ভারতের শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগ বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১) ভারতের উপরাষ্ট্রপতি সম্পর্কে একটি টীকা রচনা করাে।
উত্তর : ভারতীয় সংবিধানের ৬৩ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘There shall be a Vice-President of India’ কিন্তু ভারতীয় শাসন ব্যবস্থায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ব্যক্তি হলেন উপরাষ্ট্রপতি অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির পরেই তাঁর স্থান।
উপরাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত এবং মনােনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচক সংস্থার দ্বারা একক হস্তান্তরযােগ্য সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে গােপন ভােটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে গেলে প্রার্থীকে যে-সমস্ত যােগ্যতার অধিকারী হতে হয় তা হল-
(ক) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে,
(খ) কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স হতে হবে,
(গ) রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার যােগ্যতা থাকতে হবে।
(ঘ) কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বা তাদের অধীনে কোনাে আঞ্চলিক সংস্থা বা কর্তৃত্বের অধীনে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকা চলবে না।
উপরাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। পুনর্নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সংবিধানের স্পষ্ট নির্দেশ নেই। নির্দিষ্ট কার্যকাল সম্পূর্ণ হওয়ার আগে উপরাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে পারেন অথবা পদচ্যুত হতে পারেন। তবে উপরাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির জন্য রাজ্যসভায় ১৪ দিন আগে নােটিশ দিতে হয়। উপরাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয় প্রস্তাব আকারে রাজ্যসভায় উপস্থিত করতে হয়। রাজ্যসভায় মােট সদস্যসংখ্যার অধিকাংশ দ্বারা ওই প্রস্তাব সমর্থিত হলে এবং লােকসভা ওই প্রস্তাবে সম্মতি দিলে উপরাষ্ট্রপতি পদচ্যুত হন। উপরাষ্ট্রপতির নির্দিষ্ট কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলেও যতদিন না নতুন উপরাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণ করেন ততদিন তিনি স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
সংবিধানে উপরাষ্ট্রপতিকে পদাধিকার বলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যসভার কার্যপরিচালনা করাই তাঁর প্রধান দায়িত্ব। তবে মৃত্যু, পদচ্যুতি, পদত্যাগ এবং অসুস্থতা প্রভৃতি কারণে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে তবেই তিনি কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতিরূপে (Acting President) কাজ করেন। কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতিরূপে কাজ করার সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতির সকল ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারেন এবং রাষ্ট্রপতির বেতন ও ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি একই সঙ্গে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযােগ সুবিধা ভােগ করতে পারবেন না।
উপরাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত এবং মনােনীত সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচক সংস্থার দ্বারা একক হস্তান্তরযােগ্য সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে গােপন ভােটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন।
উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে গেলে প্রার্থীকে যে-সমস্ত যােগ্যতার অধিকারী হতে হয় তা হল-
(ক) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে,
(খ) কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স হতে হবে,
(গ) রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার যােগ্যতা থাকতে হবে।
(ঘ) কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার বা তাদের অধীনে কোনাে আঞ্চলিক সংস্থা বা কর্তৃত্বের অধীনে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকা চলবে না।
উপরাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। পুনর্নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সংবিধানের স্পষ্ট নির্দেশ নেই। নির্দিষ্ট কার্যকাল সম্পূর্ণ হওয়ার আগে উপরাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে পারেন অথবা পদচ্যুত হতে পারেন। তবে উপরাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির জন্য রাজ্যসভায় ১৪ দিন আগে নােটিশ দিতে হয়। উপরাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয় প্রস্তাব আকারে রাজ্যসভায় উপস্থিত করতে হয়। রাজ্যসভায় মােট সদস্যসংখ্যার অধিকাংশ দ্বারা ওই প্রস্তাব সমর্থিত হলে এবং লােকসভা ওই প্রস্তাবে সম্মতি দিলে উপরাষ্ট্রপতি পদচ্যুত হন। উপরাষ্ট্রপতির নির্দিষ্ট কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলেও যতদিন না নতুন উপরাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণ করেন ততদিন তিনি স্বপদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
সংবিধানে উপরাষ্ট্রপতিকে পদাধিকার বলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যসভার কার্যপরিচালনা করাই তাঁর প্রধান দায়িত্ব। তবে মৃত্যু, পদচ্যুতি, পদত্যাগ এবং অসুস্থতা প্রভৃতি কারণে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে তবেই তিনি কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতিরূপে (Acting President) কাজ করেন। কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতিরূপে কাজ করার সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতির সকল ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারেন এবং রাষ্ট্রপতির বেতন ও ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি একই সঙ্গে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযােগ সুবিধা ভােগ করতে পারবেন না।
প্রশ্ন ২) ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি একনায়ক?
উত্তর : ভারতীয় সংসদীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদীয় ব্যবস্থার প্রকৃতি অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হলেন বাস্তবিক পক্ষে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রকৃত শাসক। তবুও প্রশ্ন ওঠে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি একনায়ক? এ নিয়ে পরস্পর বিরােধী মতের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
গ্রেট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর স্থান সম্পর্কে লর্ড মার্লি বলেছেন, ‘Primus inthe Pares’ অর্থাৎ সম্মানীয়দের মধ্যে প্রথম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কেও এই একই কথা বলা হলেও তিনি বিশেষ মর্যাদা ভােগ করেন। যেমন-
(ক) প্রধানমন্ত্রী হলেন মন্ত্রীপরিষদের সভাপতি, মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক তিনি আহ্বান করেন এবং বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
(খ) মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হল তাঁর কাজ। তিনি একজন মন্ত্রীকে এক দপ্তর থেকে অন্য আর এক দপ্তরে বদলি করতে পারেন।
(গ) প্রধানমন্ত্রী যে-কোনাে মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন। মন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নিজে পদত্যাগ করে সমগ্র মন্ত্রীসভার পতন ঘটাতে পারেন।
(ঘ) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মন্ত্রীপরিষদের যােগসূত্র হিসাবে তিনিই কাজ করেন।
(উ) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হল সরকারি নীতির সমন্বয় সাধন করা, এই কারণে সরকারের সকল বিভাগের তত্ত্বাবধান করার অধিকার তাঁর আছে।
(চ) সর্বোপরি, ৭৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অন্যান্য মন্ত্রী নিয়ােগের ব্যাপারে তিনিই রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতের সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে, বা হচ্ছে। একথা সত্য যে, প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত থেকে নিজের ইচ্ছামতাে কাজ করতে অক্ষম। প্রধানমন্ত্রী জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চাপ সৃষ্টিকারী গােষ্ঠীর প্রভাব ইত্যাদিকে কখনই উপেক্ষা করতে পারেন না।
গ্রেট ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর স্থান সম্পর্কে লর্ড মার্লি বলেছেন, ‘Primus inthe Pares’ অর্থাৎ সম্মানীয়দের মধ্যে প্রথম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কেও এই একই কথা বলা হলেও তিনি বিশেষ মর্যাদা ভােগ করেন। যেমন-
(ক) প্রধানমন্ত্রী হলেন মন্ত্রীপরিষদের সভাপতি, মন্ত্রীপরিষদের বৈঠক তিনি আহ্বান করেন এবং বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
(খ) মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হল তাঁর কাজ। তিনি একজন মন্ত্রীকে এক দপ্তর থেকে অন্য আর এক দপ্তরে বদলি করতে পারেন।
(গ) প্রধানমন্ত্রী যে-কোনাে মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন। মন্ত্রী পদত্যাগ না করলে নিজে পদত্যাগ করে সমগ্র মন্ত্রীসভার পতন ঘটাতে পারেন।
(ঘ) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মন্ত্রীপরিষদের যােগসূত্র হিসাবে তিনিই কাজ করেন।
(উ) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হল সরকারি নীতির সমন্বয় সাধন করা, এই কারণে সরকারের সকল বিভাগের তত্ত্বাবধান করার অধিকার তাঁর আছে।
(চ) সর্বোপরি, ৭৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অন্যান্য মন্ত্রী নিয়ােগের ব্যাপারে তিনিই রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতের সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে, বা হচ্ছে। একথা সত্য যে, প্রধানমন্ত্রী সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত থেকে নিজের ইচ্ছামতাে কাজ করতে অক্ষম। প্রধানমন্ত্রী জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, চাপ সৃষ্টিকারী গােষ্ঠীর প্রভাব ইত্যাদিকে কখনই উপেক্ষা করতে পারেন না।
প্রশ্ন ৩) ক্যাবিনেট সচিবের কাজগুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করাে।
উত্তর : ক্যাবিনেট সচিবের পদটি ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থারই সৃষ্টি। তবে ভারতবর্ষে ভাইসরয়-এর ব্যক্তিগত সচিবই হলেন ক্যাবিনেট সচিবের পর্বসূরি। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে ভাইসরয়-এর শাসনবিভাগীয় পরিষদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তন করা হয়। এই পরিষদের পরিবর্তিত নামকরণ হয় ক্যাবিনেট এবং এই পরিষদ বা ক্যাবিনেটের সচিবকে বলা হয় ক্যাবিনেট সচিব।
ভারতের সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ক্যাবিনেট সচিবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সম্পাদন করতে হয় তা’হল-
(এক) ক্যাবিনেট সচিব ক্যাবিনেট সম্পর্কিত বিষয় নিয়েই আলােচনা করে থাকেন। এই জন্য বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরের কাজকর্মের মধ্যে তাকে সমন্বয় সাধন ও তদারকির ব্যাপারেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয়।
(দুই) রাজনীতি এবং প্রশাসনের মধ্যে সংযােগসাধনের মাধ্যম হিসাবে মুখ্য আধিকারিকের ভূমিকা পালন করতে হয়। উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব উপস্থিত হলে তা নিরসনের জন্য তিনি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন।
(তিন) তিনি ক্যাবিনেটের বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। ক্যাবিনেটে যে-সমস্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তা কার্যকরী করার জন্য তিনি সতর্ক থাকেন। কোনাে মন্ত্রক বা বিভাগ এ ব্যাপারে অবহেলা দেখালে তাকে সতর্ক করে দেন।
(চার) প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়া ক্যাবিনেট সচিবের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রধানমন্ত্রীব নিজস্ব কর্মদপ্তর থাকা সত্ত্বেও যে-কোনাে বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থেকেই প্রধান পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করেন।
(পাঁচ) কোনাে কারণে প্রধামন্ত্রীর পদ শূন্য হলে তিনি শাসনকার্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। এই সময় কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি শাসনকার্যের স্থায়িত্ব এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য যে পরামর্শ দিতে চান তা নিজ বিচারবিবেচনা অনুযায়ী দিয়ে থাকেন।
ভারতের সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ক্যাবিনেট সচিবের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সম্পাদন করতে হয় তা’হল-
(এক) ক্যাবিনেট সচিব ক্যাবিনেট সম্পর্কিত বিষয় নিয়েই আলােচনা করে থাকেন। এই জন্য বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরের কাজকর্মের মধ্যে তাকে সমন্বয় সাধন ও তদারকির ব্যাপারেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয়।
(দুই) রাজনীতি এবং প্রশাসনের মধ্যে সংযােগসাধনের মাধ্যম হিসাবে মুখ্য আধিকারিকের ভূমিকা পালন করতে হয়। উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব উপস্থিত হলে তা নিরসনের জন্য তিনি অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন।
(তিন) তিনি ক্যাবিনেটের বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। ক্যাবিনেটে যে-সমস্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তা কার্যকরী করার জন্য তিনি সতর্ক থাকেন। কোনাে মন্ত্রক বা বিভাগ এ ব্যাপারে অবহেলা দেখালে তাকে সতর্ক করে দেন।
(চার) প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়া ক্যাবিনেট সচিবের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রধানমন্ত্রীব নিজস্ব কর্মদপ্তর থাকা সত্ত্বেও যে-কোনাে বিষয়ে পরামর্শ চাইলে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থেকেই প্রধান পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করেন।
(পাঁচ) কোনাে কারণে প্রধামন্ত্রীর পদ শূন্য হলে তিনি শাসনকার্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। এই সময় কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি শাসনকার্যের স্থায়িত্ব এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য যে পরামর্শ দিতে চান তা নিজ বিচারবিবেচনা অনুযায়ী দিয়ে থাকেন।
প্রশ্ন ৪) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা কর্মদপ্তরকে কী কী দায়িত্ব পালন করতে হয়?
উত্তর : ব্রিটিশ আমলে প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন গভর্নর জেনারেল। স্বাধীনতার পর এই স্থানে এলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতা লাভের সঙ্গে সঙ্গে গভর্নর জেনারেলের ব্যক্তিগত সচিবের কাছ থেকে কর্ম সম্পাদনের দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রয়ােজনীয়তা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের উৎপত্তি হয়েছে। এই কার্যালয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থেকেই কাজ করে থাকে। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই সচিবালয়টির নাম ছিল প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। এই সময় কেন্দ্রের অকংগ্রেসি
প্রধানমন্ত্রী শ্রীমােরারজি দেশাই এই সচিবালয়টির নাম পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর কর্মদপ্তর (Prime Ministers office) বলে চিহ্নিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কর্মদপ্তরকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সম্পাদন করতে হয় তাহল-
(এক) সরকারি কার্যবিধি সংক্রান্ত যেসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানাে হয় সেগুলি সম্পর্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(দুই) কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় এবং রাজ্যসরকারের মধ্যে যথাযথ সংযােগ সাধন করা।
(তিন) প্রধানমন্ত্রী হলেন পরিকল্পনা কমিশনের সভাপতি। তাই সভাপতি হিসাবে তাঁর যে ভূমিকা সেটা পালনে সাহায্য এবং সহযােগিতা করা।
(চার) রাজনৈতিক, সংসদীয় এবং জনসাধারণের দায়দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্কতার সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয়। এই ভূমিকা পালনে প্রধানমন্ত্রীকে সর্বপ্রকারে সাহায্য করাই হল এই কর্মদপ্তরের কাজ।
(পাঁচ) প্রধানমন্ত্রীর আদেশপ্রাপ্ত বিষয়গুলি যথাযথ পরীক্ষানিরীক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীকে সহযােগিতা এবং পরামর্শদান করা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যতম কাজ।
(ছয়) কোনাে বিশেষ মন্ত্রককে সংসদে যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় না, প্রধানমন্ত্রীকে সেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় এবং উত্তর প্রদান করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে সর্বপ্রকারে সহযােগিতা করে এই দপ্তরটি।
(সাত) এই কর্মদপ্তরটি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করে থাকে। জাতীয়, এমনকী আন্তর্জাতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দান করে থাকে।
(আট) তা ছাড়া বিনিয়ােগ, ব্যাবসাবাণিজ্য বা শিল্পকারখানায় লাইসেন্স প্রদান প্রভৃতি ক্ষেত্রে মন্ত্রক এবং দপ্তরগুলি প্রয়ােজনীয় পরামর্শ এবং অনুমােদনসূচক সম্মতির জন্য এই কর্মদপ্তরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রীমােরারজি দেশাই এই সচিবালয়টির নাম পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর কর্মদপ্তর (Prime Ministers office) বলে চিহ্নিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কর্মদপ্তরকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সম্পাদন করতে হয় তাহল-
(এক) সরকারি কার্যবিধি সংক্রান্ত যেসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানাে হয় সেগুলি সম্পর্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
(দুই) কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় এবং রাজ্যসরকারের মধ্যে যথাযথ সংযােগ সাধন করা।
(তিন) প্রধানমন্ত্রী হলেন পরিকল্পনা কমিশনের সভাপতি। তাই সভাপতি হিসাবে তাঁর যে ভূমিকা সেটা পালনে সাহায্য এবং সহযােগিতা করা।
(চার) রাজনৈতিক, সংসদীয় এবং জনসাধারণের দায়দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্কতার সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয়। এই ভূমিকা পালনে প্রধানমন্ত্রীকে সর্বপ্রকারে সাহায্য করাই হল এই কর্মদপ্তরের কাজ।
(পাঁচ) প্রধানমন্ত্রীর আদেশপ্রাপ্ত বিষয়গুলি যথাযথ পরীক্ষানিরীক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীকে সহযােগিতা এবং পরামর্শদান করা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যতম কাজ।
(ছয়) কোনাে বিশেষ মন্ত্রককে সংসদে যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় না, প্রধানমন্ত্রীকে সেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় এবং উত্তর প্রদান করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে সর্বপ্রকারে সহযােগিতা করে এই দপ্তরটি।
(সাত) এই কর্মদপ্তরটি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করে থাকে। জাতীয়, এমনকী আন্তর্জাতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দান করে থাকে।
(আট) তা ছাড়া বিনিয়ােগ, ব্যাবসাবাণিজ্য বা শিল্পকারখানায় লাইসেন্স প্রদান প্রভৃতি ক্ষেত্রে মন্ত্রক এবং দপ্তরগুলি প্রয়ােজনীয় পরামর্শ এবং অনুমােদনসূচক সম্মতির জন্য এই কর্মদপ্তরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।