প্রশ্ন 1. রেচন কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় জীব বিপাকের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ (রেচন পদার্থ) গুলােকে কোষের মধ্যে অদ্রাব্য কেলাস রূপে অথবা কলয়েড রূপে জমা করে রেখে, কিংবা দেহ থেকে বের করে দিয়ে, এদের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে দেহকে মুক্ত রাখে তাকে রেচন (Excretion) বলা হয়।
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় জীব বিপাকের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ (রেচন পদার্থ) গুলােকে কোষের মধ্যে অদ্রাব্য কেলাস রূপে অথবা কলয়েড রূপে জমা করে রেখে, কিংবা দেহ থেকে বের করে দিয়ে, এদের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে দেহকে মুক্ত রাখে তাকে রেচন (Excretion) বলা হয়।
প্রশ্ন 2. উদ্ভিদ ও প্রাণীর রেচন পদার্থগুলাের নাম লেখ।
উত্তর : উদ্ভিদের রেচন পদার্থ:
উত্তর : উদ্ভিদের রেচন পদার্থ:
(i) ট্যানিন— এ জাতীয় বর্জ্য পদার্থ উদ্ভিদ দেহের প্রায় সব অংশে, একটি অথবা একদল কোষের মধ্যে পাওয়া যায়। বল্কল, সার কাঠ ও অনেক কাঁচা ফলে প্রচুর ট্যানিন পাওয়া যায়।
(ii) উপক্ষার— কুইনিন, নিকোটিন, মরফিন, ডেটুরিন, ক্যাফিন, কোকেন, রাউলফিয়া ইত্যাদি, এরা নাইট্রোজেন ঘটিত জটিল যৌগ পদার্থ, সাধারণতঃ বীজ ও মলে পাওয়া যায়।
(iii) তরুক্ষীর (Latex)— তামাক প্রভৃতি উদ্ভিদে জলের মত এবং করবী, বট, অশ্বথ, কাঁঠাল প্রভৃতি উদ্ভিদে দুধের মত ও শিয়ালকাঁটা, আফিং প্রভৃতি উদ্ভিদে হলদে রং-এর দুধের মত পদার্থ।
(iv) রজন (Resin)— পাইন গাছের রজননালীর মধ্যে রজন জমা থাকে। রজন হলদে রঙের কঠিন ও জলে অদ্রাব্য।
(v) গঁদ (Gum)— বাবলা, জিওল প্রভৃতি গাছের আঠাল পদার্থ। এটা এক ধরনের জটিল কার্বোহাইড্রেট। কোষ প্রাকারের সেলুলোজ থেকে গঁদ সষ্টি হয়। রজনের সঙ্গেও কিছু পরিমাণ গঁদ থাকে।
(vi) বান তৈল (Essential oil)— লেবু, জাতীয় গাছের পাতা বা ফলের খােসায়, অনেক সুগন্ধি ফুলের পাপড়িতে, তৈল গ্রহীতে বান তৈল থাকে। বান তেল সুগন্ধি, উদ্বায়ী ও জলে মােটামুটি দ্রাব্য।
(vii) ধাতব কেলাস— ধান, আখ, শর প্রভৃতি গাছের পাতায় সিলিকার কেলাস থাকে। কিন্তু বট, রবার প্রভৃতি গাছের পাতায় ক্যালসিয়াম কার্বনেট কেলাশ গুচ্ছ থাকে, এর নাম সিস্টোলিথ। কচুপাতায় ক্যালসিয়াম অক্সালেট কেলাস সুঁচের গুচ্ছরপে অবস্থান করে, একে বলে RaphaYad।
(viii) জল ও কাবন ডাই-অক্সাইড।
প্রাণীর রেচন পদার্থ :
(i) নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জনীয় পদার্থ-(a) ইউরিয়া, (b) ঘর্ম, (c) প্রােটিন ঘটিত গন্ধক, ফসফরাস ও লৌহ, (ii) কার্বন ডাই-অক্সাইড, (iii) জল।
প্রশ্ন 3. উদ্ভিদের রেচন পদাথ কিভাবে কাজে লাগে?
উত্তর : (i) ক্ষতস্থান পূরণ, ক্ষয় রােধ, কর্ক, নানাবিধ রঞ্জন পদার্থ উৎপাদন প্রভৃতিতে সাহায্য করে।
(ii) কুইনিন, নিকোটিন, মরফিন প্রভৃতি উদ্ভিজ উপক্ষার ওষুধ হিসেবে কাজে লাগে।
(iii) তরুক্ষীর— প্রতিরােধী পদার্থ হিসেবে উদ্ভিদকে সাহায্য করে।
(iv) রজন— পেইন্ট ও বার্নিশ শিল্পে বহুল প্রচলিত উপাদান। রজন ঘটিত পদার্থ থেকে ওষুধও তৈরী হয়।
(v) গঁদ— আঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ধুনা, গুগ্গুল প্রভৃতি গঁদ।
(vi) বান তৈল— পরাগ-সংযোগের সময় পতঙ্গকে আকৃষ্ট করে, আবার সময় বিশেষে বিশেষ গন্ধের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পায়। সাবান ও সুগন্ধি পদার্থ উৎপাদনে এই তৈল ব্যবহার করা হয়।
(Vii) ধাতব কেলাস— প্রতিরােধী অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
(viii) ইউরিয়া—প্রাণীজাত এই রেচন পদার্থ জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে।
উত্তর : (i) ক্ষতস্থান পূরণ, ক্ষয় রােধ, কর্ক, নানাবিধ রঞ্জন পদার্থ উৎপাদন প্রভৃতিতে সাহায্য করে।
(ii) কুইনিন, নিকোটিন, মরফিন প্রভৃতি উদ্ভিজ উপক্ষার ওষুধ হিসেবে কাজে লাগে।
(iii) তরুক্ষীর— প্রতিরােধী পদার্থ হিসেবে উদ্ভিদকে সাহায্য করে।
(iv) রজন— পেইন্ট ও বার্নিশ শিল্পে বহুল প্রচলিত উপাদান। রজন ঘটিত পদার্থ থেকে ওষুধও তৈরী হয়।
(v) গঁদ— আঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ধুনা, গুগ্গুল প্রভৃতি গঁদ।
(vi) বান তৈল— পরাগ-সংযোগের সময় পতঙ্গকে আকৃষ্ট করে, আবার সময় বিশেষে বিশেষ গন্ধের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পায়। সাবান ও সুগন্ধি পদার্থ উৎপাদনে এই তৈল ব্যবহার করা হয়।
(Vii) ধাতব কেলাস— প্রতিরােধী অঙ্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
(viii) ইউরিয়া—প্রাণীজাত এই রেচন পদার্থ জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে।