুরস্কার
পেশা ব্যাটসম্যান,বোলার,কোচ জাতীয়তা ভারতীয় ধর্ম হিন্দু অন্য নাম মাস্টার ব্লাস্টার, লিটল মাস্টার
ভারতবর্ষে ক্রিকেটকে শুধু খেলা হিসাবে নয় বরং একটা ধর্ম হিসাবে দেখা হয় | আর সেই ধর্মে শচীন রমেশ তেন্ডুলকারকে ভগবান হিসাবে মানা হয়ে থাকে | বন্ধু, শচীন হচ্ছেন এমন একজন খেলোয়াড় যিনি ভারতীয় ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন | ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটে তার অবদান সত্যিই কোনোদিন ভোলার নয় |
তুমি কি এটা জানো? শচীন রমেশ তেন্ডুলকার একজন মহান ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি, একজন মহান মানুষও | তিনি প্রত্যেক বছর ২০০ গরীব শিশুর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেন | “আপনালয়” নামে তার একটা নিজেস্ব বেসরকারী সংস্থা আছে, যারা দারিদ্র পিরিত মানুষ ও শিশুদের সাহায্য করে |
Early life of Sachin Tendulkar:
শচীন তেন্ডুলকারের জন্ম হয় ২৪শে এপ্রিল ১৯৭৩ সালে, মুম্বাইয়ের নির্মল নার্সিংহোমে | তার বাবার নাম ছিলো রমেশ তেন্ডুলকার এবং মায়ের নাম ছিলো রজনী তেন্ডুলকার |
তার বাবা রমেশ তেন্ডুলকার ছিলেন একজন মারাঠি ঔপন্যাসিক এবং মা রজনী তেন্ডুলকার ছিলেন একটা বীমা কোম্পানীর কর্মচারী | “শচীন” নামটা রাখার পিছনে তার বাবারই হাত ছিলো, কারন তিনি তখনকার সময়ের বিখ্যাত ভারতীয় সুরকার তথা গায়ক শচীন দেববর্মণের নামানুসারে তার ছেলের এই নামটা রাখেন |
তোমাকে এটা বলে রাখি, শচীন কিন্তু তার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান | তার বাবার প্রথম পক্ষের স্ত্রীয়ের সন্তানরা হলেন- নিতিন তেন্ডুলকার, অজিত তেন্ডুলকার এবং সবিতা তেন্ডুলকার |
কিন্তু এইসবের জন্য তিনি পরিবারে কোনোদিনও তার দিদি ও দাদাদের কাছে অবহেলিত হননি | সর্বদাই তারা তিনজন ছোট্ট শচীনকে খুব ভালোবাসতেন | আর সেটার সবচেয়ে বড় প্রমান হলো তার দাদা অজিত তেন্ডুলকার, যিনি কিনা শচীনকে বড়মাপের একজন ক্রিকেটার বানাতে নিজের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন |
Sachin Tendulkar Life Story in Bengali |
শচীনের শিক্ষাজীবন সম্পর্কে তেমন একটা বিশেষ তথ্য আমাদের প্রত্যেকেরই কাছে অজানা | কিন্তু যতদূর জানা যায়, তিনি মুম্বইয়ের সারাদাশ্রম বিদ্যামন্দির হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করেন এবং সেখানে মাত্র দশম শ্রেণী অবধি পড়েন |
পড়াশোনায় তিনি খুব একটা ভালো ছিলেন না, এর স্পষ্ট প্রমান তার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল থেকেই পাওয়া যায় | কারণ সেই পরীক্ষা তিনি তিনবার দিয়েছিলেন এবং পরপর তিনবারই চূড়ান্ত ব্যর্থ হন | হিসাব মতো তিনি একজন ক্লাস নাইন পাস ছাত্র |
কিন্তু পড়াশোনায় ভালো হওয়াই যে জীবনে সাফল্যকে এনে দেয়, এটা একদম ভ্রান্ত ধারণা | কারণ সেটাই যদি হতো তাহলে শচীনের নাম আমরা কেউই জানতাম না | পড়াশোনা ছাড়াও যে নিজের পছন্দের কাজকে করে সাফল্যকে পাওয়া সম্ভব, সেটারই সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলেন তিনি অর্থাৎ শচীন তেন্ডুলকার |
তাই তুমি যদি পড়াশোনায় ভালো না হও, সেই নিয়ে কখনোই দুঃখ করোনা, সাফল্যের সাথে পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় দূর দূর পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক নেই | শুধুমাত্র নিজের পছন্দের কাজকে মনোযোগ সহকারে করে যাও আর সেই কাজে মাস্টার হয়ে ওঠো একদম শচীনের মতো, তারপর দেখবে সাফল্য একদিন তোমার সাথে সাথে চলবে |
যাই হোক; অনেক জ্ঞানের কথা বলে ফেললাম, এবার আবার আসল কথায় ফিরে আসি |
Cricket Life of Sachin Tendulkar:
তুমি হয়তো এটা জানোনা যে, শচীন কিন্তু প্রথম জীবনে একজন টেনিসপ্রেমী ছিলেন আর সেই খেলা নিয়েই জীবনে এগোতে চেয়েছিলেন | তার পছন্দের টেনিস তারকার নাম ছিলো জন ম্যাকেনরো, যিনি কিনা টেনিস দুনিয়ার সর্বকালের একজন সেরা খেলোয়াড় ছিলেন |
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শচীনের সেই খেলা আর জীবনে শেখা হয়ে ওঠেনি, কারণ তার দাদা অজিত তেন্ডুলকার তাকে ক্রিকেট খেলায় ভর্তি করে দেন দাদারের শিবাজী পার্ক অঞ্চলের বিখ্যাত ক্রিকেট কোচ রমাকান্ত আচারেকরের কাছে |
প্রথম প্রথম শচীন তেন্ডুলকারের পারফরমেন্স তেমন একটা ভালো ছিলোনা | অনেক শেখানোর পরও তিনি তেমন একটা ভালো খেলতে পারছিলেন না, যা দেখে কোচ আচারেকর তাকে আর খেলা শেখাতে চাননি |
কিন্তু দাদা অজিতের বার বার অনুরোধ করার পর, অবশেষে কোচ আচারেকর শচীনকে শেষ সুযোগ দেন |
তিনি এবার তার খেলা দেখার জন্য একটা গাছের পিছনে লুকিয়ে পরেন, কারণ তিনি আন্দাজ করতে পেরেছিলেন যে শচীন তাকে দেখলে নার্ভাস হয়ে যায় এবং এরফলে খেলতে পারেনা ভালোভাবে |
পরে অবশ্য তার এই আন্দাজই সত্যি হয় | কারণ যখন তিনি গাছের পিছনে লুকিয়ে যান, তখন শচীন সেই খেলাটা দারুন ও সাবলীলভাবে খেলেন | এরপর কোচ আচারেকর সেটা দেখে তার সমস্যা বুঝতে পারেন এবং তাকে সেই সমস্যা দূর করতে সাহায্যও করেন |
তারপর ধীরে ধীরে যখন শচীনের খেলা আরো ভালো হতে শুরু করে, তখন কোচ তার সেই খেলার উন্নতির জন্য তাকে সারাদাশ্রম বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন | কারণ সেই স্কুলের ক্রিকেট দল মুম্বইয়ের মধ্যে খুব নাম করা ছিলো এবং সেই স্কুলের হয়ে খেলতে পারলে শচীনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার আরো এগোবে বলে তিনি ভেবেছিলেন |
অবশেষে কোচের কথা মতো, তার বাড়ির লোক তাকে সারাদাশ্রম বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে ভর্তি করে দেন এবং সেইসাথে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সেই স্কুলের জুনিয়ার ক্রিকেট দলেও সুযোগ পেয়ে যান |
শচীন নিজের একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তার কোচ তার ব্যাটিংকে আরো উন্নত করার জন্য উইকেটের উপর একটা পয়সা রাখতেন এবং বোলারদের বলতেন তাকে বল করার জন্য | যে তাকে আউট করতে পারতো, পয়সা তার হতো আর না পারলে সেটা তিনিই পেতেন |
এইভাবে তার কাছে মোট ১৩টা পয়সা জমেছিলো, যেটাকে তিনি আজও কোচের থেকে পাওয়া সবচেয়ে সেরা পুরস্কার মনে করেন |
নেটে প্রতিদিন প্রচুর পরিশ্রম করার ফলে শচীন ধীরে ধীরে এক দূর্দান্ত ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠেন এবং স্কুল ক্রিকেটে লাগাতার দারুন ব্যাটিং করায় তিনি খুব তাড়াতাড়িই লোকচর্চার বিষয় হয়ে দাড়ান |
এরপর তিনি স্কুল টিমের হয়ে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি, মুম্বাইয়ের অনান্য প্রসিদ্ধ টিমের হয়েও খেলা শুরু করে দেন | সেইসময় তিনি ব্যাটিং করার পাশাপাশি বোলিং করার পিছনেও বিশেষ মন দেন এবং নিজের বোলিং স্কিলকে আরো ভালো করার জন্য ১৯৮৭ সালে চেন্নাইতে, মাত্র ১৪ বছর বয়সে এম.আর.এফ পেস ফাউন্ডেশান যান |
যেখানে তখনকার সময়য়ের নামকরা অস্ট্রেলীয় পেস বোলার ডেনিস লিলি সবাইকে বোলিং প্রশিক্ষণ দিতেন | কিন্তু তিনি শচীনের ব্যাটিং দেখে তাকে একজন ভালো ব্যাটসম্যান হওয়ার পরামর্শ দেন | যা পরবর্তীকালে তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন |
Cricket Career of Sachin Tendulkar:
মাত্র ১৫ বছর বয়সে এরপর শচীন তেন্ডুলকার মুম্বাই দলে সুযোগ পেয়ে যান | ১৯৮৮ সালে তিনি গুজরাটের বিরুদ্ধে প্রথম ১০০ রান করেন এবং তারপর সেই একই বছর দিলীপ ট্রফি, ইরানী ট্রফি আর রঞ্জি ট্রফিতে লাগাতার একের পর এক সেঞ্চুরি করতে থাকেন আর হয়ে যান ভারতের প্রথম একজন নজির গড়া ব্যাটসম্যান |
এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে, শচীন ভারতীয় ক্রিকেট দলে সুযোগ পেয়ে যান এবং করাচিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন |
অবশ্য সেই ম্যাচে তিনি একদম ভালো খেলতে পারেননি, মাত্র ১৫ রানে সেদিন আউট হয়ে যান | কিন্তু পেশোয়ারে সেই সিরিজের পরের ম্যাচে তাকে আবার সুযোগ দেওয়া হয় | সেই খেলায় তার নাকে চোট লাগে জোরে বল লাগার জন্য কিন্তু তবুও তিনি শেষ পর্যন্ত খেলেন এবং ভারতের হয়ে ৫৪ রানও করেন |
তারপর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯০ সালে শচীন অবশেষে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করতে সফল হন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে | আর সেখানে তার অসাধারণ ব্যাটিং পারফরমেন্সকে দেখে সারা ক্রিকেট বিশ্ব একেবারে মুগ্ধ হয়ে যায় এবং তার তুলোনা প্রাক্তন সময়কার সব প্রসিদ্ধ ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সাথে করতে থাকে |
১৯৯১-১৯৯২ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরেও শচীন দূর্দান্ত খেলেন এবং সেখানে একটা খেলায় তিনি ১৪৮ রান করেন |
তুমি কি এটা জানো? ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ টুর্নামেন্টে, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শচীন রান আউট হয়ে যান | যা দেখে কোলকাতার দর্শকরা ক্ষোভে একদম ফেটে পরেন আর সেইজন্য খেলা বন্ধ করে দিতে হয় ।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর, শচীনের আবেদনে দর্শকেরা শান্ত হন এবং আবার খেলা শুরু হয় । সেই প্রতিযোগীতায় শচীন, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিও করেন ।
সেই বছরই আবার ইংল্যান্ডে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় | আর সেই বছরেই বিশ্বকাপ চলাকলীনই শচীনের বাবা রমেশ তেন্ডুলকারের মৃত্যুও হয় | যারজন্য তাকে প্রতিযোগীতার মাঝেই বাবার সৎকারের জন্য ভারতে ফিরে আসতে হয় ।
শ্রাদ্ধাদি অনুষ্ঠানের পর তিনি পুণরায় প্রতিযোগীতায় যোগ দেন এবং পরে ম্যাচে কেনিয়ার বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৪০ রান করেন | আর সেই রান তিনি সেদিন তাঁর বাবাকে উৎসর্গও করেন |
এরপর ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে শচীন আবারও দূর্দান্ত খেলেন ও নিজের দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়ে যেতে সফল হন কিন্তু সেইবছর তার দল বিশ্বকাপ জিততে পারেনি | অস্ট্রেলিয়া দল, ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ী হয় | তখনকার সময় ভারতের অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী |
কিন্তু বিশ্বকাপ না জিতলেও সেই টুর্নামেন্টে শচীন তেন্ডুলকার ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হন | গোটা টুর্নামেন্টে তিনি মোট ৬৭৩ রান করেছিলেন |
অবশেষে তার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় ২রা এপ্রিল ২০১১ সালে | সেই বছর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া দ্বিতীয়বারের জন্য বিশ্বকাপ জিততে সক্ষম হয় | গোটা টুর্নামেন্টে শচীন তেন্ডুলকারের মোট রানসংখ্যা ছিলো ৪৮২ রান |
এরপর পরের বছর ২০১২ সালের ১৬ই মার্চ তারিখে, অবশেষে তিনি তার শততম সেঞ্চুরি করতে সক্ষম হন | যেটা ক্রিকেট ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত সর্বাধিক সেঞ্চুরি করার রেকর্ড | আর এতবছর পরেও এই রেকর্ড এখনো অবধি বিশ্বের দ্বিতীয় কোনো ক্রিকেটার ভাঙ্গতে পারেননি |
Marriage Life of Sachin Tendulkar:
Sachin With His Family
২৪শে মে ১৯৯৫ সালে শচীন অবশেষে অঞ্জলি তেন্ডুলকারকে বিয়ে করেন | বিয়ের দুবছর পর অর্থাৎ ১২ই অক্টোবর ১৯৯৭ সালে তাদের প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, যার নাম রাখা হয় সারা তেন্ডুলকার এবং তারও ঠিক দুবছর পর অর্থাৎ ২৪শে সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ সালে তাদের দ্বিতীয় সন্তান অর্জুন তেন্ডুলকারের জন্ম হয় |
Facts About Sachin Tendulkar:
১. ১৯৮৭ সালের ভারত ও জিম্বাবুয়ে ম্যাচে, শচীন একজন বলবয় হিসাবে ছিলেন |
২. ছোটবেলায় শচীন একজন ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন |
৩. ১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানের সাথে ভারতের হওয়া একটা প্রস্তুতি ম্যাচে, পাকিস্তানের হয়ে ফিল্ডিং করেন | বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি, সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো মুম্বাইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে |
8. শচীন ডান হাতে ব্যাট ধরলেও, তিনি কিন্তু লেখেন বাঁ হাতে |
৫. ১৯৯০ সালে শচীন একবার খেলায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন এবং একটা শ্যাম্পেনের বোতল পান | কিন্তু তাকে সেই শ্যাম্পেনের বোতল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি কারণ সেইসময় তার বয়স ১৮ বছরের বেশি ছিলোনা |
Awards of Sachin Tendulkar:
১. ১৯৯৪ সাল: অর্জুন পুরস্কার
২. ১৯৯৭ সাল: রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কার ও উইজডেন ক্রিকেটার্স অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার
৩. ১৯৯৮ সালে: উইজডেন ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার
৪. ১৯৯৯ সাল: পদ্মশ্রী পুরস্কার
৫. ২০০১ সাল: মহারাষ্ট্র ভূষন পুরস্কার
৬. ২০০৮ সাল: পদ্মবিভূষণ পুরস্কার
৭. ২০১০ সাল: স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি পুরস্কার, লন্ডন স্পোর্ট এন্ড দ্য পিপল্স চয়েজ পুরস্কার
৮. ২০১১ সাল: BCCI কর্তৃক ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার
৯. ২০১২ সাল: উইজডেন ভারত সর্বসেরা কীর্তি পুরস্কার
১০. ২০১৪ সাল: ভারতরত্ন পুরস্কার