নিরপেক্ষ বচন: দুটি পদের মধ্যে সম্বন্ধের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতিকে বচন বলে।
যেমন, ( A) সকল মানুষ হয় মরনশীল ।
(E ) কোন মানুষ নয় অমর।
গুন ও পরিমাণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচন চার প্রকার :
মানক গুন (সংযোজক)
ক) সামান্য / সার্বিক সদর্থক (A)
খ) সামান্য / সার্বিক নঞর্থক (E)
গ) বিশেষ সদর্থক (I)
ঘ) বিশেষ নঞর্থক (O)
এই নিরপেক্ষ বচনের সাংকেতিক আকার:
বচন: মানক উদ্দেশ্যে সংযোজক বিধেয়
( A) সকল S হয় P
( E) কোনো S নয় P
( I ) কোনো কোনো S হয় P
( O) কোনো কোনো S নয় P
A বচন হলে গুন : সদর্থক
পরিমান : সার্বিক / সামান্য
E বচন হলে গুন : নঞর্থক
পরিমান: সার্বিক /সামান্য
I বচন হলে গুন: সদর্থক
পরিমান: বিশেষ
O বচন হলে গুন: নঞর্থক
পরিমান: বিশেষ
**
গুন: কোন বচনের 'গুন' বলতে বচনটির উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে বিধেয়পদের কোন কিছু স্বীকার করা বা অস্বীকার করাকে বোঝায়। সাধারণভাবে কোন কিছু স্বীকার করলে বচনটি সদর্থক হয়, আর অস্বীকার করলে বচনটি নঞর্থক হয়। কাজেই বচনের সদর্থক হওয়া বা নঞর্থক হওয়াকে বলা হয় বচনের গুণ।
পরিমান: কোন বচন এর পরিমাণ বলতে বচনটি উদ্দেশ্য শ্রেণী সম্পর্কেে বিধেয় শ্রেণীটির সামগ্রিক বা আংশিকভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করাকে বোঝায়। সাধারণভাবে উদ্দেশ্য শ্রেণীর সামগ্রিক অংশকে বোঝালে বচনটি সামান্য হয়, আর আংশিক অংশকে বোঝালে বচনটি বিশেষ হয়। কাজেই বচনের সামান্য হওয়া বা বিশেষ হওয়াকে বলা হয় বচনের পরিমাণ। এটি বচনের প্রথম অংশ।
উদ্দেশ্য: বচনে / বাক্যে যার সম্বন্ধে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাঁকে উদ্দেশ্য বলে। এই উদ্দেশ্য পদ হলো বচনের দ্বিতীয় অংশ।
সংযোজক: যে শব্দের দ্বারা উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয় তাকেই বলে সংযোজক। এই সংযোজক কোন পদ নয় এটি একটি শব্দ মাত্র। সংযোজক হল বচনের তৃতীয় অংশ যা বচনের উদ্দেশ্য পদের পরে অবস্থান করে।
বিধেয়: উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যা কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে বিধেয় বলে। বিধেয় পদ হলো বচনের চতুর্থ বা শেষ অংশ।
**
বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে :
# বাক্যের উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করলেই A বচন করতে হবে।
# বাক্যের উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করলে E বচন করতে হবে।
# বাক্যের উদ্দেশ্যকে আংশিকভাবে স্বীকার করলে I বচন করতে হবে
# বাক্যের উদ্দেশ্যকে আংশিকভাবে অস্বীকার করলে O বচন করতে হবে
**
গুন: কোন বচনের 'গুন' বলতে বচনটির উদ্দেশ্য পদ সম্পর্কে বিধেয়পদের কোন কিছু স্বীকার করা বা অস্বীকার করাকে বোঝায়। সাধারণভাবে কোন কিছু স্বীকার করলে বচনটি সদর্থক হয়, আর অস্বীকার করলে বচনটি নঞর্থক হয়। কাজেই বচনের সদর্থক হওয়া বা নঞর্থক হওয়াকে বলা হয় বচনের গুণ।
পরিমান: কোন বচন এর পরিমাণ বলতে বচনটি উদ্দেশ্য শ্রেণী সম্পর্কেে বিধেয় শ্রেণীটির সামগ্রিক বা আংশিকভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করাকে বোঝায়। সাধারণভাবে উদ্দেশ্য শ্রেণীর সামগ্রিক অংশকে বোঝালে বচনটি সামান্য হয়, আর আংশিক অংশকে বোঝালে বচনটি বিশেষ হয়। কাজেই বচনের সামান্য হওয়া বা বিশেষ হওয়াকে বলা হয় বচনের পরিমাণ। এটি বচনের প্রথম অংশ।
উদ্দেশ্য: বচনে / বাক্যে যার সম্বন্ধে কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাঁকে উদ্দেশ্য বলে। এই উদ্দেশ্য পদ হলো বচনের দ্বিতীয় অংশ।
সংযোজক: যে শব্দের দ্বারা উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয় তাকেই বলে সংযোজক। এই সংযোজক কোন পদ নয় এটি একটি শব্দ মাত্র। সংযোজক হল বচনের তৃতীয় অংশ যা বচনের উদ্দেশ্য পদের পরে অবস্থান করে।
বিধেয়: উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যা কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করা হয় তাকে বিধেয় বলে। বিধেয় পদ হলো বচনের চতুর্থ বা শেষ অংশ।
**
বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে :
# বাক্যের উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করলেই A বচন করতে হবে।
# বাক্যের উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করলে E বচন করতে হবে।
# বাক্যের উদ্দেশ্যকে আংশিকভাবে স্বীকার করলে I বচন করতে হবে
# বাক্যের উদ্দেশ্যকে আংশিকভাবে অস্বীকার করলে O বচন করতে হবে
*বাককে বচনে রূপান্তর করার নিয়ম:
1) বাক্যকে বচনে করার সময় অর্থ অপরিবর্তিত রাখতে হবে।
2) বাক্যের উদ্দেশ্য পদ নাম পদ, সর্বনাম পদ, নির্দিষ্ট পদ , বিশিষ্ট পদ, গুনবাচক পদ এবং বাক্য সদর্থক ( হ্যা বাচক) হলে A বচন হবে, আর যদি বাক্য নঞর্থক (না বাচক ) হয় তবে E বচন হবে। এক্ষেত্রে মানক 'সকল' এবং 'কোনো' থাকবে না। অর্থাৎ উদ্দেশ্য, সংযোজক এবং বিধেয় এই তিনটি অংশ থাকবে।যেমন,
1) তিনি একজন দার্শনিক । (2 ) তিনি দার্শনিক নন।
1) তিনি একজন দার্শনিক । (2 ) তিনি দার্শনিক নন।
উত্তর: 1) L.F : ( A ) তিনি হন একজন দার্শনিক।
2) L.F : ( E ) তিনি নন দার্শনিক।
3) সংযোজক বর্তমান কালের হওয়া ক্রিয়ার( হয়, হই, হন, হও ইত্যাদির) যে কোনো একটি হবে। এক্ষেত্রে বাক্য অতীত বা ভবিষ্যৎ কালের হইলে কাল প্রকাশক চিহ্ন বিধেয়ের পরে লিখতে হবে। যেমন,
রবীন্দ্রনাথ কবি ছিলেন।
L.F.: (A) রবীন্দ্রনাথ হন ব্যক্তি যিনি কবি ছিলেন।
4) যেখানে উদ্দেশ্যের পরিমাণ নির্দেশিত নয়, সেখানে অর্থ বুঝে পরিমান প্রকাশ করতে হবে। যেমন,
(১) আম মিষ্টি
(১) আম মিষ্টি
L.F : ( I) কোনো কোনো আম হয় মিষ্টি।
(২) মানুষ মরনশীল।
L.F. : (A ) সকল মানুষ হয় মরনশীল।
(5) বাক্যে সমস্ত, প্রত্যেক, প্রত্যেকে, মাত্রই, যে...সে, সর্বদা, অবশ্যই, নিশ্চয়ই, যেকোনো, একান্তভাবে, যেখানে..সেখানে প্রভৃতি শব্দ অথবা এদের সমার্থক শব্দ থাকলে এবং বাক্যটি সদর্থক( হ্যা- বাচক) হলে A বচন হবে। আর যদি বাক্যটি নঞর্থক( না বাচক) হয় তবে O বচন হবে। যেমন,
(১) সব মানুষ মরনশীল।
L.F. : (A ) সকল মানুষ হয় মরনশীল।
(২)সব মানুষ অন্ধ নয়
L.F. : (O) কোনো কোনো মানুষ নয় অন্ধ
6) নয়, কেউ নয়, কোনো...নয়, কখনও...নয়, এক....নয়, একদম...নয়, পারে না, নেই, যুগপৎ...নয় প্রভৃতি শব্দ থাকলে E বচন হবে। যেমন,
(১) গরু ছাগল নয়।
L.F. : (E) কোনো গরু নয় ছাগল।
7) প্রক্ষেপক বা বর্জনমুলক বচন : একমাত্র, শুধুমাত্র, কেবলমাত্র, কেবল, শুধু, মাত্র, ছাড়া কেউ নয়, বাদে কেউ নয়, ব্যতীত কেউ নয় এই জাতীয় শব্দ বাক্যে থাকলে A বচন হবে। এক্ষেত্রে বাক্যের উদ্দেশ্যে ও বিধেয় পদ বচনের যথাক্রমে বিধেয় ও উদ্দেশ্যে পদ হবে।
*কেবলমাত্র/একমাত্র = বাদে কেউ নয়/ছাড়া নয়
যেমন,
(১) একমাত্র বিজ্ঞানীরা প্রগতিশীল।
(১) একমাত্র বিজ্ঞানীরা প্রগতিশীল।
L.F.: (A) সকল প্রগতিশীল ব্যক্তি হয় বিজ্ঞানী।
(২) পরিশ্রমী ছাড়া কেউ সফল হয় না।
L.F. : (A) সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী ব্যক্তি।
(৩) শুধুমাত্র শিশুরাই চকলেট ভালোবাসে।
L.F (A) সকল ব্যক্তি,যারা চকলেট ভলোবাসে হয় শিশু। OR,
L.F. : সকল চকলেট প্রিয় ব্যক্তি হয় শিশু। (A)
বি:দ্র: একমাত্র, শুধুমাত্র ,শুধু ইত্যাদি শব্দ উদ্দেশ্যের পরে থাকলে , সেক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ও বিধেয় স্থান পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ উক্ত শব্দ যার আগে থাকবে সেটিই বচনের বিধেয় হবে। যেমন,
সাধুরা একমাত্র সৎ হয়।
L.F. : (A) সকল সাধু হয় সৎ ব্যক্তি।
8. কদাচিৎ, ক্কচিৎ, খুব কম সংখ্যক জাতীয় শব্দ বাক্যে থাকলে O বচন হবে, তবে বাক্যে না বাচক ( না, নি, নয় ) থাকলে I বচন হবে।
কদাচিৎ+হ্যা বাচক = (I) কোনো কোনো S নয় P
কদাচিৎ+না বাচক= (O) কোন কোন S হয় P
অর্থাৎ কদাচিৎ+হয় = নয়
কদাচিৎ+নয় = হয়
যেমন,
1. খুব কম সংখ্যক মানুষ স্বার্থপর।
1. খুব কম সংখ্যক মানুষ স্বার্থপর।
L.F. : (O) কোনো কোনো মানুষ নয় স্বার্থপর।
2. খুব কম সংখ্যক মানুষ স্বার্থপর নয়।
L.F. : (I) কোনো কোনো মানুষ হয় স্বার্থপর।
9. ইচ্ছাসূচক, আদেশ, বিস্ময় সূচক বাক্যকে A/E বচনে পরিণত করা সুবিধাজনক। যেমন,
তুমি দীর্ঘজীবী হও।
তুমি দীর্ঘজীবী হও।
উত্তর: L.F: (A) তুমি দীর্ঘজীবী হও হয় আমার কামনা।
10. প্রশ্নসূচক বাক্য: প্রশ্নসূচক বাক্যকে বচনে পরিণত করার সময় প্রশ্নের উত্তরের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ওই উত্তর অনুসারে বাক্যটিকে বচনে পরিণত করতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রশ্নসূচক বাক্য টি সদর্থক হলে E বচনে, আর বাক্যটি নঞর্থক হলে A বচনে পরিণত করতে হবে। যেমন-
(১) কোন মাতা স্নেহশীলানন?
(১) কোন মাতা স্নেহশীলানন?
উত্তর: L.F. (A) সকল মাতা হয় স্নেহশীলা।
(২) মন্ত্রীরা কি সর্বশক্তিমান?
উঃ L.F. (E) কোন মন্ত্রী নয় সর্বশক্তিমান।
11. ব্যতীতিক বচন বা ব্যতিক্রমমূলক বচন : যদি কোন বাক্যে ব্যতীত, ছাড়া, বাদে প্রভৃতি ব্যতিক্রম সূচক শব্দ থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম সুনির্দিষ্ট হলে 'A' বচন হবে। আর ব্যতিক্রম অনির্দিষ্ট হলে 'I' বচন হবে।
সংক্ষেপে: সুনির্দিষ্ট + ব্যতীত/ছাড়া/ বাদে = 'A' বচন
অনির্দিষ্ট + ব্যতীত/ ছাড়া /বাদে = 'I' বচন
যেমন,
(১) পারদ ছাড়া সব ধাতু কঠিন।
(১) পারদ ছাড়া সব ধাতু কঠিন।
L.F. : (A) সকল ধাতু (পারদ ছাড় ) হয় কঠিন পদার্থ।
(২) একটি ছাড়া সব ধাতু কঠিন।
L.F. : (I) কোন কোন ধাতু হয় কঠিন পদার্থ।
বি:দ্র:ব্যতীত/ছাড়া = কেবলমাত্র ......না/ শুধুমাত্র.....নয়
12. কোন বাক্যে আছে বলতে যদি কোন গুণের অস্তিত্বকে নির্দেশ করা হয় তবে সে ক্ষেত্রে যে গুণটিকে আছে বলা হচ্ছে সেটি যদি জাতিবাচক উদ্দেশ্যের আকস্মিক গুন হয় তবে I বচন আর আবশ্যিক গুণ হলে A বচন হবে।
সংক্ষেপে: আছে +আবশ্যিক গুণ =A বচন হবে
আছে +আকস্মিক গুণ = I বচন হবে।
যেমন,
(১) সাদা হাতি আছে।
(১) সাদা হাতি আছে।
L. F. (I) কোন কোন হাতি হয় সাদা প্রাণী।
(২) পাখির ডানা আছে।
L. F. (A) সকল পাখি হয় ডানাযুক্ত প্রাণী।
13. কোন বাক্যে 'এক' 'একটি' ইত্যাদি অনির্দিষ্ট পরিমাণ সূচক শব্দ থাকলে অর্থ বুঝে কোথাও সামান্য বচন কোথাও বিশেষ বচন করতে হবে। যেমন,
(১) একটি বাদুর স্তন্যপায়ী
L.F. (A) সকল বাদুর হয় স্তন্যপায়ী প্রাণী।
(২) একটি ধাতু কঠিন।
L. F. (I) কোন কোন ধাতু হয় কঠিন বস্তু।
14. প্রাকল্পিক বচন: প্রাকল্পিক বচনের দুটি অংশ থাকে- পূর্বগ এবং অনুগ। পূর্বগ অশে উল্লেখ করা বিষয়টি নির্দিষ্ট হলে সেটি সর্বদাই প্রাকল্পিক বচন হবে, তাকে কখনোই নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরিত করা যাবেনা। কিন্তু পূর্বগ অংশে উল্লেখ করা বিষয়টি অনির্দিষ্ট হলে সেই বচনটি নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে-
(১) যদি পূর্বগ ও অনুগ দুটি অংশই হ্যাঁ বাচক হয় তাহলে A বচন হবে। যেমন,
যদি কোন দেশ স্বাধীন হয় তাহলে তা উন্নতশীল।
L.F. (A) সকল স্বাধীন দেশে হয় উন্নতিশীল দেশ।
(২) যদি পূর্বগ হ্যাঁ-বাচক এবং অনু না-বাচক হয় তাহলে বচনটি E হবে । যেমন,
যদি কেউ মানুষ হয় তাহলে সে সর্বাঙ্গসুন্দর নয়।
L.F. (E) কোনো মানুষ নয় সর্বাঙ্গসুন্দর।
(৩) যদি পূর্বগ এবং অনুগ দুটি অংশই না-বাচক হয় তাহলে বচন A হবে। যেমন,
যদি কোন ব্যক্তি পরিশ্রম না করে ,তাহলে সে সফল হবে না।
L.F. (A) সকল পরিশ্রমী ব্যক্তি হওয়ায় সফল ব্যক্তি।
14. প্রাকল্পিক বচন: প্রাকল্পিক বচনের দুটি অংশ থাকে- পূর্বগ এবং অনুগ। পূর্বগ অশে উল্লেখ করা বিষয়টি নির্দিষ্ট হলে সেটি সর্বদাই প্রাকল্পিক বচন হবে, তাকে কখনোই নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরিত করা যাবেনা। কিন্তু পূর্বগ অংশে উল্লেখ করা বিষয়টি অনির্দিষ্ট হলে সেই বচনটি নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে-
(১) যদি পূর্বগ ও অনুগ দুটি অংশই হ্যাঁ বাচক হয় তাহলে A বচন হবে। যেমন,
যদি কোন দেশ স্বাধীন হয় তাহলে তা উন্নতশীল।
L.F. (A) সকল স্বাধীন দেশে হয় উন্নতিশীল দেশ।
(২) যদি পূর্বগ হ্যাঁ-বাচক এবং অনু না-বাচক হয় তাহলে বচনটি E হবে । যেমন,
যদি কেউ মানুষ হয় তাহলে সে সর্বাঙ্গসুন্দর নয়।
L.F. (E) কোনো মানুষ নয় সর্বাঙ্গসুন্দর।
(৩) যদি পূর্বগ এবং অনুগ দুটি অংশই না-বাচক হয় তাহলে বচন A হবে। যেমন,
যদি কোন ব্যক্তি পরিশ্রম না করে ,তাহলে সে সফল হবে না।
L.F. (A) সকল পরিশ্রমী ব্যক্তি হওয়ায় সফল ব্যক্তি।