প্রশ্ন ১) সংবিধানে মৌলিক অধিকার লিপিবদ্ধ করার প্রয়ােজনীয়তা কী?
উত্তর : রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ : রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্যকে চিহ্নিত করা যায়।
(i) রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একই মতাদর্শে অনুপ্রাণিত, ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হয়। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে কর্মসূচি নিয়ে দলীয় সদস্যদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও মতাদর্শগত মিল থাকে তাদের মধ্যে।
(ii) প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কর্মসূচি থাকে সেই কর্মসূচি রূপায়িত করা তাদের লক্ষ্য।
(iii) প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল উদ্দেশ্য ক্ষমতা লাভ করা। এই কারণে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল তাদের আদর্শ ও কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করে।
(iv) প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব দলীয় প্রতীক থাকে। এই দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
(v) প্রতিটি রাজনৈতিক দল সভা সমাবেশ, মিছিল, প্রচার ইত্যাদির মাধ্যমে জনমতকে নিজেদের অনুকূলে গঠন করার চেষ্টা করে।
(vi) রাজনৈতিক দল গঠন করার অধিকার শুধু নাগরিকদের আছে, বিদেশিদের নয়।
(i) রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একই মতাদর্শে অনুপ্রাণিত, ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হয়। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে কর্মসূচি নিয়ে দলীয় সদস্যদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও মতাদর্শগত মিল থাকে তাদের মধ্যে।
(ii) প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কর্মসূচি থাকে সেই কর্মসূচি রূপায়িত করা তাদের লক্ষ্য।
(iii) প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মূল উদ্দেশ্য ক্ষমতা লাভ করা। এই কারণে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল তাদের আদর্শ ও কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করে।
(iv) প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব দলীয় প্রতীক থাকে। এই দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
(v) প্রতিটি রাজনৈতিক দল সভা সমাবেশ, মিছিল, প্রচার ইত্যাদির মাধ্যমে জনমতকে নিজেদের অনুকূলে গঠন করার চেষ্টা করে।
(vi) রাজনৈতিক দল গঠন করার অধিকার শুধু নাগরিকদের আছে, বিদেশিদের নয়।
প্রশ্ন ২) দলীয় ব্যবস্থার গুণাবলি আলােচনা করাে।
উত্তর : গুণ (i) রাজনৈতিক দল দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতির স্বার্থরক্ষা করে রাজনৈতিক দল।
(ii) দলগুলি জনগণের মধ্যে শৃঙ্খলা, ঐক্য ও সংহতি আনে। জনগণের মধ্যে কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস দূর করতে সাহায্য করে।
(iii) সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে সাহায্য করে। জনগণের দাবি আদায়ের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
(iv) ভােটার তালিকা সংশােধনের ব্যাপারে নতুন ভােটার নথিভুক্ত করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দল নাগরিককে সাহায্য করে।
(v) রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের চাবিকাঠি। গণতন্ত্র সফল হয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার দ্বারা। এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পরিচালনা করে রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক দল জনগণকে রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে।
(vi) রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন মত ও চিন্তা থাকে। আলাপ-আলােচনার মাধ্যমে বিরােধ মিটিয়ে মতৈক্য গড়ে তােলে। যেমন-কাশ্মীর প্রশ্নে সমস্ত দলগুলির মধ্যে ঐক্যমত রয়েছে।
(vii) জনগণের অস্পষ্ট ধারণার পরিবর্তন করে জনগণকে সুগঠিত ও সুস্পষ্ট করে তােলে দল।
(viii) দলব্যবস্থা সরকারের স্বৈরাচারিতা রােধ করে। বিরােধী দলের সমালোচনায় সরকার স্বৈরাচারী হতে পারে না। এইজন্য দলব্যবস্থাকে স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বলা হয়।
(ii) দলগুলি জনগণের মধ্যে শৃঙ্খলা, ঐক্য ও সংহতি আনে। জনগণের মধ্যে কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস দূর করতে সাহায্য করে।
(iii) সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে সাহায্য করে। জনগণের দাবি আদায়ের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
(iv) ভােটার তালিকা সংশােধনের ব্যাপারে নতুন ভােটার নথিভুক্ত করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দল নাগরিককে সাহায্য করে।
(v) রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রের চাবিকাঠি। গণতন্ত্র সফল হয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার দ্বারা। এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পরিচালনা করে রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক দল জনগণকে রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে।
(vi) রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন মত ও চিন্তা থাকে। আলাপ-আলােচনার মাধ্যমে বিরােধ মিটিয়ে মতৈক্য গড়ে তােলে। যেমন-কাশ্মীর প্রশ্নে সমস্ত দলগুলির মধ্যে ঐক্যমত রয়েছে।
(vii) জনগণের অস্পষ্ট ধারণার পরিবর্তন করে জনগণকে সুগঠিত ও সুস্পষ্ট করে তােলে দল।
(viii) দলব্যবস্থা সরকারের স্বৈরাচারিতা রােধ করে। বিরােধী দলের সমালোচনায় সরকার স্বৈরাচারী হতে পারে না। এইজন্য দলব্যবস্থাকে স্বাধীনতার রক্ষাকবচ বলা হয়।
প্রশ্ন ৩) দলীয় ব্যবস্থার দোষ কী কী?
উত্তর : দোষ (i) বহুদল ব্যবস্থা জাতীয় ঐক্যের পরিপন্থী। ভারতের দিকে তাকালে আমরা বহু দলব্যবস্থার ত্রুটি দেখতে পাই। অর্থের বিনিময়ে দলগুলি ঘােড়া কেনাবেচা করে ভারতীয় রাজনীতিকে কলুষিত করছে।
(ii) দলগুলি অনেক সময় মিথ্যাচার এবং অসৎ উপায়ের আশ্রয় নেয়। এর ফলে যােগ্য ব্যক্তিরা রাজনীতিতে আসতে পারে না।
(iii) নির্বাচনী প্রচারে অনেক সময় দলগুলি মিথ্যা প্রচারের আশ্রয় নেয়। অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা প্রলােভন দেখায়। জনগণ এতে বিভ্রান্ত হয়। সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
(iv) সরকারি দল অনেক সময় নির্বাচনে জয়লাভের আশায় নির্বাচনের আগে আইন পাস করে। এর উদ্দেশ্য জনস্বার্থ নয়, চমক সৃষ্টি করা।
(v) আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন বলেছিলেন যে, দলীয় মনােভাব গণতান্ত্রিক সরকারের বড়াে শত্রু। এর অর্থ এই যে, দলীয় স্বার্থ অনেক সময় জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন দেয়। সমাজবিরােধী, দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। সমগ্র সমাজ পরস্পর গােষ্ঠীতে বিভক্ত হয়।
(vi) পরিচালনার জন্য ধনিক শ্রেণি অনেক দলকে মােটা অঙ্কের চাঁদা দেয়। অধ্যাপক উৎপল রায় একটি সুন্দর উপমার উল্লেখ করেছেন। ‘বাঁশীওয়ালাকে যে টাকা দেয়, সেই বাঁশীর সুর নির্ধারণ করে।’ এই ধনিক শ্রেণিরাই তাদের স্বার্থে দলের নীতিকে প্রভাবিত করে।
(ii) দলগুলি অনেক সময় মিথ্যাচার এবং অসৎ উপায়ের আশ্রয় নেয়। এর ফলে যােগ্য ব্যক্তিরা রাজনীতিতে আসতে পারে না।
(iii) নির্বাচনী প্রচারে অনেক সময় দলগুলি মিথ্যা প্রচারের আশ্রয় নেয়। অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা প্রলােভন দেখায়। জনগণ এতে বিভ্রান্ত হয়। সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
(iv) সরকারি দল অনেক সময় নির্বাচনে জয়লাভের আশায় নির্বাচনের আগে আইন পাস করে। এর উদ্দেশ্য জনস্বার্থ নয়, চমক সৃষ্টি করা।
(v) আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটন বলেছিলেন যে, দলীয় মনােভাব গণতান্ত্রিক সরকারের বড়াে শত্রু। এর অর্থ এই যে, দলীয় স্বার্থ অনেক সময় জাতীয় স্বার্থকে বিসর্জন দেয়। সমাজবিরােধী, দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। সমগ্র সমাজ পরস্পর গােষ্ঠীতে বিভক্ত হয়।
(vi) পরিচালনার জন্য ধনিক শ্রেণি অনেক দলকে মােটা অঙ্কের চাঁদা দেয়। অধ্যাপক উৎপল রায় একটি সুন্দর উপমার উল্লেখ করেছেন। ‘বাঁশীওয়ালাকে যে টাকা দেয়, সেই বাঁশীর সুর নির্ধারণ করে।’ এই ধনিক শ্রেণিরাই তাদের স্বার্থে দলের নীতিকে প্রভাবিত করে।
প্রশ্ন ৪) দলীয় ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি কীভাবে দূর করা যায়?
উত্তর : ত্রুটিগুলি দূর করার উপায় (i) জনগণের মত নেবার জন্য গণভােট গ্রহণের পদ্ধতি (Referendum) প্রবর্তন করতে হবে।
(ii) সরকার উদ্যোগ গ্রহণ না করলে জনগণ আইন প্রনয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করবে একে বলে গণউদ্যোগ (Initiative)। গণউদ্যোগ অনুযায়ী আইন তৈরি হলে জনগণের আধিপত্য বজায় থাকে।
(iii) জনপ্রতিনিধিরা যদি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না করে, তবে তাকে ফিরিয়ে আনার অধিকার (Recall) জনগণের থাকবে। এইসব ব্যবস্থা অবলম্বন করলে জনগণ সক্রিয় হবে। দলীয় ব্যবস্থার ত্রুটি দূর হবে।
(iv) দলত্যাগ (Defection) ভারতের রাজনীতিকে কলুষিত করছে। জনপ্রতিনিধির জনগনের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এই অবস্থায় দলত্যাগীদের সদস্যপদ বাতিল করার জন্য আইন থাকা প্রয়ােজন। দুর্নীতি দূর করার জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
(v) সংবিধান অনমনীয় হলে ভালাে হয়। কারণ শাসকশ্রেণি ইচ্ছামতাে শাসনব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে পারবে না।
(vi) জনগণের মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত করতে হবে, যাতে দলীয় স্বার্থে শাসক শ্রেণী মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে না পারে।
(vii) নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা দলগুলিকে স্বৈরাচারী হতে বাধা দেবে। বিচারপতিকে নিরপেক্ষ ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের নিরপেক্ষভাবে তাদের কাজ করতে হবে।
(viii) সংখ্যালঘুদের স্বার্থ যাতে ক্ষুন্ন না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। জনস্বার্থে সংবিধান সংশােধন করতে হবে।
(ii) সরকার উদ্যোগ গ্রহণ না করলে জনগণ আইন প্রনয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করবে একে বলে গণউদ্যোগ (Initiative)। গণউদ্যোগ অনুযায়ী আইন তৈরি হলে জনগণের আধিপত্য বজায় থাকে।
(iii) জনপ্রতিনিধিরা যদি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না করে, তবে তাকে ফিরিয়ে আনার অধিকার (Recall) জনগণের থাকবে। এইসব ব্যবস্থা অবলম্বন করলে জনগণ সক্রিয় হবে। দলীয় ব্যবস্থার ত্রুটি দূর হবে।
(iv) দলত্যাগ (Defection) ভারতের রাজনীতিকে কলুষিত করছে। জনপ্রতিনিধির জনগনের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এই অবস্থায় দলত্যাগীদের সদস্যপদ বাতিল করার জন্য আইন থাকা প্রয়ােজন। দুর্নীতি দূর করার জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
(v) সংবিধান অনমনীয় হলে ভালাে হয়। কারণ শাসকশ্রেণি ইচ্ছামতাে শাসনব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে পারবে না।
(vi) জনগণের মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত করতে হবে, যাতে দলীয় স্বার্থে শাসক শ্রেণী মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে না পারে।
(vii) নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা দলগুলিকে স্বৈরাচারী হতে বাধা দেবে। বিচারপতিকে নিরপেক্ষ ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের নিরপেক্ষভাবে তাদের কাজ করতে হবে।
(viii) সংখ্যালঘুদের স্বার্থ যাতে ক্ষুন্ন না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। জনস্বার্থে সংবিধান সংশােধন করতে হবে।
প্রশ্ন ৫) একদল ব্যবস্থা কাকে বলে? এই দলীয় ব্যবস্থার গুণগুলি আলােচনা করাে।
উত্তর : একটি মাত্র রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব থাকলে অথবা সঙ্গে একটি মাত্র দলের কথা থাকলে সেই দলব্যবস্থাকে একদল ব্যবস্থা বলে। সবচেয়ে ভালাে উদাহরণ হল তানজানিয়ার দলব্যবস্থা। কেনিয়ার একমাত্র রাজনৈতিক দলের নাম হল কেনিয়া আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন (Kanu)।
গুণ
(i) ঐক্য ও সংহতি : এই ব্যবস্থায় সহজেই জাতীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করা যায়। একাধিক দল থাকলে দলাদলি দেখা দেয়। দলীয় স্বার্থ জাতীয় স্বার্থের উপর প্রাধান্য পায়। একদলীয় ব্যবস্থার এই ত্রুটি থাকে না।
(ii) অনুন্নত দেশে উপযােগী : পশ্চাদপদ দেশে একদলীয় ব্যবস্থা ভালাে। কারণ এইসব দেশের প্রধান লক্ষ্য হল সমাজ ও অর্থনীতির রূপান্তর ঘটানাে। একদল ব্যবস্থা থাকলে এই লক্ষ্য পূর্ণ হয়।
(iii) জরুরি অবস্থার উপযােগী : জরুরি অবস্থায় দেশের প্রয়ােজনে একদল দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একটি দল দলীয় কর্মসূচি সহজেই রূপায়িত করতে পারে।
(iv) ব্যয়সংক্ষেপ : এখানে ব্যয়বাহুল্য এড়ানাে যায়। একাধিক রাজনৈতিক দল থাকলে দলগুলি তাদের সাংগঠনিক প্রয়ােজনে অনেক অর্থব্যয় করে।
(v) প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা হল গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ। ধন বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থা যেখানে আছে সেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
(vi) স্থায়িত্ব : এই ব্যবস্থায় সরকারের স্থায়িত্ব অনেক বেশি। বহুদল ব্যবস্থায় কোনাে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে একাধিক দল মিলে সরকার গঠন করে। এই ধরনের সরকার অনেক সময় স্থায়ী হয় না।
গুণ
(i) ঐক্য ও সংহতি : এই ব্যবস্থায় সহজেই জাতীয় ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করা যায়। একাধিক দল থাকলে দলাদলি দেখা দেয়। দলীয় স্বার্থ জাতীয় স্বার্থের উপর প্রাধান্য পায়। একদলীয় ব্যবস্থার এই ত্রুটি থাকে না।
(ii) অনুন্নত দেশে উপযােগী : পশ্চাদপদ দেশে একদলীয় ব্যবস্থা ভালাে। কারণ এইসব দেশের প্রধান লক্ষ্য হল সমাজ ও অর্থনীতির রূপান্তর ঘটানাে। একদল ব্যবস্থা থাকলে এই লক্ষ্য পূর্ণ হয়।
(iii) জরুরি অবস্থার উপযােগী : জরুরি অবস্থায় দেশের প্রয়ােজনে একদল দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একটি দল দলীয় কর্মসূচি সহজেই রূপায়িত করতে পারে।
(iv) ব্যয়সংক্ষেপ : এখানে ব্যয়বাহুল্য এড়ানাে যায়। একাধিক রাজনৈতিক দল থাকলে দলগুলি তাদের সাংগঠনিক প্রয়ােজনে অনেক অর্থব্যয় করে।
(v) প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা হল গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ। ধন বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থা যেখানে আছে সেখানে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
(vi) স্থায়িত্ব : এই ব্যবস্থায় সরকারের স্থায়িত্ব অনেক বেশি। বহুদল ব্যবস্থায় কোনাে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে একাধিক দল মিলে সরকার গঠন করে। এই ধরনের সরকার অনেক সময় স্থায়ী হয় না।
প্রশ্ন 6) একদল ব্যবস্থার দোষ কি কি?
উত্তর : দোষ (i) অগণতান্ত্রিক : একদলীয় ব্যবস্থায় একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকার স্বৈরাচারী হয়। ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব হয়। অধ্যাপক ডি. এন. বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা গণতন্ত্রের প্রাণ একদলীয় শাসন-ব্যবস্থায় থাকতে পারে না।
(ii) ব্যক্তিত্বের বিনাশ : একদলীয় ব্যবস্থায় ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তার অবকাশ থাকে না। একটি নির্দিষ্ট ধাচে বা পথে ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্যক্তিত্বের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
(iii) নিষ্ক্রিয় নাগরিক : একদলীয় ব্যবস্থায় জনগণকে শাসকদলের নির্দেশ মানা ছাড়া অন্য কিছু করার থাকে না। জনগণের মনে উদাসীনতা দেখা দেয়।
(iv) সংখ্যালঘু স্বার্থ অবহেলিত : একদলীয় ব্যবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ অবহেলিত হয়। বহুদলীয় ব্যবস্থায় বহু রাজনৈতিক দল থাকে। এই দলগুলি সকলের প্রতিনিধিত্ব করে। যেখানে বিরােধী দল নেই, সেখানে সরকার স্বৈরাচারী হতে বাধ্য।
(v) জনমত মূল্যহীন : একদল ব্যবস্থায় জনমতের কোনাে মূল্য থাকে না। জনগণ উপেক্ষিত হয়। এই উপেক্ষা যে-কোনাে সময় বিদ্রোহ, বিপ্লবের আকারে ফেটে পড়তে পারে।
বিভিন্ন ধরনের একদল ব্যবস্থা যে একই ধরণের ক্ষতিকর তা নয়। ফ্যাসিবাদী একদল ব্যবস্থা আর সমাজতান্ত্রিক একদল ব্যবস্থা সমান বিপজ্জনক নয়। আসলে, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রকৃতির উপর অনেকটা নির্ভর করে একদল ব্যবস্থার চরিত্র।
(ii) ব্যক্তিত্বের বিনাশ : একদলীয় ব্যবস্থায় ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তার অবকাশ থাকে না। একটি নির্দিষ্ট ধাচে বা পথে ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা নিয়ন্ত্রিত হয়। ব্যক্তিত্বের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
(iii) নিষ্ক্রিয় নাগরিক : একদলীয় ব্যবস্থায় জনগণকে শাসকদলের নির্দেশ মানা ছাড়া অন্য কিছু করার থাকে না। জনগণের মনে উদাসীনতা দেখা দেয়।
(iv) সংখ্যালঘু স্বার্থ অবহেলিত : একদলীয় ব্যবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ অবহেলিত হয়। বহুদলীয় ব্যবস্থায় বহু রাজনৈতিক দল থাকে। এই দলগুলি সকলের প্রতিনিধিত্ব করে। যেখানে বিরােধী দল নেই, সেখানে সরকার স্বৈরাচারী হতে বাধ্য।
(v) জনমত মূল্যহীন : একদল ব্যবস্থায় জনমতের কোনাে মূল্য থাকে না। জনগণ উপেক্ষিত হয়। এই উপেক্ষা যে-কোনাে সময় বিদ্রোহ, বিপ্লবের আকারে ফেটে পড়তে পারে।
বিভিন্ন ধরনের একদল ব্যবস্থা যে একই ধরণের ক্ষতিকর তা নয়। ফ্যাসিবাদী একদল ব্যবস্থা আর সমাজতান্ত্রিক একদল ব্যবস্থা সমান বিপজ্জনক নয়। আসলে, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রকৃতির উপর অনেকটা নির্ভর করে একদল ব্যবস্থার চরিত্র।
প্রশ্ন ৭) দ্বিদলীয় ব্যবস্থা কাকে বলে? দ্বিদলীয় ব্যবস্থার গুণগুলি কী কী?
উত্তর : দুটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা ক্ষমতা পরিচালিত হলে তাকে দ্বিদলব্যবস্থা বলে। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিদলব্যবস্থা দেখা যায়। এই ব্যবস্থায় দুটি দলের মধ্যে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। অপর দল বিরােধী দলের ভূমিকায় থাকে।
গুণ
(i) অধ্যাপক বার্কার দু-দিক থেকে দ্বিদলব্যবস্থার গুণাগুণ পর্যালােচনা করেছেন। (ক) নীতিগত দিক থেকে, (খ) কার্যকারিতার দিক থেকে। তাঁর মতে, নীতিগত দিক থেকে একদল ব্যবস্থার থেকে দ্বিদলব্যবস্থা অনেক বেশি কার্যকর। বাস্তব কার্যকারিতার দিক থেকে দ্বিদলব্যবস্থাই আদর্শ।
(ii) দুটি দল থাকায় জনগণের মনে কোনাে বিভ্রান্তি দেখা দেয় না। জনগণ দুটি দলের আদর্শ ও কর্মসূচি বিচার করে একটিকে সমর্থনের জন্য বেছে নিতে পারে। বার্কার বলেছেন, সংখ্যা বাড়লেই নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয় এবং এর ফলে বিভ্রান্তি বাড়ে।
(iii) দুটি দল, একটি সরকারি এবং অপরটি বিরােধী, দলব্যবস্থায় সংকীর্ণতা দেখা দেয় না। দু-দলকেই জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকতে হয়।।
(iv) নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পথে সরকারের পরিবর্তন ঘটে। বিদ্রোহ-বিপ্লবের আশঙ্কা থাকে না।
(v) দ্বিদলব্যবস্থা স্বৈরাচার বিরােধী। সরকারি দল সর্বদাই বিরােধী দলকে মর্যাদা দেয় ও সমালােচনাকে ভয় করে। অধ্যাপক ল্যাস্কির মতে, দুটি দলের মধ্য দিয়ে সহজেই জনমত প্রকাশিত হতে পারে।
গুণ
(i) অধ্যাপক বার্কার দু-দিক থেকে দ্বিদলব্যবস্থার গুণাগুণ পর্যালােচনা করেছেন। (ক) নীতিগত দিক থেকে, (খ) কার্যকারিতার দিক থেকে। তাঁর মতে, নীতিগত দিক থেকে একদল ব্যবস্থার থেকে দ্বিদলব্যবস্থা অনেক বেশি কার্যকর। বাস্তব কার্যকারিতার দিক থেকে দ্বিদলব্যবস্থাই আদর্শ।
(ii) দুটি দল থাকায় জনগণের মনে কোনাে বিভ্রান্তি দেখা দেয় না। জনগণ দুটি দলের আদর্শ ও কর্মসূচি বিচার করে একটিকে সমর্থনের জন্য বেছে নিতে পারে। বার্কার বলেছেন, সংখ্যা বাড়লেই নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয় এবং এর ফলে বিভ্রান্তি বাড়ে।
(iii) দুটি দল, একটি সরকারি এবং অপরটি বিরােধী, দলব্যবস্থায় সংকীর্ণতা দেখা দেয় না। দু-দলকেই জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকতে হয়।।
(iv) নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পথে সরকারের পরিবর্তন ঘটে। বিদ্রোহ-বিপ্লবের আশঙ্কা থাকে না।
(v) দ্বিদলব্যবস্থা স্বৈরাচার বিরােধী। সরকারি দল সর্বদাই বিরােধী দলকে মর্যাদা দেয় ও সমালােচনাকে ভয় করে। অধ্যাপক ল্যাস্কির মতে, দুটি দলের মধ্য দিয়ে সহজেই জনমত প্রকাশিত হতে পারে।