হরমোন (রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 1. (i) হরমোন কাকে বলে ? (1) হরমোনকে রাসায়নিক দূত বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ (i) হরমোনের সংজ্ঞা : যে সব জৈব পদার্থ জীবদেহের কোনও এক অংশে খুব অল্প পরিমাণে উৎপন্ন হয়, কিন্তু অন্যান্য অংশে পরিবাহিত হয়ে ঐ সমস্ত অঞ্চলে প্রগাঢ় ভাব বিস্তার করে, তাদের হরমোন (Hormones) বলা হয়।
(ii) যেহেতু হরমোনগুলি উৎপত্তিস্থল থেকে বহু দূরে পরিবাহিত হয়ে, সেখানে ক্রিয়াশীল হয়, সেইজন্য, হরমােনকে রাসায়নিক দূত (Chemical messengers) বলে। প্রাণিদেহের অভ্যন্তরীণ সময় হরমোন-রুপ জৈব রাসায়নিক পদার্থের সাহায্যে ঘটে বলে, এই ধরনের সমন্বয়কে রাসায়নিক সমন্বয় বলে।
উত্তরঃ (i) হরমোনের সংজ্ঞা : যে সব জৈব পদার্থ জীবদেহের কোনও এক অংশে খুব অল্প পরিমাণে উৎপন্ন হয়, কিন্তু অন্যান্য অংশে পরিবাহিত হয়ে ঐ সমস্ত অঞ্চলে প্রগাঢ় ভাব বিস্তার করে, তাদের হরমোন (Hormones) বলা হয়।
(ii) যেহেতু হরমোনগুলি উৎপত্তিস্থল থেকে বহু দূরে পরিবাহিত হয়ে, সেখানে ক্রিয়াশীল হয়, সেইজন্য, হরমােনকে রাসায়নিক দূত (Chemical messengers) বলে। প্রাণিদেহের অভ্যন্তরীণ সময় হরমোন-রুপ জৈব রাসায়নিক পদার্থের সাহায্যে ঘটে বলে, এই ধরনের সমন্বয়কে রাসায়নিক সমন্বয় বলে।
প্রশ্ন 2. (i) উদ্ভিদ দেহের প্রাপ্ত হরমোনের নাম কি? (ii) এটি কোথায় উৎপন্ন হয়? (iii) উদ্ভিদ হরমোন কি কি ভাগে বিভক্ত?
উত্তর : (i) উদ্ভিদ-দেহে প্রাপ্ত হরমােনগুলিকে ফাইটোহরমোন (Phytohormones) বলা হয়।
(ii) উদ্ভিদের সাধারণতঃ বর্ধমান অঞ্চলের ভাজক কলায় (অর্থাৎ, মূল ও কাণ্ডের ডগার অংশে) পরিবহনযােগ্য হরমােন উৎপন্ন হয়। উদ্ভিদের অন্যান্য অংশেও, বিশেষ করে পরিণত কোষে হরমােন সংশ্লেষিত হয়।
(iii) উদ্ভিদ-হমােনগুলিকে প্রধান তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন—অক্সিন (Auxins), জিব্বারেলিন (Gibberellins ) এবং কাইনিন (Kinins)। এগুলি উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
উত্তর : (i) উদ্ভিদ-দেহে প্রাপ্ত হরমােনগুলিকে ফাইটোহরমোন (Phytohormones) বলা হয়।
(ii) উদ্ভিদের সাধারণতঃ বর্ধমান অঞ্চলের ভাজক কলায় (অর্থাৎ, মূল ও কাণ্ডের ডগার অংশে) পরিবহনযােগ্য হরমােন উৎপন্ন হয়। উদ্ভিদের অন্যান্য অংশেও, বিশেষ করে পরিণত কোষে হরমােন সংশ্লেষিত হয়।
(iii) উদ্ভিদ-হমােনগুলিকে প্রধান তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন—অক্সিন (Auxins), জিব্বারেলিন (Gibberellins ) এবং কাইনিন (Kinins)। এগুলি উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
প্রশ্ন 3. (i) অক্সিন শ্রেণীর হরমােনের প্রকৃতি কি? (ii) সচরাচর প্রাপ্ত দুটি উদ্ভিদ হরমােনের নাম কর। (iii) অক্সিনের কয়েকটি প্রাপ্তিস্থানের নাম কর ।
উত্তর : (i) অক্সিন শ্রেণীর হরমােনগুলি বিশেষ ধরনের জৈব অ্যাসিড অথবা জৈব অ্যাসিত থেকে প্রাপ্ত যৌগ।
(ii) ইণ্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড (Indole Acetic Acid, সংক্ষেপে IAA) এবং ইণ্ডোল অ্যাসিটোনাইট্রাইল (Indole Acetonitrile, সংক্ষেপে IAN) সচরাচর প্রাপ্য এই শ্রেণীর দুটি উদ্ভিদ-হরমোন।
(iii) ভুট্টা-দানা এবং কয়েক ধরনের ছত্রাক ও জীবাণু থেকে নানা ধরনের অক্সিন পাওয়া যায়। এছাড়া, মানুষের লালায় এবং মূত্রে (প্রচুর পরিমাণে) অক্সিন পাওয়া যায়।
উত্তর : (i) অক্সিন শ্রেণীর হরমােনগুলি বিশেষ ধরনের জৈব অ্যাসিড অথবা জৈব অ্যাসিত থেকে প্রাপ্ত যৌগ।
(ii) ইণ্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড (Indole Acetic Acid, সংক্ষেপে IAA) এবং ইণ্ডোল অ্যাসিটোনাইট্রাইল (Indole Acetonitrile, সংক্ষেপে IAN) সচরাচর প্রাপ্য এই শ্রেণীর দুটি উদ্ভিদ-হরমোন।
(iii) ভুট্টা-দানা এবং কয়েক ধরনের ছত্রাক ও জীবাণু থেকে নানা ধরনের অক্সিন পাওয়া যায়। এছাড়া, মানুষের লালায় এবং মূত্রে (প্রচুর পরিমাণে) অক্সিন পাওয়া যায়।
প্রশ্ন 4. অক্সিনের বিভিন্ন ক্রিয়াশীলতা (Action) কি কি?
উত্তর : (i) অক্সিন বৃদ্ধি সহায়ক হরমােন। এগুলি নিউক্লিয়াস বিভাজনে সাহায্য করে এবং নবজাত কোষ বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত করে।
(ii) উদ্ভিদের ট্রপিক চলন বিশেষ করে ফটোট্রপিজম ও জিওট্রপিজিম অক্সিনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত হয়। অক্মিন কাণ্ডের আলোকিত অংশের বিপরীত দিকে পরিবাহিত হয়।
(iii) অক্সিন (কাইনিনের উপস্থিতিতে) ক্যামবিয়াম নামে নামে গৌণ ভাজককলায় কোষ বিভাজনের সূচনা করে।
(iv) অক্সিনের প্রভাবে কোষের রসস্ফীত চাপ বৃদ্ধি পায় বলে এটি পরোক্ষভাবে জল শোষণে সাহায্য করে।
(v) নিষেকের পরে ডিম্বাশয়ে অক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায় বলে ডিম্বক বীজে এবং ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়।
(vi) অক্সিন উদ্ভিদের পাতা ও ফল ঝরে পড়া দেরী করে।
(vii) অক্সিনের প্রভাবে শীর্ষমুকুলের বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে কিন্তু কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ফলে অক্সিনের মাত্রা বেশি হলে বেশী শাখা-প্রশাখা সৃষ্টি হয় না।
(viii) অক্সিন পুষ্প-সৃষ্টির সূচনা করে।
(ix) উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণেও অক্সিন ভূমিকা গ্রহণ করে।
(x) অক্সিনের জন্য পাথরকুচি পাতার ধার থেকে ও অনেক উদ্ভিদের কর্তিত শাখা-প্রশাখা থেকে অস্থানিক মুল বের হয়।
উত্তর : (i) অক্সিন বৃদ্ধি সহায়ক হরমােন। এগুলি নিউক্লিয়াস বিভাজনে সাহায্য করে এবং নবজাত কোষ বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত করে।
(ii) উদ্ভিদের ট্রপিক চলন বিশেষ করে ফটোট্রপিজম ও জিওট্রপিজিম অক্সিনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত হয়। অক্মিন কাণ্ডের আলোকিত অংশের বিপরীত দিকে পরিবাহিত হয়।
(iii) অক্সিন (কাইনিনের উপস্থিতিতে) ক্যামবিয়াম নামে নামে গৌণ ভাজককলায় কোষ বিভাজনের সূচনা করে।
(iv) অক্সিনের প্রভাবে কোষের রসস্ফীত চাপ বৃদ্ধি পায় বলে এটি পরোক্ষভাবে জল শোষণে সাহায্য করে।
(v) নিষেকের পরে ডিম্বাশয়ে অক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায় বলে ডিম্বক বীজে এবং ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়।
(vi) অক্সিন উদ্ভিদের পাতা ও ফল ঝরে পড়া দেরী করে।
(vii) অক্সিনের প্রভাবে শীর্ষমুকুলের বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে কিন্তু কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ফলে অক্সিনের মাত্রা বেশি হলে বেশী শাখা-প্রশাখা সৃষ্টি হয় না।
(viii) অক্সিন পুষ্প-সৃষ্টির সূচনা করে।
(ix) উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণেও অক্সিন ভূমিকা গ্রহণ করে।
(x) অক্সিনের জন্য পাথরকুচি পাতার ধার থেকে ও অনেক উদ্ভিদের কর্তিত শাখা-প্রশাখা থেকে অস্থানিক মুল বের হয়।
প্রশ্ন 5. জিব্বারেলিন কি? এর উৎপত্তি মূলগুলির নাম কর।
উত্তর : কয়েকজন জাপানী বিজ্ঞানী জিব্বারেলা নামে ধানগাছের পরজীবী ছত্রাকে এই হরমােন আবিষ্কার করেন। জিব্বারেলিন শ্রেণীর হরমােনগুলি জৈব অ্যাসিড। এই হরমােন জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মধ্য দিয়ে সর্বদিকে প্রবাহিত হয়।
উদ্ভিদের শীর্ষমুকুল, অপরিণত পত্র, মূলের ডগা, বৃদ্ধিশীল বীজ প্রভৃতি এর উৎপত্তিস্থল।
উত্তর : কয়েকজন জাপানী বিজ্ঞানী জিব্বারেলা নামে ধানগাছের পরজীবী ছত্রাকে এই হরমােন আবিষ্কার করেন। জিব্বারেলিন শ্রেণীর হরমােনগুলি জৈব অ্যাসিড। এই হরমােন জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মধ্য দিয়ে সর্বদিকে প্রবাহিত হয়।
উদ্ভিদের শীর্ষমুকুল, অপরিণত পত্র, মূলের ডগা, বৃদ্ধিশীল বীজ প্রভৃতি এর উৎপত্তিস্থল।
প্রশ্ন 6. জিব্বারেলিন শ্রেণীর হরমােনের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়াশীলতা কি কি ?
উত্তর: এই শ্রেণীর হরমােন
(i) কোষ-বিভাজন এবং কোষের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
(ii) জিব্বারেলিনের উপস্থিতিতেও ক্যামবিয়ামের কোষ তাড়াতাড়ি বিভাজিত হয়।
(iii) এই হরমােনের ক্রিয়াশীলতায় পর্বমধ্য লম্বায় খুব বেড়ে যায়।
(iv) জিব্বারেলিন কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(v) ফলের মধ্যে বীজ তৈরী হওয়ার সময়, ঐরকম বীজে বেশি পরিমাণে জিব্বারেলিন পাওয়া যায়। বীজ-প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলে, বীজে জিব্বারেলিনের পরিমাণ খুবই কমে যায়, বীজের এই অবস্থাকে অব্যক্ত দশা (Dormancy) বলে ।
(vi) অনেক সময় জিব্বারেলিনের উপস্থিতিতেও বীজ-বিহীন ফল সৃষ্টি হয়।
(vii) পুষ্প-বিকাশে এবং উদ্ভিদের লিঙ্গের বাহ্য প্রকাশেও জিব্বারেলিনের ভূমিকা আছে ।
উত্তর: এই শ্রেণীর হরমােন
(i) কোষ-বিভাজন এবং কোষের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
(ii) জিব্বারেলিনের উপস্থিতিতেও ক্যামবিয়ামের কোষ তাড়াতাড়ি বিভাজিত হয়।
(iii) এই হরমােনের ক্রিয়াশীলতায় পর্বমধ্য লম্বায় খুব বেড়ে যায়।
(iv) জিব্বারেলিন কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(v) ফলের মধ্যে বীজ তৈরী হওয়ার সময়, ঐরকম বীজে বেশি পরিমাণে জিব্বারেলিন পাওয়া যায়। বীজ-প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলে, বীজে জিব্বারেলিনের পরিমাণ খুবই কমে যায়, বীজের এই অবস্থাকে অব্যক্ত দশা (Dormancy) বলে ।
(vi) অনেক সময় জিব্বারেলিনের উপস্থিতিতেও বীজ-বিহীন ফল সৃষ্টি হয়।
(vii) পুষ্প-বিকাশে এবং উদ্ভিদের লিঙ্গের বাহ্য প্রকাশেও জিব্বারেলিনের ভূমিকা আছে ।
প্রশ্ন 7. কাইনিনের ক্রিয়াশীলতা কি কি?
উত্তর : কাইনিনের ক্রিয়াশীলতার জন্য অক্সিনের উপস্থিতি প্রয়োজন। কাইনিন-
(i) উদ্ভিদের কোষ-বিভাজনে সাহায্য করে।
(ii) সদ্যোসৃষ্ট কোষের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
(iii) বীজের অঙ্কুরােদগম-এর ভূমিকা আছে।।
(iv) মুকুল-প্রস্তুতির সূচনা করে।
(v) শীর্ষ মুকুলের অব্যাহত বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে।
(vi) এই শ্রেণীর হরমােনগুলি জরা অবস্থায় পৌছানােকে বিলম্বিত করে।
উত্তর : কাইনিনের ক্রিয়াশীলতার জন্য অক্সিনের উপস্থিতি প্রয়োজন। কাইনিন-
(i) উদ্ভিদের কোষ-বিভাজনে সাহায্য করে।
(ii) সদ্যোসৃষ্ট কোষের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
(iii) বীজের অঙ্কুরােদগম-এর ভূমিকা আছে।।
(iv) মুকুল-প্রস্তুতির সূচনা করে।
(v) শীর্ষ মুকুলের অব্যাহত বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে।
(vi) এই শ্রেণীর হরমােনগুলি জরা অবস্থায় পৌছানােকে বিলম্বিত করে।
প্রশ্ন ৪. (i) সোমাটোট্রফিক হরমোনের অন্যান্য নাম কি? (ii) এর ক্ষরণের মূল কোথায়? (ii) এর প্রধান কাজ কি ক ?
উত্তর : (i) এই হরমোনকে সংক্ষেপে বলা হয় S T H, এই হরমোনের অন্যান্য নাম হল সোমেটোফিন, বৃদ্ধি উদ্দীপক হরমােন এবং বৃদ্ধি হরমোন।
(ii) এই হরমােন পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রখণ্ড থেকে ক্ষরিত হয়।
(iii) সােমােটোট্রফিক হরমোনের প্রধান কাজ হল:
(1) দেহের সামগ্রিক বিপাক এবং বৃদ্ধিকে, বিশেষ করে অস্থি এবং পেশীর বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করা,
(2) রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া,
(3) সােমাটোট্রফিন দুগ্ধবতী অবস্থায় দুগ্ধ-ক্ষরণ বৃদ্ধি করা,
(4) থাইমাস (Tlymus) গ্রন্থির বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করা,
(5) বৃদ্ধি-হরমােন খনিজ পদার্থের বিপাকে সাহায্য করা ইত্যাদি।
উত্তর : (i) এই হরমোনকে সংক্ষেপে বলা হয় S T H, এই হরমোনের অন্যান্য নাম হল সোমেটোফিন, বৃদ্ধি উদ্দীপক হরমােন এবং বৃদ্ধি হরমোন।
(ii) এই হরমােন পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রখণ্ড থেকে ক্ষরিত হয়।
(iii) সােমােটোট্রফিক হরমোনের প্রধান কাজ হল:
(1) দেহের সামগ্রিক বিপাক এবং বৃদ্ধিকে, বিশেষ করে অস্থি এবং পেশীর বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করা,
(2) রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া,
(3) সােমাটোট্রফিন দুগ্ধবতী অবস্থায় দুগ্ধ-ক্ষরণ বৃদ্ধি করা,
(4) থাইমাস (Tlymus) গ্রন্থির বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করা,
(5) বৃদ্ধি-হরমােন খনিজ পদার্থের বিপাকে সাহায্য করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন 9. কিভাবে ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়?
উত্তর : ইনসুলিন (i) যকৃৎ ও পেশীতে গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন সংশ্লেস ত্বরান্বিত করে।
(ii) রক্ত থেকে কলার কোষে গ্লুকোজ প্রবেশে সাহায্য করে এবং কোষের মধ্যে গ্লুকোজের জারণকে ত্বরান্বিত করে।
(iii) যকৃতে প্রােটীন এবং স্নেহদ্রব্য থেকে গ্লুকোজ প্রস্তুতিতে বাধা দেয়।
(iv) গ্লুকোজের কিছু অংশ স্নেহদ্রব্যে পরিবর্তিত হয়। ইনসুলিন এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ইনসুলিনের প্রভাবে মেদকলার কোষে এইভাবে গ্লুকোজ থেকে প্রস্তুত স্নেহদ্রব্য সঞ্চিত হতে থাকে।
উত্তর : ইনসুলিন (i) যকৃৎ ও পেশীতে গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন সংশ্লেস ত্বরান্বিত করে।
(ii) রক্ত থেকে কলার কোষে গ্লুকোজ প্রবেশে সাহায্য করে এবং কোষের মধ্যে গ্লুকোজের জারণকে ত্বরান্বিত করে।
(iii) যকৃতে প্রােটীন এবং স্নেহদ্রব্য থেকে গ্লুকোজ প্রস্তুতিতে বাধা দেয়।
(iv) গ্লুকোজের কিছু অংশ স্নেহদ্রব্যে পরিবর্তিত হয়। ইনসুলিন এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ইনসুলিনের প্রভাবে মেদকলার কোষে এইভাবে গ্লুকোজ থেকে প্রস্তুত স্নেহদ্রব্য সঞ্চিত হতে থাকে।
প্রশ্ন 10. থাইরক্সিনের বিভিন্ন কাজ সংক্ষেপে উল্লেখ কর।
উত্তর : এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমােন। এই হরমােন
(i) কতকটা অনুঘটকের মতাে কাজ করে। সমস্ত কলায় জারণ-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন কলার স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(ii) মৌল বিপাকের হার ত্বরান্বিত করে।
(iii) অন্ত্র-অঞ্চল থেকে গ্লুকোজ-শােষণকে উদ্দীপিত করে।
(iv) গ্লাইকোজেন এবং প্রােটীন ও স্নেহদ্রব্য থেকে গ্লুকোজ প্রস্তুতিতে সহায়তা করে।
(v) রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
(vi) স্তন্যগ্রন্থি থেকে দুগ্ধ-ক্ষরণের পরিমাণ এবং দুগ্ধে স্নেহদ্রব্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
(vii) থাইরক্সিন হৃদ্ঘাতের হার ত্বরান্বিত করে, ইত্যাদি।
উত্তর : এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমােন। এই হরমােন
(i) কতকটা অনুঘটকের মতাে কাজ করে। সমস্ত কলায় জারণ-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন কলার স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(ii) মৌল বিপাকের হার ত্বরান্বিত করে।
(iii) অন্ত্র-অঞ্চল থেকে গ্লুকোজ-শােষণকে উদ্দীপিত করে।
(iv) গ্লাইকোজেন এবং প্রােটীন ও স্নেহদ্রব্য থেকে গ্লুকোজ প্রস্তুতিতে সহায়তা করে।
(v) রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
(vi) স্তন্যগ্রন্থি থেকে দুগ্ধ-ক্ষরণের পরিমাণ এবং দুগ্ধে স্নেহদ্রব্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
(vii) থাইরক্সিন হৃদ্ঘাতের হার ত্বরান্বিত করে, ইত্যাদি।
প্রশ্ন 11. অ্যাডরিনালিনের প্রধান কাজ কি কি?
উত্তরঃ অ্যাডরিনালিনের প্রধান কাজ হল :
(i) হৃদঘাতের হার, রক্তপ্রেষ ও রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি,
(ii) মৌল বিপাকের হার বাড়ান,
(iii) এর প্রভাবে গায়ের লােম খাড়া হয়ে ওঠে ও ঘাম হয়।
(iv) অস্থি-সংলগ্ন পেশী এবং হৃৎপিণ্ডে সরবরাহকারী রক্তবাহগুলির গহ্বর বড় করে দেয় ; ফলে, ঐ সমস্ত অঞ্চলে বেশি পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে।
(v) অ্যাডরিনালিন চর্ম এবং পৌষ্টিক নালীর ধমনিকাগুলির ঘর ছোট করে দেয়। এর ফলে চর্ম ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং অন্ত্র অসাড় হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়।
(vi) অ্যাডরিনালিনের প্রভাবে তারারন্ধ এবং ব্রঙ্কিওলগুলির গহ্বর বড় হয়ে যায়; ফলে, শ্বাসকর্মের হার বেড়ে যায়।
উত্তরঃ অ্যাডরিনালিনের প্রধান কাজ হল :
(i) হৃদঘাতের হার, রক্তপ্রেষ ও রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি,
(ii) মৌল বিপাকের হার বাড়ান,
(iii) এর প্রভাবে গায়ের লােম খাড়া হয়ে ওঠে ও ঘাম হয়।
(iv) অস্থি-সংলগ্ন পেশী এবং হৃৎপিণ্ডে সরবরাহকারী রক্তবাহগুলির গহ্বর বড় করে দেয় ; ফলে, ঐ সমস্ত অঞ্চলে বেশি পরিমাণে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে।
(v) অ্যাডরিনালিন চর্ম এবং পৌষ্টিক নালীর ধমনিকাগুলির ঘর ছোট করে দেয়। এর ফলে চর্ম ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং অন্ত্র অসাড় হয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়।
(vi) অ্যাডরিনালিনের প্রভাবে তারারন্ধ এবং ব্রঙ্কিওলগুলির গহ্বর বড় হয়ে যায়; ফলে, শ্বাসকর্মের হার বেড়ে যায়।
প্রশ্ন 12. জিব্বারেলিন ও কাইনিনের পার্থক্যগুলি কি কি?
উত্তর : এদের পার্থক্যগুলি নিচের ছকে দেওয়া হল।
উত্তর : এদের পার্থক্যগুলি নিচের ছকে দেওয়া হল।
জিব্বারেলিন | কাইনিন |
(1) জৈব অ্যাসিড | (1) ক্ষারকীয় জৈব পদার্থ |
(2) জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মধ্য দিয়ে পরিবাহিত হয়। | (2) কাইনিনের পরিবহন-পদ্ধতি সঠিকভাবে জানা নেই। |
(3) জিব্বারেলিনের সঙ্গে জরার তেমন কোনও সম্পর্ক নেই। | (3) কাইনিন জরা অবস্থায় পৌছানােকে বিলম্বিত করে। |
(4) জিব্বারেলিনের উপস্থিতিতে বীজ-বিহীন ফল সৃষ্টি হয়। | (4) কাইনিন বীজ-বিহীন ফল সৃষ্টি করতে পারে না। |
(5) জিব্বারেলিন উদ্ভিদের লিঙ্গের বাহ্য প্রকাশ এবং পুষ্প-বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করে। | (5) কাইনিন উদ্ভিদের লিঙ্গের বাহ্য প্রকাশ এবং পুষ্প-বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করে না। |
(6) জিব্বারেলিন উৎপত্তিস্থলে ক্রিয়াশীল নয়। এই হরমােন কেবল উৎপত্তিস্থল থেকে দূরবর্তী স্থানে ক্রিয়াশীল হয়। | (6) কাইনিন উৎপত্তিস্থলে এবং উৎপত্তিস্থল থেকে দূরবর্তী স্থানে ক্রিয়াশীল হয়। |
(7) এর ক্রিয়াশীলতার জন্য অক্সিনের উপস্থিতি প্রয়ােজন হয় না। | (7) ক্রিয়াশীলতার জন্য অক্সিনের উপস্থিতি প্রয়ােজন হয়। |
উত্তরঃ নিচের ছকে ইনসুলিন ও অ্যাডরিনালিনের পার্থক্য দেওয়া হল।
ইনসুলিন | অ্যাডরিনালিন |
(1) অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে অবস্থিত আইলেটস অফ লাঙ্গারহান্স নামের কয়েক লক্ষ কোষগুচ্ছের অন্তর্গত বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন ক্ষরিত হয়। | (1) দুটি বৃকের অগ্রপ্রান্তে অবস্থিত দুটি অ্যাডরিনাল গ্রন্থির মেডালা অবস্থিত দুটি অ্যাডরিনাল গ্রন্থির মেডালা স্তর থেকে অ্যাডরিনালিন ক্ষরিত হয়। |
(2) এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ হ্রাস করে। | (2) রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। |
(3) এর ক্রিয়াশীলতা দীর্ঘস্থায়ী। | (3) এর ক্রিয়াশীলতা দীর্ঘস্থায়ী নয়। |
(4) জিব্বারেলিনের উপস্থিতিতে বীজ-বিহীন ফল সৃষ্টি হয়। | (4) স্বাভাবিক অবস্থায় অ্যাডরিনালিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেবল চরম মানসিক উত্তেজনা এবং জরুরী অবস্থায় অ্যাডরিনালিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। |
(5) এর অতিক্ষরণের ফলে দুর্বলতা ও আচ্ছন্নভাব দেখা দেয়। | (5) অতিক্ষরণের ফলে সবলতা এবং অতিমাত্রায় সক্রিয়তা দেখা দেয়। |
উত্তর : নিচের ছকে অনাল ও সনাল গ্রন্থির তুলনা দেওয়া হল।
অনাল গ্রন্থি | সনাল গ্রন্থি |
(1) এর নালী আছে। | (1) এর নালী নেই। |
(2) এর ক্ষরণ ব্যাপন পদ্ধতিতে সরাসরি রক্তে মিশে যায়। | (2) এর ক্ষরণ নালীর মাধ্যমে নির্গত হয়। |
(3) এটি হরমােন ক্ষরণ করে। | (3) এটি পাচক রস ক্ষরণ করে। [ স্বেদগ্রন্থি এবং তৈলগ্রন্থি ব্যতিক্রম ] |
(4) পিটুইটারি, আইলেটস অফ লাঙ্গাহা, থাইরয়েড গ্রন্থি, অ্যাড রিনাল গ্রন্থি ইত্যাদি অনাল গ্রন্থির উদাহরণ। | (4) যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, লালাগ্রন্থি, স্বেদগ্রন্থি, তৈলগ্রন্থি ইত্যাদি সনাল গ্রন্থির উদাহরণ। |
উত্তর : নিচের ছকে হরমােন ও উৎসেচকের পার্থক্যগুলি দেওয়া হল ।
হরমােন | উৎসেচক |
(1) এটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়। | (1) এটি বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয়। |
(2) হরমোন জীবদেহের এক স্থানে উৎপন্ন হওয়ার পর দূরবর্তী স্থানে পরিবাহিত হয়ে, ঐ সমস্ত অঞ্চলে প্রগাঢ় প্রভাব বিস্তার করে। | (2) কোনও উৎসেচক নির্দিষ্ট স্থানে উৎপন্ন হয়ে, নির্দিষ্ট ধরনের যোগের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। |
(3) হরমোন প্রােটীন অথবা প্রােটীন জাতীয় হতে পারে, না-ও হতে পারে। | (3) উৎসেচক-মাত্রই প্রােটীন অথবা প্রােটীন জাতীয়। |
(4) এটি জৈব অনুঘটকের মতাে কাজ করে না। | (4) এটি জীবদেহের বিভিন্ন বিপাক-বিক্রিয়ায় জৈৰ অনুঘটকের মতাে কাজ করে। |
প্রশ্ন 16. অনাল গ্রন্থি কাকে বলে?
উত্তরঃ উন্নততর প্রাণীদের দেহে হরমোন উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট কতকগুলো গ্রন্থি থাকে। যকৃত, অগ্ন্যাশয় প্রভৃতির নিজস্ব নালী থাকে। এইসব গ্রন্থির ক্ষরণ নালীপথে বেরিয়ে আসে। কিন্তু হরমােন উৎপাদনকারী গ্রন্থগুলির নালী থাকে না বলে এদের অনাল গ্রন্থি (Ductless glands) বলে । এদের ক্ষরণ গ্রন্থি থেকে ব্যাপন ক্রিয়ায় সরাসরি রক্তের সঙ্গে মিশে যায় ও দেহের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তরঃ উন্নততর প্রাণীদের দেহে হরমোন উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট কতকগুলো গ্রন্থি থাকে। যকৃত, অগ্ন্যাশয় প্রভৃতির নিজস্ব নালী থাকে। এইসব গ্রন্থির ক্ষরণ নালীপথে বেরিয়ে আসে। কিন্তু হরমােন উৎপাদনকারী গ্রন্থগুলির নালী থাকে না বলে এদের অনাল গ্রন্থি (Ductless glands) বলে । এদের ক্ষরণ গ্রন্থি থেকে ব্যাপন ক্রিয়ায় সরাসরি রক্তের সঙ্গে মিশে যায় ও দেহের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্ন 17. অক্সিন ও জিব্বারেলিনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কি কি ?
উত্তর : অক্সিনের সঙ্গে জিব্বারেলিনের প্রধান পার্থক্যগুলি হল :
(i) অক্সিন কেবল নিচের দিকে পরিবাহিত হয়, কিন্তু জিব্বারেলিন যে-কোনও দিকে পরিবাহিত হয়।
(ii) অক্সিন কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে, কিন্তু জিব্বারেলিন কাক্ষিক মুকুল বিকশিত হতে সাহায্য করে।
(ii) অক্সিন ট্রপিক চলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে, কিন্তু ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে জিব্বারেলিনের বিশেষ কোনও ভূমিকা নেই।
উত্তর : অক্সিনের সঙ্গে জিব্বারেলিনের প্রধান পার্থক্যগুলি হল :
(i) অক্সিন কেবল নিচের দিকে পরিবাহিত হয়, কিন্তু জিব্বারেলিন যে-কোনও দিকে পরিবাহিত হয়।
(ii) অক্সিন কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে, কিন্তু জিব্বারেলিন কাক্ষিক মুকুল বিকশিত হতে সাহায্য করে।
(ii) অক্সিন ট্রপিক চলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে, কিন্তু ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে জিব্বারেলিনের বিশেষ কোনও ভূমিকা নেই।
প্রশ্ন 18. জিব্বারেলিন ও কাইনিন হরমােন দুটির মধ্যে কয়েকটি সাদৃশ্য লেখ।
উত্তর : জিব্বারেলিন ও কাইনিন উভয়েরই মধ্যে কয়েকটি সাদৃশ্য হল : (i) উদ্ভিদের দ্রুত বৃদ্ধিশীল অঞ্চলে উৎপন্ন হয়, (ii) সবদিকে পরিবাহিত হয়, (iii) কোষ-বিভাজনে সাহায্য করে ইত্যাদি।
উত্তর : জিব্বারেলিন ও কাইনিন উভয়েরই মধ্যে কয়েকটি সাদৃশ্য হল : (i) উদ্ভিদের দ্রুত বৃদ্ধিশীল অঞ্চলে উৎপন্ন হয়, (ii) সবদিকে পরিবাহিত হয়, (iii) কোষ-বিভাজনে সাহায্য করে ইত্যাদি।
হরমোন (সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 1. অক্সিনের পরিবহন কিরূপ হয়?
উত্তর : অক্সিনের পরিবহন জীবিত কোষের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই পরিবহন ব্যাপনের দ্বারা হয় না। অক্সিন উৎপত্তিস্থল থেকে কেবল নিচের দিকে পরিবাহিত হয়। সুতরাং নিম্নাভিমুখী পরিবহন হল অক্সিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
উত্তর : অক্সিনের পরিবহন জীবিত কোষের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই পরিবহন ব্যাপনের দ্বারা হয় না। অক্সিন উৎপত্তিস্থল থেকে কেবল নিচের দিকে পরিবাহিত হয়। সুতরাং নিম্নাভিমুখী পরিবহন হল অক্সিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্ন 2. কাইনিনের পরিবহন কিরূপ হয় ?
উত্তরঃ কাইনিন উৎপত্তিস্থল থেকেই ক্রিয়াশীল হয়, কোন ক্ষেত্রে পরিবাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানে প্রভাব বিস্তার করে। এরা সব দিকে পরিবাহিত হয়।
উত্তরঃ কাইনিন উৎপত্তিস্থল থেকেই ক্রিয়াশীল হয়, কোন ক্ষেত্রে পরিবাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানে প্রভাব বিস্তার করে। এরা সব দিকে পরিবাহিত হয়।
প্রশ্ন 3. কৃষিকার্যে হরমােনের কয়েকটি ব্যবহারিক প্রয়ােগ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ বর্তমানে কৃষিকার্যে হরমােনের প্রয়ােগ করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি বিশেষ ব্যবহার দেখা যায় :
(i) শাখা কলম প্রস্তুতিতে, (ii) গােলআলু তাজা রাখতে, (iii) ফল চাষে, (iv) বীজ-বিহীন ফল উৎপাদনে, (v) জমিতে আগাছা দমনে, (vi) বীজের অঙ্কুরােদগমে।
উত্তরঃ বর্তমানে কৃষিকার্যে হরমােনের প্রয়ােগ করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি বিশেষ ব্যবহার দেখা যায় :
(i) শাখা কলম প্রস্তুতিতে, (ii) গােলআলু তাজা রাখতে, (iii) ফল চাষে, (iv) বীজ-বিহীন ফল উৎপাদনে, (v) জমিতে আগাছা দমনে, (vi) বীজের অঙ্কুরােদগমে।
প্রশ্ন 4. হরমােনের উচ্ছিষ্ট অঙ্গ বলতে কি বােঝায়?
উত্তর : কোন নির্দিষ্ট হরমােন নির্দিষ্ট অঙ্গের ওপর দীর্ঘস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব বিস্তার করে তাকে ঐ হরমােনের উদ্দিষ্ট অঙ্গ (Target organ) বলে ।
উত্তর : কোন নির্দিষ্ট হরমােন নির্দিষ্ট অঙ্গের ওপর দীর্ঘস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব বিস্তার করে তাকে ঐ হরমােনের উদ্দিষ্ট অঙ্গ (Target organ) বলে ।
প্রশ্ন 5. পিটুইটারি হরমােন কাকে বলে? পিটুইটারি গ্রন্থি কি কি ভাগে বিভক্ত?
উত্তর : পিটুইটারি গ্রন্থি নামের অনাল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমােনগুলিকে সাধারণ ভাবে পিটুইটারি হরমােন বলে।
পিটুইটারি গ্রন্থি দুভাগে বিভক্ত—(1) অগ্রখন্ড বা এন্টিরিয়র পিটুইটারি এবং (2) পশ্চাৎখণ্ড বা পােষ্টিরিয়ার পিটুইটারি।
উত্তর : পিটুইটারি গ্রন্থি নামের অনাল গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমােনগুলিকে সাধারণ ভাবে পিটুইটারি হরমােন বলে।
পিটুইটারি গ্রন্থি দুভাগে বিভক্ত—(1) অগ্রখন্ড বা এন্টিরিয়র পিটুইটারি এবং (2) পশ্চাৎখণ্ড বা পােষ্টিরিয়ার পিটুইটারি।
প্রশ্ন 26. ‘হরমােন’ কথাটি প্রথমে কে কবে ব্যবহার করেন?
উত্তর : 1905 সালে স্টার্লিং ‘হরমােন’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন।
উত্তর : 1905 সালে স্টার্লিং ‘হরমােন’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন।
প্রশ্ন 7. হরমােনের সঙ্গে উৎসেচকের পার্থক্য কি ?
উত্তর : হরমােন-ক্রিয়া সুদূরপ্রসারী ও ধীর, কিন্তু উৎসেচক-ক্রিয়া তাৎক্ষণিক ও দ্রুত।
উত্তর : হরমােন-ক্রিয়া সুদূরপ্রসারী ও ধীর, কিন্তু উৎসেচক-ক্রিয়া তাৎক্ষণিক ও দ্রুত।
প্রশ্ন 8. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি কাকে বলে?
উত্তর : নালী-বিহীন যে গ্রন্থি নিঃসৃত রস সরাসরি রক্তস্রোতে মেশে তাকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে।
উত্তর : নালী-বিহীন যে গ্রন্থি নিঃসৃত রস সরাসরি রক্তস্রোতে মেশে তাকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বলে।
প্রশ্ন 9. বহিঃক্ষরা গ্রন্থি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব গ্রন্থি নালীমুক্ত এবং যাদের ক্ষতি পদার্থ নালী মাধ্যমে বাইরে এসে তাদের বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বলে।
উত্তরঃ যে সব গ্রন্থি নালীমুক্ত এবং যাদের ক্ষতি পদার্থ নালী মাধ্যমে বাইরে এসে তাদের বহিঃক্ষরা গ্রন্থি বলে।
প্রশ্ন 10. উদ্ভিদদেহের দুটি হরমোনের নাম ও কাজের উল্লেখ কর।
উত্তর : ক্লোরিজেন ও জিব্বারেলিন, এরা যথাক্রমে গাছে ফুল ফোটাতে এবং গাছের বৃদ্ধির সাহায্যকারী হরমােন।
উত্তর : ক্লোরিজেন ও জিব্বারেলিন, এরা যথাক্রমে গাছে ফুল ফোটাতে এবং গাছের বৃদ্ধির সাহায্যকারী হরমােন।
প্রশ্ন 11. আইলেটস্ অব ল্যাঙ্গারহানস্ কাকে বলে? ইহা কি উৎপন্ন করে?
উত্তর : অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত কতকগুলো কলাগুচ্ছ আছে, এদের বলা হয় আইলেটস্ অব ল্যাঙ্গারহানস্। এই কলগুচ্ছ গুলো ইনসুলিন ও গ্লকাগণ উৎপন্ন করে।
উত্তর : অগ্ন্যাশয়ের মধ্যে ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত কতকগুলো কলাগুচ্ছ আছে, এদের বলা হয় আইলেটস্ অব ল্যাঙ্গারহানস্। এই কলগুচ্ছ গুলো ইনসুলিন ও গ্লকাগণ উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন 12. কাণ্ড ও মূলের ওপরে অক্সিনের প্রতিক্রিয়া কি?
উত্তর : কাণ্ড ও মূলের ওপরে অক্সিনের প্রতিক্রিয়া বিপরীত। একই ঘনত্বের অক্সিন যখন কাণ্ডের কোষের বিভাজন ত্বরান্বিত করে তখন মূলের কোষের বিভাজন কমায়।
উত্তর : কাণ্ড ও মূলের ওপরে অক্সিনের প্রতিক্রিয়া বিপরীত। একই ঘনত্বের অক্সিন যখন কাণ্ডের কোষের বিভাজন ত্বরান্বিত করে তখন মূলের কোষের বিভাজন কমায়।
প্রশ্ন 13. স্থানীয় হরমোন কাকে বলে? এদের কাজ কি?
উত্তরঃ পৌষ্টিকনালীর বিশেষ বিশেষ স্থানে, যেমন পাকস্থলী ও ডিওডেনামে, বিশেষ বিশেষ হরমোন উৎপন্ন হয়, এদের বলা হয় স্থানীয় হরমােন। এরা খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
উত্তরঃ পৌষ্টিকনালীর বিশেষ বিশেষ স্থানে, যেমন পাকস্থলী ও ডিওডেনামে, বিশেষ বিশেষ হরমোন উৎপন্ন হয়, এদের বলা হয় স্থানীয় হরমােন। এরা খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
প্রশ্ন 14. অক্সিন কোথায় উৎপন্ন হয়?
উত্তর: কাণ্ডে ও মূলের অগ্রভাগে অক্সিন উৎপন্ন হয়।
উত্তর: কাণ্ডে ও মূলের অগ্রভাগে অক্সিন উৎপন্ন হয়।
হরমোন (অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 1. কিরূপ জীবে হরমােন থাকে না?
উত্তর : অনুন্নত ধরনের জীবে।
উত্তর : অনুন্নত ধরনের জীবে।
প্রশ্ন 2. উদ্ভিদদেহে প্রাপ্ত হরমোনকে কি বলে?
উত্তর : ফাইটো হরমােন।
উত্তর : ফাইটো হরমােন।
প্রশ্ন 3. উদ্ভিদের কোথায় প্রধানতঃ পরিবহনযােগ্য হরমোন উৎপন্ন হয়?
উত্তর : মূল ও কাণ্ডের ডগায়।
উত্তর : মূল ও কাণ্ডের ডগায়।
প্রশ্ন 4. মানুষের কি জিনিষে প্রচুর হরমােন পাওয়া যায় ?
উত্তর : মূত্রে।
উত্তর : মূত্রে।
প্রশ্ন 5. অক্সিন কিরূপ সহায়ক হরমােন ?
উত্তর : বৃদ্ধি সহায়ক।
উত্তর : বৃদ্ধি সহায়ক।
প্রশ্ন 6. উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বৃদ্ধিজনিত চলন নিয়ন্ত্ৰণ করে কে?
উত্তর : অক্সিন।
উত্তর : অক্সিন।
প্রশ্ন 7. নিষেক ছাড়া ফল সৃষ্টি হওয়াকে কি বলে ?
উত্তর : পার্থেনােকার্পি ।
উত্তর : পার্থেনােকার্পি ।
প্রশ্ন 8. কোন্ পাতার কিনারা থেকে অস্থানিক মূল বের হয়?
উত্তর : পাথরকুচি পাতা।
উত্তর : পাথরকুচি পাতা।
প্রশ্ন 9. ধানগাছের পরজীবী ছত্রাকে কি হরমােন পাওয়া যায়?
উত্তর : জিব্বারেলিন।
উত্তর : জিব্বারেলিন।
প্রশ্ন 10. ভুট্টা দানায় কি নামে কাইনিন পাওয়া যায় ?
উত্তর : জিয়াটিন।
উত্তর : জিয়াটিন।
প্রশ্ন 11. মানুষের শরীরের একটি মিশ্র গ্রন্থির নাম কর।
উত্তর : অগ্ন্যাশয়।
উত্তর : অগ্ন্যাশয়।
প্রশ্ন 12. কোন হরমোন বীজহীন ফল সৃষ্টি করতে পারে না?
উত্তর : কাইনিন।
উত্তর : কাইনিন।
প্রশ্ন 13. অঙ্কুরােদগমের আগে বীজে কার মাত্রা বাড়ে?
উত্তর : জিব্বারেলিন।
উত্তর : জিব্বারেলিন।
প্রশ্ন 14. কোন্ দশায় বীজের অঙ্কুরােদগম হয় না?
উত্তর : অব্যক্ত দশায়।
উত্তর : অব্যক্ত দশায়।
প্রশ্ন 15. কোন্ হরমোন মুকুল প্রস্তুতির সূচনা করে?
উত্তর : কাইনিন।
উত্তর : কাইনিন।
প্রশ্ন 16. যে বীজ সহজে অঙ্কুরিত হয় না তার ক্ষেত্রে কোনটি প্রয়ােগ করা হয়?
উত্তর : জিব্বারেলিন।
উত্তর : জিব্বারেলিন।
প্রশ্ন 17. হরমোন উৎপাদন গ্রন্থির কি নালী থাকে?
উত্তর : না।
উত্তর : না।
প্রশ্ন 18. পিটুইটারি গ্রন্থি কার মধ্যে অবস্থিত?
উত্তর : করােটির মধ্যে।
উত্তর : করােটির মধ্যে।
প্রশ্ন 19. কোন হরমোন রক্তে গ্লকোজ বৃদ্ধি করে?
উত্তর : সােমাটোট্রফিক হরমােন।
উত্তর : সােমাটোট্রফিক হরমােন।
প্রশ্ন 20. রক্তে গ্লকোজের পরিমাণ কমায় কোন্ হরমােন?
উত্তর : ইনসুলিন।
উত্তর : ইনসুলিন।
প্রশ্ন 21. ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয়ের বৃদ্ধি ও ক্রিয়াশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে কে?
উত্তর : গােনাডােট্রফিক হরমোন।
উত্তর : গােনাডােট্রফিক হরমোন।
প্রশ্ন 22. আলফা ও বিটা কোষ কোথায় থাকে?
উত্তর : আইলেটস অফ লাঙ্গারহানসে।
উত্তর : আইলেটস অফ লাঙ্গারহানসে।
প্রশ্ন 23. রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়লে কোন্ রােগ হয়?
উত্তর : মধুমেহ।
উত্তর : মধুমেহ।
প্রশ্ন 24. কোন্ হরমোন কতকটা অনুটকের মত কাজ করে?
উত্তর : থাইরক্সিন।
উত্তর : থাইরক্সিন।
প্রশ্ন 25. বিশালকায় দৈহিক অবস্থাকে বলে?
উত্তর : প্রান্তবৃদ্ধি।
উত্তর : প্রান্তবৃদ্ধি।
প্রশ্ন 26. হরমােন সৃষ্টিকারী গ্রন্থিকে কি বলে?
উত্তর : এণ্ডোক্রিন গ্রন্থি।
উত্তর : এণ্ডোক্রিন গ্রন্থি।
প্রশ্ন 27. থাইরক্সিন স্বল্পতায় শিশুর কোন্ রােগ হয়?
উত্তর : ক্রেটিনিজম।
উত্তর : ক্রেটিনিজম।
প্রশ্ন 28. প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে থাইরক্সিনের ক্ষরণ কম হলে কি হয়?
উত্তর : মিক্সিডিমা রােগ হয়।
উত্তর : মিক্সিডিমা রােগ হয়।
প্রশ্ন 29. অপরিণত বয়সে পিটুইটারীর কম ক্ষরণের ফলে কি হয়?
উত্তর : বামনত্ব (Dwarfism)।
উত্তর : বামনত্ব (Dwarfism)।
প্রশ্ন 30. অপরিণত বয়সে পিটুইটারী বেশী ক্ষরণের ফলে কি হয়?
উত্তরঃ দৈত্যাকৃতি রােগ (Gigantism )।
উত্তরঃ দৈত্যাকৃতি রােগ (Gigantism )।
প্রশ্ন 31. কোন্ হরমােন গাছের ফুল ফোটাতে সাহায্য করে ?
উত্তর : ফ্লোরিজেন।
উত্তর : ফ্লোরিজেন।
প্রশ্ন 32. অক্সিন কি ?
উত্তরঃ এক প্রকার উদ্ভিদ হরমােন।
উত্তরঃ এক প্রকার উদ্ভিদ হরমােন।
প্রশ্ন 33. পিটুইটারী গ্রন্থি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: মস্তিষ্কের তৃতীয় গহ্বরের নিচে।
উত্তর: মস্তিষ্কের তৃতীয় গহ্বরের নিচে।
প্রশ্ন 34. অ্যাডরিনাল গ্রন্থি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: প্রতিটি বৃক্কের ওপরদিকে।
উত্তর: প্রতিটি বৃক্কের ওপরদিকে।
প্রশ্ন 35. টিটেনি কি ?
উত্তর : নার্ভঘটিত রােগ।
উত্তর : নার্ভঘটিত রােগ।
প্রশ্ন 36. থাইরয়েড গ্রন্থি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর : শ্বাসনালীর তৃতীয় তরুণাস্থি বলয়ের দুধারে।
উত্তর : শ্বাসনালীর তৃতীয় তরুণাস্থি বলয়ের দুধারে।
প্রশ্ন 37. খাদ্যে প্রয়ােজন অনুপাতে আয়ােডিন না থাকলে কি হয়?
উত্তর : গলগণ্ড রোগ।
উত্তর : গলগণ্ড রোগ।
প্রশ্ন 38. ইনসুলিন কি ?
উত্তর : অগ্ন্যাশয় নিঃসৃত একটি হরমোন।
উত্তর : অগ্ন্যাশয় নিঃসৃত একটি হরমোন।
প্রশ্ন 39. মানবদেহে প্রধান হরমোেন উৎপাদক গ্রন্থি কি?
উত্তর :পিটুইটারী গ্রন্থি।
উত্তর :পিটুইটারী গ্রন্থি।
প্রশ্ন 40. অক্সিন ক’প্রকার ও কি কি?
উত্তর : অক্সিন তিন প্রকার—অক্সিন ‘এ’, অক্সিন ‘বি’ এবং হেটারাে অক্সিন।
উত্তর : অক্সিন তিন প্রকার—অক্সিন ‘এ’, অক্সিন ‘বি’ এবং হেটারাে অক্সিন।
প্রশ্ন 41. উদ্ভিদে কোনো অনাল গ্রন্থি আছে কি ?
উত্তর : না।
উত্তর : না।
প্রশ্ন 42. রক্তে মুকোজের মাত্রা কমানাে কার কাজ ?
উত্তর : ইনসুলিনের।
উত্তর : ইনসুলিনের।
নিচের শব্দগুলাের পুরাে নাম কি?
প্রশ্ন 75. (i) IBA, (ii) NAA, (ii) 2, 4—D, (iv) IAN, (v) ACTH, (vi) STH, (vii) TSH, (viii) GTH.
প্রশ্ন 75. (i) IBA, (ii) NAA, (ii) 2, 4—D, (iv) IAN, (v) ACTH, (vi) STH, (vii) TSH, (viii) GTH.
উত্তর : (i) IBA→ইণ্ডোল বুটাইরিক অ্যাসিড, (ii) NAA→ন্যাপথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড,
(iii) 2, 4-D→2, 4 ডাইক্লোরােফিনাক্সি অ্যাসিটিক অ্যাসিড, (iv) IAN→ইণ্ডোল অ্যাসিটোনাইট্রাইল,
(v) ACTH→অ্যাডরিনাে কটিক্রোট্রপিক হরমােন, (vi) STH→সােমাটোট্রপিক হরমােন,
(vii) TSH→থাইরােট্রপিক হরমােন,
(viii) GTH→গােনাডােট্রপিক হরমোেন।
(iii) 2, 4-D→2, 4 ডাইক্লোরােফিনাক্সি অ্যাসিটিক অ্যাসিড, (iv) IAN→ইণ্ডোল অ্যাসিটোনাইট্রাইল,
(v) ACTH→অ্যাডরিনাে কটিক্রোট্রপিক হরমােন, (vi) STH→সােমাটোট্রপিক হরমােন,
(vii) TSH→থাইরােট্রপিক হরমােন,
(viii) GTH→গােনাডােট্রপিক হরমোেন।