শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (Sharadindu Bandyopadhyay) বাংলা সাহিত্যের এক অতি পরিচিত নাম | একজন বাঙালি বইপোকার কাছে তিনি যে আজও কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হয়তো আমরা সবাই জানি | তার লেখা বিভিন্ন গল্প ও উপন্যাস আজও বাঙালিদের মন কাড়ে বরাবর |
এই মহান সাহিত্যিকের জন্ম হয় ৩০শে মার্চ ১৮৯৯ সালে উত্তরপ্রদেশে জৌনপুর নামে এক ছোট্ট শহরে |
১৯১৫ সালে যখন তার মাত্র ১৬ বছর বয়স সেই সময় তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উর্তীন্ন হন এরপর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান |
ছোটবেলা থেকেই তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি এক গভীর টান অনুভব করতেন তাইতো তিনি মাত্র ২০ বছর বয়সেই যৌবনস্মৃতি নামক নিজের লেখা কিছু কবিতাসমূহ প্রকাশিত করে ফেলেন |
১৯১৯ সালে তিনি অবশেষে বি.এ পরীক্ষায় পাশ করে কলকাতা ছেড়ে সুদূর পাটনায় গিয়ে থাকতে শুরু করেন এবং সেখানেই তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা চালাতে থাকেন |
আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে অবশেষে তিনি একদম পুরোপুরি ভাবে নিজের তৈরি গল্প ও উপন্যাস লেখার প্রতি মন দেন |
এবার জানা যাক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিয়ার সম্বন্ধে কিছু কথা:-
Career of Sharadindu Bandyopadhyay
তোমরা হয়তো ব্যোমকেশ বক্সীর (Byomkesh Bakshi) নাম সবাই শুনেছ, তা তোমরা কি জানো বাংলা তথা ভারতের সব থেকে সেরা কাল্পনিক ডিটেক্টিভ চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সীর স্রষ্টা আর কেউ নন স্বয়ং শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় নিজেই |
তাঁর সৃষ্ট এই দুর্দান্ত বাঙালি ডিটেক্টিভ চরিত্রটি পাঠকদের কাছে সর্বপ্রথম সামনে আসে ১৯৩২ সালে “সত্যান্বেষী” নামক গল্পের মাধ্যমে |
Biography of Sharadindu Bandyopadhyay in BanglaPhotos Of Sharadindu Bandyopadhyay
এরপর ১৯৩৮ সালে তখন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় পাটনা ছেড়ে মুম্বাই যান বলিউডে কিছু কাজের উদ্দেশ্যে | তিনি সেখানে বোম্বে টকিজ মুভি স্টুডিওর জন্য স্ক্রিনপ্লে লেখা লেখির কাজ শুরু করেন এবং সেখানে অনেক সিনেমার স্ক্রিনপ্লে লেখা লেখির দায়িত্বও পান | কিন্তু সেই কাজ তিনি বেশিদিন চালাতে পারেননি |
অবশেষে ১৯৫২ সালে তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সাথে সমস্ত চুক্তি বাতিল করেন এবং মুম্বাই ছেড়ে পুনে চলে আসেন আর এখান থেকেই তিনি একদম সম্পূর্ণভাবে নিজের গল্প উপন্যাস লেখা লেখির কাজ পুনরায় শুরু করে দেন |
পুনেতে থাকার সময় তিনি সেখানে প্রচুর গল্প লিখে ফেলেন যার মধ্যে বেশির ভাগই ছিল ভৌতিক গল্প,রোমান্টিক গল্প ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কীয় গল্প | এখানে বসেই তিনি লিখলেন, একের পর এক ব্যোমকেশ, গৌড়মল্লার, তুমি সন্ধ্যার মেঘ, তুঙ্গভদ্রার তীরের মতো দূর্দান্ত সব উপন্যাস এবং শিবাজির আমলের দুই বালক-বালিকাকে নিয়ে ‘সদাশিব’।
চলো এবার তবে একটু দেখে নেওয়া যাক তাঁর বিখ্যাত কিছু সৃষ্টিগুলিকে যার মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার সর্বকালের সেরা লেখক ও সাহিত্যিক |
some of his famous works
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত উপন্যাস সমূহ:
* কালের মন্দিরা (1951)
* গৌড়মল্লার (1954)
* তুমি সন্ধ্যার মেঘ (1958)
* কুমারসম্ভবের কবি (1963)
* তুঙ্গভদ্রার তীরে (1965)
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছোটগল্প সমূহ:
* জাতিস্মর (1933)
* চুয়া-চন্দন (1935)
* বিষকন্যা (1942)
* সাদা পৃথিবী (1948)
* এমন দিনে (1963)
* শঙ্খকঙ্কণ (1963)
* কর্তার কীর্তি
* তিমিঙ্গিল
* প্রতিদ্বন্দী
* আদিম নৃত্য
* কুতুব শীর্ষে
* ভেনডেটা
* মনে মনে
* ঝি
* টুথব্রাশ
* আরব সাগরের রসিকতা
* রেমিক
* রূপকথা
* গ্রন্থিরহস্য
* ভূতোর চন্দ্রবিন্দু
* সন্দেহজনক ব্যাপার
* সেকালিনী
* অসমাপ্ত
* মুখোস
* পরীক্ষা
* ভক্তি ভোজন
* বহু বিঘ্নানি
ভারতীয় চলচিত্রের স্ক্রিনপ্লে রাইটার হিসাবে তাঁর কীর্তি:
* দূর্গা (1939)
* কঙ্গন (1939)
* নবজীবন (1939)
* আজাদ (1940)
ব্যোমকেশ বক্সী পর্ব:
* সত্যান্বেষী aka The Seeker of Truth (1931)
* পথের কাঁটা aka The (Thorns in the Path) Gramophone Pin Mystery (1932)
* সীমান্ত হীরা aka The Hidden Heirloom (1932)
* মাকড়সার রস aka The Venom Of The Tarantula (1933)
* অর্থমনর্থম aka Where There’s a Will (1933)
* চোরাবালি aka Quicksand (1933)
* অগ্নিবাণ aka Calamity Strikes (1935)
* উপসংহার aka An Encore for Byomkesh (1935)
* রক্তমুখী নীলা aka The Deadly Diamond (1936)
* ব্যোমকেশ ও বরোদা aka Byomkesh and Barada (1936)
* চিত্রচোর aka Picture Imperfect (1951)
* দুর্গ রহস্য The Mystery of the Fortress(1952)
* চিড়িয়াখানা aka The Menagerie (1953)
* আদিম রিপু aka The Ancient Enemy (1955)
* বহ্নি-পতঙ্গ (1956)
* রক্তের দাগ aka Bloodstains (1956)
* মনিমন্দন aka The Jewel Case (1958)
* অমৃতের মৃত্যু aka The Death of Amrito (1959)
* সাইলো রহস্য aka Phantom Client (1959)
* অচিন পাখি aka The Avenger (1960)
* কহেন কবি কালিদাস aka Thus spoke Kavi Kalidasa (1961)
* অদৃশ্য ত্রিকোন aka The Invisible Triangle (1961)
* খুঁজি খুঁজি নারী aka The Will that Vanished (1961)
* অদ্বিতীয় aka Unique (1961)
* মগ্নমৈনাক (1963)
* দুষ্টচক্র aka The Crooked Circle (1963)
* হেঁয়ালির ছন্দ aka The Rhythm of Riddles (1964)
* রুম নম্বর দুই aka Room Number 2 (1964)
* ছলনার ছন্দ aka Man in a Red Coat (1965)
* শজারুর কাঁটা aka The Quills of the Porcupine (1967)
* বেণীসংহার (1968)
* লোহার বিস্কুট aka Iron Biscuits (1969)
* বিশুপাল বধ (অসমাপ্ত) aka The Slaying of Bishupal (1970)
সিনেমার রাইটার হিসাবে তাঁর কীর্তি:
Bengali:-
*ঝিন্দের বন্দী (1961) —Directed by Tapan Sinha
*চিড়িয়াখানা (1966) —Directed by Satyajit Ray
*শজারুর কাঁটা (1974) -directed by Manju Dey
*দাদার কীর্তি —Directed by Tarun Majumdar
*মেঘমুক্তি —Directed by Tarun Majumdar
*মগ্ন মৈনাক (2009)—Directed by Swapan Ghoshal
*ব্যোমকেশ বক্সী (2010) —Directed by Anjan Dutt
*আবার ব্যোমকেশ (2012) —Directed by Anjan Dutt
*যেখানে ভুতের ভয় (2012) —Directed by Sandip Ray
*সত্যান্বেষী (2013), Directed by Rituparno Ghosh
*ব্যোমকেশ ফিরে এলো (2014) —Directed by Anjan Dutt
*সজারুর কাঁটা (2015) —Directed by Saibal Mitra
*ব্যোমকেশ বক্সী (2015) —Directed by Anjan Dutt
*বহ্নি পতঙ্গ (2015) —Directed by Arindam Sil
*মনচোরা (2015) —Directed by Sandip Ray
*ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা (2016) -Directed by Anjan Dutta
*ব্যোমকেশ পর্ব (2016) -Directed by Arindam Sil
*বারোদা ও বহুরূপী (2016) -Directed by Neelotpal Sinharoy
*ব্যোমকেশ ও অগ্নিবাণ (2017) -Directed by Anjan Dutt
*ব্যোমকেশ গোত্র (2018) -Directed by Arindam Sil
*বিদায় ব্যোমকেশ (2018) -Directed by Debaloy Bhattacharaya
Hindi:-
*Bhabhi (1938) directed by Franz Osten
*Vachan (1938) directed by Franz Osten
*Trishagni (1988) directed by Nabendu Ghosh
*Detective Byomkesh Bakshi (2015) directed by Dibakar Banerjee
টেলিভিশন জগতে শরদিন্দুর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত গল্প বিষয়ক পর্ব:
· Byomkesh Bakshi (TV series) (1993, 1997) – বাসু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ব্যোমকেশ বক্সীর গল্পসমূহ সর্বপ্রথম উপস্থাপিত হয় DD National চ্যানেলে একটি হিন্দি টেলিভিশন সিরিজের মাধ্যমে |
সেই হিন্দি সিরিয়ালে ব্যোমকেশের ভূমিকায় অভিনয় করেন বিখ্যাত অভিনেতা রাজিত কাপুর, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন কে.কে রায়না এবং সত্যবতীর ভূমিকায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী সুকন্যা কুলকার্নি |
সেই হিন্দি সিরিজটির মাত্র দুটি সিজন হয়েছিল | প্রথম সিজন 1993 সালে এবং দ্বিতীয় সিজন যথাক্রমে 1997 সালে অনুষ্ঠিত হয়।
· Byomkesh (2014-2015) – অবশেষে Colors Bangla চ্যানেল ব্যোমকেশ প্রেমী সকল বাঙালি দর্শকদের জন্য একটি রহস্য-রোমাঞ্চ ও ক্রাইম ভিত্তিক নাটক, টেলিভশনের পর্দায় সর্বপ্রথম নিয়ে আসে |
সেই সিরিজে ব্যোমকেশ বক্সীর ভূমিকায় অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী, অজিতের ভূমিকায় সৌগত বন্দোপাধ্যায় এবং সত্যবতীর ভূমিকার রীধিমা ঘোষ অভিনয় করেন |
অবশেষে ১৯৭০ সালে ২২ সে সেপ্টেম্বর পুনেতেই বাংলার মহান সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনাবসান ঘটে |
বেঁচে থাকা অবস্থায় তিনি অনেক অনন্য সম্মানে ভূষিত হন যার মধ্যে অন্যতম হলো রবীন্দ্র পুরস্কার যা তিনি পান ১৯৬৭ সালে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস তুঙ্গ ভদ্রার তীরে (Tungabhadrar Tire) লেখার জন্য এবং সেইসাথে পান ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালকাটার তরফ থেকে শরৎ স্মৃতি পুরস্কার ঠিক একই বছরে |
বাংলা সাহিত্যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত এত প্রতিভাবান একজন সাহিত্যিক, সকল বাঙালী বইপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন |
তাঁর অসামান্য সমস্ত কীর্তি আজও বর্তমানে আমাদের মনোরঞ্জন করে চলেছে ঠিক আগের মতই এবং আশা করি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিকে আমাদের মতই সমানভাবে কদর করবে |
এই মহান সাহিত্যিকের জন্ম হয় ৩০শে মার্চ ১৮৯৯ সালে উত্তরপ্রদেশে জৌনপুর নামে এক ছোট্ট শহরে |
১৯১৫ সালে যখন তার মাত্র ১৬ বছর বয়স সেই সময় তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উর্তীন্ন হন এরপর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান |
ছোটবেলা থেকেই তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি এক গভীর টান অনুভব করতেন তাইতো তিনি মাত্র ২০ বছর বয়সেই যৌবনস্মৃতি নামক নিজের লেখা কিছু কবিতাসমূহ প্রকাশিত করে ফেলেন |
১৯১৯ সালে তিনি অবশেষে বি.এ পরীক্ষায় পাশ করে কলকাতা ছেড়ে সুদূর পাটনায় গিয়ে থাকতে শুরু করেন এবং সেখানেই তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা চালাতে থাকেন |
আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে অবশেষে তিনি একদম পুরোপুরি ভাবে নিজের তৈরি গল্প ও উপন্যাস লেখার প্রতি মন দেন |
এবার জানা যাক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিয়ার সম্বন্ধে কিছু কথা:-
Career of Sharadindu Bandyopadhyay
তোমরা হয়তো ব্যোমকেশ বক্সীর (Byomkesh Bakshi) নাম সবাই শুনেছ, তা তোমরা কি জানো বাংলা তথা ভারতের সব থেকে সেরা কাল্পনিক ডিটেক্টিভ চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সীর স্রষ্টা আর কেউ নন স্বয়ং শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় নিজেই |
তাঁর সৃষ্ট এই দুর্দান্ত বাঙালি ডিটেক্টিভ চরিত্রটি পাঠকদের কাছে সর্বপ্রথম সামনে আসে ১৯৩২ সালে “সত্যান্বেষী” নামক গল্পের মাধ্যমে |
Biography of Sharadindu Bandyopadhyay in BanglaPhotos Of Sharadindu Bandyopadhyay
এরপর ১৯৩৮ সালে তখন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় পাটনা ছেড়ে মুম্বাই যান বলিউডে কিছু কাজের উদ্দেশ্যে | তিনি সেখানে বোম্বে টকিজ মুভি স্টুডিওর জন্য স্ক্রিনপ্লে লেখা লেখির কাজ শুরু করেন এবং সেখানে অনেক সিনেমার স্ক্রিনপ্লে লেখা লেখির দায়িত্বও পান | কিন্তু সেই কাজ তিনি বেশিদিন চালাতে পারেননি |
অবশেষে ১৯৫২ সালে তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সাথে সমস্ত চুক্তি বাতিল করেন এবং মুম্বাই ছেড়ে পুনে চলে আসেন আর এখান থেকেই তিনি একদম সম্পূর্ণভাবে নিজের গল্প উপন্যাস লেখা লেখির কাজ পুনরায় শুরু করে দেন |
পুনেতে থাকার সময় তিনি সেখানে প্রচুর গল্প লিখে ফেলেন যার মধ্যে বেশির ভাগই ছিল ভৌতিক গল্প,রোমান্টিক গল্প ও আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কীয় গল্প | এখানে বসেই তিনি লিখলেন, একের পর এক ব্যোমকেশ, গৌড়মল্লার, তুমি সন্ধ্যার মেঘ, তুঙ্গভদ্রার তীরের মতো দূর্দান্ত সব উপন্যাস এবং শিবাজির আমলের দুই বালক-বালিকাকে নিয়ে ‘সদাশিব’।
চলো এবার তবে একটু দেখে নেওয়া যাক তাঁর বিখ্যাত কিছু সৃষ্টিগুলিকে যার মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার সর্বকালের সেরা লেখক ও সাহিত্যিক |
some of his famous works
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত উপন্যাস সমূহ:
* কালের মন্দিরা (1951)
* গৌড়মল্লার (1954)
* তুমি সন্ধ্যার মেঘ (1958)
* কুমারসম্ভবের কবি (1963)
* তুঙ্গভদ্রার তীরে (1965)
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছোটগল্প সমূহ:
* জাতিস্মর (1933)
* চুয়া-চন্দন (1935)
* বিষকন্যা (1942)
* সাদা পৃথিবী (1948)
* এমন দিনে (1963)
* শঙ্খকঙ্কণ (1963)
* কর্তার কীর্তি
* তিমিঙ্গিল
* প্রতিদ্বন্দী
* আদিম নৃত্য
* কুতুব শীর্ষে
* ভেনডেটা
* মনে মনে
* ঝি
* টুথব্রাশ
* আরব সাগরের রসিকতা
* রেমিক
* রূপকথা
* গ্রন্থিরহস্য
* ভূতোর চন্দ্রবিন্দু
* সন্দেহজনক ব্যাপার
* সেকালিনী
* অসমাপ্ত
* মুখোস
* পরীক্ষা
* ভক্তি ভোজন
* বহু বিঘ্নানি
ভারতীয় চলচিত্রের স্ক্রিনপ্লে রাইটার হিসাবে তাঁর কীর্তি:
* দূর্গা (1939)
* কঙ্গন (1939)
* নবজীবন (1939)
* আজাদ (1940)
ব্যোমকেশ বক্সী পর্ব:
* সত্যান্বেষী aka The Seeker of Truth (1931)
* পথের কাঁটা aka The (Thorns in the Path) Gramophone Pin Mystery (1932)
* সীমান্ত হীরা aka The Hidden Heirloom (1932)
* মাকড়সার রস aka The Venom Of The Tarantula (1933)
* অর্থমনর্থম aka Where There’s a Will (1933)
* চোরাবালি aka Quicksand (1933)
* অগ্নিবাণ aka Calamity Strikes (1935)
* উপসংহার aka An Encore for Byomkesh (1935)
* রক্তমুখী নীলা aka The Deadly Diamond (1936)
* ব্যোমকেশ ও বরোদা aka Byomkesh and Barada (1936)
* চিত্রচোর aka Picture Imperfect (1951)
* দুর্গ রহস্য The Mystery of the Fortress(1952)
* চিড়িয়াখানা aka The Menagerie (1953)
* আদিম রিপু aka The Ancient Enemy (1955)
* বহ্নি-পতঙ্গ (1956)
* রক্তের দাগ aka Bloodstains (1956)
* মনিমন্দন aka The Jewel Case (1958)
* অমৃতের মৃত্যু aka The Death of Amrito (1959)
* সাইলো রহস্য aka Phantom Client (1959)
* অচিন পাখি aka The Avenger (1960)
* কহেন কবি কালিদাস aka Thus spoke Kavi Kalidasa (1961)
* অদৃশ্য ত্রিকোন aka The Invisible Triangle (1961)
* খুঁজি খুঁজি নারী aka The Will that Vanished (1961)
* অদ্বিতীয় aka Unique (1961)
* মগ্নমৈনাক (1963)
* দুষ্টচক্র aka The Crooked Circle (1963)
* হেঁয়ালির ছন্দ aka The Rhythm of Riddles (1964)
* রুম নম্বর দুই aka Room Number 2 (1964)
* ছলনার ছন্দ aka Man in a Red Coat (1965)
* শজারুর কাঁটা aka The Quills of the Porcupine (1967)
* বেণীসংহার (1968)
* লোহার বিস্কুট aka Iron Biscuits (1969)
* বিশুপাল বধ (অসমাপ্ত) aka The Slaying of Bishupal (1970)
সিনেমার রাইটার হিসাবে তাঁর কীর্তি:
Bengali:-
*ঝিন্দের বন্দী (1961) —Directed by Tapan Sinha
*চিড়িয়াখানা (1966) —Directed by Satyajit Ray
*শজারুর কাঁটা (1974) -directed by Manju Dey
*দাদার কীর্তি —Directed by Tarun Majumdar
*মেঘমুক্তি —Directed by Tarun Majumdar
*মগ্ন মৈনাক (2009)—Directed by Swapan Ghoshal
*ব্যোমকেশ বক্সী (2010) —Directed by Anjan Dutt
*আবার ব্যোমকেশ (2012) —Directed by Anjan Dutt
*যেখানে ভুতের ভয় (2012) —Directed by Sandip Ray
*সত্যান্বেষী (2013), Directed by Rituparno Ghosh
*ব্যোমকেশ ফিরে এলো (2014) —Directed by Anjan Dutt
*সজারুর কাঁটা (2015) —Directed by Saibal Mitra
*ব্যোমকেশ বক্সী (2015) —Directed by Anjan Dutt
*বহ্নি পতঙ্গ (2015) —Directed by Arindam Sil
*মনচোরা (2015) —Directed by Sandip Ray
*ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানা (2016) -Directed by Anjan Dutta
*ব্যোমকেশ পর্ব (2016) -Directed by Arindam Sil
*বারোদা ও বহুরূপী (2016) -Directed by Neelotpal Sinharoy
*ব্যোমকেশ ও অগ্নিবাণ (2017) -Directed by Anjan Dutt
*ব্যোমকেশ গোত্র (2018) -Directed by Arindam Sil
*বিদায় ব্যোমকেশ (2018) -Directed by Debaloy Bhattacharaya
Hindi:-
*Bhabhi (1938) directed by Franz Osten
*Vachan (1938) directed by Franz Osten
*Trishagni (1988) directed by Nabendu Ghosh
*Detective Byomkesh Bakshi (2015) directed by Dibakar Banerjee
টেলিভিশন জগতে শরদিন্দুর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত গল্প বিষয়ক পর্ব:
· Byomkesh Bakshi (TV series) (1993, 1997) – বাসু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ব্যোমকেশ বক্সীর গল্পসমূহ সর্বপ্রথম উপস্থাপিত হয় DD National চ্যানেলে একটি হিন্দি টেলিভিশন সিরিজের মাধ্যমে |
সেই হিন্দি সিরিয়ালে ব্যোমকেশের ভূমিকায় অভিনয় করেন বিখ্যাত অভিনেতা রাজিত কাপুর, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন কে.কে রায়না এবং সত্যবতীর ভূমিকায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী সুকন্যা কুলকার্নি |
সেই হিন্দি সিরিজটির মাত্র দুটি সিজন হয়েছিল | প্রথম সিজন 1993 সালে এবং দ্বিতীয় সিজন যথাক্রমে 1997 সালে অনুষ্ঠিত হয়।
· Byomkesh (2014-2015) – অবশেষে Colors Bangla চ্যানেল ব্যোমকেশ প্রেমী সকল বাঙালি দর্শকদের জন্য একটি রহস্য-রোমাঞ্চ ও ক্রাইম ভিত্তিক নাটক, টেলিভশনের পর্দায় সর্বপ্রথম নিয়ে আসে |
সেই সিরিজে ব্যোমকেশ বক্সীর ভূমিকায় অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী, অজিতের ভূমিকায় সৌগত বন্দোপাধ্যায় এবং সত্যবতীর ভূমিকার রীধিমা ঘোষ অভিনয় করেন |
অবশেষে ১৯৭০ সালে ২২ সে সেপ্টেম্বর পুনেতেই বাংলার মহান সাহিত্যিক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনাবসান ঘটে |
বেঁচে থাকা অবস্থায় তিনি অনেক অনন্য সম্মানে ভূষিত হন যার মধ্যে অন্যতম হলো রবীন্দ্র পুরস্কার যা তিনি পান ১৯৬৭ সালে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস তুঙ্গ ভদ্রার তীরে (Tungabhadrar Tire) লেখার জন্য এবং সেইসাথে পান ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালকাটার তরফ থেকে শরৎ স্মৃতি পুরস্কার ঠিক একই বছরে |
বাংলা সাহিত্যে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত এত প্রতিভাবান একজন সাহিত্যিক, সকল বাঙালী বইপ্রেমীদের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন |
তাঁর অসামান্য সমস্ত কীর্তি আজও বর্তমানে আমাদের মনোরঞ্জন করে চলেছে ঠিক আগের মতই এবং আশা করি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও তাঁর সাহিত্য সৃষ্টিকে আমাদের মতই সমানভাবে কদর করবে |