বংশগতি (সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 1. বংশগতি কাকে বলে?
উত্তর : পিতা-মাতা বা জনিতৃ জীবের লক্ষণ পুত্র-কন্যা অর্থাৎ অপত্য জীবের মধ্যে বংশপরম্পরায় প্রবাহিত হওয়াকে উত্তরাধিকার (Inheritance) বা বংশগতি (Heredity) বলে।
উত্তর : পিতা-মাতা বা জনিতৃ জীবের লক্ষণ পুত্র-কন্যা অর্থাৎ অপত্য জীবের মধ্যে বংশপরম্পরায় প্রবাহিত হওয়াকে উত্তরাধিকার (Inheritance) বা বংশগতি (Heredity) বলে।
প্রশ্ন 2. সুপ্রজনন বিদ্যা কি? এর জনক কাকে বলা হয়?
উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের বংশগতি সম্বন্ধে আলােচনা করা হয় তাকে সুপ্রজনন বিদ্যা (Genetics ) বলে। মেণ্ডেলকে সুপ্রজনন বিদ্যার জনক বলা হয়।
উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের বংশগতি সম্বন্ধে আলােচনা করা হয় তাকে সুপ্রজনন বিদ্যা (Genetics ) বলে। মেণ্ডেলকে সুপ্রজনন বিদ্যার জনক বলা হয়।
প্রশ্ন 3. একক লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষায় মেণ্ডেল মটরগাছ নিয়ে পরীক্ষা করেন কেন ?
উত্তর : মটরগাছে খুব সহজে কৃত্রিমভাবে স্ব-পরাগযোগ কিম্বা ইতর পরাগযােগ ঘটানাে যায়। এ ছাড়া আরও অন্যান্য অনেক সুবিধা আছে। তাই মেণ্ডেল প্রথমে বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত দু’প্রকার মটরগাছ নিয়ে আলাদা আলাদা দুটি জনু (Generation ) ধরে স্ব-পরাগযােগ ঘটাতে সক্ষম হন।
উত্তর : মটরগাছে খুব সহজে কৃত্রিমভাবে স্ব-পরাগযোগ কিম্বা ইতর পরাগযােগ ঘটানাে যায়। এ ছাড়া আরও অন্যান্য অনেক সুবিধা আছে। তাই মেণ্ডেল প্রথমে বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত দু’প্রকার মটরগাছ নিয়ে আলাদা আলাদা দুটি জনু (Generation ) ধরে স্ব-পরাগযােগ ঘটাতে সক্ষম হন।
প্রশ্ন 4. মেণ্ডেলিজম কি?
উত্তর : অস্ট্রিয়া অধিবাসী ধর্মযাজক গ্রেগর যােহন মেণ্ডেল মটরগাছ নিয়ে বিভিন্ন প্রজন পরীক্ষা করেন। তাঁর পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের বিশ্লেষণ ও পর্যালােচনার দ্বারা মৌলিক সূত্রগুলি প্রণয়নের মাধ্যমে যে বিজ্ঞানভিত্তিক উপস্থাপনা করেন, তার পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা মিলিতভাবে সেগুলির নাম দেন মেণ্ডেলিজম।
উত্তর : অস্ট্রিয়া অধিবাসী ধর্মযাজক গ্রেগর যােহন মেণ্ডেল মটরগাছ নিয়ে বিভিন্ন প্রজন পরীক্ষা করেন। তাঁর পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের বিশ্লেষণ ও পর্যালােচনার দ্বারা মৌলিক সূত্রগুলি প্রণয়নের মাধ্যমে যে বিজ্ঞানভিত্তিক উপস্থাপনা করেন, তার পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা মিলিতভাবে সেগুলির নাম দেন মেণ্ডেলিজম।
প্রশ্ন 5. (i) একক লক্ষণ সঙ্করায়ণ কাকে বলে? (ii) মেণ্ডেল এই পরীক্ষা থেকে কি কি সিদ্ধান্তে আসেন?
উত্তর : (i) একজোড়া পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণের ভিত্তিতে প্ৰজন পরীক্ষাকে একক লক্ষণ সঙ্করায়ণ (Monohybrid cross) বলে।
(ii) মেণ্ডেল পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত দু’ধরনের মটরগাছ (একটি দীর্ঘ ও একটি খর্ব) নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। তিনি প্রথমে আলাদা আলাদা উদ্ভিদে দুটি জনু (Generation) ধরে স্ব-পরাগযােগ ঘটান। ক্রমাগত দুটি জনুতে যে উদ্ভিদগুলি খর্ব বা শুধু দীর্ঘ বংশধর উৎপন্ন করে পরের পরীক্ষায় সেগুলি নির্বাচন করেন। এদের বলা হয় শুদ্ধ লক্ষণ (Pure character) -যুক্ত উদ্ভিদ।
পরে তিনি এই শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত উদ্ভিদের দীর্ঘ ও খর্বের মধ্যে কৃত্রিম উপায়ে ইতর পরাগযােগ ঘটানাের (অর্থাৎ খর্ব উদ্ভিদের পরাগরেণু নিয়ে দীর্ঘ উদ্ভিদের গর্ভমুণ্ডে এবং দীর্ঘের পরাগরেণু নিয়ে খর্বের গর্ভমুণ্ডে) ফলে তিনি লক্ষ্য করেন যে ইতর পরাগযােগে প্রাপ্ত উদ্ভিদগুলি সবই দীর্ঘ হয়েছে।
এই জনুর উদ্ভিদগুলিকে তিনি প্রথম অপত্য জনু (First filial generation) বা সংক্ষেপে F1 জনু-রূপে চিহ্নিত করেন। মেণ্ডেল F1 জনুর উদ্ভিদগুলির স্ব-পরাগযােগ ঘটান। এর ফলে উৎপন্ন বংশধরগুলিতে (অপত্য উদ্ভিদগুলিতে) অর্থাৎ, দ্বিতীয় অপত্য জনু (Second filial generation) বা F2 জনু-তে দীর্ঘ এবং খর্ব দুই ধরনেরই উদ্ভিদ দেখা যায়। F2 জনুতে প্রায় 3 : 1 অনুপাতে দীর্ঘ ও খর্ব উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। সুতরাং এর থেকে সিদ্ধান্ত হল : প্রতি চারটি উদ্ভিদের মধ্যে তিনটি দীর্ঘ এবং একটি খর্ব উদ্ভিদ দেখা যায়।
উত্তর : (i) একজোড়া পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণের ভিত্তিতে প্ৰজন পরীক্ষাকে একক লক্ষণ সঙ্করায়ণ (Monohybrid cross) বলে।
(ii) মেণ্ডেল পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত দু’ধরনের মটরগাছ (একটি দীর্ঘ ও একটি খর্ব) নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। তিনি প্রথমে আলাদা আলাদা উদ্ভিদে দুটি জনু (Generation) ধরে স্ব-পরাগযােগ ঘটান। ক্রমাগত দুটি জনুতে যে উদ্ভিদগুলি খর্ব বা শুধু দীর্ঘ বংশধর উৎপন্ন করে পরের পরীক্ষায় সেগুলি নির্বাচন করেন। এদের বলা হয় শুদ্ধ লক্ষণ (Pure character) -যুক্ত উদ্ভিদ।
পরে তিনি এই শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত উদ্ভিদের দীর্ঘ ও খর্বের মধ্যে কৃত্রিম উপায়ে ইতর পরাগযােগ ঘটানাের (অর্থাৎ খর্ব উদ্ভিদের পরাগরেণু নিয়ে দীর্ঘ উদ্ভিদের গর্ভমুণ্ডে এবং দীর্ঘের পরাগরেণু নিয়ে খর্বের গর্ভমুণ্ডে) ফলে তিনি লক্ষ্য করেন যে ইতর পরাগযােগে প্রাপ্ত উদ্ভিদগুলি সবই দীর্ঘ হয়েছে।
এই জনুর উদ্ভিদগুলিকে তিনি প্রথম অপত্য জনু (First filial generation) বা সংক্ষেপে F1 জনু-রূপে চিহ্নিত করেন। মেণ্ডেল F1 জনুর উদ্ভিদগুলির স্ব-পরাগযােগ ঘটান। এর ফলে উৎপন্ন বংশধরগুলিতে (অপত্য উদ্ভিদগুলিতে) অর্থাৎ, দ্বিতীয় অপত্য জনু (Second filial generation) বা F2 জনু-তে দীর্ঘ এবং খর্ব দুই ধরনেরই উদ্ভিদ দেখা যায়। F2 জনুতে প্রায় 3 : 1 অনুপাতে দীর্ঘ ও খর্ব উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। সুতরাং এর থেকে সিদ্ধান্ত হল : প্রতি চারটি উদ্ভিদের মধ্যে তিনটি দীর্ঘ এবং একটি খর্ব উদ্ভিদ দেখা যায়।
প্রশ্ন 6. (i) মেণ্ডেলের দ্বি লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষা কাকে বলে? (ii) এই পরীক্ষা থেকে F1 ও F2 জনুতে কি কি জাতীয় উদ্ভিদ দেখতে পান?
উত্তর : (i) এক-লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষার পর মেণ্ডেল দুজোড়া পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত মটরগাছ নিয়ে যে প্রজন পরীক্ষা করেন তাকে দ্বি লক্ষণ সঙ্করায়ণ (Dihybrid cross ) বলা হয়।
(ii) দ্বি-লক্ষণ সঙ্করায়ণের এক পরীক্ষায় মেণ্ডেল (a) : দীর্ঘ কাণ্ডযুক্ত ও গােল বীজ উৎপাদী এবং (b) খর্ব কাণ্ডযুক্ত ও কুঞ্চিত বীজ উৎপাদী -এই দুধরনের শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত মটরগাছ নির্বাচন করে তাদের মধ্যে ইতর পরাগযোগ ঘটান। এর ফলে, F1 জনুতে উৎপন্ন সমস্ত মটরগাছই দীর্ঘ কাণ্ড এবং গােল বীজযুক্ত হয়। এর পর তিনি F1 জনুর মটরগাছগুলির মধ্যে স্বপরাগযােগ ঘটান। ফলে, F2 জনুতে তিনি মােট চার রকমের উদ্ভিদ দেখতে পান। সেগুলি হল: (i) দীর্ঘ কাণ্ড ও গােল বীজযুক্ত, (ii) দীর্ঘ কাণ্ড ও কুঞ্চিত বীজযুক্ত, (iii) খর্ব কাণ্ড ও গােল বীজযুক্ত এবং (iv) খর্ব কাণ্ড ও কুঞ্চিত বীজযুক্ত।
উত্তর : (i) এক-লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষার পর মেণ্ডেল দুজোড়া পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত মটরগাছ নিয়ে যে প্রজন পরীক্ষা করেন তাকে দ্বি লক্ষণ সঙ্করায়ণ (Dihybrid cross ) বলা হয়।
(ii) দ্বি-লক্ষণ সঙ্করায়ণের এক পরীক্ষায় মেণ্ডেল (a) : দীর্ঘ কাণ্ডযুক্ত ও গােল বীজ উৎপাদী এবং (b) খর্ব কাণ্ডযুক্ত ও কুঞ্চিত বীজ উৎপাদী -এই দুধরনের শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত মটরগাছ নির্বাচন করে তাদের মধ্যে ইতর পরাগযোগ ঘটান। এর ফলে, F1 জনুতে উৎপন্ন সমস্ত মটরগাছই দীর্ঘ কাণ্ড এবং গােল বীজযুক্ত হয়। এর পর তিনি F1 জনুর মটরগাছগুলির মধ্যে স্বপরাগযােগ ঘটান। ফলে, F2 জনুতে তিনি মােট চার রকমের উদ্ভিদ দেখতে পান। সেগুলি হল: (i) দীর্ঘ কাণ্ড ও গােল বীজযুক্ত, (ii) দীর্ঘ কাণ্ড ও কুঞ্চিত বীজযুক্ত, (iii) খর্ব কাণ্ড ও গােল বীজযুক্ত এবং (iv) খর্ব কাণ্ড ও কুঞ্চিত বীজযুক্ত।
প্রশ্ন 7. (i) মেণ্ডেলের সূত্র কাকে বলে? (ii) গেণ্ডেলের প্রথম ও দ্বিতীয় সূত্র কোন কোন পরীক্ষা থেকে পাওয়া যায়? (ii) মেণ্ডেলের সূত্রগুলি লেখ।
উত্তর : (i) মেণ্ডেল তার বিভিন্ন এক-লক্ষণ সঙ্করায়ণ এবং দ্বি-লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষার ফলের উপর ভিত্তি করে বংশগতি সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে দুটি বিজ্ঞানসম্মত মৌলিক সূত্র প্রণয়ন করেন, সেই সূত্র দুটি মেণ্ডেলের সূত্র (Mendel’s laws) নামে পরিচিত।
(ii) এক লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেণ্ডেল বংশগতির যে সূত্র প্রণয়ন করেন, তাকে মেণ্ডেলের প্রথম সূত্র (Mendel’s first law) বলা হয়। এটি পৃথক-ভবন সূত্র ( Law of segregation ) নামেও পরিচিত।
আবার, দ্বি-লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষার ফলাফল থেকে মেণ্ডেল বংশগতির যে সূত্র প্রণয়ন করেন সেই সূত্রটি মেণ্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র (Mendel’s second law ) বা স্বতন্ত্র শ্রেণীভুক্তিকরণ সূত্র (Law of independent assortment) নামে পরিচিত।
(iii) মেণ্ডেলের প্রথম সূত্র : F1 সংকর থেকে উৎপন্ন বীজে একজোড়া বিসদৃশ লক্ষণের উপাদান (Factor) থাকে। জনন-কোষে উপাদনগুলি আলাদা (Segregate ) হয়ে যায়; ফলে, জনন-কোষে একটিমাত্র উপাদান থাকে।
মেণ্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র : যদি দুটি জনিতৃ-জীবের মধ্যে দুজোড়া পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণের পার্থক্য থাকে, তা হলে প্রতি জোড়া লক্ষণ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে (অর্থাৎ, অন্য জোড়া লক্ষণের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না রেখে) বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়।
উত্তর : (i) মেণ্ডেল তার বিভিন্ন এক-লক্ষণ সঙ্করায়ণ এবং দ্বি-লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষার ফলের উপর ভিত্তি করে বংশগতি সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে দুটি বিজ্ঞানসম্মত মৌলিক সূত্র প্রণয়ন করেন, সেই সূত্র দুটি মেণ্ডেলের সূত্র (Mendel’s laws) নামে পরিচিত।
(ii) এক লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেণ্ডেল বংশগতির যে সূত্র প্রণয়ন করেন, তাকে মেণ্ডেলের প্রথম সূত্র (Mendel’s first law) বলা হয়। এটি পৃথক-ভবন সূত্র ( Law of segregation ) নামেও পরিচিত।
আবার, দ্বি-লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষার ফলাফল থেকে মেণ্ডেল বংশগতির যে সূত্র প্রণয়ন করেন সেই সূত্রটি মেণ্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র (Mendel’s second law ) বা স্বতন্ত্র শ্রেণীভুক্তিকরণ সূত্র (Law of independent assortment) নামে পরিচিত।
(iii) মেণ্ডেলের প্রথম সূত্র : F1 সংকর থেকে উৎপন্ন বীজে একজোড়া বিসদৃশ লক্ষণের উপাদান (Factor) থাকে। জনন-কোষে উপাদনগুলি আলাদা (Segregate ) হয়ে যায়; ফলে, জনন-কোষে একটিমাত্র উপাদান থাকে।
মেণ্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র : যদি দুটি জনিতৃ-জীবের মধ্যে দুজোড়া পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণের পার্থক্য থাকে, তা হলে প্রতি জোড়া লক্ষণ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রভাবে (অর্থাৎ, অন্য জোড়া লক্ষণের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না রেখে) বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়।
প্রশ্ন ৪. নিচের শব্দগুলি কাকে বলে?
(i) অ্যালিল, (ii) প্রকট ও প্রচ্ছন্ন জিন, (iii) শুদ্ধ লক্ষণ ও সঙ্কর, (iv) জিনােটাইপ ও ফিনােটাইপ।
উত্তর : (i) অ্যালিল (Alleles ) : জীবের এক-একটি লক্ষণের জন্য এক জোড়া করে জিন থাকে। এই জিন দুটি ক্রোমােজোমের দৈর্ঘ্য-বরাবর কোনও নিদিষ্ট স্থানে পাশাপাশি থাকে। জীবের কোনও লক্ষণের জন্য দায়ী এইরকম জিন-জোড়াকে অ্যালিল বলা হয়।
(i) অ্যালিল, (ii) প্রকট ও প্রচ্ছন্ন জিন, (iii) শুদ্ধ লক্ষণ ও সঙ্কর, (iv) জিনােটাইপ ও ফিনােটাইপ।
উত্তর : (i) অ্যালিল (Alleles ) : জীবের এক-একটি লক্ষণের জন্য এক জোড়া করে জিন থাকে। এই জিন দুটি ক্রোমােজোমের দৈর্ঘ্য-বরাবর কোনও নিদিষ্ট স্থানে পাশাপাশি থাকে। জীবের কোনও লক্ষণের জন্য দায়ী এইরকম জিন-জোড়াকে অ্যালিল বলা হয়।
(ii) প্রকট (Dominant) এবং প্রচ্ছন্ন (Recessive) জিন : কোনও পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে হেটারোজাইগােটে ঐ লক্ষণের জন্য দায়ী দুটি জিন থাকলেও, এই হেটারােজাইগােট থেকে উৎপন্ন জীবদেহে এই জিন দুটির মধ্যে কেবল একটি জিনের লক্ষণই প্রকাশ পায়, অন্যটির লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সুতরাং হেটারোজাইগাস জীবে বা সঙ্করে যে লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে প্রকট লক্ষণ এবং এই লক্ষণের জন্য জিনকে বলা হয় প্রকট জিন।
আবার যখন এই জীবে বা সঙ্করে যে লক্ষণ প্রকাশ পায় না সেই লক্ষণকে প্রচ্ছন্ন লক্ষণ এবং এই লক্ষণের জন্য দায়ী জিনকে প্রচ্ছন্ন জিন বলে।
(iii) শুদ্ধ লক্ষণ (Pure character): কোনও জীবের কোনও একটি লক্ষণ যদি বংশপরম্পরায় অপরিবতিত থাকে, তাহলে ঐ লক্ষণটিকে ঐ জীবের শুদ্ধ লক্ষণ ধরা হয়। কোনও একটি শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত জীব ঐ শুদ্ধ লক্ষণের জন্য হােমােজাইগাস হয়।
সঙ্কর (Hybrid ) : দুটি শুদ্ধ এবং পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত জীবের মধ্যে সঙ্করায়ণ ঘটালেও, প্রথম অপত্য জনুতে যেসব অপত্য জীব উৎপন্ন হয়, তাদের প্রত্যেকটিকে সঙ্কর বলে।
(iv) ফিনােটাইপ (Phenotype) : কোনও জীবের লক্ষণগুলির বহিঃপ্রকাশকে ঐ জীবের ফিনােটাইপ বলা হয়।
জিনােটাইপ (Genotype) : কোনও জীবের জাইগােটে তথা প্রতিটি দেহকোষে জিনগত গঠনের বৈশিষ্ট্যকে ঐ জীবের জিনােটাইপ বলা হয়।
আবার যখন এই জীবে বা সঙ্করে যে লক্ষণ প্রকাশ পায় না সেই লক্ষণকে প্রচ্ছন্ন লক্ষণ এবং এই লক্ষণের জন্য দায়ী জিনকে প্রচ্ছন্ন জিন বলে।
(iii) শুদ্ধ লক্ষণ (Pure character): কোনও জীবের কোনও একটি লক্ষণ যদি বংশপরম্পরায় অপরিবতিত থাকে, তাহলে ঐ লক্ষণটিকে ঐ জীবের শুদ্ধ লক্ষণ ধরা হয়। কোনও একটি শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত জীব ঐ শুদ্ধ লক্ষণের জন্য হােমােজাইগাস হয়।
সঙ্কর (Hybrid ) : দুটি শুদ্ধ এবং পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত জীবের মধ্যে সঙ্করায়ণ ঘটালেও, প্রথম অপত্য জনুতে যেসব অপত্য জীব উৎপন্ন হয়, তাদের প্রত্যেকটিকে সঙ্কর বলে।
(iv) ফিনােটাইপ (Phenotype) : কোনও জীবের লক্ষণগুলির বহিঃপ্রকাশকে ঐ জীবের ফিনােটাইপ বলা হয়।
জিনােটাইপ (Genotype) : কোনও জীবের জাইগােটে তথা প্রতিটি দেহকোষে জিনগত গঠনের বৈশিষ্ট্যকে ঐ জীবের জিনােটাইপ বলা হয়।
বংশগতি (Heredity)
প্রশ্ন 9. বংশের ধারা কে বিজ্ঞানের ভাষায় কি বলে?
উত্তর : উত্তরাধিকার।
উত্তর : উত্তরাধিকার।
প্রশ্ন 10. জেনেটিক্স-এর জনক কাকে বলা হয়?
উত্তর : গ্রেগর যােহান মেণ্ডেলকে।
উত্তর : গ্রেগর যােহান মেণ্ডেলকে।
প্রশ্ন 11. মেণ্ডেল কে ছিলেন?
উত্তর : অস্ট্রিয়ার একজন ধর্মযাজক।
উত্তর : অস্ট্রিয়ার একজন ধর্মযাজক।
প্রশ্ন 12. মেণ্ডেল প্ৰজন পরীক্ষায় কি গাছ নিয়ে পরীক্ষা করেন?
উত্তর : মটরগাছ।
উত্তর : মটরগাছ।
প্রশ্ন 13. মেণ্ডেল কোটিকে F1 দ্বারা চিহ্নিত করেন ?
উত্তর : প্রথম অপত্য জনু।
উত্তর : প্রথম অপত্য জনু।
প্রশ্ন 14. মেণ্ডেল F2-কে কার পরিবর্তে ব্যবহার করেন ?
উত্তর : দ্বিতীয় অপত্য জনু।
উত্তর : দ্বিতীয় অপত্য জনু।
প্রশ্ন 15. মেণ্ডেল F1-এর ক্ষেত্রে কিরূপ পরাগ প্রয়ােগ ঘটান ?
উত্তর : স্বপরাগযােগ ঘটান।
উত্তর : স্বপরাগযােগ ঘটান।
প্রশ্ন 16. F2 জনুতে লম্বা ও খর্ব উদ্ভিদের কি অনুপাত দেখা যায়?
উত্তর : 3 : 1.
উত্তর : 3 : 1.
প্রশ্ন 17. সুপ্রজনন বিদ্যায় 3 : 1 অনুপাতকে কি বলা হয়?
উত্তর : একক লক্ষণ সঙ্করায়ণ অনুপাত।
উত্তর : একক লক্ষণ সঙ্করায়ণ অনুপাত।
প্রশ্ন 18. মেণ্ডেল দ্বি-লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষায় কিরূপ মটরগাছ নেন ?
উত্তর : দুজোড়া পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত মটর গাছ।
উত্তর : দুজোড়া পরস্পর বিসদৃশ লক্ষণযুক্ত মটর গাছ।
প্রশ্ন 19. উদ্ভিদের এক একটি লক্ষণ কার ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : এক একটি উপাদান।
উত্তর : এক একটি উপাদান।
প্রশ্ন 20. জাইগােটে উপাদানগুলি কিরূপ থাকে?
উত্তর : জোড়ায় জোড়ায়।
উত্তর : জোড়ায় জোড়ায়।
প্রশ্ন 21. শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত উদ্ভিদের জাইগােটকে কি বলে?
উত্তর : হােমােজাইগােট।
উত্তর : হােমােজাইগােট।
প্রশ্ন 22. হােমােজাইগােট থেকে সৃষ্ট উদ্ভিদকে কি বলে?
উত্তর : হােমােজাইগাস উদ্ভিদ।
উত্তর : হােমােজাইগাস উদ্ভিদ।
প্রশ্ন 23. পিনেটবর্গ থেকে কি কি জানা যায়?
উত্তর : ফিনােটাইপ ও জিনােটাইপ সম্বন্ধে।
উত্তর : ফিনােটাইপ ও জিনােটাইপ সম্বন্ধে।
প্রশ্ন 24. পিনেটবর্গে জিনােটাইপের অনুপাত কত জানা যায়?
উত্তর : 1 : 2 : 1.
উত্তর : 1 : 2 : 1.
প্রশ্ন 24. মেণ্ডেল বংশগতির প্রথম সূত্র কোন পরীক্ষা থেকে করেন?
উত্তর : এক-লক্ষণ সঙ্করায়ণ পরীক্ষা।
প্রশ্ন 26. মেণ্ডেলের দ্বিতীয় সূত্র কোন পরীক্ষার ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর : দ্বি-লক্ষণ সঙ্করায়ণ।
প্রশ্ন 27. মেণ্ডেলের প্রথম সূত্রের নাম কি?
উত্তর : পৃথকভবন সূত্র।
উত্তর : পৃথকভবন সূত্র।
প্রশ্ন 28. মেণ্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রের নাম কি?
উত্তর : স্বতন্ত্র শ্রেণীভুক্তিকরণ সূত্র।
উত্তর : স্বতন্ত্র শ্রেণীভুক্তিকরণ সূত্র।
প্রশ্ন 29. জীবের এক-একটি লক্ষণের জন্য কি থাকে ?
উত্তর : একজোড়া জিন।
উত্তর : একজোড়া জিন।
প্রশ্ন 30. সঙ্করায়ণ পরীক্ষায় নির্বাচিত শুদ্ধ লক্ষণযুক্ত জীবদের কি বলে ?
উত্তর : জনিতৃ জনু।
প্রশ্ন 31. কোন জাতির গম বেশী ফলনশীল ?
উত্তর : সােনালিকা।
উত্তর : সােনালিকা।
প্রশ্ন 32. তিনটি সঙ্কর জাতি ধানের নাম কর।
উত্তর : পদ্মা, জয়া, আই. আর.-এইট.।
উত্তর : পদ্মা, জয়া, আই. আর.-এইট.।
প্রশ্ন 33. তিনটি সঙ্কর জাতির মুরগির নাম কর।
উত্তর : প্লিমাউথরক, রােড আইল্যাণ্ড, মিনরকা।
প্রশ্ন 34. একটি সঙ্কর জাতির গরুর নাম কর।
উত্তর : জার্সি-শাহীওয়াল।
উত্তর : জার্সি-শাহীওয়াল।