উত্তর:
শিক্ষার উপাদান: শিক্ষা প্রক্রিয়ার যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার কাজকে ত্বরান্বিত করে, তাদের শিক্ষার উপাদান বলে। সাধারণত এই উপাদান চার প্রকার। যথা- শিক্ষার্থী, শিক্ষক পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষালয়।
শিক্ষার্থী: যে কোন শিক্ষা ব্যবস্থার মূলে একজন শিশু শিক্ষার্থী অবশ্যই থাকা প্রয়োজন যার আচরণধারার আমরা পরিবর্তন সাধন করবো। শিক্ষার্থী তার জন্মগত সম্ভাবনাকে বিকশিত করবে শিক্ষার প্রভাবে। অপরিপক্ক শিশুরই যদি অস্তিত্ব না থাকে, তবে শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই শিক্ষার প্রধান উপাদান হলো শিশু বা বৃহত্তর অর্থে শিক্ষার্থী। এই উপাদানের বৈশিষ্ট্য হলো সে দেহমন বিশিষ্ট জৈবিক সত্তা। তার মনোময় জগতই শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া তার বৈশিষ্ট্য হলো সে নমনীয়। শিক্ষার দ্বারা তার বিকাশের ধারাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
শিক্ষক: শিক্ষক ছাড়া কোন শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে পারে না তাই শিক্ষক শিক্ষা ব্যবস্থার একটি প্রধান অঙ্গ। যে কোন শিক্ষণ-শিখন ব্যবস্থায় শিক্ষক কেবলমাত্র শিক্ষার্থীকে জ্ঞানার্জনের সাহায্য করে না, তিনি একাধারে শিক্ষার্থীর বন্ধু, হিতৈষী, সহায়ক ও পথপ্রদর্শক। শিক্ষার্থীর জীবন দর্শন গঠনের ক্ষেত্রে তিনিই হলেন প্রবীণ সহায়ক।
পাঠ্যক্রম: শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পাঠ্যক্রম। প্রত্যেক শিক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে এবং সেই লক্ষ্যপথে পৌঁছানোর জন্য পাঠক্রম হলো একটি পথ। এক কথায় বলা যায়, পাঠ্যক্রম হল সেইসব বিষয়বস্তু, কর্মসূচি এবং অভিজ্ঞতার সমষ্টি যা শিক্ষার্থীর জীবনের সমস্তটাই জুড়ে থাকে।
শিক্ষালয়: শিক্ষার জন্য উপরোক্ত তিনটি উপাদানের সাথে আরও একটি উপাদান অপরিহার্য তা হচ্ছে শিক্ষালয়। শিক্ষার লক্ষ্য অনুযায়ী পাঠ্যক্রমের জ্ঞানমূলক, কৃষ্টিমূলক ও সামাজিক অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যম হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থী তার জীবনের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে থাকে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।