রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের উৎপত্তি
প্রশ্ন ১। লক বর্ণিত ‘প্রাকৃতিক অবস্থা’ কীরূপ ছিল?উত্তর: লকের মতে, প্রাকৃতিক অবস্থা ছিল প্রাক-রাষ্টীয়, প্রাক-সামাজিক নয়। এই অবস্থা ছিল শান্তি, শুভেচ্ছা ও পারস্পরিক সহযােগিতার রাজ্য। মানুষ সাধারণভাবে সুখেই ছিল। সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ছিল। ন্যায়, বিবেক ও যুক্তির অনুশাসন ছিল।
প্রশ্ন ২। রুশাে বর্ণিত ‘প্রাকৃতিক অবস্থা’ কীরূপ ছিল ?উত্তর: রুশাের মতে প্রাকৃতিক অবস্থা ছিল সহজ, সরল ও সুন্দর। মানুষের মধ্যে হানাহানি, হিংসা, দ্বেষ বা দ্বন্দ্ব ছিল না। পরস্পরের মধ্যে ছিল সহযােগিতা ও সৌভ্রাতৃত্ব। মানুষেরা সুখে-শান্তিতে বসবাস করত। তার মতে প্রাকৃতিক অবস্থা ছিল স্বর্গরাজ্য।
প্রশ্ন ৩। লক ও রুশাের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?উত্তর: (১) লকের মতে চুক্তি হয়েছিল দুটি। কিন্তু রশাের মতে চুক্তি হয়েছিল একটি।
(২) লক রাজনৈতিক সার্বভৌমিকতার কথা বলেছেন, কিন্তু রুশাে জনগণের সার্বভৌমিকতার কথা বলেছেন।
(২) লক রাজনৈতিক সার্বভৌমিকতার কথা বলেছেন, কিন্তু রুশাে জনগণের সার্বভৌমিকতার কথা বলেছেন।
প্রশ্ন ৪। রাষ্ট্রের উৎপত্তির বিষয়ক কাল্পনিক মতবাদগুলি কী কী?
উত্তর: রাষ্ট্রের উৎপত্তি-বিষয়ক কাল্পনিক মতবাদগলি হল ঐশ্বরিক মতবাদ, বলপ্রয়ােগ মতবাদ এবং সামাজিক চুক্তি মতবাদ।
উত্তর: রাষ্ট্রের উৎপত্তি-বিষয়ক কাল্পনিক মতবাদগলি হল ঐশ্বরিক মতবাদ, বলপ্রয়ােগ মতবাদ এবং সামাজিক চুক্তি মতবাদ।
প্রশ্ন ৫। সমাজ কাকে বলে?উত্তর: সমাজতাত্ত্বিক ম্যাকাইভার ও পেজের মতে, “সমাজ হল প্রচলিত রীতিনীতি ও প্রক্রিয়া, কর্তৃত্ব ও পারস্পরিক সহযােগিতা, বিভিন্ন গােষ্ঠী ও বিভিন্ন দল, মানব- আচরণ ও স্বাধীনতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গড়ে ওঠা ব্যবস্থা।”
প্রশ্ন ৬। রাষ্ট্র ও সমাজের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: (১) রাষ্ট্রের বহু পূর্বেই সমাজের সৃষ্টি হয়েছে। (২) রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব আছে, কিন্তু সমাজের নেই। (৩) রাষ্ট্রের পরিধি সমাজের পরিধির তুলনায় অনেক সীমিত।
উত্তর: (১) রাষ্ট্রের বহু পূর্বেই সমাজের সৃষ্টি হয়েছে। (২) রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব আছে, কিন্তু সমাজের নেই। (৩) রাষ্ট্রের পরিধি সমাজের পরিধির তুলনায় অনেক সীমিত।
প্রশ্ন ৭। ‘State’ বা ‘স্টেট’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি কীভাবে হয়েছে?
উত্তর: টিউটন যুগে রাষ্ট্র অর্থে ‘স্ট্যাটাস’ শব্দের ব্যবহার করা হত। এই শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ। অর্থাৎ ল্যাটিন শব্দ ‘স্ট্যাটাস’ (Status) থেকেই ইংরেজি শব্দ ‘State’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে।
উত্তর: টিউটন যুগে রাষ্ট্র অর্থে ‘স্ট্যাটাস’ শব্দের ব্যবহার করা হত। এই শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ। অর্থাৎ ল্যাটিন শব্দ ‘স্ট্যাটাস’ (Status) থেকেই ইংরেজি শব্দ ‘State’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন ৮। রাষ্ট্রের উৎপত্তি-বিষয়ক বিজ্ঞানসম্মত মতবাদ কোনগুলি?
উত্তর: বিবর্তনবাদ ও মার্কসবাদ হল রাষ্ট্রের উৎপত্তি-বিষয়ক বিজ্ঞানসম্মত মতবাদ।
উত্তর: বিবর্তনবাদ ও মার্কসবাদ হল রাষ্ট্রের উৎপত্তি-বিষয়ক বিজ্ঞানসম্মত মতবাদ।
প্রশ্ন ৯। ঐশ্বরিক মতবাদের কোনাে গুরুত্ব আছে কী?
উত্তর: আদিম ও অসভ্য বর্বর যুগে ঐশ্বরিক বন্ধনই মানুষকে প্রথম ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে আনুগত্য বােধের শিক্ষা দিয়েছিল। তাই গেটেল বলেছেন “মানুষ যখন স্বায়ত্তশাসনের জন্য উপযুক্ত ছিল না তখন এই মতবাদ মানুষকে আনুগত্যের শিক্ষা দান করেছিল।”
উত্তর: আদিম ও অসভ্য বর্বর যুগে ঐশ্বরিক বন্ধনই মানুষকে প্রথম ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে আনুগত্য বােধের শিক্ষা দিয়েছিল। তাই গেটেল বলেছেন “মানুষ যখন স্বায়ত্তশাসনের জন্য উপযুক্ত ছিল না তখন এই মতবাদ মানুষকে আনুগত্যের শিক্ষা দান করেছিল।”
প্রশ্ন ১০। ঐশ্বরিক মতবাদের প্রধান সীমাবদ্ধতা কী?
উত্তর: (১) ঐশ্বরিক মতবাদ অনৈতিহাসিক, অযৌক্তিক এবং অবিশ্বাস্য। (২) ঐশ্বরিক মতবাদ রাজনীতিতে চরম স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে। (৩) লৌকিক বিষয়ে ঈশ্বরের ধারণা ভ্রান্ত।
প্রশ্ন ১১। “সাধারণ ইচ্ছা” কী?উত্তর: রুশাের চুক্তিবাদের মূল স্তম্ভ হল ‘সাধারণ ইচ্ছা’। রুশাের মতে, সমষ্টিগত স্বার্থ বা সাধারণের কল্যাণ যে ইচ্ছার মধ্যে বর্তমান তারই সমন্বয়ে সাধারণ ইচ্ছার সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে একই সঙ্গে দুই ধরনের ইচ্ছা থাকে—প্রকৃত ইচ্ছা এবং অপ্রকৃত ইচ্ছা। সাধারণের স্বার্থ বা কল্যাণ সম্পর্কিত ইচ্ছাটি হল প্রকৃত ইচ্ছা। প্রত্যেকের প্রকৃত ইচ্ছার সমন্বয়েই সৃষ্টি হয় সাধারণের ইচ্ছা।
প্রশ্ন ১২। রুশাের মতবাদের সীমাবদ্ধতা কী?
উত্তর: (১) রুশাের চুক্তিবাদের মূল স্তম্ভ অর্থাৎ সাধারণ ইচ্ছার ধারণাটি অস্পষ্ট।(২) রুশাে ব্যক্তির স্বাধীনতাকে সাধারণ ইচ্ছার কাছে বলি দিয়েছেন। (৩) রুশাের তত্ত্ব আদর্শবান প্রতিষ্ঠার সহায়ক হলেও বাস্তবে এর গ্রহণযােগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে।
উত্তর: (১) রুশাের চুক্তিবাদের মূল স্তম্ভ অর্থাৎ সাধারণ ইচ্ছার ধারণাটি অস্পষ্ট।(২) রুশাে ব্যক্তির স্বাধীনতাকে সাধারণ ইচ্ছার কাছে বলি দিয়েছেন। (৩) রুশাের তত্ত্ব আদর্শবান প্রতিষ্ঠার সহায়ক হলেও বাস্তবে এর গ্রহণযােগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে।
প্রশ্ন ১৩। বলপ্রয়োেগ মতবাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কী?
উত্তর: (১) বলপ্রয়ােগের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। (২) কর্তৃত্ব কায়েম করার জন্যই বলবান ব্যক্তি বা গােষ্ঠী রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে। (৩) কেবল রাষ্ট্রের সৃষ্টি নয়, বলপ্রয়ােগ হল রাষ্ট্রপরিচালনা ও সংরক্ষণের মূল শক্তি।
উত্তর: (১) বলপ্রয়ােগের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। (২) কর্তৃত্ব কায়েম করার জন্যই বলবান ব্যক্তি বা গােষ্ঠী রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে। (৩) কেবল রাষ্ট্রের সৃষ্টি নয়, বলপ্রয়ােগ হল রাষ্ট্রপরিচালনা ও সংরক্ষণের মূল শক্তি।
প্রশ্ন ১৪। বলপ্রয়ােগ মতবাদের কয়েকজন প্রবক্তার নাম উল্লেখ করাে।
উত্তর: সােফিস্ট দার্শনিক থ্রেসি মেকাস, লিকক, ওপেনহাইমার, জেকস্ ট্রিটস্কে, নিৎসে, বার্নহার্ডি প্রমুখ রাষ্ট্রদার্শনিকরা বলপ্রয়ােগ মতবাদের প্রবক্তা।
উত্তর: সােফিস্ট দার্শনিক থ্রেসি মেকাস, লিকক, ওপেনহাইমার, জেকস্ ট্রিটস্কে, নিৎসে, বার্নহার্ডি প্রমুখ রাষ্ট্রদার্শনিকরা বলপ্রয়ােগ মতবাদের প্রবক্তা।
প্রশ্ন ১৫। বলপ্রয়ােগ মতবাদের গুরুত্ব কী?
উত্তর: (১) পাশবিক শক্তি রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও বিবর্তনের অন্যতম উপাদান হিসাবে স্বীকৃত।
(২) রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য বলপ্রয়ােগের প্রয়ােজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না।
(৩) ল্যাস্কির মতে, সামরিক শক্তির মধ্যেই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের মূল নিহিত আছে।
উত্তর: (১) পাশবিক শক্তি রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও বিবর্তনের অন্যতম উপাদান হিসাবে স্বীকৃত।
(২) রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য বলপ্রয়ােগের প্রয়ােজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না।
(৩) ল্যাস্কির মতে, সামরিক শক্তির মধ্যেই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের মূল নিহিত আছে।
প্রশ্ন ১৬। বলপ্রয়ােগ মতবাদের সীমাবদ্ধতাগুলি কী কী?
উত্তর: (১) পাশবিক বলই রাষ্ট্রের একমাত্র ভিত্তি হতে পারে না। তাই গ্রিন বলেছেন, “Will, not Force, is the basis of the State.”
(২) এই মতবাদ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পরিপন্থী।
(৩) বলপ্রয়ােগ মতবাদ বিশ্বশান্তির পরিপন্থী।
(৪) এই মতবাদ ‘জোর যার মুলুক তার’ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। এটি অনৈতিক।
উত্তর: (১) পাশবিক বলই রাষ্ট্রের একমাত্র ভিত্তি হতে পারে না। তাই গ্রিন বলেছেন, “Will, not Force, is the basis of the State.”
(২) এই মতবাদ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পরিপন্থী।
(৩) বলপ্রয়ােগ মতবাদ বিশ্বশান্তির পরিপন্থী।
(৪) এই মতবাদ ‘জোর যার মুলুক তার’ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। এটি অনৈতিক।
প্রশ্ন ১৭৷ চুক্তিবাদে লকের অবদান কী?
(১) আধুনিক গণতন্ত্রের মৌলিক অর্থ তিনিই প্রথম উপলদ্ধি করেন।
(২) জনগণের সম্পত্তির উপর রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা করেন।
(৩) স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মানুষের স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করেন।
(৪) লক সসীম সার্বভৌমের প্রবক্তা।
(১) আধুনিক গণতন্ত্রের মৌলিক অর্থ তিনিই প্রথম উপলদ্ধি করেন।
(২) জনগণের সম্পত্তির উপর রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা করেন।
(৩) স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মানুষের স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠা করেন।
(৪) লক সসীম সার্বভৌমের প্রবক্তা।
প্রশ্ন ১৮। চুক্তিবাদী লকের সীমাবদ্ধতা কোথায়?
উত্তর: (১) লক আইনগত সার্বভৌমিকতাকে উপেক্ষা করেছেন।
(২) লকের স্বাভাবিক অধিকারের তত্ত্ব কল্পিত।
(৩) লক মূলত ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ বা ধনতন্ত্রের জয়গান করেছেন।
উত্তর: (১) লক আইনগত সার্বভৌমিকতাকে উপেক্ষা করেছেন।
(২) লকের স্বাভাবিক অধিকারের তত্ত্ব কল্পিত।
(৩) লক মূলত ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ বা ধনতন্ত্রের জয়গান করেছেন।
প্রশ্ন ১৯। চুক্তিবাদী হবস লক ও রুশাের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়?
উত্তর: (১) সকলেই বলেছেন, চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে।
(২) রাষ্ট্রগঠনের পূর্বে মানুষ প্রাকৃতিক অবস্থায় বসবাস করত।
(৩) জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য মানুষ প্রাকৃতিক অবস্থা পরিত্যাগ করে রাষ্ট্রগঠনের জন্য উদ্যোগী হয়েছে।
উত্তর: (১) সকলেই বলেছেন, চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে।
(২) রাষ্ট্রগঠনের পূর্বে মানুষ প্রাকৃতিক অবস্থায় বসবাস করত।
(৩) জীবন, স্বাধীনতা ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য মানুষ প্রাকৃতিক অবস্থা পরিত্যাগ করে রাষ্ট্রগঠনের জন্য উদ্যোগী হয়েছে।
প্রশ্ন ২০। গার্নার প্রদত্ত রাষ্ট্রের সংজ্ঞাটি কী?
উত্তর: অধ্যাপক গার্নার যে সংজ্ঞাটি দিয়েছেন সেটি হল—“রাষ্ট্র হল বহুসংখ্যক ব্যক্তি নিয়ে গঠিত এমন একটি জনসমাজ যা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, যা বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পণ বা প্রায় সম্পূর্ণ মুক্ত এবং যার একটি সুগঠিত শাসনব্যবস্থা আছে—যে শাসনব্যবস্থার প্রতি অধিবাসীদের অধিকাংশই স্বাভাবিকভাবে আনুগত্য দেখায়।”
উত্তর: অধ্যাপক গার্নার যে সংজ্ঞাটি দিয়েছেন সেটি হল—“রাষ্ট্র হল বহুসংখ্যক ব্যক্তি নিয়ে গঠিত এমন একটি জনসমাজ যা নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, যা বহিঃশক্তির নিয়ন্ত্রণ থেকে সম্পণ বা প্রায় সম্পূর্ণ মুক্ত এবং যার একটি সুগঠিত শাসনব্যবস্থা আছে—যে শাসনব্যবস্থার প্রতি অধিবাসীদের অধিকাংশই স্বাভাবিকভাবে আনুগত্য দেখায়।”
প্রশ্ন ২১। রাষ্ট্র সম্পর্কে অ্যারিস্টটলের সংজ্ঞাটি লেখাে।
উত্তর: ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক’ অ্যারিস্টটলের মতে, “রাষ্ট্র হল স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে সংগঠিত কয়েকটি পরিবার ও গ্রামের সমষ্টি।”
উত্তর: ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক’ অ্যারিস্টটলের মতে, “রাষ্ট্র হল স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে সংগঠিত কয়েকটি পরিবার ও গ্রামের সমষ্টি।”
প্রশ্ন ২২। রাষ্ট্র সম্পর্কে লেনিনের বিখ্যাত উক্তিটি কী?
উত্তর: লেনিনের মতে, “রাষ্ট্র হল শ্রেণিশাসনের যন্ত্র, রাষ্ট্রের মাধ্যমে এক শ্রেণি অপর শ্রেণিকে শােষণ করে।”
উত্তর: লেনিনের মতে, “রাষ্ট্র হল শ্রেণিশাসনের যন্ত্র, রাষ্ট্রের মাধ্যমে এক শ্রেণি অপর শ্রেণিকে শােষণ করে।”
প্রশ্ন ২৩। সরকার বলতে কী বােঝ?
উত্তর: সরকার হল এমন একটি সংগঠন বা যন্ত্র যার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দেয়। প্রকৃত অর্থে আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সমষ্টিকে বলে সরকার।
উত্তর: সরকার হল এমন একটি সংগঠন বা যন্ত্র যার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দেয়। প্রকৃত অর্থে আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সমষ্টিকে বলে সরকার।
প্রশ্ন ২৪। সরকারকে কেন রাষ্ট্রের মস্তিষ্ক বলা হয়?
উত্তর: সরকার হল রাষ্ট্রের একটি সংস্থা বা যন্ত্র। সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ইচ্ছা প্রকাশিত হয়। মস্তিষ্ক যেমন শরীরকে পরিচালিত করে, সরকার তেমনি রাষ্ট্রকে পরিচালিত করে। তাই সরকারকে রাষ্ট্রের মস্তিষ্ক বলা হয়।
উত্তর: সরকার হল রাষ্ট্রের একটি সংস্থা বা যন্ত্র। সরকারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ইচ্ছা প্রকাশিত হয়। মস্তিষ্ক যেমন শরীরকে পরিচালিত করে, সরকার তেমনি রাষ্ট্রকে পরিচালিত করে। তাই সরকারকে রাষ্ট্রের মস্তিষ্ক বলা হয়।
প্রশ্ন ২৫। ইংল্যান্ডের গৌরবময় বিপ্লবের’ তাত্ত্বিক প্রবক্তা কাকে বলা হয়? তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম কী?
উত্তর: ইংল্যান্ডের ‘গৌরবময় বিপ্লবের’ (১৬৮৮) তাত্ত্বিক প্রবক্তা বলা হয় জন লককে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম ‘Two Treaties on Civil Government’।
উত্তর: ইংল্যান্ডের ‘গৌরবময় বিপ্লবের’ (১৬৮৮) তাত্ত্বিক প্রবক্তা বলা হয় জন লককে। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম ‘Two Treaties on Civil Government’।
প্রশ্ন ২৬। ফরাসি বিপ্লবের তাত্ত্বিক প্রবক্তা কে? তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম কী?
উত্তর: ফরাসি বিপ্লবের তাত্ত্বিক প্রবক্তা বা প্রধান অনুপ্রেরণাদাতা ছিলেন রুশাে। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম ‘Social Contract’। এটি ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
উত্তর: ফরাসি বিপ্লবের তাত্ত্বিক প্রবক্তা বা প্রধান অনুপ্রেরণাদাতা ছিলেন রুশাে। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থটির নাম ‘Social Contract’। এটি ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ২৭। সামাজিক চুক্তি মতবাদের মুখ্য প্রবক্তা কারা?
উত্তর: ইংরেজ দার্শনিক হবস, জন লক এবং ফরাসি দার্শনিক রুশাে সামাজিক চুক্তি মতবাদের মুখ্য প্রবক্তা।
উত্তর: ইংরেজ দার্শনিক হবস, জন লক এবং ফরাসি দার্শনিক রুশাে সামাজিক চুক্তি মতবাদের মুখ্য প্রবক্তা।
প্রশ্ন ২৮। হবস প্রণীত গ্রন্থটির নাম কী? এটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
উত্তর: হবস প্রণীত গ্রন্থটির নাম ‘লেভিয়াথান’। ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রকাশিত হয়।
উত্তর: হবস প্রণীত গ্রন্থটির নাম ‘লেভিয়াথান’। ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ২৯। হবসের মতবাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: (১) দুর্বিষহ প্রাকৃতিক অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ চুক্তি করে রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে।
(২) চুক্তি হয়েছিল যে, রাজা চুক্তির উর্ধ্বে।।
(৩) রাজা হলেন সর্বশক্তিমান ও অবাধ ক্ষমতার অধিকারী।
(৪) রাজার বিরুদ্ধাচরণ করার অধিকার প্রজাদের নেই।
উত্তর: (১) দুর্বিষহ প্রাকৃতিক অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ চুক্তি করে রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে।
(২) চুক্তি হয়েছিল যে, রাজা চুক্তির উর্ধ্বে।।
(৩) রাজা হলেন সর্বশক্তিমান ও অবাধ ক্ষমতার অধিকারী।
(৪) রাজার বিরুদ্ধাচরণ করার অধিকার প্রজাদের নেই।
প্রশ্ন ৩০। হবস ও লকের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
উত্তর: (১) হবস ছিলেন চরম রাজতান্ত্রিক সমর্থক কিন্তু লক নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের সমর্থক।
(২) হবসের মতে চুক্তি হয়েছিল একটি কিন্তু লকের মতে দুটি।
(৩) হবস রাজাকে চুক্তির উর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। কিন্তু লক রাজাকে চুক্তির পক্ষভুক্ত করে জনগণের অধিকারকে স্বীকার করে নিয়েছেন।
উত্তর: (১) হবস ছিলেন চরম রাজতান্ত্রিক সমর্থক কিন্তু লক নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের সমর্থক।
(২) হবসের মতে চুক্তি হয়েছিল একটি কিন্তু লকের মতে দুটি।
(৩) হবস রাজাকে চুক্তির উর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। কিন্তু লক রাজাকে চুক্তির পক্ষভুক্ত করে জনগণের অধিকারকে স্বীকার করে নিয়েছেন।
প্রশ্ন ৩১। হবস ও রুশাের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
উত্তর: (১) হবস চরম রাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু রুশাে গণতন্ত্রের পুজারি।
(২) হবস প্রাকৃতিক অবস্থাকে দুর্বিষহ বলেছেন। কিন্তু রুশাে মর্ত্যের স্বর্গ বলেছেন।
(৩) হবস রাজতন্ত্রকে স্থায়িত্ব দিতে চেয়েছেন। কিন্তু রুশাে গণতন্ত্রের জয়গান করেছেন।
উত্তর: (১) হবস চরম রাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু রুশাে গণতন্ত্রের পুজারি।
(২) হবস প্রাকৃতিক অবস্থাকে দুর্বিষহ বলেছেন। কিন্তু রুশাে মর্ত্যের স্বর্গ বলেছেন।
(৩) হবস রাজতন্ত্রকে স্থায়িত্ব দিতে চেয়েছেন। কিন্তু রুশাে গণতন্ত্রের জয়গান করেছেন।
প্রশ্ন ৩২। ঐশ্বরিক মতবাদের কয়েকজন তাত্ত্বিক সমর্থকের নাম লেখাে।
উত্তর: সেন্ট অগাস্টাইন, ধর্মযাজক সেন্টপল, টমাস অ্যাকুইনাস্ত, মার্টিন লুথার, স্যার রবার্ট ফিলমার প্রমুখ তাত্ত্বিকরা ঐশ্বরিক মতবাদের তাত্ত্বিক সমর্থক।
উত্তর: সেন্ট অগাস্টাইন, ধর্মযাজক সেন্টপল, টমাস অ্যাকুইনাস্ত, মার্টিন লুথার, স্যার রবার্ট ফিলমার প্রমুখ তাত্ত্বিকরা ঐশ্বরিক মতবাদের তাত্ত্বিক সমর্থক।
প্রশ্ন ৩৩। ‘প্যাট্রিয়ার্কা’ (Patriarcha) গ্রন্থটির প্রণেতা কে?
উত্তর: প্যাট্রিয়ার্কা’ গ্রন্থটির প্রণেতা রবার্ট ফিলমার। এটি ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
উত্তর: প্যাট্রিয়ার্কা’ গ্রন্থটির প্রণেতা রবার্ট ফিলমার। এটি ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন ৩৪। ‘City of God’ গ্রন্থটির প্রণেতা কে?
উত্তর: ‘City of God’ গ্রন্থটির প্রণেতা সেন্ট অগাস্টাইন।
উত্তর: ‘City of God’ গ্রন্থটির প্রণেতা সেন্ট অগাস্টাইন।
প্রশ্ন ৩৫। ইংল্যান্ডে গৌরবময়বিপ্লব কখন হয়? এর রাজনৈতিক গুরুত্ব কী?
উত্তর: ইংল্যান্ডে গৌরবময়বিপ্লব ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন হয়।
এই বিপ্লবের রাজনৈতিক তাৎপর্য তথা গুরুত্ব হল এই যে, এর প্রভাবে রাজতন্ত্রের ঐশ্বরিক বৈশিষ্ট্য অবলুপ্ত হয়। অর্থাৎ ধর্ম ও রাজনীতির পৃথকীকরণের সূত্রপাত হয়।
উত্তর: ইংল্যান্ডে গৌরবময়বিপ্লব ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দে সম্পন্ন হয়।
এই বিপ্লবের রাজনৈতিক তাৎপর্য তথা গুরুত্ব হল এই যে, এর প্রভাবে রাজতন্ত্রের ঐশ্বরিক বৈশিষ্ট্য অবলুপ্ত হয়। অর্থাৎ ধর্ম ও রাজনীতির পৃথকীকরণের সূত্রপাত হয়।
প্রশ্ন ৩৬। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে ক্ষুদ্রায়তন রাষ্ট্রের নাম কী?
উত্তর: পৃথিবীর সর্ববৃহদায়তন রাষ্ট্রটির নাম সাবেক সােভিয়েত ইউনিয়ন (৮৭ লক্ষ বর্গমাইল) এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্রায়তন রাষ্ট্রটির নাম স্যানম্যারিনাে (৩৮ বর্গমাইল)।
উত্তর: পৃথিবীর সর্ববৃহদায়তন রাষ্ট্রটির নাম সাবেক সােভিয়েত ইউনিয়ন (৮৭ লক্ষ বর্গমাইল) এবং সবচেয়ে ক্ষুদ্রায়তন রাষ্ট্রটির নাম স্যানম্যারিনাে (৩৮ বর্গমাইল)।
প্রশ্ন ৩৭। রাষ্ট্রের প্রধান চারটি বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করাে।
উত্তর: রাষ্ট্রের প্রধান চারটি বৈশিষ্ট্য হল—(ক) জনসমষ্টি, (খ) নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, (গ) সরকার এবং (ঘ) সার্বভৌমিকতা।
উত্তর: রাষ্ট্রের প্রধান চারটি বৈশিষ্ট্য হল—(ক) জনসমষ্টি, (খ) নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, (গ) সরকার এবং (ঘ) সার্বভৌমিকতা।
প্রশ্ন ৩৮। ত্রিপুরাকে কেন রাষ্ট্র বলা হয় না, তার দুটি কারণ লেখাে।
উত্তর: ত্রিপুরা একটি রাষ্ট্র নয়। কারণ—(ক) এর সার্বভৌমিকতা নেই। একে কেন্দ্রের অধীনে থেকে কাজ করতে হয়। কেন্দ্রের বিরােধী কোনাে আইন করলে তা বাতিল হয়ে যায়। (খ) ত্রিপুরা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনাে চুক্তি বা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না।
উত্তর: ত্রিপুরা একটি রাষ্ট্র নয়। কারণ—(ক) এর সার্বভৌমিকতা নেই। একে কেন্দ্রের অধীনে থেকে কাজ করতে হয়। কেন্দ্রের বিরােধী কোনাে আইন করলে তা বাতিল হয়ে যায়। (খ) ত্রিপুরা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনাে চুক্তি বা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে না।
প্রশ্ন ৩৯। মার্কসবাদীরা রাষ্ট্রকে কোন্ দৃষ্টিতে দেখেন?
উত্তর: মার্কসবাদীরা বলেন, শ্রেণিবিভক্ত সমাজে রাষ্ট্র হল শ্রেণিস্বার্থ সংরক্ষণের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক হাতিয়ার। লেনিনের মতে, “রাষ্ট্র হল একটি শ্রেণির ওপর অন্য একটি শ্রেণির উৎপীড়নের যন্ত্র, অন্য পদানত শ্রেণিগুলিকে একটি শ্রেণির আয়ত্তে রাখার যন্ত্র। কারণ, যে রাষ্ট্রে জমি ও উৎপাদনের উপায়ের ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে, সে রাষ্ট্র যতই গণতান্ত্রিক হােক না কেন, তা হল পুঁজিবাদী রাষ্ট্র।
উত্তর: মার্কসবাদীরা বলেন, শ্রেণিবিভক্ত সমাজে রাষ্ট্র হল শ্রেণিস্বার্থ সংরক্ষণের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক হাতিয়ার। লেনিনের মতে, “রাষ্ট্র হল একটি শ্রেণির ওপর অন্য একটি শ্রেণির উৎপীড়নের যন্ত্র, অন্য পদানত শ্রেণিগুলিকে একটি শ্রেণির আয়ত্তে রাখার যন্ত্র। কারণ, যে রাষ্ট্রে জমি ও উৎপাদনের উপায়ের ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা থাকে, সে রাষ্ট্র যতই গণতান্ত্রিক হােক না কেন, তা হল পুঁজিবাদী রাষ্ট্র।
প্রশ্ন ৪০। ‘পােলিশ’ ও ‘সিভিটাস’ শব্দ দুটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘পােলিশ’ (Polis) শব্দটি গ্রিক শব্দ। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকগণ ‘রাষ্ট্র’ অর্থে পােলিশ শব্দটি ব্যবহার করতেন।
‘সিভিটাস’ (Civitas) শব্দটি রােমান শব্দ। রােমান দার্শনিকগণ ‘রাষ্ট্র’ বােঝাতেই সিভিটাস শব্দকে ব্যবহার করতেন।
উত্তর: ‘পােলিশ’ (Polis) শব্দটি গ্রিক শব্দ। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকগণ ‘রাষ্ট্র’ অর্থে পােলিশ শব্দটি ব্যবহার করতেন।
‘সিভিটাস’ (Civitas) শব্দটি রােমান শব্দ। রােমান দার্শনিকগণ ‘রাষ্ট্র’ বােঝাতেই সিভিটাস শব্দকে ব্যবহার করতেন।
প্রশ্ন ৪১। রাষ্ট্র এবং সংঘ কি একে অপরের পরিপূরক?
উত্তর: রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হল মানুষের কল্যাণসাধন করা। সেই কাজ করতে গেলে সামাজিক সংঘের প্রয়ােজন আছে। কারণ মানুষের বিকাশের জন্যে সামাজিক সংঘগুলি গড়ে ওঠে। ল্যাস্কি বলেন, “রাষ্ট এবং অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সহযােগিতায় সমাজজীবন সর্বাঙ্গসুন্দর হতে পারে। তাই বলা যায়, রাষ্ট্র এবং সংঘ একে অপরের পরিপূরক।
উত্তর: রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হল মানুষের কল্যাণসাধন করা। সেই কাজ করতে গেলে সামাজিক সংঘের প্রয়ােজন আছে। কারণ মানুষের বিকাশের জন্যে সামাজিক সংঘগুলি গড়ে ওঠে। ল্যাস্কি বলেন, “রাষ্ট এবং অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সহযােগিতায় সমাজজীবন সর্বাঙ্গসুন্দর হতে পারে। তাই বলা যায়, রাষ্ট্র এবং সংঘ একে অপরের পরিপূরক।
প্রশ্ন ৪২। ‘রাষ্ট্র’ শব্দটিকে, কখন এবং কোথায় সর্বপ্রথম কে প্রয়ােগ করেন?
উত্তর: ‘রাষ্ট্র’ বা ‘স্টেট’ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন ইটালির বিখ্যাত দার্শনিক মেকিয়াভেলি। ১৫১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত মেকিয়াভেলি রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ ‘প্রিন্স’ (Prince)-এ প্রথম রাষ্ট্র (State) শব্দটির প্রয়ােগ দেখা যায়।
উত্তর: ‘রাষ্ট্র’ বা ‘স্টেট’ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন ইটালির বিখ্যাত দার্শনিক মেকিয়াভেলি। ১৫১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত মেকিয়াভেলি রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ ‘প্রিন্স’ (Prince)-এ প্রথম রাষ্ট্র (State) শব্দটির প্রয়ােগ দেখা যায়।
প্রশ্ন ৪৩। সামাজিক সংঘ বা প্রতিষ্ঠান বলতে কী বােঝায়?
উত্তর: সমাজতত্ত্ববিদ ম্যাকাইভার ও পেজ তাঁদের ‘সােসাইটি’ (Society) গ্রন্থে সামাজিক সংঘ সম্পর্কে বলেছেন যে, এক বা একাধিক উদ্দেশ্যসাধনের জন্য যখন একটি গােষ্ঠী গড়ে ওঠে তখন তাকে ‘সামাজিক সংঘ’ বলে।
উত্তর: সমাজতত্ত্ববিদ ম্যাকাইভার ও পেজ তাঁদের ‘সােসাইটি’ (Society) গ্রন্থে সামাজিক সংঘ সম্পর্কে বলেছেন যে, এক বা একাধিক উদ্দেশ্যসাধনের জন্য যখন একটি গােষ্ঠী গড়ে ওঠে তখন তাকে ‘সামাজিক সংঘ’ বলে।
প্রশ্ন ৪৪। রাষ্ট্রের কয়েকটি গৌণ উপাদান বা বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
উত্তর: রাষ্ট্রের গৌণ উপাদানগুলি হল—স্থায়িত্ব, কূটনৈতিক বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রসংঘের সদস্যপদ ইত্যাদি।
উত্তর: রাষ্ট্রের গৌণ উপাদানগুলি হল—স্থায়িত্ব, কূটনৈতিক বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রসংঘের সদস্যপদ ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪৫। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘ভূখণ্ড’ বলতে কী বােঝায়?
উত্তর: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘ভূখণ্ড’ বলতে শুধুমাত্র ভূপৃষ্ঠকে বােঝায় না। এখানে ‘ভূখণ্ড’ বলতে রাষ্ট্রের অন্তর্গত ভূভাগ, নদনদী, গিরিপর্বত, হ্রদ, ভূগর্ভস্থ সকল সম্পদ, আকাশপথ, উপকূলভাগ ইত্যাদিকে বােঝায়।
উত্তর: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘ভূখণ্ড’ বলতে শুধুমাত্র ভূপৃষ্ঠকে বােঝায় না। এখানে ‘ভূখণ্ড’ বলতে রাষ্ট্রের অন্তর্গত ভূভাগ, নদনদী, গিরিপর্বত, হ্রদ, ভূগর্ভস্থ সকল সম্পদ, আকাশপথ, উপকূলভাগ ইত্যাদিকে বােঝায়।
প্রশ্ন ৪৬। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কি রাষ্ট্র?
উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ একটি আন্তর্জাতিক সংঘ। এখানে প্রতিটি রাষ্ট্র নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে স্বেচ্ছামূলক সদস্যপদ গ্রহণ করে। এর নিজস্ব কোনাে সার্বভৌম ক্ষমতা নেই। এর কোনাে নির্দিষ্ট ভূখণ্ডও নেই। তাই সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ রাষ্ট্র নয়।
উত্তর: সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ একটি আন্তর্জাতিক সংঘ। এখানে প্রতিটি রাষ্ট্র নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে স্বেচ্ছামূলক সদস্যপদ গ্রহণ করে। এর নিজস্ব কোনাে সার্বভৌম ক্ষমতা নেই। এর কোনাে নির্দিষ্ট ভূখণ্ডও নেই। তাই সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ রাষ্ট্র নয়।