উঃ শিল্প সমাজ: শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে অর্থনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাঠামোতেও আসে পরিবর্তন। নতুন কলেবরে গড়ে ওঠে মানবসমাজ। এটাই শিল্প সমাজ বলে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য: শিল্প সমাজের কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। যেমন---
(১) শিল্প সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বড় আকারের কলকারখানা, নতুন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। সাবেকি পরিবারকেন্দ্রিক শিল্পের পরিবর্তে শিল্প সমাজে গড়ে তোলা হলো বৃহদায়তন কল-কারখানা।
(২) বৃহদায়তন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে মালিকানা ও পরিচালন গোষ্ঠী আলাদা। শেয়ার বিক্রয় করে মূলধন জোগাড় করা হয়। শেয়ার ক্রেতাদের নিয়েই গড়ে ওঠে কলকারখানার মালিক গোষ্ঠী। শিল্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন পেশাদার বিশেষজ্ঞগণ। এরাঁ বেতনের বিনিময়ে পরিষেবা প্রদান করেন।
(৩) বৃহদায়তন শিল্প কারখানায় শ্রমিক বিভাজনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এখানে শ্রমের বিশেষায়ণ ঘটে। এখানে পরিচালন ক্ষেত্রেও দায়িত্ব ভাগ হয়ে যায়।
(৪) বৃত্তিগত বিশেষীকরণ এর জন্য শিল্পসমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন মনোভাব তৈরি হয়। গড়ে ওঠে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ। এভাবে সমাজ বিভিন্ন অপসংস্কৃতিতে বিভাজিত হয়ে যায়।
(৫) নারী স্বাধীনতা শিল্প সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাক শিল্প সমাজে নারী ছিল অন্তঃপুরবাসিনী। শিল্প সমাজে কাজের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় মেয়েদের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসে।