উঃ
ভূমিকা: আমাদের সব রকম কার্যকে সাধারণত ঐচ্ছিক ও অনৈচ্ছিক এই দুটি শ্রেণীতে ভাগ করতে পারি। অনৈচ্ছিক কাজ কর্মের জন্য কোনরকম সচেতন মানসিক ইচ্ছার প্রয়োজন হয়। কাজেই, কোনো অনৈচ্ছিক কাজ যখন ঐচ্ছিক কাজে পরিণত হয়, তাকে বলা হয় অভ্যাস।
অভ্যাস গঠনের নিয়মাবলী: নিম্নোক্ত নিয়ম বা সূত্রগুলো শিক্ষার্থীদের অভ্যাস গঠনে যথেষ্টভাবে সাহায্য করে।
১) মানসিক প্রস্তুতি গঠন: অভ্যাস গঠনের জন্য মানসিক দৃঢ়তা ও মানসিক প্রত্যয় খুবই প্রয়োজন। উদ্দেশ্য স্থির করে সঠিক অভ্যাসটিকে বেছে নিতে হবে। তারপর মানসিক দৃঢ়তা ও আত্মপ্রত্যয়সহ সেই অভ্যাসটিকে সুদৃঢ় করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
২) পুনঃ পুনঃ আচরণ: অভ্যাস গঠনের পরেও অভ্যাস জনিত কাজের পুনঃ পুনঃ অনুশীলন নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে। এর দ্বারাই একমাত্র কাজের স্বয়ংক্রিয়তা ও স্বতঃশ্চলতা বজায় রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে।
৩) জটিল অনুশীলন: জটিল ধরনের অভ্যাস গঠনের জন্য জটিল ধরনের অনুশীলন মেনে চলার নিয়মকে গ্রহণ করতে হবে।
৪) ধারাবাহিকতা: অভ্যাস গঠনের জন্য কাজের অনুশীলন এবং কাজের চর্চা ধারাবাহিকভাবে সংরক্ষন করতে হবে।
৫) অনুকূল পরিবেশ: উপযুক্ত ও অনুকূল পরিবেশে শিক্ষার্থীর অভ্যাস খুব সহজেই গঠিত হতে পারে।
৬) অনুশীলনঃ বারবার কোন কাজ করলে অর্থাৎ চর্চা করলে স্নায়বিক বাঁধা কমে যায় এবং সেই কাজটি খুব সহজেই করা যায়।
৭) তৎপরতা: অভ্যাস গঠন করতে হলে মানসিক তৎপরতার প্রয়োজন। যেমন ভোরবেলা ওঠার অভ্যাস গঠন করবো মনে করে সেটা আজ থেকে না করে আগামী মাসের ১লা তারিখ থেকে শুরু করব। এইরকম ভেবে রাখলে অভ্যাস কখনো গঠিত হবে না।
মন্তব্য: কাজেই, দেখা যাচ্ছে শিক্ষার অগ্রগতির জন্য অভ্যাস গঠন অপরিহার্য। কারণ, শিক্ষণীয় আচরণগুলি যতই অভ্যাসে পরিণত হবে, ততই নতুন শিক্ষা গ্রহণ সহজ হবে।