নাৰ্ভতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রিয় (রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 1. (i) নাৰ্ভতন্ত্র কাকে বলে ? (ii) তার কাজ কি? (iii) এটি মূলতঃ কি দিয়ে গঠিত?
উত্তর : (i) নার্ভ-তন্ত্র: যে অঙ্গতন্ত্রের সাহায্যে (জ্ঞানেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে) প্রাণী পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে এবং দেহের বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতার সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে নার্ভ-তন্ত্র (nervous system) বলে।
(ii) জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলির মাধ্যমে পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা এবং প্রাণিদেহের বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতার সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ করা নাৰ্ভতন্ত্রের কাজ।
(iii) নাৰ্ভতন্ত্র মূলতঃ নার্ভসেল বা নিউরােন নামের বিশিষ্ট ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত।
নিউরােন আবার (1) কোষদেহ (cell body ), (2) ডেনড্রন (Dendrons ) এবং (3) অ্যাক্সন (Axon) —এই তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত।
উত্তর : (i) নার্ভ-তন্ত্র: যে অঙ্গতন্ত্রের সাহায্যে (জ্ঞানেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে) প্রাণী পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে এবং দেহের বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতার সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে নার্ভ-তন্ত্র (nervous system) বলে।
(ii) জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলির মাধ্যমে পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা এবং প্রাণিদেহের বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতার সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ করা নাৰ্ভতন্ত্রের কাজ।
(iii) নাৰ্ভতন্ত্র মূলতঃ নার্ভসেল বা নিউরােন নামের বিশিষ্ট ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত।
নিউরােন আবার (1) কোষদেহ (cell body ), (2) ডেনড্রন (Dendrons ) এবং (3) অ্যাক্সন (Axon) —এই তিনটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন 2. নিউরােনের গঠনের চিত্র অঙ্কন করে তার বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত কর।
উত্তর : নিচে নিউরােনের গঠনের চিত্র দেওয়া হল।
উত্তর : নিচে নিউরােনের গঠনের চিত্র দেওয়া হল।
প্রশ্ন 3. নার্ভ কাকে বলে এবং কয়প্রকার। প্রত্যেক প্রকারের গঠন ও কাজ কি।
উত্তর : নার্ভ (Nerve): রক্তবাহ সমন্বিত যােগকলা দিয়ে বেষ্টিত একটি অথবা অনেকগুলি নাৰ্ভতন্তুকে (বা গুচ্ছকে) নার্ভ বলে। গঠন ও কাজ অনুসারে এটি তিন প্রকার-(i) বহির্বাহী নার্ভ, (ii) অন্তর্বাহী নার্ভ এবং (iii) মিশ্র নার্ভ।
(i) বহির্বাহী নার্ভ (Efferent nerve) : যে নার্ভ কেবল চেষ্টা-নার্ভ-তন্তু দিয়ে গঠিত, তাকে চেষ্টা-নার্ভ (Motor nerve) বলা হয়। এই ধরনের নার্ভ বহির্বাহী। এই নার্ভ কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র থেকে জ্ঞানেন্দ্রিয় পেশী, ইত্যাদির দিকে নার্ভ-স্পন্দন বহন করে।
(ii) অন্তর্বাহী নার্ভ (Afferent nerve) : যে নার্ভ কেবল সংবেদ-নার্ভ-তন্তু দিয়ে তৈরী হয়, তাকে সজ্ঞাবহ নার্ভ (Sensory nerve) বলে। এইরকম নার্ভ অন্তর্বাহী। এটি জানেন্দ্রিয়, পেশী ইত্যাদি থেকে কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্রের দিকে নার্ভ-স্পন্দন বহন করে।
(iii) মিশ্র নার্ভ ( Mixed nerve) : যে নার্ভ সংবেদ-নার্ভ-তন্তু এবং চেষ্টা-নার্ভ-তন্তু -এই দুই ধরনেরই নার্ভ-তন্তু দিয়ে তৈরি, তাকে বলা হয় মিশ্র নার্ভ। এই ধরনের নার্ভ চেষ্টীয় নার্ভ এবং সংজ্ঞাবহ নার্ভ -উভয় নার্ভ-এরই কাজ করে থাকে।
উত্তর : নার্ভ (Nerve): রক্তবাহ সমন্বিত যােগকলা দিয়ে বেষ্টিত একটি অথবা অনেকগুলি নাৰ্ভতন্তুকে (বা গুচ্ছকে) নার্ভ বলে। গঠন ও কাজ অনুসারে এটি তিন প্রকার-(i) বহির্বাহী নার্ভ, (ii) অন্তর্বাহী নার্ভ এবং (iii) মিশ্র নার্ভ।
(i) বহির্বাহী নার্ভ (Efferent nerve) : যে নার্ভ কেবল চেষ্টা-নার্ভ-তন্তু দিয়ে গঠিত, তাকে চেষ্টা-নার্ভ (Motor nerve) বলা হয়। এই ধরনের নার্ভ বহির্বাহী। এই নার্ভ কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র থেকে জ্ঞানেন্দ্রিয় পেশী, ইত্যাদির দিকে নার্ভ-স্পন্দন বহন করে।
(ii) অন্তর্বাহী নার্ভ (Afferent nerve) : যে নার্ভ কেবল সংবেদ-নার্ভ-তন্তু দিয়ে তৈরী হয়, তাকে সজ্ঞাবহ নার্ভ (Sensory nerve) বলে। এইরকম নার্ভ অন্তর্বাহী। এটি জানেন্দ্রিয়, পেশী ইত্যাদি থেকে কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্রের দিকে নার্ভ-স্পন্দন বহন করে।
(iii) মিশ্র নার্ভ ( Mixed nerve) : যে নার্ভ সংবেদ-নার্ভ-তন্তু এবং চেষ্টা-নার্ভ-তন্তু -এই দুই ধরনেরই নার্ভ-তন্তু দিয়ে তৈরি, তাকে বলা হয় মিশ্র নার্ভ। এই ধরনের নার্ভ চেষ্টীয় নার্ভ এবং সংজ্ঞাবহ নার্ভ -উভয় নার্ভ-এরই কাজ করে থাকে।
প্রশ্ন 4. (i) কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র কি? (ii) এর মধ্যে কি থাকে ? (iii) মেনিনজেস কাকে বলে? (iv) মস্তিস্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড কোথায় সুরক্ষিত থাকে?
উত্তর : (i) মস্তিষ্ক ( Brain ) এবং এর পিছনদিক থেকে উৎপন্ন সুষুম্নাকাণ্ড ( Spinal cord) নিয়ে গঠিত নার্ভতন্ত্রের যে প্রধান অংশ দেহের পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বরাবর সামনের দিক থেকে পিছনের দিক পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে, তাকে কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র (Central nervous system ) বলে।
(ii) কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র ফাঁপা —মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে এবং সুষুম্নাকাণ্ডের কেন্দ্র-বরাবর যে গহবর থাকে তা এই সেরিব্রোস্পাইনাল তরল দিয়ে পূর্ণ।
(iii) মস্তিস্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড দুটি স্তরে বিন্যস্ত তিনটি পর্দা দ্বারা নির্মিত আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে। এই আবরণগুলিকে মেনিন্জেস (Meninges) বলে।
(iv) করােটিকা (Cranium) নামের অস্থি-নির্মিত প্রকোষ্ঠের মধ্যে মস্তিস্ক এবং মেরুদণ্ডের নিউরাল ক্যানাল (Neural canal ) নামে একটি গহ্বরের মধ্যে সুষুম্নাকাণ্ড সুরক্ষিত থাকে।
উত্তর : (i) মস্তিষ্ক ( Brain ) এবং এর পিছনদিক থেকে উৎপন্ন সুষুম্নাকাণ্ড ( Spinal cord) নিয়ে গঠিত নার্ভতন্ত্রের যে প্রধান অংশ দেহের পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বরাবর সামনের দিক থেকে পিছনের দিক পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে, তাকে কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র (Central nervous system ) বলে।
(ii) কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র ফাঁপা —মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে এবং সুষুম্নাকাণ্ডের কেন্দ্র-বরাবর যে গহবর থাকে তা এই সেরিব্রোস্পাইনাল তরল দিয়ে পূর্ণ।
(iii) মস্তিস্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড দুটি স্তরে বিন্যস্ত তিনটি পর্দা দ্বারা নির্মিত আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে। এই আবরণগুলিকে মেনিন্জেস (Meninges) বলে।
(iv) করােটিকা (Cranium) নামের অস্থি-নির্মিত প্রকোষ্ঠের মধ্যে মস্তিস্ক এবং মেরুদণ্ডের নিউরাল ক্যানাল (Neural canal ) নামে একটি গহ্বরের মধ্যে সুষুম্নাকাণ্ড সুরক্ষিত থাকে।
প্রশ্ন 5. (i) মস্তিষ্কের প্রধান ভাগ কি কি? (ii) প্রত্যেক প্রকারের কাজ কি কি ?উত্তর : (i) সামনের দিক থেকে মস্তিষ্কের প্রধান তিনটি ভাগ হল যথাক্রমে (1) পুরােমস্তিষ্ক (Fore-brain), (2) মধ্যমস্তিষ্ক (Mid-brain) এবং (3) পরাঙমস্তিস্ক (Hind-brain)।
(ii) (1) পুরোমস্তিষ্কের প্রধান কাজ হল : ঘ্রাণেন্দ্রিয় অর্থাৎ, নাক থেকে সংজ্ঞাবহ নার্ভ দ্বারা বহন করে আনা ও গ্রহণ করা, যাবতীয় সচেতন অনুভূতি ও আচরণ, স্মরণশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা, আবেগ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা।
(2) মধ্যমস্তিস্কের প্রধান কাজ হল : দর্শনেন্দ্রিয় অর্থাৎ, চোখ থেকে সংজ্ঞাবহ নার্ভ দ্বারা বহন করে আনা নার্ভ-স্পন্দন গ্রহণ করা।
(3) পরাঙ মস্তিস্কের প্রধান কাজ হল : (a) ভারসাম্য রক্ষা করা, (b) শ্রবণেন্দ্রিয় অর্থাৎ, কান এবং স্পর্শেন্দ্রিয় অর্থাৎ, ত্বক থেকে সংজ্ঞাবহ নার্ভ দ্বারা বহন করে আনা নার্ভ-স্পন্দন গ্রহণ করা, (c) অস্থি-সংলগ্ন পেশীর সঙ্কোচন, দেহভঙ্গি, শাসক ও হৃদঘাতের হার, দৈহিক উষ্ণতা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা।
(ii) (1) পুরোমস্তিষ্কের প্রধান কাজ হল : ঘ্রাণেন্দ্রিয় অর্থাৎ, নাক থেকে সংজ্ঞাবহ নার্ভ দ্বারা বহন করে আনা ও গ্রহণ করা, যাবতীয় সচেতন অনুভূতি ও আচরণ, স্মরণশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা, আবেগ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা।
(2) মধ্যমস্তিস্কের প্রধান কাজ হল : দর্শনেন্দ্রিয় অর্থাৎ, চোখ থেকে সংজ্ঞাবহ নার্ভ দ্বারা বহন করে আনা নার্ভ-স্পন্দন গ্রহণ করা।
(3) পরাঙ মস্তিস্কের প্রধান কাজ হল : (a) ভারসাম্য রক্ষা করা, (b) শ্রবণেন্দ্রিয় অর্থাৎ, কান এবং স্পর্শেন্দ্রিয় অর্থাৎ, ত্বক থেকে সংজ্ঞাবহ নার্ভ দ্বারা বহন করে আনা নার্ভ-স্পন্দন গ্রহণ করা, (c) অস্থি-সংলগ্ন পেশীর সঙ্কোচন, দেহভঙ্গি, শাসক ও হৃদঘাতের হার, দৈহিক উষ্ণতা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা।
প্রশ্ন 6. (1) জ্ঞানেন্দ্রিয় কাকে বলে? (ii) মানুষের জ্ঞানেন্দ্রিয় কি কি? এই দ্বারা কি কি হয়? (iii) চক্ষু কি? এটি কয় প্রকার? কোন্ কোন্ প্রাণীর কিরূপ চক্ষু থাকে তা বল।
উত্তর : (i) জ্ঞানেন্দ্রিয় (Sense organ): প্রাণিদেহের যে অংশ (নার্ভতন্ত্রের সহযােগিতায়) উদ্দীপকের প্রভাব গ্রহণ করতে পারে (অর্থাৎ, দেহের ভিতরে অথবা বাইরে কি ঘটছে, তা নির্ধারণ করতে পারে), তাকে জ্ঞানেন্দ্রিয় বলা হয়।
(ii) মানুষের জ্ঞানেন্দ্রিয় প্রধানত পাঁচ প্রকার- চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা ও ত্বক। এইগুলির সাহায্যে যথাক্রমে আলোক, শব্দ, গন্ধ, স্বাদ ও স্পর্শ অনুভুতি গৃহীত হয়।
(iii) চক্ষু বা চোখ আলোক অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে।
প্রাণীরাজ্যে প্রধানত দুই ধরনের চক্ষু আছে—পুঞ্জাক্ষি ( Compound eye) এবং সরলাক্ষি (Simple eye)। চিংড়ি, পতঙ্গ ইত্যাদি সন্ধিপদী প্রাণীদের মাথায় একজোড়া করে পুঞ্জাক্ষি থাকে । এই ধরনের চোখের সাহায্যে সৃষ্ট প্রতিবিম্ব, অবশ্য খুব স্পষ্ট হয় না। মানুষ ও অন্যান্য সমস্ত মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মাথায় একজোড়া করে সরলাক্ষি থাকে।
উন্নত ধরনের প্রাণীরা চোখের সাহায্যে দেখতে পায়, কিন্তু অনুন্নত ধরনের প্রাণীরা চোখের সাহায্যে কেবল আলো-আঁধারের পার্থক্য বুঝতে পারে।
উত্তর : (i) জ্ঞানেন্দ্রিয় (Sense organ): প্রাণিদেহের যে অংশ (নার্ভতন্ত্রের সহযােগিতায়) উদ্দীপকের প্রভাব গ্রহণ করতে পারে (অর্থাৎ, দেহের ভিতরে অথবা বাইরে কি ঘটছে, তা নির্ধারণ করতে পারে), তাকে জ্ঞানেন্দ্রিয় বলা হয়।
(ii) মানুষের জ্ঞানেন্দ্রিয় প্রধানত পাঁচ প্রকার- চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহবা ও ত্বক। এইগুলির সাহায্যে যথাক্রমে আলোক, শব্দ, গন্ধ, স্বাদ ও স্পর্শ অনুভুতি গৃহীত হয়।
(iii) চক্ষু বা চোখ আলোক অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে।
প্রাণীরাজ্যে প্রধানত দুই ধরনের চক্ষু আছে—পুঞ্জাক্ষি ( Compound eye) এবং সরলাক্ষি (Simple eye)। চিংড়ি, পতঙ্গ ইত্যাদি সন্ধিপদী প্রাণীদের মাথায় একজোড়া করে পুঞ্জাক্ষি থাকে । এই ধরনের চোখের সাহায্যে সৃষ্ট প্রতিবিম্ব, অবশ্য খুব স্পষ্ট হয় না। মানুষ ও অন্যান্য সমস্ত মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মাথায় একজোড়া করে সরলাক্ষি থাকে।
উন্নত ধরনের প্রাণীরা চোখের সাহায্যে দেখতে পায়, কিন্তু অনুন্নত ধরনের প্রাণীরা চোখের সাহায্যে কেবল আলো-আঁধারের পার্থক্য বুঝতে পারে।
প্রশ্ন 7. মানুষের চক্ষুর রক্ষী অংশের বিভিন্ন অবস্থান, গঠন ও কাজ চিত্র অঙ্কন করে আলােচনা কর।
উত্তর : মানুষের মাথার সামনের দিকে, নাকের দুপাশে যে দুটি চোখ থাকে তার অংশগুলি রক্ষী অংশ (Protective parts) এবং অক্ষিগোলক (Eyeball) নামে দুভাগে বিভক্ত।
মানুষের চোখের রক্ষী অংশগুলির অবস্থান, গঠন ও কাজ সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করা হল।
(i) অক্ষিকোটর ( Orbit ): প্রতিটি অক্ষিগোলক করােটির সামনের দিকে অবস্থিত অক্ষিকোটর নামের অস্থিনির্মিত একটি গহ্বরের মধ্যে ছটি পেশী এবং অপটিক নার্ভ ( Optic nerve)-এর সাহায্যে আবদ্ধ থাকে। এই পেশীগুলির সাহায্যে অক্ষিগোলক পাশাপাশি এবং উপর-নিচে নড়াচড়া করতে পারে।
(a) অক্ষিগােলককে ধারণ করা এবং (b) জোরালো আঘাত থেকে অক্ষিগােলককে রক্ষা করা অক্ষিকোটরের কাজ।।
(ii) চোখের পাতা (Eyelids ): যে দুটি পেশীযুক্ত পাতলা পর্দা দিয়ে চোখ বন্ধ করা হয় তাদের চোখের পাতা বলে। উপরের এবং নিচের দিকেরটির নাম যথাক্রমে উপরের চোখের পাতা (Upper eyelid) এবং নিচের চোখের পাতা (Lower eyelid )। পাখি, ব্যাঙ এবং কয়েক রকম মেরুদণ্ডী প্রাণীর উপপল্লব (Nictitating membrane) নামের তৃতীয় একটি চোখের পাতা থাকে। এটি খুব পাতলা, ঈষদচ্ছ এবং আড়াআড়িভাবে চোখকে ঢেকে দেয়। মানুষের উপপলব ক্ষয়প্রাপ্ত, কাজ-বিহীন, খুব ছােট লালচে মাংসপিণ্ডের মতাে এবং চোখের ভিতরের কোণার দিকে অবস্থিত।
অক্ষিগােলকের সামনের দিকের তলকে ধূলা-বালি থেকে রক্ষা করা চোখের পাতার কাজ।
উত্তর : মানুষের মাথার সামনের দিকে, নাকের দুপাশে যে দুটি চোখ থাকে তার অংশগুলি রক্ষী অংশ (Protective parts) এবং অক্ষিগোলক (Eyeball) নামে দুভাগে বিভক্ত।
মানুষের চোখের রক্ষী অংশগুলির অবস্থান, গঠন ও কাজ সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করা হল।
(i) অক্ষিকোটর ( Orbit ): প্রতিটি অক্ষিগোলক করােটির সামনের দিকে অবস্থিত অক্ষিকোটর নামের অস্থিনির্মিত একটি গহ্বরের মধ্যে ছটি পেশী এবং অপটিক নার্ভ ( Optic nerve)-এর সাহায্যে আবদ্ধ থাকে। এই পেশীগুলির সাহায্যে অক্ষিগোলক পাশাপাশি এবং উপর-নিচে নড়াচড়া করতে পারে।
(a) অক্ষিগােলককে ধারণ করা এবং (b) জোরালো আঘাত থেকে অক্ষিগােলককে রক্ষা করা অক্ষিকোটরের কাজ।।
(ii) চোখের পাতা (Eyelids ): যে দুটি পেশীযুক্ত পাতলা পর্দা দিয়ে চোখ বন্ধ করা হয় তাদের চোখের পাতা বলে। উপরের এবং নিচের দিকেরটির নাম যথাক্রমে উপরের চোখের পাতা (Upper eyelid) এবং নিচের চোখের পাতা (Lower eyelid )। পাখি, ব্যাঙ এবং কয়েক রকম মেরুদণ্ডী প্রাণীর উপপল্লব (Nictitating membrane) নামের তৃতীয় একটি চোখের পাতা থাকে। এটি খুব পাতলা, ঈষদচ্ছ এবং আড়াআড়িভাবে চোখকে ঢেকে দেয়। মানুষের উপপলব ক্ষয়প্রাপ্ত, কাজ-বিহীন, খুব ছােট লালচে মাংসপিণ্ডের মতাে এবং চোখের ভিতরের কোণার দিকে অবস্থিত।
অক্ষিগােলকের সামনের দিকের তলকে ধূলা-বালি থেকে রক্ষা করা চোখের পাতার কাজ।
(iii) ভ্রু (Eyebrow) ও অক্ষিপক্ষ ( Eyelash ) : অক্ষিকোটরের উপরের দিকের পরিধি বরাবর অবস্থিত লােমের সারিকে ভ্রু এবং চোখের পাতার মুক্ত-প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত এক সারি করে লোমকে অক্ষিপক্ষ বলা হয়।
ভ্রু এবং অক্ষিপক্ষ চোখের আচ্ছাদনের কাজ করে এবং চোখে অতিরিক্ত আলাে এবং বৃষ্টির জল ও ঘাম প্রবেশে বাধা দেয়।
(iv) নেত্রবত্মকলা বা কনজাংটিভা (Conjunctiva) : এটি চোখের পাতার ভিতরের তলে অবস্থিত একরকম পাতলা আবরণী কলা।
এটি ধূলা-বালি থেকে চোখের পাতার ভিতরের তলকে রক্ষা করে ।
(v) অশ্রু-গ্রন্থি ( Tear gland ): উপরের চোখের পাতা এবং অক্ষিগােলকের সংযোগস্থলের কাছে একটি করে অশ্রু-গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থির নালীগুলি উপরের চোখের পাতার নিচের তলের কাছে মুক্ত হয়।
অশ্রু অর্থাৎ, চোখের জল ক্ষরণ করা অশ্রু-গ্রন্থির কাজ।
(iv) নেত্রবত্মকলা বা কনজাংটিভা (Conjunctiva) : এটি চোখের পাতার ভিতরের তলে অবস্থিত একরকম পাতলা আবরণী কলা।
এটি ধূলা-বালি থেকে চোখের পাতার ভিতরের তলকে রক্ষা করে ।
(v) অশ্রু-গ্রন্থি ( Tear gland ): উপরের চোখের পাতা এবং অক্ষিগােলকের সংযোগস্থলের কাছে একটি করে অশ্রু-গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থির নালীগুলি উপরের চোখের পাতার নিচের তলের কাছে মুক্ত হয়।
অশ্রু অর্থাৎ, চোখের জল ক্ষরণ করা অশ্রু-গ্রন্থির কাজ।
প্রশ্ন ৪. মানুষের অক্ষিগােলকের বিভিন্ন অংশের অবস্থান, গঠন ও কাজ চিত্রসহ আলােচনা কর।
উত্তর : অক্ষিগােলক মূলতঃ দেখতে গােলাকার এবং তরলপূর্ণ। এর প্রাকার পর পর অবস্থিত তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত। অক্ষিগোলকের বিভিন্ন অংশের অবস্থান, গঠন ও কাজ সম্বন্ধে সংক্ষেপে নিচে আলােচনা করা হল।
(i) শ্বেতমণ্ডল ( Sclera ): অক্ষিগােলকের বাইরের দিকের যে স্তরটি পুরু, তন্তুময় এবং শক্ত তাকে শ্বেতমণ্ডল বলে। এর পিছনের দিকের বেশির ভাগ অংশই সাদা রঙের (প্রশ্ন 7-এর চিত্র দেখ )।
কাজ : শ্বেতমণ্ডল শক্ত বলে এটি অক্ষিগােলকের আকৃতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(ii) অচ্ছোদপটল বা কর্নিয়া (Cornea): শ্বেতমণ্ডলের বাইরের দিকের বাকী স্বচ্ছ অংশকে অচ্ছোদপটল বলে। কনজাংটিভার পাতলা ও স্বচ্ছ আবরণ দিয়ে অচ্ছেদপটলের বাইরের তল ঢাকা থাকে।
কাজ : অচ্ছোদপটলের মধ্য দিয়ে অক্ষিগোলকের ভিতরের দিকের অংশগুলিতে আলো প্রবেশ করে।
আলোক-রশ্মিগুলি এই সময়ে অচ্ছোদপটলের বলে প্রতিসরিত হয়ে একগুচ্ছ অভিসারী আলােকরশ্মিতে পরিবর্তিত হয়।
(iii) কৃষ্ণমণ্ডল (Choroid): অক্ষিগোলকের মাঝখানের স্তরটি কালো (কারণ, এর মধ্যে কালাে এক কণা থাকে) এবং কৃষ্ণমণ্ডল নামে পরিচিত। এই স্তরে অনেক রক্তবাহ থাকে।
কাজঃ এটি অক্ষিগোলকে খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং এই স্তর (কালাে হওয়ায়) অক্ষিগোলকের মধ্যে আলাের প্রতিফলন হ্রাস করে।
(iv) কনীনিকা (Iris ): কৃষ্ণমণ্ডল সামনের দিকে শ্বেতমণ্ডল ও অচ্ছোদপটলের সংযোগ ভিতরের দিকে বেঁকে গিয়ে, অচ্ছোদপটলের পিছন দিকে একটি বৃত্তাকার, পাতলা ও রঙ্গক কণাযুক্ত পর্দা সৃষ্টি করে। এই পর্দার নাম কনীনিকা। কনীনিকায় বৃত্তাকার ও অরীয় এই দুই ধরনের পেশী এবং রঙ্গক কণা থাকে।
কাজ: কনীনিকার বৃত্তাকার ও অরীয় পেশীগুলির সঙ্কোচনে তারারন্ধ্র যথাক্রমে ছোট ও বড় হয়ে যায়। কনীনিকা এইভাবে তারারন্ধ্রের মধ্যে আলো-প্রবেশের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
(v) তারারন্ধ্র ( Pupil): কনীনিকার কেন্দ্রে একটি ছিদ্র থাকে তাকে তারারন্ধ্র বলে।
কাজ: তারারন্ধ্রের ভিতর দিয়ে অক্ষিগোলকের মধ্যে আলাে প্রবেশ করে।
(vi) অক্ষিপট বা রেটিনা (Retina): অক্ষিগোলকের ভিতরের স্তরটিকে অক্ষিপট বলে। এটি দু’ ধরনের একস্তর আলােক-সুবেদী কোষ নিয়ে গঠিত—(1) প্রায় সাড়ে এগারো কোটি লম্বাটে ও বেলনাকার রড কোষ (Rod cells) এবং (2) প্রায় পয়ষটি লক্ষ ছােট ও মােটামুটি শাঙ্কব কোন কোষ (Cone cells)। রড ও কোন কোষগুলি যথাক্রমে মৃদু ও তীব্র আলােক-অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে। কোন কোষগুলি রঙীন বস্তু দেখায় সাহায্য করে।
রড ও কোন কোষগুলির সঙ্গে যুক্ত নার্ভ-তন্তুগুলি মিলিতভাবে অক্ষিগােলকের পেছন থেকে বেরিয়ে অপটিক নার্ভ গঠন করে। অপটিক নার্ভ ও অক্ষিপটের সংযােগস্থলে রড ও কোন কোষ থাকে না। এই অঞ্চল আলােক-সুবেদী নয় বলে একে অন্ধবিন্দু (Blind spot) বলে। এতে প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয় না। অক্ষিপটের কেন্দ্রে যে একটি ক্ষুদ্র অবতল অঞ্চল থাকে তার নাম পীতবিন্দু (Yellow spot) বা ফোভিয়া ( Fovea)। পীতবিন্দু অক্ষিপটের সবচেয়ে বেশি আলােক-সুবেদী অঞ্চল এবং এখানে কেবল কোন কোষ থাকে। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার সময় বস্তুর প্রতিবিম্ব এখানেই সৃষ্টি হয়।
কাজঃ বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করা অক্ষিপটের কাজ।
(vii) লেন্স (Lens): কনীনিকার পিছনে একটি স্বচ্ছ, দ্বি-উত্তল লেন্স থাকে। কৃষ্ণমণ্ডলের মুক্ত প্রান্ত স্ফীত এবং সিলিয়ারি বডি (Cilliary body) নামে পরিচিত। এই অংশ থেকে উৎপন্ন সূক্ষ্ম সুতার মতো কতকগুলি সাসপেনসরি লিগামেনট (Suspensory ligaments )-এর সাহায্যে লেন্সটি অক্ষিগোলকের গহ্বরে ঝুলে থাকে।
কাজঃ বস্তু থেকে আগত অপসারী অলোকরশ্মি গুলি অক্ষিগোলকের কয়েকটি অংশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার
সময় প্রতি দরিত হয়ে একগুচ্ছ অভিসারী অলোক-রশ্মি হিসাবে অক্ষিপটে এসে পড়ে বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। অপসারী আলোকরশ্মিগুলিকে অভিসারী আলােক-রশ্মিগুচ্ছে পরিবর্তিত হতে লেন্স সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে।
উত্তর : অক্ষিগােলক মূলতঃ দেখতে গােলাকার এবং তরলপূর্ণ। এর প্রাকার পর পর অবস্থিত তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত। অক্ষিগোলকের বিভিন্ন অংশের অবস্থান, গঠন ও কাজ সম্বন্ধে সংক্ষেপে নিচে আলােচনা করা হল।
(i) শ্বেতমণ্ডল ( Sclera ): অক্ষিগােলকের বাইরের দিকের যে স্তরটি পুরু, তন্তুময় এবং শক্ত তাকে শ্বেতমণ্ডল বলে। এর পিছনের দিকের বেশির ভাগ অংশই সাদা রঙের (প্রশ্ন 7-এর চিত্র দেখ )।
কাজ : শ্বেতমণ্ডল শক্ত বলে এটি অক্ষিগােলকের আকৃতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(ii) অচ্ছোদপটল বা কর্নিয়া (Cornea): শ্বেতমণ্ডলের বাইরের দিকের বাকী স্বচ্ছ অংশকে অচ্ছোদপটল বলে। কনজাংটিভার পাতলা ও স্বচ্ছ আবরণ দিয়ে অচ্ছেদপটলের বাইরের তল ঢাকা থাকে।
কাজ : অচ্ছোদপটলের মধ্য দিয়ে অক্ষিগোলকের ভিতরের দিকের অংশগুলিতে আলো প্রবেশ করে।
আলোক-রশ্মিগুলি এই সময়ে অচ্ছোদপটলের বলে প্রতিসরিত হয়ে একগুচ্ছ অভিসারী আলােকরশ্মিতে পরিবর্তিত হয়।
(iii) কৃষ্ণমণ্ডল (Choroid): অক্ষিগোলকের মাঝখানের স্তরটি কালো (কারণ, এর মধ্যে কালাে এক কণা থাকে) এবং কৃষ্ণমণ্ডল নামে পরিচিত। এই স্তরে অনেক রক্তবাহ থাকে।
কাজঃ এটি অক্ষিগোলকে খাদ্য ও অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং এই স্তর (কালাে হওয়ায়) অক্ষিগোলকের মধ্যে আলাের প্রতিফলন হ্রাস করে।
(iv) কনীনিকা (Iris ): কৃষ্ণমণ্ডল সামনের দিকে শ্বেতমণ্ডল ও অচ্ছোদপটলের সংযোগ ভিতরের দিকে বেঁকে গিয়ে, অচ্ছোদপটলের পিছন দিকে একটি বৃত্তাকার, পাতলা ও রঙ্গক কণাযুক্ত পর্দা সৃষ্টি করে। এই পর্দার নাম কনীনিকা। কনীনিকায় বৃত্তাকার ও অরীয় এই দুই ধরনের পেশী এবং রঙ্গক কণা থাকে।
কাজ: কনীনিকার বৃত্তাকার ও অরীয় পেশীগুলির সঙ্কোচনে তারারন্ধ্র যথাক্রমে ছোট ও বড় হয়ে যায়। কনীনিকা এইভাবে তারারন্ধ্রের মধ্যে আলো-প্রবেশের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
(v) তারারন্ধ্র ( Pupil): কনীনিকার কেন্দ্রে একটি ছিদ্র থাকে তাকে তারারন্ধ্র বলে।
কাজ: তারারন্ধ্রের ভিতর দিয়ে অক্ষিগোলকের মধ্যে আলাে প্রবেশ করে।
(vi) অক্ষিপট বা রেটিনা (Retina): অক্ষিগোলকের ভিতরের স্তরটিকে অক্ষিপট বলে। এটি দু’ ধরনের একস্তর আলােক-সুবেদী কোষ নিয়ে গঠিত—(1) প্রায় সাড়ে এগারো কোটি লম্বাটে ও বেলনাকার রড কোষ (Rod cells) এবং (2) প্রায় পয়ষটি লক্ষ ছােট ও মােটামুটি শাঙ্কব কোন কোষ (Cone cells)। রড ও কোন কোষগুলি যথাক্রমে মৃদু ও তীব্র আলােক-অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে। কোন কোষগুলি রঙীন বস্তু দেখায় সাহায্য করে।
রড ও কোন কোষগুলির সঙ্গে যুক্ত নার্ভ-তন্তুগুলি মিলিতভাবে অক্ষিগােলকের পেছন থেকে বেরিয়ে অপটিক নার্ভ গঠন করে। অপটিক নার্ভ ও অক্ষিপটের সংযােগস্থলে রড ও কোন কোষ থাকে না। এই অঞ্চল আলােক-সুবেদী নয় বলে একে অন্ধবিন্দু (Blind spot) বলে। এতে প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয় না। অক্ষিপটের কেন্দ্রে যে একটি ক্ষুদ্র অবতল অঞ্চল থাকে তার নাম পীতবিন্দু (Yellow spot) বা ফোভিয়া ( Fovea)। পীতবিন্দু অক্ষিপটের সবচেয়ে বেশি আলােক-সুবেদী অঞ্চল এবং এখানে কেবল কোন কোষ থাকে। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার সময় বস্তুর প্রতিবিম্ব এখানেই সৃষ্টি হয়।
কাজঃ বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করা অক্ষিপটের কাজ।
(vii) লেন্স (Lens): কনীনিকার পিছনে একটি স্বচ্ছ, দ্বি-উত্তল লেন্স থাকে। কৃষ্ণমণ্ডলের মুক্ত প্রান্ত স্ফীত এবং সিলিয়ারি বডি (Cilliary body) নামে পরিচিত। এই অংশ থেকে উৎপন্ন সূক্ষ্ম সুতার মতো কতকগুলি সাসপেনসরি লিগামেনট (Suspensory ligaments )-এর সাহায্যে লেন্সটি অক্ষিগোলকের গহ্বরে ঝুলে থাকে।
কাজঃ বস্তু থেকে আগত অপসারী অলোকরশ্মি গুলি অক্ষিগোলকের কয়েকটি অংশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার
সময় প্রতি দরিত হয়ে একগুচ্ছ অভিসারী অলোক-রশ্মি হিসাবে অক্ষিপটে এসে পড়ে বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। অপসারী আলোকরশ্মিগুলিকে অভিসারী আলােক-রশ্মিগুচ্ছে পরিবর্তিত হতে লেন্স সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে।
প্রঃ 9. (i) মেরুদণ্ডী প্রাণীর কানের প্রধান ভাগ কি কি ? (ii) মানুষের কানের গঠন ও কাজ চিত্র দিয়ে আলােচনা কর।
উত্তর : বিভিন্ন দলের মেরুদণ্ডী প্রাণীর কানের গঠনে কম-বেশি পার্থক্য থাকলেও সমস্ত মেরুদণ্ডী প্রাণীর কানের গঠনের মূলগত ভিত্তি একই। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মাথার দু-পাশে যে দুটি কান থাকে তার প্রধান অংশ তিনটি হল : (1) বহিঃকর্ণ (External ear), (2) মধ্যকর্ণ (Middle ear) এবং (3) অন্তঃকর্ণ (Internal ear)।
(ii) (a) বহিঃকর্ণ মানুষ এবং অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর বহিঃকর্ণ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত।
(1) কর্ণছত্র (Pinna): মানুষের মাথার দুপাশে যে দুটি উপবৃত্তাকার অবতল অংশ থাকে তাদের বলা হয় কর্ণছত্র। কর্ণছত্রের কাঠামো তৈরী হয় কোমলাস্থি দিয়ে।
কাজ: এর কাজ হল শব্দ তরঙ্গ সংগ্রহ করা।
(2) কর্ণকুহর (External auditory meatus ) : কর্ণছত্রের কেন্দ্র থেকে মাথার ভিতরের দিকে একটি সরু ও লম্বাটে গহ্বর চলে যায়। নালীর মতাে এই গহ্বরেৱ নাম কর্ণকুহর।
(3) কর্ণপটহ ( Ear drum): কর্ণকুহরের শেষপ্রান্তে একটি গােল পর্দা থাকে, তাকে কর্ণপটহ বলে।
কাজঃ কর্ণছত্র দ্বারা সংগৃহীত শব্দ-তরঙ্গ পরিবহন করা কর্ণকুহর ও কর্ণপটহের কাজ।
(b) মধ্যকর্ণঃ কর্ণপটহের বিপরীতদিকে একটি ছােট, বায়ুপূর্ণ প্রকোষ্ঠ থাকে তাকে মধ্যকর্ণ বলে। এই প্রকোষ্ঠে বিশেষ আকৃতির ছোট ছোট তিনটি অস্থি নিদিষ্ট রীতিতে সাজানো থাকে এদের কর্ণ-অস্থি (Ear ossicles) বলে। বাইরের দিক থেকে ভিতরের দিকে এদের নাম যথাক্রমে (1) হাতুড়ি (Mallet বা Malleus), (2) নেহাই (Anvil) বা ইনকাস (Incus) এবং (3) রেকাব (Stirrup) বা স্টেপিস (Stepes)। স্টেপিস অন্তঃকর্ণের ডিম্বাকার পর্দা নামের পর্দার সঙ্গে যুক্ত থাকে।
মধ্যকর্ণ ইউষ্টেকিয়ান নালী (Eustachian tube) নামের একটি নালীর মাধ্যমে গলবিলের সঙ্গে সংযোগ রাখা করে।
কাজ: বহিঃকর্ণ থেকে অন্তঃকর্ণে শব্দতরঙ্গ পরিবহন করা মধ্যকর্ণের কাজ।
(c) অন্তঃকর্ণ করোটির মধ্যে অস্থি-নির্মিত প্রকোষ্ঠে অন্তঃকর্ণ থাকে। এই প্রকোষ্ঠের প্রাকার এবং অন্তঃকর্ণের মধ্যবর্তী অঞ্চলে পেরিলিমফ (Perilymph) নামের তরল থাকে। অন্তঃকর্ণ প্রধানত উপর-নিচে অবস্থিত তিনটি বিভিন্ন আকৃতির থলির মতাে অংশ দিয়ে গঠিত।
(1) ইউট্রিকুলাস (Utriculus) : অন্তঃকর্ণের উপরের দিকের থলির মতাে অংশটির নাম ইউট্রিকুলাস। এর উপরের দিকে তিনটি অর্ধ-বৃত্তাকার নালী থাকে। এই নালীগুলি পরস্পর সমকোণে অবস্থিত—এদের দুটি উল্লম্ব তলে এবং তৃতীয়টি অনুভূমিক তলে থাকে।
(2) স্যাকুলাস (Sacculus): ল্যাবাইরিনথের মাঝের থলিটির নাম স্যাকুলাস।
(3) ককলিয়া (Cochlea ) স্যাকুলাসের নিচের দিকে থাকে অন্তঃকর্ণের তৃতীয় অংশ। এটি প্যাচানাে এবং এর নাম ককলিয়া।
কাজ: (i) শ্ৰবণ, (ii) স্যাকুলাস, ইউট্রিকুলাস এবং অর্থ-বৃত্তাকার নালীগুলি ভারসাম্য-রক্ষা এবং (iii) দেহের স্বাভাবিক অবস্থান বজায় রাখা এই তিনটি প্রধান কাজ।
উত্তর : বিভিন্ন দলের মেরুদণ্ডী প্রাণীর কানের গঠনে কম-বেশি পার্থক্য থাকলেও সমস্ত মেরুদণ্ডী প্রাণীর কানের গঠনের মূলগত ভিত্তি একই। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের মাথার দু-পাশে যে দুটি কান থাকে তার প্রধান অংশ তিনটি হল : (1) বহিঃকর্ণ (External ear), (2) মধ্যকর্ণ (Middle ear) এবং (3) অন্তঃকর্ণ (Internal ear)।
(ii) (a) বহিঃকর্ণ মানুষ এবং অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীর বহিঃকর্ণ তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত।
(1) কর্ণছত্র (Pinna): মানুষের মাথার দুপাশে যে দুটি উপবৃত্তাকার অবতল অংশ থাকে তাদের বলা হয় কর্ণছত্র। কর্ণছত্রের কাঠামো তৈরী হয় কোমলাস্থি দিয়ে।
কাজ: এর কাজ হল শব্দ তরঙ্গ সংগ্রহ করা।
(2) কর্ণকুহর (External auditory meatus ) : কর্ণছত্রের কেন্দ্র থেকে মাথার ভিতরের দিকে একটি সরু ও লম্বাটে গহ্বর চলে যায়। নালীর মতাে এই গহ্বরেৱ নাম কর্ণকুহর।
(3) কর্ণপটহ ( Ear drum): কর্ণকুহরের শেষপ্রান্তে একটি গােল পর্দা থাকে, তাকে কর্ণপটহ বলে।
কাজঃ কর্ণছত্র দ্বারা সংগৃহীত শব্দ-তরঙ্গ পরিবহন করা কর্ণকুহর ও কর্ণপটহের কাজ।
(b) মধ্যকর্ণঃ কর্ণপটহের বিপরীতদিকে একটি ছােট, বায়ুপূর্ণ প্রকোষ্ঠ থাকে তাকে মধ্যকর্ণ বলে। এই প্রকোষ্ঠে বিশেষ আকৃতির ছোট ছোট তিনটি অস্থি নিদিষ্ট রীতিতে সাজানো থাকে এদের কর্ণ-অস্থি (Ear ossicles) বলে। বাইরের দিক থেকে ভিতরের দিকে এদের নাম যথাক্রমে (1) হাতুড়ি (Mallet বা Malleus), (2) নেহাই (Anvil) বা ইনকাস (Incus) এবং (3) রেকাব (Stirrup) বা স্টেপিস (Stepes)। স্টেপিস অন্তঃকর্ণের ডিম্বাকার পর্দা নামের পর্দার সঙ্গে যুক্ত থাকে।
মধ্যকর্ণ ইউষ্টেকিয়ান নালী (Eustachian tube) নামের একটি নালীর মাধ্যমে গলবিলের সঙ্গে সংযোগ রাখা করে।
কাজ: বহিঃকর্ণ থেকে অন্তঃকর্ণে শব্দতরঙ্গ পরিবহন করা মধ্যকর্ণের কাজ।
(c) অন্তঃকর্ণ করোটির মধ্যে অস্থি-নির্মিত প্রকোষ্ঠে অন্তঃকর্ণ থাকে। এই প্রকোষ্ঠের প্রাকার এবং অন্তঃকর্ণের মধ্যবর্তী অঞ্চলে পেরিলিমফ (Perilymph) নামের তরল থাকে। অন্তঃকর্ণ প্রধানত উপর-নিচে অবস্থিত তিনটি বিভিন্ন আকৃতির থলির মতাে অংশ দিয়ে গঠিত।
(1) ইউট্রিকুলাস (Utriculus) : অন্তঃকর্ণের উপরের দিকের থলির মতাে অংশটির নাম ইউট্রিকুলাস। এর উপরের দিকে তিনটি অর্ধ-বৃত্তাকার নালী থাকে। এই নালীগুলি পরস্পর সমকোণে অবস্থিত—এদের দুটি উল্লম্ব তলে এবং তৃতীয়টি অনুভূমিক তলে থাকে।
(2) স্যাকুলাস (Sacculus): ল্যাবাইরিনথের মাঝের থলিটির নাম স্যাকুলাস।
(3) ককলিয়া (Cochlea ) স্যাকুলাসের নিচের দিকে থাকে অন্তঃকর্ণের তৃতীয় অংশ। এটি প্যাচানাে এবং এর নাম ককলিয়া।
কাজ: (i) শ্ৰবণ, (ii) স্যাকুলাস, ইউট্রিকুলাস এবং অর্থ-বৃত্তাকার নালীগুলি ভারসাম্য-রক্ষা এবং (iii) দেহের স্বাভাবিক অবস্থান বজায় রাখা এই তিনটি প্রধান কাজ।
প্রশ্ন 10. (i) জিহবার ওপর কি থাকে? তাদের কাজ কি? (ii) আমরা বস্তুর স্বাদ কিভাবে অনুভব করি? (iii) মানুষের জিহবায় যে সব স্বাদ অনুভব করার অঞ্চল আছে তা চিত্র অঙ্কন করে চিহ্নিত কর ।
উত্তরঃ (i) স্বাদেন্দ্রিয় জিহবায় অসংখ্য স্বাদ-কোরক (Taste buds) নামের বিশিষ্ট গ্রাহক থাকে। স্বাদ-কোরকে রোমের মতো প্রলম্বিত অংশযুক্ত একগুচ্ছ সংবেদ-কোষ থাকে এবং স্বাদ-কোরকগুলি রাসায়নিক অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে।
উত্তরঃ (i) স্বাদেন্দ্রিয় জিহবায় অসংখ্য স্বাদ-কোরক (Taste buds) নামের বিশিষ্ট গ্রাহক থাকে। স্বাদ-কোরকে রোমের মতো প্রলম্বিত অংশযুক্ত একগুচ্ছ সংবেদ-কোষ থাকে এবং স্বাদ-কোরকগুলি রাসায়নিক অনুভূতি গ্রহণ করতে পারে।
(ii) আমরা যখন খাবার মুখে নিয়ে চিবাই সেই সমস্ত চর্বিত বস্তু লালায় দ্রবীভূত হয়ে, স্বাদ-কোরককে উদ্দীপিত করে। ঐ উদ্দীপনা নার্ভ-স্পন্দনরূপে মস্তিষ্কে যখন পৌঁছায় তখন আমরা বস্তুর স্বাদ অনুভব করে থাকি।
(iii) মানুষের জিহ্বায় মিষ্ট, লােনা, টক এবং তিতা—এই চার প্রকার স্বাদ অনুভব করার জন্য নির্দিষ্ট অঞ্চল আছে। সেগুলি হল :
(1) জিহ্বার ডগায় এবং দুপাশ-বরাবর কিছুদূর পর্যন্ত (চিত্র-ক) মিষ্ট স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল,
(2) জিহ্বার ডগা এবং দুপাশ-বরাবর প্রায় গােড়া পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল (চিত্র-খ) লােনা স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল,
(3) জিহ্বার দুপাশ-বরাবর অবস্থিত এবং গােড়া পর্যন্ত প্রসারিত সরু অঞ্চল (চিত্র-গ) টক স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল এবং
(4) জিহ্বার গােড়ায় (চিত্র- ঘ) থাকে তিতা স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল।
(iii) মানুষের জিহ্বায় মিষ্ট, লােনা, টক এবং তিতা—এই চার প্রকার স্বাদ অনুভব করার জন্য নির্দিষ্ট অঞ্চল আছে। সেগুলি হল :
(1) জিহ্বার ডগায় এবং দুপাশ-বরাবর কিছুদূর পর্যন্ত (চিত্র-ক) মিষ্ট স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল,
(2) জিহ্বার ডগা এবং দুপাশ-বরাবর প্রায় গােড়া পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল (চিত্র-খ) লােনা স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল,
(3) জিহ্বার দুপাশ-বরাবর অবস্থিত এবং গােড়া পর্যন্ত প্রসারিত সরু অঞ্চল (চিত্র-গ) টক স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল এবং
(4) জিহ্বার গােড়ায় (চিত্র- ঘ) থাকে তিতা স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল।
নাৰ্ভতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রিয় (সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 11. উত্তেজিতা কি ?
উত্তর : উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তাকে উত্তেজিতা বলে।
উত্তর : উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তাকে উত্তেজিতা বলে।
প্রশ্ন 12. নিউরন বা নার্ভকোষ কাকে বলে ?
উত্তর : নাৰ্ভতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে নিউরন বা নার্ভকোষ বলে।
উত্তর : নাৰ্ভতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে নিউরন বা নার্ভকোষ বলে।
প্রশ্ন 13. নিউরনের প্রধান অংশগুলাে কি কি?
উত্তর : নিউরনের প্রধান অংশগুলাে হল : কোষদেহ, ডেনড্রাইড এবং একটি মাত্র অ্যাকশন।
উত্তর : নিউরনের প্রধান অংশগুলাে হল : কোষদেহ, ডেনড্রাইড এবং একটি মাত্র অ্যাকশন।
প্রশ্ন 14. জীবদেহে অনুভূতি-বাহক কোষের নাম কি ?
উত্তর : জীবদেহে অনুভূতি-বাহক কোযের নাম নিউরন বা নার্ভকোষ।
উত্তর : জীবদেহে অনুভূতি-বাহক কোযের নাম নিউরন বা নার্ভকোষ।
প্রশ্ন 15. ডেনড্রাইট কাকে বলে ?
উত্তর : নিউরনের কোষদেহ থেকে উদ্ভূত শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত অঙ্গগুলােকে ডেনড্রাইট বলে।
উত্তর : নিউরনের কোষদেহ থেকে উদ্ভূত শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত অঙ্গগুলােকে ডেনড্রাইট বলে।
প্রশ্ন 16. নিউরােহিউমর-এর অর্থ কি?
উত্তর : যে রাসায়নিক পদার্থটির মাধ্যমে একটি নিউরনের ডেনড্রাইট এবং সংলগ্ন অন্য একটি নিউরনের প্রান্ত শাখাসমূহের মধ্যে আবেগ বা উদ্দীপনা পরিবাহিত হয় তাকে নিউরােহিউমর বলে।
উত্তর : যে রাসায়নিক পদার্থটির মাধ্যমে একটি নিউরনের ডেনড্রাইট এবং সংলগ্ন অন্য একটি নিউরনের প্রান্ত শাখাসমূহের মধ্যে আবেগ বা উদ্দীপনা পরিবাহিত হয় তাকে নিউরােহিউমর বলে।
প্রশ্ন 17. মেডুলারী আচ্ছাদন কাকে বলে ?
উত্তর : নিউরিলেম্মা নার্জতন্তুর বহিরাবরণ, এর ভিতর দিকে যে স্নেহ পদার্থের আচ্ছাদন থাকে, তাতে মেডুলারী আচ্ছাদন বলে।
উত্তর : নিউরিলেম্মা নার্জতন্তুর বহিরাবরণ, এর ভিতর দিকে যে স্নেহ পদার্থের আচ্ছাদন থাকে, তাতে মেডুলারী আচ্ছাদন বলে।
প্রশ্ন 14. নার্ভ গ্যাংলিয়ন কি?
উত্তর : কতকগুলাে নার্ডকোষ বা নিউরনের কোষদেহ একত্রে যে স্ফীত অংশ বা পিণ্ড গঠন করে, তাকে গ্যাংলিয়ন বলে।
উত্তর : কতকগুলাে নার্ডকোষ বা নিউরনের কোষদেহ একত্রে যে স্ফীত অংশ বা পিণ্ড গঠন করে, তাকে গ্যাংলিয়ন বলে।
প্রশ্ন 19. কেন্দ্রীয় নার্ভ (স্নায়ু)-তন্ত্র কি ?
উত্তর : মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড দ্বারা গঠিত নাৰ্ভতন্ত্রকে কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র বলে।
উত্তর : মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড দ্বারা গঠিত নাৰ্ভতন্ত্রকে কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন 20. নিউরন কয় প্রকার?
উত্তর : নিউরন তিন প্রকার—চেষ্টীয় নিউরন, সংজ্ঞাবহ নিউরন ও নিয়ন্ত্রক বা অ্যাডজাস্টার নিউরন।
উত্তর : নিউরন তিন প্রকার—চেষ্টীয় নিউরন, সংজ্ঞাবহ নিউরন ও নিয়ন্ত্রক বা অ্যাডজাস্টার নিউরন।
প্রশ্ন 21. মেরুদণ্ডী প্রাণীর মস্তিষ্ক ক’টি অংশে বিভক্ত?
উত্তর : প্রধানতঃ তিনটি অংশে—গুরুমস্তিষ্ক (fore-brain), মধ্য মস্তিষ্ক (mid brain) এবং পরাঙ মস্তিষ্ক (hind brain)।
উত্তর : প্রধানতঃ তিনটি অংশে—গুরুমস্তিষ্ক (fore-brain), মধ্য মস্তিষ্ক (mid brain) এবং পরাঙ মস্তিষ্ক (hind brain)।
প্রশ্ন 22. সুষুম্নাকাণ্ড নিরেট না ফাপা?
উত্তর : সুষুম্নাকাণ্ড ফাপা এবং স্পাইনাল রসে পূর্ণ।
উত্তর : সুষুম্নাকাণ্ড ফাপা এবং স্পাইনাল রসে পূর্ণ।
প্রশ্ন 23. নার্ভ ও এণ্ডোনিউরিয়াম কাকে বলে?
উত্তর : যোগকলার আবরণ দিয়ে বেষ্ঠিত নার্ভ-তন্তুকে নার্ভ বলে। নাৰ্ভতর চারদিকে যোগকলার পাতলা আবরণকে এণ্ডোনিউরিয়াম বলে।
উত্তর : যোগকলার আবরণ দিয়ে বেষ্ঠিত নার্ভ-তন্তুকে নার্ভ বলে। নাৰ্ভতর চারদিকে যোগকলার পাতলা আবরণকে এণ্ডোনিউরিয়াম বলে।
প্রশ্ন 24. সংবেদ স্নায়ু কি?
উত্তর : যে সমস্ত স্নায়ু গ্রাহক কোষ থেকে সংবেদকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের দিকে পরিবহন করে তাদের সেন্সরী বা সংবেদী বা অন্তর্বাহী স্নায়ু বলে।
উত্তর : যে সমস্ত স্নায়ু গ্রাহক কোষ থেকে সংবেদকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের দিকে পরিবহন করে তাদের সেন্সরী বা সংবেদী বা অন্তর্বাহী স্নায়ু বলে।
প্রশ্ন 25. কোন নাৰ্ততন্ত্রের প্রভাবে হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া চলে?
উত্তর : স্বতঃক্রিয় নাৰ্ভতন্ত্রের প্রভাবে হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া চলে।
উত্তর : স্বতঃক্রিয় নাৰ্ভতন্ত্রের প্রভাবে হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া চলে।
প্রশ্ন 26. সেরিব্রাল কর্টেক্স কি?
উত্তর : গুরুমস্তিষ্কের বাইরে স্কুল ধূসর আবরণকে সেরিব্রাল কর্টেক্স বলে।
উত্তর : গুরুমস্তিষ্কের বাইরে স্কুল ধূসর আবরণকে সেরিব্রাল কর্টেক্স বলে।
প্রশ্ন 27. ব্যাঙের সুষুম্নাকাণ্ড নষ্ট করলে কি হবে এবং কেন?
উত্তর : নার্ভের কার্যক্ষমতা নষ্ট হবে। এতে অগ্র ও পশ্চাৎপদ কর্মক্ষম থাকে না, অর্থাৎ, নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, করোটিক নার্ভ ছাড়া সমস্ত প্রান্তস্থ নার্ভই সুষুম্নাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
উত্তর : নার্ভের কার্যক্ষমতা নষ্ট হবে। এতে অগ্র ও পশ্চাৎপদ কর্মক্ষম থাকে না, অর্থাৎ, নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, করোটিক নার্ভ ছাড়া সমস্ত প্রান্তস্থ নার্ভই সুষুম্নাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।
প্রশ্ন 28. প্রতিবর্ত ক্রিয়া কি? এটি কয় প্রকার?
উত্তর : যে সব ক্রিয়া মস্তিষ্কের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে সুষম্নাকাণ্ডের দ্বারাই পরিচালিত হয় তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে। ইহা দুই প্রকার-সাপেক্ষ ও অনুপেক্ষ।
উত্তর : যে সব ক্রিয়া মস্তিষ্কের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে সুষম্নাকাণ্ডের দ্বারাই পরিচালিত হয় তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে। ইহা দুই প্রকার-সাপেক্ষ ও অনুপেক্ষ।
প্রশ্ন 29. সরল প্রতিবর্ত চক্র কথার অর্থ কি?
উত্তর : যে প্রতিবর্ত চক্র একটি অন্তর্মুখ ও একটি বহিমুখ নিউরন এবং দুটি প্রান্তসন্নিকর্ষের দ্বারা সংগঠিত হয় তাকে সরল প্রতিবর্ত চক্র বলে।
উত্তর : যে প্রতিবর্ত চক্র একটি অন্তর্মুখ ও একটি বহিমুখ নিউরন এবং দুটি প্রান্তসন্নিকর্ষের দ্বারা সংগঠিত হয় তাকে সরল প্রতিবর্ত চক্র বলে।
প্রশ্ন 30. জটিল প্রতিবর্ত চক্রের অর্থ কি?
উত্তর : দুয়ের অধিক প্রান্তসন্নিকর্ষ মাধ্যমে সংগঠিত প্রতিবর্ত চক্রকে জটিল প্রতিবর্ত চক্র বলে।
উত্তর : দুয়ের অধিক প্রান্তসন্নিকর্ষ মাধ্যমে সংগঠিত প্রতিবর্ত চক্রকে জটিল প্রতিবর্ত চক্র বলে।
প্রশ্ন 31. চেষ্টীয় স্নায়ু কি?
উত্তর : যে নিউরন বা স্নায়ুর প্রশাখাসমূহ পেশীতে শেষ হয় তাকে চেষ্টীয় স্নায়ু বলে।
উত্তর : যে নিউরন বা স্নায়ুর প্রশাখাসমূহ পেশীতে শেষ হয় তাকে চেষ্টীয় স্নায়ু বলে।
প্রশ্ন 32. ক্রেনিয়াল বা করােটি নার্ভ কাকে বলে ?
উত্তর : মেরুদণ্ডীয় মস্তিষ্ক থেকে নির্গত প্রান্তীয় নার্ভকে ক্রেনিয়াল নার্ভ বলে।
উত্তর : মেরুদণ্ডীয় মস্তিষ্ক থেকে নির্গত প্রান্তীয় নার্ভকে ক্রেনিয়াল নার্ভ বলে।
প্রশ্ন 33. জ্ঞানেন্দ্রিয় কাকে বলে ? জ্ঞানেন্দ্রিয়ের নাম কি ?
উত্তর : বিশ্লেষণের জন্য মস্তিষ্কে পরিবহনকারী উদ্দীপনা গ্রহণকারী অঙ্গকে জ্ঞানেন্দ্রিয় বলে। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক জ্ঞানেন্দ্রিয় ।
উত্তর : বিশ্লেষণের জন্য মস্তিষ্কে পরিবহনকারী উদ্দীপনা গ্রহণকারী অঙ্গকে জ্ঞানেন্দ্রিয় বলে। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক জ্ঞানেন্দ্রিয় ।
প্রশ্ন 34. চক্ষু কয় প্রকার? মানুষের চক্ষু কিরূপ?
উত্তর : দুই প্রকার—সরলাক্ষি ও পুঞ্জাক্ষি। মানুষের চক্ষু সরলাক্ষি।
উত্তর : দুই প্রকার—সরলাক্ষি ও পুঞ্জাক্ষি। মানুষের চক্ষু সরলাক্ষি।
প্রশ্ন 35. আমাদের অক্ষিপটে কিরূপ প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়?
উত্তর : আমাদের অক্ষিপটে দৃশ্যের উল্টো প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়।
উত্তর : আমাদের অক্ষিপটে দৃশ্যের উল্টো প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন 36. এই উল্টো প্রতিবিম্ব আমরা কিরূপ দেখি ?
উত্তর : মস্তিষ্কের দৃষ্টি-গ্রাহক অংশের কোষগুলাের বিশেষ ক্ষমতা বলে এটি সম্ভব হয়।
উত্তর : মস্তিষ্কের দৃষ্টি-গ্রাহক অংশের কোষগুলাের বিশেষ ক্ষমতা বলে এটি সম্ভব হয়।
প্রশ্ন 37. চোখের জলের উৎস ও কাজ কি?
উত্তর : চোখের জলের উৎস হল অশ্রু গ্রন্থি। এই জল চোখকে সিক্ত করে, ধূলােবালি পড়লে সেগুলো জলের সঙ্গে সহজে বেরিয়ে যায়। এর জীবাণুনাশক ক্ষমতা আছে।
উত্তর : চোখের জলের উৎস হল অশ্রু গ্রন্থি। এই জল চোখকে সিক্ত করে, ধূলােবালি পড়লে সেগুলো জলের সঙ্গে সহজে বেরিয়ে যায়। এর জীবাণুনাশক ক্ষমতা আছে।
প্রশ্ন 38. অশ্রু কি ? এটির মধ্যে কি জাতীয় লবণ থাকে?
উত্তর : অশ্রু গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত জীবাণুনাশক যে জল চক্ষুগােলককে সিক্ত রাখে ও চক্ষুকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে তাকে অশ্রু বলে। এর মধ্যে মূলত সােডিয়াম বাই-কার্বনেট ও সােডিয়াম ক্লোরাইড লবণের দ্রবণ আছে।
উত্তর : অশ্রু গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত জীবাণুনাশক যে জল চক্ষুগােলককে সিক্ত রাখে ও চক্ষুকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে তাকে অশ্রু বলে। এর মধ্যে মূলত সােডিয়াম বাই-কার্বনেট ও সােডিয়াম ক্লোরাইড লবণের দ্রবণ আছে।
প্রশ্ন 39. রড ও কোন কোষ কি? এদের কাজ কি?
উত্তর : রেটিনা বা অক্ষিপটের আলােক সুবেদী কোষগুলােকে রড ও কোন কোষ বলে। রড কোষ কম আলােয় এবং কোন কোষ তীব্র আলােয় এমনকি রঙিন বস্তু দেখতেও সাহায্য করে।
উত্তর : রেটিনা বা অক্ষিপটের আলােক সুবেদী কোষগুলােকে রড ও কোন কোষ বলে। রড কোষ কম আলােয় এবং কোন কোষ তীব্র আলােয় এমনকি রঙিন বস্তু দেখতেও সাহায্য করে।
প্রশ্ন 40. সরলাক্ষির কোন অংশকে ব্লাইন্ড-স্পট বা অন্ধ-বিন্দু বলে ?
উত্তর : অক্ষিপটে সর্বত্র আলােক সুবেদী রড ও কোন কোষ থাকলেও যে স্থান থেকে অপটিক নার্ভ নির্গত হয়, সেখানে রড ও কোন কোষ নেই। সেজন্য এই স্থান দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন নয়। এই স্থানকে ব্লাইন্ডস্পট বলে।
উত্তর : অক্ষিপটে সর্বত্র আলােক সুবেদী রড ও কোন কোষ থাকলেও যে স্থান থেকে অপটিক নার্ভ নির্গত হয়, সেখানে রড ও কোন কোষ নেই। সেজন্য এই স্থান দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন নয়। এই স্থানকে ব্লাইন্ডস্পট বলে।
প্রশ্ন 41. মেরুদণ্ডীর কর্ণে ক’টি প্রধান অংশ আছে? তাদের নাম কি?
উত্তর : প্রধানতঃ তিনটি—বহিকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ ।
উত্তর : প্রধানতঃ তিনটি—বহিকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ ।
প্রশ্ন 42. আমাদের মধ্যকর্ণে অবস্থিত তিনটি অস্থির নাম লেখ।
উত্তর : মেলিয়াস, ইনকাস ও স্টেপিস।
উত্তর : মেলিয়াস, ইনকাস ও স্টেপিস।
প্রশ্ন 43. অন্তঃকর্ণে অবস্থিত অর্ধবৃত্তাকার নালীগুলাের কাজ কি?
উত্তর : দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা এদের কাজ।
উত্তর : দেহের ভারসাম্য রক্ষা করা এদের কাজ।
প্রশ্ন 44. নিকট দৃষ্টিসম্পন্নতা কিভাবে দূর হয়?
উত্তর : উত্তাবতল লেন্স ব্যবহার করে নিকট দৃষ্টিসম্পন্নতা দূর করা হয়।
উত্তর : উত্তাবতল লেন্স ব্যবহার করে নিকট দৃষ্টিসম্পন্নতা দূর করা হয়।
প্রশ্ন 45. কুকুর, বিড়াল প্রভৃতি অন্ধকারে দেখতে পায় কেন?
উত্তর : এদের অক্ষিপটে রড কোষের সংখ্যা অনেক বেশী। এই কোষ কম আলােয় বা অন্ধকারে বর্ণ বােধহীন বেদন সৃষ্টি করে বলে এসব প্রাণী অন্ধকারে দেখতে পায়।
উত্তর : এদের অক্ষিপটে রড কোষের সংখ্যা অনেক বেশী। এই কোষ কম আলােয় বা অন্ধকারে বর্ণ বােধহীন বেদন সৃষ্টি করে বলে এসব প্রাণী অন্ধকারে দেখতে পায়।
প্রশ্ন 46. গন্ধ কি?
উত্তর : গন্ধ হল বায়বীয় রাসায়নিক উদ্দীপক।
উত্তর : গন্ধ হল বায়বীয় রাসায়নিক উদ্দীপক।
প্রশ্ন 47. মেরুদণ্ডী প্রাণীর স্পর্শেন্দ্রিয় কোনটি ?
উত্তর : মেরুদণ্ডী প্রাণীর স্পর্শেন্দ্রিয় ত্বক।
উত্তর : মেরুদণ্ডী প্রাণীর স্পর্শেন্দ্রিয় ত্বক।
প্রশ্ন 48. মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বকে কি ধরনের গ্রাহক থাকে ?
উত্তর : মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বকে স্পর্শ-গ্রাহক থাকে।
উত্তর : মেরুদণ্ডী প্রাণীর ত্বকে স্পর্শ-গ্রাহক থাকে।
প্রশ্ন 49. মাছের কি কান আছে ? মাছ কি শুনতে পায় ?
উত্তর : মাছের কান নেই, তাই প্রকৃত অর্থে মাছ শুনতে পায় না। তবে মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত বিস্তৃত স্পর্শেন্দ্রিয় রেখার মাধ্যমে মাছ অনুভূতি গ্রহণ করে।
উত্তর : মাছের কান নেই, তাই প্রকৃত অর্থে মাছ শুনতে পায় না। তবে মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত বিস্তৃত স্পর্শেন্দ্রিয় রেখার মাধ্যমে মাছ অনুভূতি গ্রহণ করে।
নাৰ্ভতন্ত্র ও জ্ঞানেন্দ্রিয় (অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 50. কার প্রভাবে জীবদেহে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়?
উত্তর : উদ্দীপকের প্রভাবে।
উত্তর : উদ্দীপকের প্রভাবে।
প্রশ্ন 51. বহিরাগত উদ্দীপনা কোন অঙ্গের দ্বারা হয়?
উত্তর : জ্ঞানেন্দ্রিয়।
উত্তর : জ্ঞানেন্দ্রিয়।
প্রশ্ন 52. কার দেহে নাৰ্ভতন্ত্র নেই?
উত্তর : উদ্ভিদ দেহে।
উত্তর : উদ্ভিদ দেহে।
প্রশ্ন 53. নাৰ্ভতন্ত্র মূলতঃ কি দিয়ে গঠিত?
উত্তর : নিউরােন।
উত্তর : নিউরােন।
প্রশ্ন 54. নিউরােনের প্রকৃত কোষ অংশকে কি বলে?
উত্তর : কোষদেহ।
উত্তর : কোষদেহ।
প্রশ্ন 55. নিউরােনের সমস্ত বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন করে কে?
উত্তর : কোষদেহ।
উত্তর : কোষদেহ।
প্রশ্ন 56. মানুষের দেহে দীর্ঘতম কোষ কোনটি ?
উত্তর : অ্যাক্সন (যে নিউরােনের অংশ)।
উত্তর : অ্যাক্সন (যে নিউরােনের অংশ)।
প্রশ্ন 57. শরীরবৃত্তীয়ে কতকটা কপাটের কাজ করে কে?
উত্তর : সাইন্যাপস্।
উত্তর : সাইন্যাপস্।
প্রশ্ন 58. নাৰ্ভতন্ত্রের গঠনগত একক কাকে বলে?
উত্তর : নিউরােনকে।
উত্তর : নিউরােনকে।
প্রশ্ন 59. নাৰ্ভতন্ত্র কোন কলা দিয়ে আবৃত?
উত্তর : যোগকলা।
উত্তর : যোগকলা।
প্রশ্ন 60. নাৰ্ভতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশের নাম কি ?
উত্তর : কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র।
উত্তর : কেন্দ্রীয় নার্ভতন্ত্র।
প্রশ্ন 61. মস্তিষ্ক যে প্রকোষ্ঠের মধ্যে থাকে তার নাম কি?
উত্তর : করােটিকা।
উত্তর : করােটিকা।
প্রশ্ন 62. মস্তিষ্ক গহ্বরে কি থাকে?
উত্তর : সেরিব্রোস্পাইনেল তরল।
উত্তর : সেরিব্রোস্পাইনেল তরল।
প্রশ্ন 63. মেরুদণ্ডী প্রাণীর মস্তিষ্কের প্রধান ভাগ কয়টি?
উত্তর : তিনটি।
উত্তর : তিনটি।
প্রশ্ন 64. মস্তিষ্কের প্রধান ভাগ কিভাবে বিন্যস্ত থাকে।
উত্তর : একই সরলরেখায়।
উত্তর : একই সরলরেখায়।
প্রশ্ন 65. ইচ্ছাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণ করে কোন মস্তিষ্ক ?
উত্তর : গুরু-মস্তিষ্ক।।
প্রশ্ন 66. গুরু মস্তিষ্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কি?
উত্তর : ধূসর বস্তু।
উত্তর : ধূসর বস্তু।
প্রশ্ন 67. ধূসর বস্তুর চারদিকে কি থাকে?
উত্তর : শ্বেত বস্তু।
উত্তর : শ্বেত বস্তু।
প্রশ্ন 68. মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ থেকে উৎপন্ন নার্ভকে কি বলে?
উত্তর : করােটিক নার্ভ।
প্রশ্ন 69. করােটিক নার্ভের সংখ্যা কত?
উত্তর : বারাে জোড়া।
উত্তর : বারাে জোড়া।
প্রশ্ন 70. সুষুম্না নার্ভের সংখ্যা কত?
উত্তর : একত্রিশ জোড়া।
উত্তর : একত্রিশ জোড়া।
প্রশ্ন 71. প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে কে ?
উত্তর : সুষুম্না কাণ্ড।
উত্তর : সুষুম্না কাণ্ড।
প্রশ্ন 72. শর্তসাপেক্ষে প্রতিবর্ত তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
উত্তর : রুশ বিজ্ঞানী প্যাভলভ।
প্রশ্ন 73. কোন চক্ষুতে প্রতিবিম্ব স্পষ্ট হয় না?
উত্তর : পুঞ্জাক্ষি।
উত্তর : পুঞ্জাক্ষি।
প্রশ্ন 74. মানুষের চোখ কয়টি ভাগে বিভক্ত?
উত্তর : দু’টি।
প্রশ্ন 75. অক্ষিগােলকে আবদ্ধ রাখে কি কি?
উত্তর : ছটি পেশী ও অপটিক নার্ভ।
উত্তর : ছটি পেশী ও অপটিক নার্ভ।
প্রশ্ন 76. অক্ষিগােলক কি দিয়ে পূর্ণ থাকে ?
উত্তর : তরল পদার্থ।
উত্তর : তরল পদার্থ।
প্রশ্ন 77. কনীকার কেন্দ্রে যে ছিদ্র থাকে তাকে কি বলে ?
উত্তর : তারারন্ধ্র।
প্রশ্ন 78. চোখের কোথায় প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয় না?
উত্তর : অন্ধবিন্দুতে।
প্রশ্ন 79. চোখের লেন্স কোথায় থাকে?
উত্তর : কনীকার পেছনে।
উত্তর : কনীকার পেছনে।
প্রশ্ন ৪0. চোখে যে লেন্স থাকে তা কিরূপ?
উত্তর : দ্বি-উত্তল লেন্স।
উত্তর : দ্বি-উত্তল লেন্স।
প্রশ্ন ৪1. পাখির কয়টি চোখের পাতা আছে?
উত্তর : তিনটি।
উত্তর : তিনটি।
প্রশ্ন 82. অন্তঃকর্ণের অপর নাম কি ?
উত্তর : ল্যাবাইরিন্থ।
উত্তর : ল্যাবাইরিন্থ।
প্রশ্ন ৪3. কর্ণের কোন্ অংশের কাজ প্রবণ ?
উত্তর : ককলিয়া।
উত্তর : ককলিয়া।
প্রশ্ন 84. দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে কে?
উত্তর : কান।
উত্তর : কান।
প্রশ্ন 85. স্বাদ কি কি প্রকার?
উত্তর : মিষ্টি, লােনা, টক ও তিতা।
উত্তর : মিষ্টি, লােনা, টক ও তিতা।
প্রশ্ন ৪6. জিহ্বার তিতা স্বাদ গ্রহণের অঞ্চল কোথায় থাকে?
উত্তর : জিহবার গোড়ায়।
প্রশ্ন 87. মিষ্টি খেলে কি জিহ্বার সব জায়গায় মিষ্টি লাগে ?
উত্তর : না।
প্রশ্ন 88. আমাদের ওষ্ঠে কি ধরনের গ্রাহক বেশী থাকে?
উত্তর : করােসল।