Short Notes on Peninsular India (দক্ষিণ ভারতের প্রাক-ইতিহাস)
চোল বংশের ইতিহাস
চোল-রা ছিলো অতি প্রাচীন জাতি। মহাভারতে চোল দের উল্লেখ দেখা যায়।
নবম শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর সমাপ্তি কাল পর্যন্ত সাড়ে তিনশো বছর দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস প্রধানত চোল দের কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়ে ছিলো।
সুন্দর চোলের পুত্র রাজরাজ ৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসলে চোল ইতিহাসে স্বর্ণ যুগের সূচনা হয়। শ্রেষ্ঠ চোল রাজাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মহান রাজরাজ।
রাজরাজ একটি বিরাট নৌবহর গঠন করেন। চোল নৌবহরের প্রতাপে বঙ্গোপসাগর চোল হ্রদে পরিণত হয়। শুধু বিজেতা ছিলেন না শাসন ও সেনাদল সংগঠন, শিল্প স্থাপত্যের উন্নতি সকল ক্ষেত্রেই তাঁর সৃজনী প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়।
ক্ষুদ্র চোল রাজ্য কে তিনি এক সাম্রাজ্যে পরিণত করেন। তাঞ্জোর লিপিতে তাঁর মহিমা কীর্তিত রয়েছে।
ভারতের মূল ভূখণ্ড ছড়িয়ে রাজরাজের নৌবাহিনী মালদ্বীপ অধিকার করে। পার্শ্ববর্তী লাক্ষা দ্বীপপুঞ্জ ও অধিকার করেন।
এইসব দ্বীপ দখল করার পর তিনি সরাসরি সিংহল আক্রমণ করেন। রাজরাজ আরব সমুদ্রের পথে আরব অনুপ্রবেশের পথ বন্ধ করে ভারতের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেন
রাজরাজ ছিলেন শৈব ধর্মের উপাসক। তিনি তাঞ্জরের বিখ্যাত রাজ রাজেশ্বর মন্দির নির্মাণ করেন। এই মন্দিরের দেওয়ালে রাজরাজের বিভিন্ন অভিযানের কাহিনী খোদাই করা হয়। পরধর্মমতসহিষ্ণুতা ও ছিলো তাঁর চরিত্রের অন্যতম গুন।
রাজরাজের পর প্রথম রাজেন্দ্র চোল সিংহাসনে বসেন। তাঁর আমলে চোল পতাকা সর্বাধিক উচ্চ স্থানে স্থাপিত হয়। তিরুমালাই পর্বত লিপি থেকে রাজেন্দ্রর কীর্তিকলাপ সম্পর্কে সব জানা যায়।
প্রথম রাজেন্দ্র সিংহল অভিযান করেন। তাঁর পিতা সিংহল এর কিছু অংশ দখল করলেও তিনি সমগ্র সিংহল নিজি অধিকারে আনেন।
রাজেন্দ্র ‘ চোল মাত্তন্ড ” উপাধি নেন। ওটা মার্তন্ড হবে।
রাজেন্দ্রর অন্যতম কৃতিত্ব হলো পশ্চিম চলুক্য শক্তির পরাজয় ঘটিয়ে কৃষ্ণা গোদাবরী উপতক্যায় চোল শক্তিকে বিস্তার করা। বিজেতা হিসাবে রাজেন্দ্র চোল এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো পূর্ব ভারত অর্থাৎ বাংলায় সামরিক অভিযান প্রেরণ। পাল রাজা প্রথম মহীপাল ঝড়ের সময় বাঁশ গাছ যেমন নতি স্বীকার করে সেইরূপ তিনি নতি স্বীকার করেন।
রাজেন্দ্র চোল বাংলা জয় করে গঙ্গই- কোন্ড উপাধি নেন। বাংলা থেকে আনা গঙ্গজলের দ্বারা অভিষেক করে তিনি তিরুচেরাপল্লী জেলায় তাঁর নতুন রাজধানী গঙ্গই – কোন্ড চোলপুরমের স্থাপনা করেন। একটি বিখ্যাত হ্রদ চোলগঙ্গ খনন করেন।
রাজেন্দ্র এর বাংলাদেশ অভিযানের পরোক্ষ ফল এই ছিলো যে, তাঁর বাহিনীর সঙ্গে কিছু সংখ্যক দক্ষিণ দেশের লোক বাংলায় আসেন এবং এই দেশের বাসিন্দা হয়ে জনজীবনে মিশে যান।
এরাই বাংলায় সেন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১০১২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০৪৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।
চোল সম্রাট দের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন রাজেন্দ্র। চোল নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগর কে চোল হ্রদে পরিণত করেন। রাজেন্দ্র র মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রাজাধিরাজ চোল সিংহাসনে বসেন। তাঁর পর সিংহাসনে বসেন দ্বিতীয় রাজেন্দ্র।
দ্বিতীয় রাজেন্দ্র এর পর বীর রাজেন্দ্র চোল সিংহাসনে বসেন।
তিনি সিংহল এর বিদ্রোহ দমন করেন এবং শৈলেন্দ্র রাজ্যে আধিপত্য রক্ষা করেন।
এরপর সিংহাসনে বসেন কুলোত্তঙ্গ। তাঁকে ‘চোল চালুক্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা ‘ বলা হয়।
দীর্ঘ দিন ধরে চোল ও চালুক্য দের মধ্যে সংঘর্ষ অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ এবং পান্ড, হোয়সেল, কাকতীয় প্রভৃতি শক্তির আক্রমণে চোল রা হীনবল হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১৩১০ খ্রিস্টাব্দে আলাউদ্দিন খলজির সেনাপতি মালিক কাফুরের আক্রমণে চোল শক্তির পতন ঘটে।
প্রাচীন ভারতে চোলরা একটি সুষ্ঠ, সুদক্ষ ও সুবিন্যস্ত শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়। তাঁরা সামন্ত দের প্রভাব খর্ব করে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হন। রাজা বা রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রজার সরাসরি যোগাযোগ ছিল।
রাজা সর্বেসর্বা ছিলেন এবং রাজপদ ছিলো বংশানুক্রমিক। রাজা সর্ব শক্তির আধার হলেও কখনোই স্বেচ্ছাচারী ছিলেন না। তাঁকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি কর্মচারী পরিষদ ছিলো।
সমগ্র চোল রাজ্যকে বলা হতো ‘ চোলমন্ডলম ‘।
চোল রাজ্য দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল:- (ক) সামন্ত শাসিত অঞ্চল আর (খ) চোল রাজার প্রত্যক্ষ শাসনাধীন অঞ্চল।রাজার প্রত্যক্ষ শাসনাধীন অঞ্চল কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল। প্রদেশ গুলিকে বলা হতো ‘মণ্ডলম’।প্রদেশ বা মন্ডলম গুলি কয়েকটি কো ‘কোট্টাম ‘ বা জেলায় বিভক্ত ছিল। কোট্টাম গুলি নাড়ু বা অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। নাড়ুর অধীনে ছিল ‘কুররম ‘ বা কিছু সংখ্যক গ্রামের সমষ্টি বা গ্রাম সমবায়।
সাধারণত রাজপুত্ররাই মন্ডল এর শাসনকার্য পরিচালনা করতো। তাই তাদের বলা হতো মণ্ডলেশ্বর।
ভূমি রাজস্ব ছিলো সরকারী আয়ের প্রধান উৎস। এই কর নগদ অর্থে বা উৎপাদিত শস্যের এক তৃতীয়াংশ থেকে এক পঞ্চমাংশ এর মধ্যে ওঠানামা করতো।
বিচারের কাজ স্থানীয় ভাবেই পরিচালিত হতো। গ্রামের বিচার চলতো পঞ্চায়েতের মাধ্যমে। রাজকীয় আদালতকে বলা হতো ‘ধর্মাসন’। দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলার বিচার একই স্থানে হতো। রাজা নিজে রাজদ্রোহের বিচার করতেন।
চোল দের একটি সুসংগঠিত সেনাবাহিনী ছিলো এবং এর প্রধান ছিলেন রাজা।
সেনাবাহিনী চারটি ভাগে বিভক্ত ছিল…. পদাতিক, অশ্বারোহী বাহিনী, হস্তি বাহিনী এবং নৌ বাহিনী। একটি চোল শিলালিপি থেকে জানা যায় যে ৭০ টি ‘রেজিমেন্ট ‘ নিয়ে চোল বাহিনী গঠিত ছিলো।
চোল দের সমগ্র সৈন্য সংখ্যা ছিলো ১ লক্ষ ৫০ হাজার। তাদের হস্তি বাহিনীর সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার।
রাজা ও রাজপুত্ররা যুদ্ধক্ষেত্রে সেনা পরিচালনা করতেন। চোল রাজারা জনহিতকর কাজে প্ৰচুর অর্থ ব্যয় করেন।
প্রজাদের সুবিধার্থে রাস্তা ঘাট নির্মাণ, কৃষিকাজের জন্য জলসচ , বাঁধ নির্মাণ, সেচ খাল খনন এবং চিকিৎসালয় , বিদ্যালয় ও দেবমন্দির নির্মাণ প্রভৃতি কাজে প্রচুর অর্থ ব্যয় হতো।
চোল শাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসন ব্যবস্থা। প্রত্যেক গ্রামে একটি করে নির্বাচিত সাধারণ সভা থাকতো। এই সভার সদস্যরা গ্রাম শাসন পরিচালনা করতেন।
সাধারণ সভা ছিলো দুই ধরেনের:- (১) উর এবং (২) সভা বা মহাসভা। গ্রামের সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষই উর-এর সদস্য ছিলেন। ব্রাহ্মণদের বসবাসকারী গ্রামের সমিতিকে বলা হতো সভা বা মহাসভা।
কেবলমাত্র দক্ষিণ ভারত নয়, সমগ্র ভারত-এর ইতিহাসে চোল শাসন এক গুরুত্ত্বপূর্ণ অধ্যায়।
উন্নত শাসন ব্যাবস্থার পাশাপাশি সাহিত্য, শিল্প,ও সাংস্কৃতির ইতিহাসেও চোল যুগ প্রশংসার দাবি রাখে। চোল যুগ দক্ষিণ ভারতের ইতিহাসে সুবর্ণ যুগ হিসাবে চিহ্নিত।
শক্তিশালী নৌ-বাহিনী গঠন চোল যুগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নৌবাহিনীর সাহায্যে তাঁরা মালদ্বীপ, সিংহল, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, মালয় উপদ্বীপ ও সুমাত্রায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। বঙ্গোপসাগর চোল হ্রদে পরিণত হয়।
স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পের ক্ষেত্রে এই যুগ এক গুরুত্ত্বপূর্ণ অধ্যায়। রাজপ্রাসাদ গুলি ছিলো পঞ্চ বা সপ্ততল বিশিষ্ট। এই যুগে মন্দির স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে। চোল স্থাপত্য রীতি ‘দ্রাবিড় স্থাপত্য রীতি’ নামে পরিচিত।
এই যুগের মন্দিরগুলি ছিলো পাঁচ বা ছয় তলা বিশিষ্ট। মন্দিরের দেওয়ালে থাকতো বিরাট বিরাট তোরণ যা গোপুরম নামে পরিচিত। এই যুগের মন্দিরগুলির মধ্যে তাঞ্জরের বৃহদীশ্বর মন্দির, কাঞ্চিপুরমের কৈলাস নাথের মন্দির এবং গঙ্গইকোণ্ড চোলপুরমের মন্দির উল্লেখযোগ্য। মন্দির গুলির দেওয়ালে খোদাই করা বিভিন্ন মূর্তি ও কারুকার্য চোল ভাস্কর্যের বিশিষ্ট উদাহরণ।
Short Question-Answer on Peninsular India (দক্ষিণ ভারতের প্রাক-ইতিহাস)
চালুক্য বংশের শ্রেষ্ঠ শাসকের নাম লেখাে। উঃ চালুক্য বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন দ্বিতীয় পুলকেশী।
হর্ষবর্ধন দাক্ষিণাত্যে কার কাছে পরাজিত হন ? উঃ হর্ষবর্ধন দাক্ষিণাত্যে দ্বিতীয় পুলকেশীর কাছে পরাজিত হন।
কল্যাণের চালুক্য বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন ? উঃ যষ্ঠ বিক্রমাদিত্য কল্যাণের চালুক্য বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন।
দ্বিতীয় পুলকেশীর রাজধানীর নাম কী ছিল ? উঃ দ্বিতীয় পুলকেশীর রাজধানীর নাম ছিল বাতাপী বা বাদামী।
কল্যাণের চালুক্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন ? উঃ কল্যাণের চালুক্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তৈল বা তৈলপ।
কল্যাণের চালুক্যদের রাজধানী কোথায় ছিল? উঃ কল্যাণের চালুক্যদের রাজধানী ছিল হায়দ্রাবাদের নিকট কল্যাণ বা কল্যাণীতে।
ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্যের সভাকবি কে ছিলেন ? উঃ ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্যের সভাকরি ছিলেন বিলহন।
পল্লব বংশের প্রথম রাজা কে ছিলেন? উঃ পল্লব বংশের প্রথম রাজা ছিলেন শিবস্কন্দবর্মন।
পল্লব বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন ? উঃ পল্লব বংশের শেষ রাজার নাম অপরাজিত।
চোলদের প্রথম ঐতিহাসিক রাজার নাম কী ? উঃ চোলদের প্রথম ঐতিহাসিক রাজার নাম কারিকল।
চোল বংশের শ্রেষ্ঠ শাসকের নাম কী ? উঃ চোল বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন প্রথম রাজেন্দ্র চোল।
সেন বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন ? উঃ সেন বংশের শেষ রাজা ছিলেন লক্ষ্মণ সেন।
চোল বংশের শেষ শক্তিশালী রাজার নাম কী ? উঃ চোল বংশের শেষ শক্তিশালী রাজা ছিলেন বীর রাজেন্দ্র।
শংকরাচার্য কে ছিলেন ? উঃ শংকরাচার্য ছিলেন দক্ষিণ ভারতের ভক্তি আন্দোলনের অন্যতম প্রবর্তক।
শ্রী সম্প্রদায় কে প্রতিষ্ঠা করেন? উঃ আচার্য রামানুজ শ্ৰী সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন।
কুমারিল ভট্ট কে ছিলেন ? উঃ কুমারিল ভট্ট ছিলেন দাক্ষিণাত্যের বিখ্যাত পণ্ডিত ও মীমাংসা দর্শনের প্রখ্যাত প্রবক্তা।
লিঙ্গায়েত আন্দোলনের দুইজন নেতার নাম করাে। উঃ বাসভ ও চান্নাবাসভ ছিলেন দক্ষিণ ভারতের লিঙ্গায়েত আন্দোলনের নেতা।
মহাবলীপুরমের সপ্তরথ কে নির্মাণ করেন? অথবা, কোন পল্লব রাজার আমলে মহাবলীপুরম-এর রথমন্দিরগুলি নির্মিত হয়েছিল? উঃ পল্লবরাজ নরসিংহবর্মন মহাবলীপুরমের সপ্তরথ মন্দির নির্মাণ করেন।
কাঞীর কৈলাসনাথের মন্দির কে নির্মাণ করেন ? উঃ পল্লবরাজ নরসিংহবর্মন কাঞীর কৈলাসনাথের মন্দির নির্মাণ করেন।
গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম কার রাজধানী ছিল ? উঃ চোলরাজ রাজেন্দ্র চোলের রাজধানী ছিল গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম।
মুম্বইয়ের কাছে এলিফ্যান্টা দ্বীপের মন্দির কাৱা নির্মাণ করেন ? উঃ চালুক্য রাজারা এলিফ্যান্টা দ্বীপের মন্দির নির্মাণ করেন।
মুক্তেশ্বর ও ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির কারা নির্মাণ করেন ? উঃ উড়িষ্যার গঙ্গা বংশ মুক্তেশ্বর ও ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির নির্মাণ করেন।
কোনারকের সূর্যমন্দির কে নির্মাণ করেন ? উঃ উড়িষ্যার রাজা নরসিংহদেব কোনারকের সূর্যমন্দিরের নির্মাতা।
উত্তর রামচরিত নাটকের রচয়িতা কে ছিলেন ? উঃ উত্তর রামচরিত নাটকের রচয়িতা ছিলেন ভবভূতি।
‘অষ্টাধ্যায়ী’ ভাষ্যের রচয়িতা কে ছিলেন ? উঃ ‘অষ্টাধ্যায়ী’ ভাষ্যের রচয়িতা ছিলেন পাণিনি।
“মহাভাষ্য’-এর রচয়িতা কে ছিলেন? উঃ ‘মহাভাষ্য’-এর রচয়িতা ছিলেন পতঞ্জলি।
“গাথাসপ্তশতী” গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন ? উঃ “গাথাসপ্তশতী” গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন সাতবাহনরাজ হল।
‘দশকুমারচরিত’-এর রচয়িতা কে ছিলেন ? উঃ ‘দশকুমারচরিত’-এর রচয়িতা ছিলেন দণ্ডীন।
‘মত্তবিলাস প্রহসন’ কে রচনা করেন? উঃ পল্লবরাজ মহেন্দ্রবর্মন ‘মত্তবিলাস’ প্রহসন রচনা করেন।
‘বিক্রমাঙ্কদেব চরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা কে? উঃ বিলহন ‘বিক্রমাঙ্কদেব চরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা।
তিরুবল্লু রচিত ‘কুরাল’ গ্রন্থটি কোন ভাষায় রচিত ? উঃ তিরুবল্লু রচিত ‘কুরাল’ গ্রন্থটি তামিলভাষায় রচিত।
‘কিরাতাৰ্জ্জুনীয়’ গ্রন্থের রচয়িতা কে? উঃ ‘কিরাতাৰ্জ্জুনীয়’ গ্রন্থের রচয়িতা ভারবি।
‘দেবদাসী’ কী? উঃ দক্ষিণ ভারতীয় সমাজে মন্দিরের দেবতার কাছে উৎসর্গীকৃত নারীদের ‘দেবদাসী’ বলা হত।
ভারতের প্রাচীনতম নাম কী ছিল? উঃ ভারতের প্রাচীনতম নাম জম্বুদ্বীপ।
‘গােপুরম’ কাকে বলে? উঃ দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরের প্রবেশতােরণকে ‘গােপুরম’ বলে।
মুদ্রারাক্ষস গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন? উঃ মুদ্রারাক্ষস গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন বিশাখদত্ত।
সুর্যসিদ্ধান্ত গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন? উঃ সূর্যসিদ্ধান্ত গ্রন্থের রচয়িতা আর্যভট্ট।
দিল্লির নিকট মেহেরােলি লৌহ স্তম্ভটি কোন যুগের কীতি বলে অনুমান করা হয় ? উঃ মেহেরােলির লৌহস্তম্ভটি গুপ্তযুগের কীর্তি বলে অনুমান করা হয়।
বাঘগুহা কোথায় অবস্থিত ? উঃ বাঘগুহা অজন্তা গুহার একশাে মাইল দূরে মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত।
‘বৃহৎসংহিতা’ গ্রন্থের রচয়িতা কে ছিলেন? উঃ ‘বৃহৎসংহিতা’ গ্রন্থের রচয়িতা ছিলেন বরাহমিহির।
লিঙ্গায়েত কাদের বলা হত ? উঃ দক্ষিণ ভারতের শৈব সাধকদের এক গােষ্ঠীকে লিঙ্গায়েত বলা হত।
উড়িষ্যার উদয়গিরি ও খণ্ডগিরির গুহাগুলিতে ভাস্কর্য ও চিত্রাবলি কোন রাজবংশের অবদান? উঃ উড়িষ্যার উদয়গিরি ও খণ্ডগিরির গুহার ভাস্কর্য ও চিত্রাবলি শুঙ্গ ও কান্ব রাজবংশের অবদান।