Tuesday, 7 April 2020

বৃদ্ধি ও জনন জীবন বিজ্ঞান

বৃদ্ধি ও জনন (রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর)

প্রশ্ন 1. “উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৃদ্ধিতে হরমোন একটি গুরুত্বপূর্ণ আভ্যন্তরীণ শর্ত” কেন?
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণী, উভয়ের বৃদ্ধিতে বিভিন্ন হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ শর্ত।
উদ্ভিদের বৃদ্ধির পক্ষে (i) অক্সিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হরমােন। এটি উদ্ভিদের কোষ-বিভাজন ও কোষের আয়তন-বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, (ii) অঙ্গজ মুকুল ও পুষ্পমুকুলের বৃদ্ধি অক্সিনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
   অক্সিনের প্রভাবে ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। (iii) জিব্বারেলিন বীজের অঙ্কুরোদগমে সাহায্য করে। (iv) কাইনিন-ও কোষ-বিভাজনে সাহায্য করে।
প্রাণীর ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডী প্রাণীর বৃদ্ধি (i) থাইরক্সিন এবং একাধিক (ii) পিটুইটারি হরমােনের উপর নির্ভর করে। শিশু-প্রাণীর বৃদ্ধি কেবল থাইরক্সিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পরিণতির সঙ্গে সঙ্গে পিটুইটারি হরমােনের প্রভাবে থাইরক্সিন হরমােনের ক্রিয়াশীলতা বজায় থাকে বলে, প্রাণীর স্বাভাবিক বৃদ্ধি অক্ষুন্ন থাকে। (iii) প্রাণীর গােনাড (Gonads) থেকে নিঃসৃত হরমােনের প্রভাবে গৌণ যৌন লক্ষণগুলি প্রকাশিত হয়। (iv) পতঙ্গের রূপান্তর: এক প্রকার হরমােনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
প্রশ্ন 2. উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য কি কি গ্যাসের প্রয়ােজন এবং কেন?
উত্তর : উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য (a) কার্বন ডাই-অক্সাইড, (b) নাইট্রোজেন এবং (c) অক্সিজেন -বায়ুর এই তিনটি গ্যাস প্রয়ােজন হয়।
   কার্বন ডাই-অক্সাইড উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশক, এর সাহায্যে উদ্ভিদ সালােকসংশ্লেষ করে। আবার পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে, বিষক্রিয়ার ফলে, উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।নাইট্রোজেন উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে পরােক্ষভাবে সাহায্য করে। এর স্থিতিকরণের ফলে বায়ুর নাইট্রোজেন মাটিতে বিভিন্ন ধরনের নাইট্রোজেন-ঘটিত লবণে পরিবর্তিত হয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। উদ্ভিদ নাইট্রোজেন ঘটিত লবণ শােষণ করে দেহের নানা প্রকার প্রােটিন সংশ্লেষ করে।
   উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য শক্তি সরবরাহের প্রয়ােজনে শ্বসনের জন্য অক্সিজেনের খুবই প্রয়োজন।
প্রশ্ন 3. “কিছু জীবের বৃদ্ধির জন্য আলাে অপরিহার্য এবং কিছু কিছু জীবের বৃদ্ধিতে আলাের প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই” -উদাহরণ দ্বারা এটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আলােকের উপস্থিতিতেই সালােকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে উদ্ভিদ খাদ্য প্রস্তুত করে। তাই উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য আলো অপরিহার্য। কিন্তু, তীব্র আলােক উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। আবার, টম্যাটো, সূর্যমুখী প্রভৃতি উদ্ভিদ প্রত্যক্ষ সূর্যালােক ছাড়া ভালভাবে বাড়তে পারে না বলে, এদের আলােক-বিলাসী (Photophilic) উদ্ভিদ বলা হয়। কিন্তু মস, ফর্ণ, কচু প্রভৃতি আলোক-বিমুখী (Photophobic) উদ্ভিদ ছায়াচ্ছন্ন জায়গায় ভালভাবে বাড়ে। কিন্তু, গোলাপ প্রভৃতি কয়েক ধরনের উদ্ভিদ আলোক-নিরপেক্ষ (Photoneutral)। এগুলো আলােকিত এবং ছায়াচ্ছন্ন জায়গায় সমানভাবে বাড়ে। অধিকাংশ উদ্ভিদের জননগত বৃদ্ধি আলোকের স্থিতিকালের তারতম্যের উপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন 4. চারাগাছের বিভিন্ন ধরনের বৃদ্ধির পর্যায়গুলো সংক্ষেপে আলােচনা কর।
উত্তর : চারাগাছের বিভিন্ন ধরনের বৃদ্ধি হল: (i) প্রাথমিক বৃদ্ধি, (ii) গৌণ বৃদ্ধি, (iii) অঙ্গজ বৃদ্ধি এবং (iv) জননগত বৃদ্ধি।
(i) প্রাথমিক বৃদ্ধি ক্রমাগত জল ও লবণ-শােষণ এবং সালােকসংশ্লেষের ফলে চারাগাছ বড় হতে থাকে। এই সময় দেহের কতকগুলি নিদিষ্ট অঞ্চলের কোষ দ্রুতহারে বিভাজিত হয়ে নবজাত কোষগুলি আকারে বড় হয়। আবার এই সময় নানারকম কাজের জন্য বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে, কলা ও কলাতন্ত্র গঠন করে। এই পর্যায়ে কাণ্ড থেকে শাখা-প্রশাখা সৃষ্টি হয় এবং ক্রমাগত নতুন পাতার আবির্ভাব হয়। উদ্ভিদের এই সময়কার বৃদ্ধিকে বলা হয় প্রাথমিক বৃদ্ধি (Primary growth)
(ii) গৌণ বৃদ্ধি: দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের প্রাথমিক বৃদ্ধির পর গৌণ বৃদ্ধি ঘটে। এই পর্যায়ে কাণ্ড ও মূলের ক্যামবিয়াম ভাজক কলার কোষগুলি বিভাজিত হয়ে উদ্ভিদের প্রস্থ বৃদ্ধি করে।
(iii) অঙ্গজ বৃদ্ধি: প্রাথমিক ও গৌণ বৃদ্ধির পর তৃতীয় পর্যায়ে উদ্ভিদের দেহের বৃদ্ধি বা অঙ্গজ বৃদ্ধি (vegetative growth) হয়।
(iv) জননগত বৃদ্ধি: সাধারণভাবে প্রাথমিক বুদ্ধির শেষে জননগত বৃদ্ধির (Reproductive growth)-র সূচনা হয়। পুষ্পমুকুল থেকে পুষ্প ও পুষ্প থেকে ফল সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন 5. (i) ভ্রণ কিভাবে সৃষ্টি হয়? (ii) প্রত্যক্ষ পরিস্ফুরণ ও পরােক্ষ পরিস্ফুরণ কাকে বলে? প্রত্যেক প্রকারের উদাহরণ দাও।
উত্তর : (i) প্রাণীদের পরিস্ফুরণের প্রথম ধাপে ভ্রুনাণু মাইটোসিস পদ্ধতিতে বার বার বিভাজিত হয়ে অনেকগুলি কোষ সৃষ্টি করে। সেই কোষগুলো পরে বিশেষভাবে বিন্যস্ত হয়ে ভ্রুণ (Embryo) সৃষ্টি করে। মাছ ও উভচর প্রাণীর ভ্রুণ ডিমের মধ্যে থাকে।
(ii) প্রত্যক্ষ পরিস্ফুরণঃ যে ধরনের পরিস্ফুরণে আকারে ছােট দেখতে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীর মত শিশু-প্রাণী সরাসরি ভ্রুণ থেকে বের হয় তাকে প্রত্যক্ষ পরিস্ফুরণ বলে। যেমন, অধিকাংশ প্রাণীর বাচ্চা আকারে ছােট হলেও দেখতে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীর মত।
(iii) পরােক্ষ পরিস্ফুরণ: যে পরিস্ফুরণে লার্ভার মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীর সৃষ্টি হয় তাকে পরােক্ষ পরিস্ফুরণ বলে। যেমন, ব্যাঙের লার্ভা অর্থাৎ ব্যাঙাচীর দৈহিক ও শারীরবৃত্তীয় আমূল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে লার্ভা ক্রমে পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পরিণত হয়।
প্রশ্ন 6. সপুষ্পক উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৃদ্ধির পার্থক্য কি কি ?
উত্তর: দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ ও মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে বৃদ্ধির পার্থক্যগুলি দেওয়া হল।
উদ্ভিদের বৃদ্ধি
প্রাণীর বৃদ্ধি
(1) বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদের বৃদ্ধি আমৃত্যু চলতে থাকে
(1) মেরুদণ্ডী প্রাণীর মৃত্যুর অনেক আগেই বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়
(2) এদের বৃদ্ধি কেবল বর্ধমান অঞ্চলে অর্থাৎ কাণ্ড মূলের ডগায় (এবং পরিধিতেও ) সীমাবদ্ধ
(2) এদের বৃদ্ধির জন্য কোনও নির্দিষ্ট বর্ধমান অঞ্চল নেইপ্রয়ােজন মতাে অধিকাংশ অঙ্গ-প্রতঙ্গ মােটামুটি সমানভাবে বাড়তে পারে
(3) বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদের বৃদ্ধির হার দিন-রাত্রি এবং ঋতুভেদে কম-বেশি হয়
(3) মেরুদণ্ডী প্রাণীদের বৃদ্ধির হার দিন-রাত্রি এবং ঋতুভেদে কম-বেশি হয় না



প্রশ্ন 7. অঙ্গজ জনন কাকে বলে? তার বৈশিষ্ট্যগুলি কি কি?
উত্তর : অঙ্গজ জনন: বহুকোষী উদ্ভিদের যে বিশেষ ধরনের অযৌন জননে জনিতৃ উদ্ভিদের যৌন জননে অংশগ্রহণকারী অঙ্গ ছাড়া অন্য যে-কোনও অঙ্গ থেকে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়, তাকে অঙ্গজ জনন (Vegetative reproduction) বলে।
অঙ্গজ জননের বৈশিষ্ট্য : (i) অঙ্গজ জননের সাহায্যে উৎপন্ন অপত্য উদ্ভিদ হুবহু জনিতৃ-উদ্ভিদের মতাে গুণসম্পন্ন হয়।
(ii) কেবল অনুকূল পরিবেশেই এই পদ্ধতিতে জনন হয়।
(iii) জনিতৃ-উদ্ভিদের কেবল অঙ্গজ বৃদ্ধির উপরই অঙ্গজ জনন নিভরশীল—পরাগযােগ এবং ফল ও বীজের বিস্তারের উপর একে নির্ভর করতে হয় না।
(iv) ধাবক, প্ররােহ, বক্ৰধাবক ইত্যাদির সাহায্যে অঙ্গজ জননে খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি হয়—অল্প সময়ের মধ্যেই অনেকখানি অপত্য উদ্ভিদে ছেয়ে যায়।
(v) নবজাত অপত্য উদ্ভিদ বেশ কিছু সময় জনিতৃ-উদ্ভিদের সঙ্গে যুক্ত থাকায়, ঐ সময়ে এদের খাদ্যাভাবে অসুবিধা হয় না। কাজেই, এরা সহজে সাময়িক প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারে।
প্রশ্ন ৪. (i) অযৌন জননের সংজ্ঞা দাও। (ii) কারা কেবল অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনন করে? (iii) অযৌন জননের পদ্ধতি কি কি?
উত্তর : (i) অযৌন জননের সংজ্ঞা : জননের যে পদ্ধতিতে জনন-কোষ সৃষ্টি না হয়ে, একটিমাত্র জনিতৃ-জীবের দেহের বিশেষ ধরনের কোনও একটি কোষ অথবা দেহের কোনও বিশেষ অংশ থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়, তাকে অযৌন জনন (Asexual reproduction) বলা হয়।
(ii) অধিকাংশ জীবাণু, কয়েক ধরনের শেওলা, অনেক এককোষী প্রাণী ইত্যাদি জীব কেবল অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনন করে।
(iii) অযৌন জননের পদ্ধতিগুলি হল : (a) দ্বি-ভাজন, (b) বহুভাজন, (c) কোরকোদগম, (d) খণ্ডিত হওয়া এবং পুনরুৎপত্তি।
প্রশ্ন 9. অঙ্গজ জনন ও অযৌন জননের মধ্যে পার্থক্য কি কি ?
উত্তর : অঙ্গজ জনন ও অযৌন জননের পার্থক্য নিচের ছকে দেওয়া হল।

অঙ্গজ জনন
অযৌন জনন
(1) অঙ্গজ জননে জীবের জনন-অঙ্গ ছাড়া অন্য যে-কোনও অঙ্গ থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়
(1) অযৌন জননে যেমন জীবের জনন-অঙ্গ ছাড়া অন্য অঙ্গ থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়, তেমনি অযৌন জননের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গ থেকে উৎপন্ন অযৌন স্পোর থেকেও অপত্য জীব সৃষ্টি হয়
(2) অঙ্গজ জননে দেহ-কোষের মাইটোসিস পদ্ধতিতে কোষ বিভাজনের ফলে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়
(2) অযৌন জননে মাইটোসিস এবং মায়োসিস উভয় পদ্ধতিতে কোষ-বিভাজনের ফলে অপত্য
জীব সৃষ্টি হয়
(3) অঙ্গজ জননে মায়ােসিস পদ্ধতিতে কোষ-বিভাজন হয় না
(3) অযৌন জননে মায়ােসিস পদ্ধতিতে কোষ-বিভাজন হতে পারে, না- হতে পারে



প্রশ্ন 10. (i) নিষেক কাকে বলে? (ii) শুক্রাণু ও ডিম্বাণু কি? (ii) উভলিঙ্গ কাকে বলে তাদের উদাহরণ দাও।
উত্তর : (i) নিষেক: যৌন জননের যে বিশেষ পদ্ধতিতে আকৃতি, গঠন ও প্রকৃতিতে পরস্পর পৃথক দুটি জনন কোষের মিলনের ফলে ভ্রূণকোষ (Zygote) সৃষ্টি হয় তাকে নিষেক (Fertilisation) বলে ।
(ii) নিষেকে যে দুটি জনন কোষ মিলিত হয় তাদের আকৃতি ও প্রকৃতি পরস্পর ভিন্ন। এদের মধ্যে যেটি অপেক্ষাকৃত ছােট, সচল এবং সক্রিয় তাদের শুক্রাণু (Sperm) বা পুং-জনন কোষ (Male gamate) বলে।
আবার যেটি অপেক্ষাকৃত বড়, নিশ্চল এবং নিস্ক্রিয় তাকে ডিম্বাণু (Ovum) বা স্ত্রী-জনন কোষ (Female gamate) বলে।
(iii) একই জীবের দেহে স্ত্রী ও পুং-জনন অঙ্গ থাকলে ঐ জীবকে উভলিঙ্গ (Bi-sexual ) বলে। যেমন অধিকাংশ উদ্ভিদ, কেঁচো, জোক ইত্যাদি অমেরুদণ্ডী উভলিঙ্গ।
প্রশ্ন 11. (i) সপুষ্পক উদ্ভিদের জনন অঙ্গের নাম কি? এটি কিভাবে সাজান থাকে? (ii) সপুষ্পক উদ্ভিদের কি কি ধরনের স্তবক আছে?
উত্তর : পুষ্পই সপুষ্পক উদ্ভিদের জনন অঙ্গ। আদর্শ পুষ্প ( Typical flower)-এর চারটি স্তবক (Whorls) থাকে। পুষ্পক্ষ (Thalamus) নামের অংশের উপরে পুষ্পের এই চারটি স্তবক চারটি সমকেন্দ্রী (Concentric) বৃত্তের পরিধি-বরাবর সাজানাে থাকে। এতে স্তবকগুলি দু’ধরনের থাকে—আনুষঙ্গিক স্তবক ও অপরিহার্য স্তবক। আনুষঙ্গিক স্তবক দুটিকে বলে-
(i) বৃতি (Calyx)→ কয়েকটি বৃত্যংশ (Sepals ) দিয়ে গঠিত,
(ii) দলমণ্ডল (Corolla)→ কয়েকটি পাপড়ি বা দলাংশ (Petals) দিয়ে গঠিত,
অপরিহার্য স্তবক দুটি হল :
(iii) পুংস্তবক (Androecium)→ কয়েকটি পুংকেশর (Stamens) দিয়ে গঠিত, এবং (iv) স্ত্রীস্তবক (Gynoecium)→ একটি অথবা কয়েকটি গর্ভপত্র (Carpels) দিয়ে গঠিত।
চারটি স্তবক-যুক্ত পুষ্পকে সম্পূর্ণ পুষ্প (Complete flower)-ও বলা হয়।
প্রশ্ন 12. পরাগরেণুর সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।
উত্তর : পরাগরেণু (Pollen grai): পুষ্পের পুং-জনন অঙ্গের পরাগধানীর পরাগ থলিতে খুব সূক্ষ্ম ও গোলাকার যে জিনিষ থাকে তাদের বলে পরাগরেণু। পরাগরেণুর আবরণে দুটি স্তর থাকে। ভিতরের পাতলা স্তরকে বলে রেণু-অন্তস্তবক (Intine), বাইরের স্তরটি অপেক্ষাকৃত পুরু এবং নক্সাকাটা। এই স্তরের নাম রেণু-বহিস্তবক (Exine)। রেণু-বহিস্তবকে কয়েকটি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলির নাম রেণুরন্ধ্র (Germ pores)
পরাগরেণুর মধ্যে দুটি করে নিউক্লিয়াস থাকে—একটি বড়, অপরটি ছােট। বড় নিউক্লিয়াসটিকে নলিকা-নিউক্লিয়াস (Tube nucleus) এবং ছােট নিউক্লিয়াসটিকে জনন নিউক্লিয়াস (Generative nucleus) বলে। মায়ােসিসের ফলে উৎপন্ন হয় বলে, পরাগরেণুর নিউক্লিয়াস দুটির প্রত্যেকটিতে হ্যাপ্লয়েড-সংখ্যক অর্থাৎ, n-সংখ্যক ক্রোমােজোম থাকে।
প্রশ্ন 13. যৌন ও অযৌন জননের পার্থক্যগুলি কি কি?
উত্তর : নিচে যৌন ও অযৌন জননের পার্থক্যগুলি ছকে দেওয়া হল।
যৌন জনন
অযৌন জনন
(1) এতে জনন-কোষ সৃষ্টি হওয়া অপরিহার্য
(1) এতে জনন-কোষ সৃষ্টি হয় না
(2) দুটি বিপরীতধর্মী জনন-কোষের মিলনের ফলে যৌন জনন সম্পন্ন হয়
(2) অযৌন জননে দেহকোষ বা অযৌন স্পােরের মাইটোসিস পদ্ধতিতে কোষ-বিভাজনের ফলে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়
(3) এতে মায়ােসিস পদ্ধতিতে কোষ-বিভাজন অপরিহার্য
(3) এতে মায়ােসিস পদ্ধতিতে কোষ-বিভাজন অপরিহার্য নয়
(4) যৌন জননে উৎপন্ন অপত্য জীবগুলির মধ্যে পরিবৃত্তির সম্ভাবনা খুব বেশি
(4) অযৌন জননের দ্বারা উৎপন্ন অপত্য জীবদের মধ্যে পরিবৃত্তির সম্ভাবনা নেই অথবা থাকলেও খুবই কম
(5) যৌন জননে অপেক্ষাকৃত বেশি সময়ে অপেক্ষাকৃত কম অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। বংশধারা পুনরুজ্জীবিত করা যৌন জননের মুখ্য উদ্দেশ্য
(5) কম সময়ে অনেক বেশি সংখ্যক অপত্য জীব সৃষ্টি করাই অযৌন জননের মুখ্য উদ্দেশ্য
(3) যৌন জনন উন্নত ধরনের জীবের স্বাভাবিক জনন-পদ্ধতি
(3) অযৌন জনন অনুন্নত ধরনের জীবের স্বাভাবিক জনন-পদ্ধতি



বৃদ্ধি ও জনন (সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)

প্রশ্ন 14. বৃদ্ধি কাকে বলে ?
 উত্তর : জীবের দেহের আয়তন ও আকৃতি ও আবের দেহের আয়তন ও আকৃতি এবং শুষ্ক ওজন স্থায়ীভাবে বেড়ে যাওয়াকে বৃদ্ধি বলে।
প্রশ্ন 15. বৃদ্ধির শর্ত কি কি ?
উত্তর : বৃদ্ধির শর্তের মধ্যে কিছু আভ্যন্তরীণ ও কিছু বাহ্য। যেমন, হরমােন, খাদ্য, বায়ু, আলোক, জল ও উষ্ণতা।
প্রশ্ন 16. উন্নত ধরনের উদ্ভিদের বুদ্ধিতে ক’টি ধাপ এবং কি কি?
উত্তর : তিনটি ধাপড্রণের বুদ্ধি বা পরিস্ফরণ, অঙ্কুরোদগম ও শিশু-উদ্ভিদের বৃদ্ধি।
প্রশ্ন 17. উদ্ভিদের মুখ্য বৃদ্ধিকাল কাকে বলে ?
উত্তর : অঙ্কুরােদগমের পর থেকে আরম্ভ করে বৃদ্ধি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত যে সময়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধি হয়, তাকে মুখ্য বৃদ্ধিকাল বলে।
প্রশ্ন 18. উদ্ভিদের বৃদ্ধির অঞ্চল কোথায় ?
উত্তর : এদের বৃদ্ধি কয়েকটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ। এই অঞ্চল গুলাে হল : (ক) কাণ্ড ও মূলের ডগা, (খ) কাণ্ড ও মূলের পরিধি অঞ্চল (কেবল দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে)।
প্রশ্ন 19. বৃদ্ধিতে কি কি পর্যায় আছে?
উত্তর : কোষ বিভাজন, কোষের আয়তন বৃদ্ধি ও পরিস্ফুরণ।
প্রশ্ন 20. জনন কাকে বলে ?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় জীব দেহের অংশ দিয়ে নিজের মত জীব সৃষ্টি করে তাকে জনন বলে।
প্রশ্ন 21. অপত্য জীব ও জনিতৃ-জীব কাকে বলে ?
উত্তর : জননের ফলে উৎপন্ন জীবকে অপত্য জীব এবং যে জীবের দেহের অংশ থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়, তাকে জনিতৃ জীব বলে।
প্রশ্ন 22. জনন ক’প্রকার এবং কি কি?
উত্তর : দু’ প্রকার- যৌন জনন ও অযৌন জনন ।
প্রশ্ন 23. অঙ্গজ জনন কাকে বলে ?
উত্তর: বহুকোষী উদ্ভিদের যে বিশেষ ধরনের অযৌন জননে জনিতৃ উদ্ভিদের যৌন জননে অংশগ্রহণকারী অঙ্গ ছাড়া অন্য যে কোনও অঙ্গ থেকে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়, তাকে অঙ্গজ জনন বলে।
প্রশ্ন 24. মাছের বয়স কি দেখে অনুমান করা যায় ?
উত্তর : কয়েক ধরনের মাছের আঁশে বৃত্তাকার চিহ্নের সংখ্যা দেখে মাছের বয়স অনুমান করা যায়।
প্রশ্ন 25. নিষেক কাকে বলে ?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় পরাগরেণু পরাগধানী থেকে গভমুণ্ডে পৌঁছায় তাকে পরাগ সংযােগ (Pollination) বা নিষেক বলে।
প্রশ্ন 26. নিষেকের জন্য কি কি প্রস্তুতির প্রয়ােজন ?
উত্তর: নিষেকের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়ােজন (i) পরাগযােগ, (ii) পুং-জনন কোষ সৃষ্টি এবং ডিম্বাণু সৃষ্টি।
প্রশ্ন 27. দ্বি-নিষেক কি?
উত্তর : দুটি পুং-জনন নিউক্লিাস ভ্রুণস্থলীর দুটি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে পৃথকভাবে মিলিত হয়ে যে নিষেক হয় তাকে দ্বি-নিষেক বলে। এটি গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্ন 28. কুনো ব্যাঙের পুং-জনন অঙ্গের বিভিন্ন অংশের নাম কি ?
উত্তর : কুনাে ব্যাঙের পুংজনন অঙ্গের বিভিন্ন জিনিষ হল : (i) শুক্রাশয়, (ii) গবিনী, (iii) অবরণী, (iv) অবসরণী ছিদ্র, (v) বিডার-এর অঙ্গ এবং মেঘপুঞ্জ।
প্রশ্ন 29. কুনো ব্যাঙের স্ত্রী-জনন অঙ্গের নামগুলি কি কি ?
উত্তর : কুনো ব্যাঙের স্ত্রী-জনন অঙ্গের অংশগুলি হল: (i) ডিম্বাশয়, (ii) ডিম্বনালী, (iii) অবসরণী, (iv) অবসারণী ছিদ্র, (v) মেদপুঞ্জ।
প্রশ্ন 30. কয়েক ধরনের প্রধান অযৌন জননের নাম কর।
উত্তর : (i) দ্বিভাজন, (ii) বহুভাজন, (iii) কোরকোদ্গম (budding ), (iv) খণ্ডিত হওয়া ও পুনরুৎপত্তি।
প্রশ্ন 31. যৌন জনন কধরনের দেখা যায় ও কি কি ?
উত্তর : প্রধানতঃ দু’ধরনের—(i) সংশ্লেষ (conjugation ) ও (iii) নিষেক (fertilisation)।
প্রশ্ন 32. অপুংজনি কাকে বলে? এরূপ উদ্ভিদ ও প্রাণীর নাম কর, যেক্ষেত্রে এগুলি হয়।
উত্তর : অনেক সময় ডিম্বাণু নিষিক্ত না হলেও, এর থেকে সরাসরি ভ্রুণ ও অপত্য জীব সৃষ্টি হয় একে অপুংজনি বলে। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে—ডানডিলায়ন, প্রাণীর ক্ষেত্রের উদাহরণ বােলতা, পিঁপড়া প্রভৃতি।

বৃদ্ধি ও জনন (অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)


প্রশ্ন 33. কার সাহায্যে জীবনের ধারা অব্যাহত থাকে?
উত্তর : জনন।
প্রশ্ন 34. খাদ্যের আত্তীকরণের ফলে কার বৃদ্ধি হয়?
উত্তর : প্রােটোপ্লাজমের।
প্রশ্ন 35. খাদ্যের জারণের (বা শ্বসনের ) ফলে কি নির্গত হয় ?
প্রশ্ন 36. খাদ্যের জারণের জন্য কি প্রয়ােজন হয় ?
উত্তর: অক্সিজেন।
প্রশ্ন 37. প্রোটোপ্লাজমের অন্যতম উপাদান কি ?
উত্তর : জল।
প্রশ্ন 3৪. আলােক বিলাসী একটি উদ্ভিদের নাম কর।
উত্তর : সূর্যমুখী।
প্রশ্ন 39. আলােক বিমুখী একটি উদ্ভিদের নাম কর।
উত্তর: কচু।
প্রশ্ন 40. কত ডিগ্রী উষ্ণতার পর উদ্ভিদের বৃদ্ধি হয় না? 
উত্তর : 50°C-এর বেশী উষ্ণতায়।
প্রশ্ন 41. অগ্রস্থ ভাজক কলার ক্রিয়াশীলতার ফলে উদ্ভিদের কি হয় ?
উত্তর : দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি।
প্রশ্ন 42. ঝিনুকের ভ্রুণ থেকে যে বাচ্চা সৃষ্টি হয় তাকে কি বলে? যে বাচ্চা সৃষ্টি হয় তাকে কি বলে ?
উত্তর : লার্ভা বা শুক।
প্রশ্ন 43. ব্যাঙের লার্ভাকে কি বলে?
উত্তর : ব্যাঙাচি।
প্রশ্ন 44. অমেরুদণ্ডী প্রাণীর কত দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি হয় ?
উত্তর : আমৃত্যু
প্রশ্ন 45. অযৌন জননের সময় কি জনন কোষ সৃষ্টি হয় ?
উত্তর : না।
প্রশ্ন 46. পটলের মূল থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে কি বলে ?
উত্তর : অপত্য উদ্ভিদ।
প্রশ্ন 47. কোন্ পাতা থেকে অপত্য উদ্ভিদ জন্মায় ?
উত্তর : পাথরকুচি পাতা।
প্রশ্ন 48. আনারস গাছ থেকে কি উপায়ে উদ্ভিদ পাওয়া যায় ?
উত্তর : অঙ্গজ জনন।
প্রশ্ন 49. প্লাসমোডিয়াম প্রাণী কি উপায়ে জনন সম্পন্ন করে ?
উত্তর : বহুভাজন।
প্রশ্ন 50. কোন প্রাণী বারবার কোরকোদ্গমের ফলে উপনিবেশ সৃষ্টি করে ?
উত্তর : স্পঞ্জ।
প্রশ্ন 51. পুষ্পের স্ত্রীজনন অঙ্গের নাম কি ?
উত্তর: গর্ভপত্র।
প্রশ্ন 52. গর্ভপত্রের কি কি অংশ আছে ?
উত্তর : ডিম্বাশয়, গর্ভদণ্ড, গর্ভমুণ্ড।
প্রশ্ন 53. নিষেকের আগে পরাগরেণুর কোথায় থাকা দরকার ?
উত্তর : গর্ভমুণ্ডে।
প্রশ্ন 54. নিষেকের ফলে কি উৎপন্ন হয়?
উত্তর : জাইগােট।
প্রশ্ন 55. স্ত্রী মৌমাছি কি থেকে জন্মায়?
উত্তর : নিষিক্ত ডিম্বাণু।
প্রশ্ন 56. উদ্ভিদ দেহের বৃদ্ধির জন্য কোন্ কলা দায়ী?
উত্তর : ভাজককলা।
প্রশ্ন 57. উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বুদ্ধি-পরিমাপক যন্ত্রের নাম কি ?
উত্তর : আর্ক-ইণ্ডিকেটার।
প্রশ্ন 58. উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি হয় এরূপ একটি অংশের নাম কর।
উত্তর : কাণ্ডের মুকুল অংশ ।
প্রশ্ন 59. উদ্ভিদের বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর : সারাজীবন ব্যাপী বৃদ্ধি।
প্রশ্ন 60. প্রাণীর বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর : বৃদ্ধি সর্বাঙ্গে ঘটে ও সীমিত।
প্রশ্ন 61. উদ্ভিদের কোন অংশের বৃদ্ধি নির্দিষ্ট ?
উত্তর : পাতা, ফুল ও ফলের।
প্রশ্ন 62. অনিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে সরাসরি নতুন প্রাণীর উদ্ভবের পদ্ধতিকে কি বলে?
উত্তর : অপুংজনি।
প্রশ্ন 63. জোড় কলম কি যৌন জনন পদ্ধতি ?
উত্তর : না।
প্রশ্ন 64. কলাগাছে কি ধরনের জনন দেখা যায়?
উত্তর : অঙ্গজ জনন ।
প্রশ্ন 65. উদ্ভিদের যৌন জনন অঙ্গ কোথায় থাকে?
উত্তর : ফুলের মধ্যে।
প্রশ্ন 66. উভলিঙ্গ একটি প্রাণী ও একলিঙ্গ একটি গাছের নাম বল।
উত্তর : প্রাণী (কেঁচো) এবং গাছ (কুমড়াে)।
প্রশ্ন 67. আইসােগামী কখন হয়?
উত্তর : দুই সম আকৃতির জনন কোষের মিলনে।
প্রশ্ন 68. সরলতম যৌন জনন কি?
উত্তর : সংশ্লেষ ।
প্রশ্ন 69. যে প্রাণী ডিম পাড়ে তাকে কি বলে ?
উত্তর : অণ্ডজ প্রাণী ।।
প্রশ্ন 70. জনন কোষের (গ্যামেটের) ক্রোমােজোম সংখ্যা কত?
উত্তর : দেহকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক।
প্রশ্ন 71. জাইগােটে ক্রোমােজোম সংখ্যা কত?
উত্তর : গ্যামেটের দ্বিগুণ।
প্রশ্ন 72. স্পোর কি ?
উত্তর : স্পাের অযৌন জনন একক।
প্রশ্ন 73. খণ্ড ভবনের দুটি উদাহরণ কি?
উত্তর : প্যারামেসিয়াম এবং অসিলেটোরিয়া।
প্রশ্ন 74. কোন্ কোন্ উদ্ভিদে স্পাের দেখা যায় ?
উত্তর : শেওলা, ছত্রাক, মস, ফার্ণ প্রভৃতি নিম্নশ্রেণীর উদ্ভিদে।
প্রশ্ন 75. এমন একটি প্রাণীর নাম কর যার যৌন ও অযৌন উভয় ক্রিয়াই হয়।
উত্তর : হাইড্রা ।
প্রশ্ন 76. এমন একটি গাছের নাম কর যেখানে অযৌন জনন হয় না।
উত্তর : নারকেল গাছ।
প্রশ্ন 77. এমন একটি প্রাণীর নাম কর যেখানে অযৌন জনন হয় না।
উত্তর : অ্যামিবা।
প্রশ্ন 78. জনন ক্রিয়ার তিনটি ভিন্ন ভিন্ন এককের নাম কর।
উত্তর : বীজ, গ্যামেট, পাের।
প্রশ্ন 79. যে প্রাণী সন্তান প্রসব করে তাকে কি বলে ?
উত্তর : জরায়ুজ প্রাণী।

Comment

Class XI Political Science

Class XII Political Science

Class 12 Bangla Books Question& Answers