Sunday, 5 April 2020

শিক্ষা এবং মনোবিদ্যার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উল্লেখ কর।

  শিক্ষা ও মনোবিদ্যার সম্পর্ক: মনোবিদ্যায় ব্যক্তির অভিযোজন মূলক আচরণ বা সামগ্রিক আচরণ অনুশীলন করা হয়। অন্যদিকে শিক্ষাবিজ্ঞানে শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ জীবন বিকাশে সহায়তা করা হয়। অর্থাৎ মনোবিদ্যার বিষয়বস্তু ব্যক্তি, শিক্ষার বিষয়বস্তুও ব্যক্তি।। ফলে দুটি শাস্ত্রই ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিজ্ঞান। যে ব্যক্তির আচরণ অনুশীলন করা হচ্ছে তাকেই শিক্ষার মাধ্যমে বিকশিত করে তোলা হচ্ছে। সুতরাং এই দুই বিজ্ঞানের মধ্যে বিষয়বস্তুর সাদৃশ্য আছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা সম্পর্কযুক্ত হতে বাধ্য।

       মনোবিদ্যার ক্ষেত্র বহুবিস্তৃত। মানুষের আচরণ অনুশীলন করতে গিয়ে মনোবিদরা তাদের আলোচনাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাগ করেছেন। যেমন- সমাজ মনোবিদ্যা, শিশু মনোবিদ্যা, শিক্ষা মনোবিদ্যা ইত্যাদি। শিক্ষামনোবিজ্ঞান মনোবিদরার একটি প্রয়োগমূলক শাখা, যেখানে বিশেষভাবে শিক্ষাকালীন আচরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সুতরাং শিক্ষার সঙ্গে মনোবিদ্যার সম্পর্ক সর্বজনস্বীকৃত।

      তবে শুধু শিক্ষা বিজ্ঞান নয়, সাধারণভাবে মনোবিদ্যার অন্যান্য শাখাও শিক্ষাকে প্রভাবিত করেছে। আধুনিক শিক্ষার সব গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বই মনোবিদ্যার নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে; তেমনি শিক্ষার ব্যবহারিক দিকের উপরও মনোবিদ্যার প্রভাব অপরিসীম।

      সুতরাং দেখা যাচ্ছে আধুনিক শিক্ষা ও মনোবিদ্যা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। মনোবিদ্যার পরীক্ষিত নীতিগুলিকে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেইসব মনোবৈজ্ঞানিক নীতিগুলি প্রয়োগ করতে গিয়ে যে অসুবিধা দেখা দিয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে শিক্ষাবিদরা মনোবিদদের সচেতন করেছেন এবং মনোবিদগণও সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের সিদ্ধান্তগুলি শিক্ষার কাজে ব্যবহারের জন্য শিক্ষাবিদদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
Comment

Class XI Political Science

Class XII Political Science

Class 12 Bangla Books Question& Answers