ঠান্ডা যুদ্ধের প্রভাব :
ঠান্ডা লড়াই সারা বিশ্বে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে দেশগুলির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়েছিল।
সামরিক জোট গঠন : ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সামরিক জোট গড়ে ওঠে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল NATO, SEATO, ANZUS, CENTO, COMECON ইত্যাদি।
অস্ত্র প্রতিযোগিতা : ঠান্ডা লড়াইকে সামনে রেখে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন 'ন্যাটো' জোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে 'ওয়ারশ' চুক্তিবদ্ধ শিবির পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় শুরু করে। উভয় পক্ষই পরমাণু অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে।
আন্তর্জাতিক বিরোধ : মার্কিন ও সোভিয়েত জোটের মধ্যে শুরু হওয়া ঠান্ডা লড়াইয়ের সূত্রধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোরিয়া সংকট (১৯৫০), ভিয়েতনাম সংকট (১৯৫৬-৭২), সুয়েজ সংকট (১৯৫৬), কিউবা সংকট (১৯৬২) ইত্যাদি। এই সংকট দেশগুলিকে আর্থিকভাবে ভয়ংকর ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়।
বার্লিন প্রাচীর ধ্বংস : ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণে জার্মানিকে ভাগাভাগি করে বার্লিন শহরের মাঝখান বরাবর প্রাচীর তুলে দেওয়া হয়। এই প্রাচীর 'বার্লিন প্রাচীর' নামে পরিচিত। ১৯৮৯ সালে ঠান্ডা লড়াইয়ের শেষ পর্বে এসে তা ভেঙে দেওয়া হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন : ঠান্ডা লড়াইয়ে অংশ নিয়ে এই দেশ অস্ত্র নির্মাণ ও অন্যান্য দেশে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য করতে গিয়ে ভয়ংকর আর্থিক সংকটে পড়ে যায়। এই ইস্যুতেই 'গ্লাসনস্ত' ও 'পেরেস্ত্রোইকা' শুরু হয় এবং ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়।
স্বাধীনতা লাভ : ঠান্ডা লড়াই আর সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের ফলে কয়েকটি বাল্টিক রাজ্য-সহ প্রায় ১৫টি দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লাটভিয়া এস্তোনিয়া লিথুয়ানিয়া ইত্যাদি।
একমেরুকরণ : সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটলে আমেরিকা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ফলে দ্বিমেরু বিশ্বের অবসান হয় এবং একমেরু বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
কমিউনিজমের অগ্রগতি রুদ্ধ : সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের ফলে এবং এর অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য বন্ধ হওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্টদের প্রভাব কমতে থাকে।
তৃতীয় বিশ্বের উদ্ভব : ঠান্ডা লড়াইয়ের আবর্ত থেকেই জন্ম নিয়েছিল তৃতীয় বিশ্বের ধারণা। মার্কিন-জোট (প্রথম বিশ্ব) ও সোভিয়েত জোট (দ্বিতীয় বিশ্ব)-এর বাইরে যারা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল তারা তৃতীয় বিশ্ব হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।
জোট-নিরপেক্ষ নীতি : যারা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র-জোটের সঙ্গে যোগ দিতে চায় নি তারা নিজেদের সংগঠিত করে জোট-নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করে। এই নীতির কারণে এরা মার্কিন ও সোভিয়েত জোটের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে।
মূল্যায়ন : ঠান্ডা লড়াই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে শুরু হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পরবর্তী সময়ে পৃথিবীতে একমেরু ব্যবস্থা চালু হয়।
ঠান্ডা লড়াই সারা বিশ্বে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে দেশগুলির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়েছিল।
সামরিক জোট গঠন : ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সামরিক জোট গড়ে ওঠে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল NATO, SEATO, ANZUS, CENTO, COMECON ইত্যাদি।
অস্ত্র প্রতিযোগিতা : ঠান্ডা লড়াইকে সামনে রেখে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন 'ন্যাটো' জোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে 'ওয়ারশ' চুক্তিবদ্ধ শিবির পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় শুরু করে। উভয় পক্ষই পরমাণু অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে।
আন্তর্জাতিক বিরোধ : মার্কিন ও সোভিয়েত জোটের মধ্যে শুরু হওয়া ঠান্ডা লড়াইয়ের সূত্রধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোরিয়া সংকট (১৯৫০), ভিয়েতনাম সংকট (১৯৫৬-৭২), সুয়েজ সংকট (১৯৫৬), কিউবা সংকট (১৯৬২) ইত্যাদি। এই সংকট দেশগুলিকে আর্থিকভাবে ভয়ংকর ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়।
বার্লিন প্রাচীর ধ্বংস : ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণে জার্মানিকে ভাগাভাগি করে বার্লিন শহরের মাঝখান বরাবর প্রাচীর তুলে দেওয়া হয়। এই প্রাচীর 'বার্লিন প্রাচীর' নামে পরিচিত। ১৯৮৯ সালে ঠান্ডা লড়াইয়ের শেষ পর্বে এসে তা ভেঙে দেওয়া হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন : ঠান্ডা লড়াইয়ে অংশ নিয়ে এই দেশ অস্ত্র নির্মাণ ও অন্যান্য দেশে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য করতে গিয়ে ভয়ংকর আর্থিক সংকটে পড়ে যায়। এই ইস্যুতেই 'গ্লাসনস্ত' ও 'পেরেস্ত্রোইকা' শুরু হয় এবং ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়।
স্বাধীনতা লাভ : ঠান্ডা লড়াই আর সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের ফলে কয়েকটি বাল্টিক রাজ্য-সহ প্রায় ১৫টি দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লাটভিয়া এস্তোনিয়া লিথুয়ানিয়া ইত্যাদি।
একমেরুকরণ : সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটলে আমেরিকা পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ফলে দ্বিমেরু বিশ্বের অবসান হয় এবং একমেরু বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
কমিউনিজমের অগ্রগতি রুদ্ধ : সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের ফলে এবং এর অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য বন্ধ হওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্টদের প্রভাব কমতে থাকে।
তৃতীয় বিশ্বের উদ্ভব : ঠান্ডা লড়াইয়ের আবর্ত থেকেই জন্ম নিয়েছিল তৃতীয় বিশ্বের ধারণা। মার্কিন-জোট (প্রথম বিশ্ব) ও সোভিয়েত জোট (দ্বিতীয় বিশ্ব)-এর বাইরে যারা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছিল তারা তৃতীয় বিশ্ব হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।
জোট-নিরপেক্ষ নীতি : যারা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র-জোটের সঙ্গে যোগ দিতে চায় নি তারা নিজেদের সংগঠিত করে জোট-নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করে। এই নীতির কারণে এরা মার্কিন ও সোভিয়েত জোটের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে।
মূল্যায়ন : ঠান্ডা লড়াই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে শুরু হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পরবর্তী সময়ে পৃথিবীতে একমেরু ব্যবস্থা চালু হয়।