ভারতবর্ষে কী ধরনের বিচারব্যবস্থা প্রচলিত আছে?
উত্তর: ভারতবর্ষে অখণ্ড বিচারব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নাম কী?
উত্তর: ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নাম সুপ্রিমকোর্ট।
কোনাে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের নাম কী?
উত্তর: কোনাে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের নাম
হাইকোর্ট বা মহাধর্মাধিকরণ।
ভারতবর্ষে কি দ্বৈত বিচারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছে?
উত্তর: ভারতবর্ষে দ্বৈত-বিচারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়নি।
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা কত?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা ২৬ জন।
হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা কত?
উত্তর: হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে সংবিধানে বলা নেই। তবে একজন প্রধান বিচারপতি এবং অপর কয়েকজন বিচারপতি নিয়ে হাইকোর্ট গঠিত হয়।
- সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি হওয়ার একটি যােগ্যতা লেখাে।
উত্তর: ভারতীয় নাগরিকতার সঙ্গে হাইকোর্টে অন্তত ৫ বছর বিচারপতি হিসাবে কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়ােজন।
- সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের কে অপসারণ করতে পারেন?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের রাষ্ট্রপতি অপসারণ করতে পারেন।
- সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে কে নিযুক্ত করেন?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন।
- সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির অবসর গ্রহণের বয়সসীমা কত বছর?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির অবসর গ্রহণের বয়সসীমা হল ৬৫ বছর।
- সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযােগসুবিধা কোন্ ধারায় উল্লেখ আছে?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযােগসুবিধা ১২৫ নং ধারায় উল্লেখ আছে।
- ভারতের একজন প্রধান বিচারপতির নাম লেখাে যিনি পরবর্তীকালে উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন?
উত্তর: ভারতের একজন প্রধান বিচারপতি মােহম্মদ হিদায়েতুল্লা (১৯৬৮–৭০) পরবর্তীকালে উপরাষ্ট্রপতি (১৯৭৯-১৯৮৪) হয়েছিলেন।
- অবসর গ্রহণের পর সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিগণ কী কাজ করতে পারেন না?
উত্তর: অবসর গ্রহণের পর সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিগণ আইনজীবীর কাজ করতে পারেন না।
- সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বেতন ও ভাতা কোন্ তহবিল থেকে দেওয়া হয়?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বেতন ও ভাতা সঞ্চিত তহবিল থেকে দেওয়া হয়।
- সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বেতন কখন হ্রাস করা যায়?
উত্তর: জরুরি অবস্থার সময় সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের বেতন হ্রাস করা যায়।
- রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরােধ দেখা দিলে মীমাংসা কে করে?
উত্তর: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরােধ দেখা দিলে মীমাংসা করে সুপ্রিমকোর্ট।
- ভারতীয় সংবিধানের জনক বা অভিভাবক কাকে বলা হয়?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্টকে ভারতীয় সংবিধানের জনক বা অভিভাবক বলা হয়।
- ভারতের সুপ্রিমকোর্টের কটি অধিকারের এলাকা রয়েছে?
উত্তর: ভারতের সুপ্রিমকোর্টের ৪টি অধিকারের এলাকা রয়েছে।
- ভারতের অধস্তন আদালতগুলি কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: ভারতের অধস্তন আদালতগুলি মূলত দু-প্রকার— (ক) দেওয়ানি ও (খ) ফৌজদারি আদালত।
- সংবিধানের কোন ধারায় প্রত্যেক রাজ্যে হাইকোর্ট স্থাপনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: সংবিধানের ২১৪ নং ধারায় প্রত্যেক রাজ্যে হাইকোর্ট স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
- ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি কে ছিলেন?
উত্তর: ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন হরিলাল কেনিয়া।
- সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে কে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হলে সেই দায়িত্ব পালন করেন কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি।
- ভারতের সর্বোচ্চ আপিল আদালত কোনটি?
উত্তর: ভারতের সর্বোচ্চ আপিল আদালত সুপ্রিমকোর্ট।
- মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিমকোর্ট কয় ধরনের লেখ জারি করতে পারে ?
উত্তর: মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিমকোর্ট পাঁচ ধরনের লেখ জারি করতে পারে।
- সংবিধানের কত নং ধারায় সুপ্রিমকোর্টকে লেখ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: সংবিধানের ৩২ নং ধারায় সুপ্রিমকোর্টকে লেখ জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
- সুপ্রিমকোর্টের এক্তিয়ারাধীন লেখগুলি কী কী?
উত্তর: এ সুপ্রিমকোর্টের এক্তিয়ারাধীন লেখগুলি হল—বন্ধীপ্রত্যক্ষীকরণ, পরমাদেশ, প্রতিষেধ, অধিকার পৃচ্ছা ও উৎপ্রেষণ।
- সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগের পূর্বে রাষ্ট্রপতি কার সঙ্গে পরামর্শ করতে বাধ্য?
উত্তর: সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগের পূর্বে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করতে বাধ্য।
- কী কারণে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ করা যায়?
উত্তর: প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে বিচারপতিদের অপসারণ করা যায়।
- বন্ধীপ্রত্যক্ষীকরণের অর্থ কী?
উত্তর: বন্ধীপ্রত্যক্ষীকরণের অর্থ সশরীরে হাজির করা।
- হাইকোর্টের বিচারপতিদের কে নিয়ােগ করেন?
উত্তর: হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ােগ করেন রাষ্ট্রপতি।
- হাইকোর্টের বিচারপতিরা কত বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন?
উত্তর: হাইকোর্টের বিচারপতিরা ৬২ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন।
- বর্তমানে ভারতে কয়টি হাইকোর্ট রয়েছে?
উত্তর: বর্তমানে (২০১৯) ভারতে ২৫টি হাইকোর্ট রয়েছে।
- হাইকোর্টের দুটি এলাকার উল্লেখ করাে।
উত্তর: হাইকোর্টের দুটি এলাকা হল মূল এলাকা ও আপিল এলাকা।
- হাইকোর্টের অধস্তন আদালতগুলিকে যে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেগুলি কী কী?
উত্তর: হাইকোর্টের অধস্তন আদালতগুলিকে যে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেগুলি হল দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত।
- ভারতের অখণ্ড বিচারব্যবস্থায় সর্বনিম্ন আদালত (গ্রামস্তরে) কোনটি?
উত্তর: ভারতের অখণ্ড বিচারব্যবস্থায় সর্বনিম্ন আদালত ন্যায় পঞ্চায়েত।
- ন্যায় পঞ্চায়েতের ওপরের স্তরের দেওয়ানি আদালত কোনটি?
উত্তর: ন্যায় পায়েতের ওপরের স্তরের দেওয়ানি আদালত হল মুনসেফি আদালত।
- ন্যায় পঞ্চায়েতের ওপরের ফৌজদারি আদালত কোনটি?
উত্তর: ন্যায় পঞ্চায়েতের ওপরের ফৌজদারি আদালত হল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত (Magistrate’s Courts)।
- জেলার সর্বোচ্চ দেওয়ানি আদালত কোনটি?
উত্তর: জেলার সর্বোচ্চ দেওয়ানি আদালত হল জেলা জজের আদালত।
- জেলাস্তরের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত কোনটি?
উত্তর: জেলাস্তরের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত হল দায়রা জজের আদালত (Sessions Judges Court)।
- জেলা জজের আদালতের ওপরের স্তরের আদালত কোনটি?
উত্তর: জেলা জজের আদালতের ওপরের স্তরের আদালত হল হাইকোর্ট।
- জেলা জজের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোন্ আদালতে আপিল করা যায়?
উত্তর: জেলা জজের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা যায়।
- মহকুমা স্তরে দেওয়ানি আদালত কোনটি?
উত্তর: মহকুমা স্তরে দেওয়ানি আদালত হল মুনসেফি আদালত।
- মুনসেফি আদালতের ওপরের স্তরের দেওয়ানি আদালত কোনটি?
উত্তর: মুনসেফি আদালতের ওপরের স্তরের দেওয়ানি আদালত হল ‘সাব জজের আদালত’।
- মুনসেফি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোন্ আদালতে আপিল করা যায়?
উত্তর: মুনসেফি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সাব জজের আদালতে (Sub-Judges’s Court) আপিল করা যায়।
- ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোন্ আদালতে আপিল করা যায়?
উত্তর: ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দায়রা জজের আদালতে আপিল করা যায়।
- দায়রা জজের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোন্ আদালতে আপিল করা যায়?
উত্তর: দায়রা জজের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা যায়।
- সাব জজের আদালতের ওপরের স্তরের দেওয়ানি আদালত কোনটি?
উত্তর: সাব জজের আদালতের ওপরের স্তরের দেওয়ানি আদালত হল জেলা জজের আদালত।
- সাব জজের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোন আদালতে আপিল করা যায়?
উত্তর: সাব জজের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জেলা জজের আদালতে আপিল করা যায়।
- লােকআদালত বলতে কী বােঝ?
উত্তর: সাধারণ মামলা সহজ পদ্ধতিতে, অল্প সময়ে, অল্প ব্যয়ে মীমাংসা করার জন্য গঠিত আদালতই হল লােকআদালত।
- লােকআদালত প্রথম কোথায় গঠিত হয়?
উত্তর: লােকআদালত প্রথম গঠিত হয় দিল্লিতে। “All India Legal Aid and Advice Board” – এর দিল্লি শাখা প্রথম লােকআদালত গঠন করে।
- লােকআদালতের জনক কে?
উত্তর: লােক আদালতের জনক হলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি পি.এন. ভগবতী।
- কে, কবে লােকআদালতের সুপারিশ করে?
উত্তর: ‘ল কমিশন’ (Law Commission) ১৮৮৬
খ্রিস্টাব্দের ১২ আগস্ট লােকআদালত গঠনের সুপারিশ করে।
- ভারতে কত সালে, কোথায় প্রথম লােকআদালত বসে?
উত্তর: ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ অক্টোবর দিল্লিতে প্রথম লােকআদালত বসে।
- হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়ােগের সময় রাষ্ট্রপতি কার সঙ্গে পরামর্শ করতে বাধ্য থাকেন?
উত্তর: হাইকোর্টের প্রধান বিচাপতি নিয়ােগের সময় রাষ্ট্রপতি ওই রাজ্যের রাজ্যপাল ও ভারতের – সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করতে বাধ্য থাকেন।
- হাইকোর্টের বিচারপতিদের কে পদচ্যুত করেন?
উত্তর: হাইকোর্টের বিচাপতিদের রাষ্ট্রপতি পদচ্যুত করেন (সংসদের অনুমােদনক্রমে)।
- হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা কে স্থির করেন?
উত্তর: হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা স্থির করেন রাষ্ট্রপতি।