কার্বন, নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন আবর্ত (সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 1. কার্বন আবর্ত কাকে বলে? এটি কি কি ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : মৌলিক পদার্থ কার্বনের কার্বন ডাই-অক্সাইড যৌগরূপে, পরিবেশ থেকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তনের মাধ্যমে, পরিবেশে কার্বনের সমতা বজায় রাখাকে কার্বন আবর্ত (Carbon cycle) বলে। কার্বন আবর্তকে দুটি পৃথক পদ্ধতিতে ভাগ করা যায়—(i) পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, (ii) পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়।
উত্তর : মৌলিক পদার্থ কার্বনের কার্বন ডাই-অক্সাইড যৌগরূপে, পরিবেশ থেকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তনের মাধ্যমে, পরিবেশে কার্বনের সমতা বজায় রাখাকে কার্বন আবর্ত (Carbon cycle) বলে। কার্বন আবর্তকে দুটি পৃথক পদ্ধতিতে ভাগ করা যায়—(i) পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, (ii) পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়।
প্রশ্ন 2. ভৌত উপায়ে বায়ুমণ্ডলে কি কি উপায়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংযােজন হয়?
উত্তর : নিম্নলিখিত উপায়ে পরিবেশে প্রধানতঃ ভৌত উপায়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংযােজিত হয়।
(i) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে ; (ii) উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে ; (iii) কয়লা, কেরােসিন, গ্যাসােলিন ইত্যাদি খনিজ তৈল, কাঠ এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থের দহন থেকে ; (iv) অনেক সময় বনের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড থেকে এবং (v) অ্যাসিডের সংস্পর্শে চুনাপাথর থেকে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস হতে।
এছাড়া মৃত শামুক, ঝিনুক ইত্যাদির খােলক এবং কার্বোনেট-নির্মিত পরিত্যক্ত উপনিবেশের কাঠামাে অ্যাসিডের সংস্পর্শে কার্বন ডাই-অক্সাইড মুক্ত হয়ে সেগুলি জলমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
উত্তর : নিম্নলিখিত উপায়ে পরিবেশে প্রধানতঃ ভৌত উপায়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংযােজিত হয়।
(i) আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে ; (ii) উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে ; (iii) কয়লা, কেরােসিন, গ্যাসােলিন ইত্যাদি খনিজ তৈল, কাঠ এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থের দহন থেকে ; (iv) অনেক সময় বনের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড থেকে এবং (v) অ্যাসিডের সংস্পর্শে চুনাপাথর থেকে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস হতে।
এছাড়া মৃত শামুক, ঝিনুক ইত্যাদির খােলক এবং কার্বোনেট-নির্মিত পরিত্যক্ত উপনিবেশের কাঠামাে অ্যাসিডের সংস্পর্শে কার্বন ডাই-অক্সাইড মুক্ত হয়ে সেগুলি জলমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
প্রশ্ন 3. জীবের শ্বসন থেকে পরিবেশে কিভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংযােজন হয়?
উত্তর : দিনের বেলায় সবজ উদ্ভিদের শ্বসনে যে পরিমাণ CO₂ উৎপন্ন হয় তার প্রায় সবটাই সালােক-সংশ্লেষে ব্যবহৃত হয় বলে পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে না। কিন্তু রাতে সালােকসংশ্লেষ বন্ধ থাকায় সবুজ উদ্ভিদের শ্বসনে উৎপন্ন সমস্ত CO₂ বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে।
(ii) সালােকসংশ্লেষে অক্ষম বলে, অসবুজ পরভােজী উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের দিন-রাত্রি শ্বসনের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
(iii) উপরের নিয়মে জলজ উদ্ভিদ শ্বসনের ফলে জলমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
উত্তর : দিনের বেলায় সবজ উদ্ভিদের শ্বসনে যে পরিমাণ CO₂ উৎপন্ন হয় তার প্রায় সবটাই সালােক-সংশ্লেষে ব্যবহৃত হয় বলে পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে না। কিন্তু রাতে সালােকসংশ্লেষ বন্ধ থাকায় সবুজ উদ্ভিদের শ্বসনে উৎপন্ন সমস্ত CO₂ বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে।
(ii) সালােকসংশ্লেষে অক্ষম বলে, অসবুজ পরভােজী উদ্ভিদ এবং প্রাণীদের দিন-রাত্রি শ্বসনের ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
(iii) উপরের নিয়মে জলজ উদ্ভিদ শ্বসনের ফলে জলমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
প্রশ্ন 4. জীবদেহের পচন থেকে পরিবেশে কিভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংযােজন হয় ?
উত্তর : জীবদেহে পচনের দ্বারা নিম্নলিখিত উপায়ে পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংযােজিত হয়।
(i) জীবের মৃতদেহ মাটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন রকম ছত্রাক ও জীবাণুর ক্রিয়ায় পচতে আরম্ভ করে। এর ফলে জীবদেহের অধিকাংশ কার্বন, কার্বন ডাই-অক্সাইড হিসাবে বেরিয়ে আসে এবং তার বেশির ভাগ অংশই বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
(ii) জীবদেহের পচনের ফলে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডের কিছু অংশ মাটিতেই থেকে যায়, ফলে মাটিতে বসবাসকারী অন্য কয়েক ধরনের জীবাণু মাটির মধ্যস্থ কার্বন ডাই-অক্সাইডকে প্রথমে কার্বন মনােক্সাইড এবং পরে আবার কার্বন ডাই-অক্সাইডে পরিণত করে। এই প্রক্রিয়াকে মাটির শ্বসন (Soil respiration) বলে। এর দ্বারা প্রাণীর শ্বসনের চেয়ে পরিবেশে বেশী পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
উত্তর : জীবদেহে পচনের দ্বারা নিম্নলিখিত উপায়ে পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইড সংযােজিত হয়।
(i) জীবের মৃতদেহ মাটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন রকম ছত্রাক ও জীবাণুর ক্রিয়ায় পচতে আরম্ভ করে। এর ফলে জীবদেহের অধিকাংশ কার্বন, কার্বন ডাই-অক্সাইড হিসাবে বেরিয়ে আসে এবং তার বেশির ভাগ অংশই বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
(ii) জীবদেহের পচনের ফলে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডের কিছু অংশ মাটিতেই থেকে যায়, ফলে মাটিতে বসবাসকারী অন্য কয়েক ধরনের জীবাণু মাটির মধ্যস্থ কার্বন ডাই-অক্সাইডকে প্রথমে কার্বন মনােক্সাইড এবং পরে আবার কার্বন ডাই-অক্সাইডে পরিণত করে। এই প্রক্রিয়াকে মাটির শ্বসন (Soil respiration) বলে। এর দ্বারা প্রাণীর শ্বসনের চেয়ে পরিবেশে বেশী পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন 5. জৈব উপায়ে পরিবেশ থেকে কিভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারণ হয়?
উত্তর : নিচের দুটি নিয়মে পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড জৈব উপায়ে অপসারণ হয়।
(i) দিনের বেলায় উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষের প্রয়ােজনে পরিবেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড উদ্ভিদ-দেহে গৃহীত হয়। এতে পরিবেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারিত হয়। কিন্তু স্থলজ উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষের ফলে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়।
(ii) জলজ উদ্ভিদ জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে সালােকসংশ্লেষ করে বলে জলমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়।
উত্তর : নিচের দুটি নিয়মে পরিবেশ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড জৈব উপায়ে অপসারণ হয়।
(i) দিনের বেলায় উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষের প্রয়ােজনে পরিবেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড উদ্ভিদ-দেহে গৃহীত হয়। এতে পরিবেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড অপসারিত হয়। কিন্তু স্থলজ উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষের ফলে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়।
(ii) জলজ উদ্ভিদ জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে সালােকসংশ্লেষ করে বলে জলমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে যায়।
প্রশ্ন 6. পরিবেশে কার্বন আবর্তের কি কি তাৎপর্য আছে?
উত্তর : পরিবেশে কার্বন আবর্তের তাৎপর্য হল :
(i) কার্বন আবর্তের সাহায্যে প্রকৃতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমতা বজায় রাখা।
(ii) জীবকুলের বেঁচে থাকার জন্য কার্বন অবর্তের গুরুত্ব অপরিসীম। সবুজ উদ্ভিদের পরিবেশ থেকে গৃহীত কার্বন ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে খাদ্য প্রস্তুত করে। প্রাণীরা প্রত্যক্ষভাবে অথবা পরােক্ষভাবে উদ্ভিদকে খাদ্যরূপে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।
উত্তর : পরিবেশে কার্বন আবর্তের তাৎপর্য হল :
(i) কার্বন আবর্তের সাহায্যে প্রকৃতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমতা বজায় রাখা।
(ii) জীবকুলের বেঁচে থাকার জন্য কার্বন অবর্তের গুরুত্ব অপরিসীম। সবুজ উদ্ভিদের পরিবেশ থেকে গৃহীত কার্বন ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে খাদ্য প্রস্তুত করে। প্রাণীরা প্রত্যক্ষভাবে অথবা পরােক্ষভাবে উদ্ভিদকে খাদ্যরূপে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।
প্রশ্ন 7. নাইট্রোজেন আবর্ত কাকে বলে? মাটিতে কি কি নিয়মে নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগ সংযােজিত হয়?
উত্তর : প্রধানত কয়েক ধরনের জীবাণুর ক্রিয়াশীলতায় এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীর মাধ্যমে যৌগ বা গ্যাস হিসেবে বায়ুমণ্ডল ও মাটির মধ্যে নাইট্রোজেনের যাতায়াতকে নাইট্রোজেন আবর্ত (Nitrogen cycle) বলে। এটি ভৌত ও জৈব উপায়ে মাটিতে নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগের সংযোজন হয়।
উত্তর : প্রধানত কয়েক ধরনের জীবাণুর ক্রিয়াশীলতায় এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীর মাধ্যমে যৌগ বা গ্যাস হিসেবে বায়ুমণ্ডল ও মাটির মধ্যে নাইট্রোজেনের যাতায়াতকে নাইট্রোজেন আবর্ত (Nitrogen cycle) বলে। এটি ভৌত ও জৈব উপায়ে মাটিতে নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগের সংযোজন হয়।
প্রশ্ন ৪. ভৌত উপায়ে মাটিতে কিভাবে নাইট্রোজেন যৌগের সংযােজন হয় তা বিক্রিয়া দ্বারা লেখ।
উত্তর : নিচের নিয়মে এইগুলি ঘটে।
(i) বিদ্যুৎ ক্ষরণের সময় বায়ুস্থিত নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইড গঠন করে।
Na+O₂ = 2N0.
(ii) নাইট্রিক অক্সাইড আবার অক্সিজেনের দ্বারা জারিত হয়ে, নাইট্রোজেন পারক্সাইড গঠন করে।
2NO+O₂= 2NO
(iii) নাইট্রোজেন পারক্সাইড বৃষ্টির জলে অথবা বায়ুর জলীয় বাষ্পে দ্রবীভূত হয়ে, নাইট্রাস অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড-এ পরিণত হয়। 2NO3+Hg0= HNO3 + HNO3
(iv) এভাবে উৎপন্ন নাইট্রাস অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড বৃষ্টির জলের সঙ্গে মাটিতে এসে পড়ে। ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম লবণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যথাক্রমে ক্যালশিয়াম নাইট্রাইট ও পটাশিয়াম নাইট্রাইট এবং ক্যালশিয়াম নাইট্রেট ও পটাশিয়াম নাইট্রেট-এ পরিণত হয়। এই লবণগুলি উদ্ভিদ শােষণ করতে পারে। এইভাবে বৎসরে একর প্রতি প্রায় আড়াই কেজি.-র মত নাইট্রোজেন জমা হয়।
(v) আবার বিদ্যুৎ ক্ষরণের ফলে যে অল্প পরিমাণে অ্যামােনিয়া উৎপন্ন হয় তা বৃষ্টির জলের সঙ্গে মাটিতে পড়ে নাইট্রেট লবণ তৈরী করে।
উত্তর : নিচের নিয়মে এইগুলি ঘটে।
(i) বিদ্যুৎ ক্ষরণের সময় বায়ুস্থিত নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন যুক্ত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইড গঠন করে।
Na+O₂ = 2N0.
(ii) নাইট্রিক অক্সাইড আবার অক্সিজেনের দ্বারা জারিত হয়ে, নাইট্রোজেন পারক্সাইড গঠন করে।
2NO+O₂= 2NO
(iii) নাইট্রোজেন পারক্সাইড বৃষ্টির জলে অথবা বায়ুর জলীয় বাষ্পে দ্রবীভূত হয়ে, নাইট্রাস অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড-এ পরিণত হয়। 2NO3+Hg0= HNO3 + HNO3
(iv) এভাবে উৎপন্ন নাইট্রাস অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড বৃষ্টির জলের সঙ্গে মাটিতে এসে পড়ে। ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম লবণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যথাক্রমে ক্যালশিয়াম নাইট্রাইট ও পটাশিয়াম নাইট্রাইট এবং ক্যালশিয়াম নাইট্রেট ও পটাশিয়াম নাইট্রেট-এ পরিণত হয়। এই লবণগুলি উদ্ভিদ শােষণ করতে পারে। এইভাবে বৎসরে একর প্রতি প্রায় আড়াই কেজি.-র মত নাইট্রোজেন জমা হয়।
(v) আবার বিদ্যুৎ ক্ষরণের ফলে যে অল্প পরিমাণে অ্যামােনিয়া উৎপন্ন হয় তা বৃষ্টির জলের সঙ্গে মাটিতে পড়ে নাইট্রেট লবণ তৈরী করে।
প্রশ্ন 9. নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ কাকে বলে? এটি কি কি উপায়ে হয়?
উত্তর : যে পদ্ধতিতে জীবাণুরা বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন গ্যাসকে নাইট্রোজেন-যৌগে রূপান্তরের মাধ্যমে মাটির নাইট্রোজেন-ঘটিত যৌগের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, তাকে নাইট্রোজেন-স্থিতিকরণ (Fixation of nitrogen) বলে।
– যেসব জীবাণুর দ্বারা নাইট্রোজেন-স্থিতিকরণ হয়, সেই জীবাণুগুলিকে নাইট্রোজেন-স্থিতিকারী জীবাণু বলে।
* বমনের স্বাধীনজীবী-জীবাণু এবং এক জাতীয় মিথোজীবী জীবাণুর দ্বারা নাইট্রোজেন-স্থিতিকরণ হয়।
উত্তর : যে পদ্ধতিতে জীবাণুরা বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন গ্যাসকে নাইট্রোজেন-যৌগে রূপান্তরের মাধ্যমে মাটির নাইট্রোজেন-ঘটিত যৌগের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, তাকে নাইট্রোজেন-স্থিতিকরণ (Fixation of nitrogen) বলে।
– যেসব জীবাণুর দ্বারা নাইট্রোজেন-স্থিতিকরণ হয়, সেই জীবাণুগুলিকে নাইট্রোজেন-স্থিতিকারী জীবাণু বলে।
* বমনের স্বাধীনজীবী-জীবাণু এবং এক জাতীয় মিথোজীবী জীবাণুর দ্বারা নাইট্রোজেন-স্থিতিকরণ হয়।
প্রশ্ন 10. (i) অ্যামােনিফিকেশান ও (ii) নাইট্রিফিকেশান কাকে বলে?
উত্তর : (i) উদ্ভিদ ও গণীর মৃতদেহ ও বর্জ্য পদার্থের নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগগুলি বিশেষ ধরনের জীবাণুর সাহায্যে প্রথমে অ্যামােনিয়াতে রূপান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে অ্যামােনিফিকেশন বলে। এতে যে জীবাণু অংশগ্রহণ করে তাদের অ্যামােনিফাইং জীবাণু বলে।
(ii) নাইট্রোসােমােনাস ও নাইট্রোসােকক্কাস নামে জীবাণু অ্যামােনিয়াকে নাইট্রাইট লবণে পরিণত করে। আবার নাইট্রোব্যাকটার দলের জীবাণুরা নাইট্রাইট লবণকে, নাইট্রেট লবণে পরিণত করে। সুতরাং জীবাণু দ্বারা অ্যামােনিয়ার নাইট্রেট লবণে পরিণত হওয়াকে নাইট্রিফিকেশন বলে। এতে অংশগ্রহণকারী এই তিনটি দলের জীবাণুকে নাইট্রিফাইং জীবাণু বলে।
উত্তর : (i) উদ্ভিদ ও গণীর মৃতদেহ ও বর্জ্য পদার্থের নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগগুলি বিশেষ ধরনের জীবাণুর সাহায্যে প্রথমে অ্যামােনিয়াতে রূপান্তরিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে অ্যামােনিফিকেশন বলে। এতে যে জীবাণু অংশগ্রহণ করে তাদের অ্যামােনিফাইং জীবাণু বলে।
(ii) নাইট্রোসােমােনাস ও নাইট্রোসােকক্কাস নামে জীবাণু অ্যামােনিয়াকে নাইট্রাইট লবণে পরিণত করে। আবার নাইট্রোব্যাকটার দলের জীবাণুরা নাইট্রাইট লবণকে, নাইট্রেট লবণে পরিণত করে। সুতরাং জীবাণু দ্বারা অ্যামােনিয়ার নাইট্রেট লবণে পরিণত হওয়াকে নাইট্রিফিকেশন বলে। এতে অংশগ্রহণকারী এই তিনটি দলের জীবাণুকে নাইট্রিফাইং জীবাণু বলে।
প্রশ্ন 11. ডিনাইট্রিফিকেশান কি ?
উত্তর : মাটিতে বসবাসকারী ডােমােনাস, থায়ােব্যাসিলাস প্রভৃতি জীবাণু নাইট্রেট লবণকে প্রথমে আমােনিয়ায় ও পরে নাইট্রোজেন গ্যাসে পরিণত করে। নাইট্রোজেন গ্যাস তখন আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়। জীবাণু দ্বারা অ্যামোনিয়ার নাইট্রোজেন গ্যাসে পরিণত হওয়াকে ডিনাইট্রিফিকেশান বলে। আবার এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী উপরের জীবাণুগুলিকে ডিনাইট্রিফাইং বলে।
উত্তর : মাটিতে বসবাসকারী ডােমােনাস, থায়ােব্যাসিলাস প্রভৃতি জীবাণু নাইট্রেট লবণকে প্রথমে আমােনিয়ায় ও পরে নাইট্রোজেন গ্যাসে পরিণত করে। নাইট্রোজেন গ্যাস তখন আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়। জীবাণু দ্বারা অ্যামোনিয়ার নাইট্রোজেন গ্যাসে পরিণত হওয়াকে ডিনাইট্রিফিকেশান বলে। আবার এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী উপরের জীবাণুগুলিকে ডিনাইট্রিফাইং বলে।
প্রশ্ন 12. নাইট্রোজেন আবর্তের তাৎপর্য কি?
উত্তর : নাইট্রোজেন আবর্তে মাটি থেকে নাইট্রোজেন অপসারিত হওয়ার ফলে যেমন মাটিতে নাইট্রোজেনের ঘাটতি হয়, তেমনি আবার মাটিতে নানাভাবে নাইট্রোজেন যৌগ সংযােজিত হওয়ায়, বায়ুমণ্ডল ও মাটিতে সব সময়ে নাইট্রোজেনের পরিমাণের সমতা বজায় থাকে। অতএব, নাইট্রোজেন আবর্তের সাহায্যে প্রকৃতিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণের সমতা বজায় থাকে।
উত্তর : নাইট্রোজেন আবর্তে মাটি থেকে নাইট্রোজেন অপসারিত হওয়ার ফলে যেমন মাটিতে নাইট্রোজেনের ঘাটতি হয়, তেমনি আবার মাটিতে নানাভাবে নাইট্রোজেন যৌগ সংযােজিত হওয়ায়, বায়ুমণ্ডল ও মাটিতে সব সময়ে নাইট্রোজেনের পরিমাণের সমতা বজায় থাকে। অতএব, নাইট্রোজেন আবর্তের সাহায্যে প্রকৃতিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণের সমতা বজায় থাকে।
প্রশ্ন 13. অক্সিজেন আবর্ত কাকে বলে ? পরিবেশ থেকে কি কি উপায়ে অক্সিজেন অপসারণ হয়?
উত্তর : জীবের সবাত শ্বসনের প্রয়ােজনে অক্সিজেন গৃহীত হওয়ার ফলে পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। আবার উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষের ফলে উৎপন্ন অক্সিজেন দ্বারা পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ও অক্সিজেনের সমতা বজায় থাকে। এভাবে পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণের সমতা রক্ষা পাওয়াকে অক্সিজেন আবর্ত (Oxygen cycle) বলা হয়।
পরিবেশ থেকে অক্সিজেন (i) ভৌত উপায়ে—যেমন দাহ্য বস্তুর দহনের ফলে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন অপসারিত হয়ে পরিবেশে অক্সিজেন কমে যায় এবং (ii) জৈব উপায়ে—যেমন জীবের স্ববাত শ্বসনের জন্য পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গৃহীত হওয়ার ফলে পরিবেশের অক্সিজেন কিছু অংশে কমে যায়।
উত্তর : জীবের সবাত শ্বসনের প্রয়ােজনে অক্সিজেন গৃহীত হওয়ার ফলে পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। আবার উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষের ফলে উৎপন্ন অক্সিজেন দ্বারা পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ও অক্সিজেনের সমতা বজায় থাকে। এভাবে পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণের সমতা রক্ষা পাওয়াকে অক্সিজেন আবর্ত (Oxygen cycle) বলা হয়।
পরিবেশ থেকে অক্সিজেন (i) ভৌত উপায়ে—যেমন দাহ্য বস্তুর দহনের ফলে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন অপসারিত হয়ে পরিবেশে অক্সিজেন কমে যায় এবং (ii) জৈব উপায়ে—যেমন জীবের স্ববাত শ্বসনের জন্য পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গৃহীত হওয়ার ফলে পরিবেশের অক্সিজেন কিছু অংশে কমে যায়।
প্রশ্ন 14. অক্সিজেন আবর্তের তাৎপর্য কি?
উত্তর : অক্সিজেন আবর্তের তাৎপর্য হল : (i) পরিবেশে, সবাত শ্বসন তথা বেঁচে থাকার জন্য প্রতিমুহূর্তে অপরিহার্য, অক্সিজেনের পরিমাণের সমতা বজায় রাখা অক্সিজেন আবর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য ।
(ii) জীবের সবাত শ্বসনের ফলে উদ্ভিদের খাদ্য প্রস্তুতের জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। উদ্ভিদ-দেহে উৎপন্ন খাদ্যের সাহায্যে প্রত্যক্ষভাবে অথবা পরােক্ষভাবে প্রাণীরা পুষ্টিলাভ করে বলে জীবকুলের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্য প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড—পরিবেশে এই দুটি গ্যাসের সমতা বজায় থাকে অক্সিজেন আবর্তের মাধ্যমেই।
উত্তর : অক্সিজেন আবর্তের তাৎপর্য হল : (i) পরিবেশে, সবাত শ্বসন তথা বেঁচে থাকার জন্য প্রতিমুহূর্তে অপরিহার্য, অক্সিজেনের পরিমাণের সমতা বজায় রাখা অক্সিজেন আবর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য ।
(ii) জীবের সবাত শ্বসনের ফলে উদ্ভিদের খাদ্য প্রস্তুতের জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। উদ্ভিদ-দেহে উৎপন্ন খাদ্যের সাহায্যে প্রত্যক্ষভাবে অথবা পরােক্ষভাবে প্রাণীরা পুষ্টিলাভ করে বলে জীবকুলের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্য প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড—পরিবেশে এই দুটি গ্যাসের সমতা বজায় থাকে অক্সিজেন আবর্তের মাধ্যমেই।
প্রশ্ন 15. অ্যাকুয়ারিয়ামে জলজ উদ্ভিদ ও আলাে রাখা হয় কোন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে এবং কেন?
উত্তর : অক্সিজেন আবর্তের তত্ত্ব অনুসরণ করে অ্যাকুয়ারিয়াম-এ মাছের সঙ্গে সবুজ জলজ উদ্ভিদ রেখে কৃত্রিম আলাের ব্যবস্থা করা হয়। সবুজ উদ্ভিদ আলাের উপস্থিতিতে জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড নিয়ে, সালােকসংশ্লেষ করার ফলে যে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়, তার সাহায্যে মাছ শ্বসন করে। মাছের শ্বসনে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড আবার উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষের কাজে লাগে। ফলে অ্যাকুয়ারিয়ামের বাইরে থেকে অক্সিজেনের সরবরাহ ছাড়াও মাছ বেঁচে থাকে।
উত্তর : অক্সিজেন আবর্তের তত্ত্ব অনুসরণ করে অ্যাকুয়ারিয়াম-এ মাছের সঙ্গে সবুজ জলজ উদ্ভিদ রেখে কৃত্রিম আলাের ব্যবস্থা করা হয়। সবুজ উদ্ভিদ আলাের উপস্থিতিতে জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড নিয়ে, সালােকসংশ্লেষ করার ফলে যে অক্সিজেন উৎপন্ন হয়, তার সাহায্যে মাছ শ্বসন করে। মাছের শ্বসনে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইড আবার উদ্ভিদের সালােকসংশ্লেষের কাজে লাগে। ফলে অ্যাকুয়ারিয়ামের বাইরে থেকে অক্সিজেনের সরবরাহ ছাড়াও মাছ বেঁচে থাকে।
কার্বন, নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন আবর্ত (অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন 16. পরিবেশ ও জীবদেহের মধ্যে কোন কোন মৌলিক পদার্থ আবর্তিত হয়?
উত্তর : কার্বন, নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন।
উত্তর : কার্বন, নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন।
প্রশ্ন 17. সমস্ত জৈব পদার্থের প্রধান উপাদান কি ?
উত্তর : কার্বন।
উত্তর : কার্বন।
প্রশ্ন 18. বায়ুমণ্ডলে কত কেজি. কার্বন ডাই-অক্সাইড আছে ?
উত্তর : প্রায় 2×101 কেজি।
উত্তর : প্রায় 2×101 কেজি।
প্রশ্ন 19. পরিবেশ থেকে কোন খনিজ পদার্থ CO শােষণ করে?
উত্তর : ফেলপার।
উত্তর : ফেলপার।
প্রশ্ন 20. পরিবেশে কি কি জৈব উপায়ে CO-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়?
উত্তর : জীবের শ্বসন ও মৃতের পচন।
উত্তর : জীবের শ্বসন ও মৃতের পচন।
প্রশ্ন 21. মাটির শ্বসনের ফলে কোন্ গ্যাস বেশি উৎপন্ন হয় ?
উত্তর : কার্বন ডাই-অক্সাইড।
উত্তর : কার্বন ডাই-অক্সাইড।
প্রশ্ন 22. উদ্ভিদ কি সরাসরি পরিবেশ থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করতে পারে?
উত্তর : না।
উত্তর : না।
প্রশ্ন 23. কোন শেওলা (নীল-হরিৎ ) পরিবেশ থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে?
উত্তর : ডায়াটম।
উত্তর : ডায়াটম।
প্রশ্ন 24. জীবাণুরা মাটিতে কি কি নিয়মে Ng-যৌগের বৃদ্ধি ঘটায়?
উত্তর : Na-স্থিতিকরণ ও পচন।
উত্তর : Na-স্থিতিকরণ ও পচন।
প্রশ্ন 25. বায়ুজীবী জীবাণুর দলকে কি বলে ?
উত্তর : অ্যাজোটোব্যাক্টার।
উত্তর : অ্যাজোটোব্যাক্টার।
প্রশ্ন 26. অবায়ুজীবী জীবাণুর দলের নাম কি ?
উত্তর : ক্লসট্রিডিয়াম।
উত্তর : ক্লসট্রিডিয়াম।
প্রশ্ন 27. কোন্ কোন্ জাতীয় জীবাণু মাটিতে Nও স্থিতিকরণ করে?
উত্তর : বায়ু ও অবায়ুজীবী জীবাণু।
উত্তর : বায়ু ও অবায়ুজীবী জীবাণু।
প্রশ্ন 28. জীবাণু ছাড়া নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ করে কারা?
উত্তর : ডায়াটম, নটক, অ্যানাবিনা প্রভৃতি।
উত্তর : ডায়াটম, নটক, অ্যানাবিনা প্রভৃতি।
প্রশ্ন 29. ছােলাগাছের মূলে কোন্ জাতীয় জীবাণু বাস করে?
উত্তর : রাইজোবিয়াম।
উত্তর : রাইজোবিয়াম।
প্রশ্ন 30. রাইজোবিয়াম জীবাণুদের কি বলা হয় ?
উত্তর : মিথােজীবী জীবাণু।
উত্তর : মিথােজীবী জীবাণু।
প্রশ্ন 31. কোন গােত্রের উদ্ভিদ চাষ করলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় ?
উত্তর : শিম্বি-উপগােত্রের।
উত্তর : শিম্বি-উপগােত্রের।
প্রশ্ন 32. উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহজাত প্রােটিন উদ্ভিদের পক্ষে গ্রহণযােগ্য নাইট্রোজেন যৌগে পরিণত হয় কি কি পর্যায়ের সাহায্যে ?
উত্তর : অ্যামােনিফিকেশান ও নাইট্রিফিকেশান।
উত্তর : অ্যামােনিফিকেশান ও নাইট্রিফিকেশান।